October 2024

প্রভাত সঙ্গীত কী ও কেন?

পত্রিকা প্রিতিনিধি

 

সংস্কৃতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হ’ল সঙ্গীত৷ নিম্নমানের সঙ্গীত যেমন মানুষের অন্তর্নিহিত পশুভাবকে জাগিয়ে তোলে তেমনি উচ্চমানের সঙ্গীত মানুষের ভিতরে সুপ্ত দেবভাবকে জাগিয়ে তোলে৷ বর্তমান সমাজের সর্বাত্মক অবক্ষয় থেকে সঙ্গীত জগৎও রেহাই পায়নি৷ এই অবক্ষয়কে রোধ করে সংস্কৃতির আঙ্গিনায় নূতন প্রভাতের আবির্ভাব হ’ল শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী তথা শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের রচিত ‘প্রভাত-সঙ্গীত’৷ মোট ৫০১৮টি প্রভাত-সঙ্গীত রচনা ও সুর তাঁরই সৃষ্টি৷

প্রভাত সঙ্গীত---আলোয় উত্তরণের সঙ্গীত

তপোময় বিশ্বাস

শুভ ‘প্রভাত সঙ্গীত দিবসে’র আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন৷ এবছর প্রভাত সঙ্গীতে’র ৪২ তম বর্ষপূর্তি৷ মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার তথা ধর্মগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্তী রচিত ও সুরারোপিত ১৯৮২ সন থেকে ১৯৯০ সন পর্যন্ত ৮ বছর সময়কালে ৮টি ভাষায় ৫০১৮টি সঙ্গীত ‘প্রভাত সঙ্গীত’ নামে পরিচিত৷

প্রভাতসঙ্গীত স্রষ্টা মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের প্রতি হৃদয়ের গভীরতম শ্রদ্ধা ও প্রণাম নিবেদন করি৷

‘বন্ধু হে নিয়ে চলো’

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

‘বন্ধু হে নিয়ে চলো’--- এ আহ্বান কোন মধ্য রাতের অন্ধকারে অসার আন্দোলনের আকুতি নয়, তমসাবৃত নিশীথের কালো যবনিকা ভেদ করে আলোর ঝরণাধারার পানে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ঐকান্তিক এষণা, আশাহত ব্যথিত মনের আন্তরিক আকুতি৷

মানব সমাজের পরতে পরতে আজ দারিদ্র, শোষণ, বঞ্চনা, নিপীড়নের সকরুণ চিত্র৷ অর্থনৈতিক বৈষম্য, সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন সমাজকে কুরে কুরে খাচ্ছে৷ অপর দিকে নগ্ণ চলচ্চিত্র, অশ্লীল সাহিত্যের মাধ্যমে মানুষকে নৈতিক অধোগতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে শোষকের সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র৷ নিরীহ সাধারণ মানুষ আজ সর্বগ্রাসী নররূপী দানবের করুণার পাত্র হয়ে কায়ক্লেশে জীবন যাপন করছে৷

সার্থক গণতন্ত্রে শাসক বিরোধী সম অধিকার সম মর্যাদা পায়

প্রভাত খাঁ

বর্তমানে সারা ভারত যুক্তরাষ্ট্রে যে যৌথশাসন ব্যবস্থা গণতন্ত্রের নামে দলীয় শাসকগণ চালাচ্ছেন রাজ্য ও কেন্দ্রগুলিতে সেটা একটি রাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থায় নামে গণতান্ত্রিক কিন্তু কেন্দ্রের শক্তিটা শাসন ক্ষেত্রে অনেকাংশে রাজ্যের শাসন ব্যবস্থাকে অস্বীকার করার লক্ষণগুলি খুবই স্পষ্ট৷ তাই বর্তমানে বিরোধী দলের রাজ্য সরকারগুলি আর্থিক ও অন্যান্ন দিক থেকে নানাভাবে বঞ্চিত হচ্ছে, যা যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থাতে বেশ কিছুটা কালিমালিপ্ত হচ্ছে৷ উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় কেন্দ্রের দেয় আর্থিক সাহায্য দলীয় সংকীর্ণতাবশতঃ বঞ্চিত করা হচ্ছে৷ এটা এক ধরণের আইনতঃ অপরাধ কি নয়?

বিভূতিভূষণ প্রসঙ্গে

অভিজিৎ সেন

(শ্রদ্ধেয় অভিজিৎ সেন, তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে বিভূতিভূষণ সম্পর্কে সে অসাধারণ বত্তৃণতা করেছিলেন সেটির অনুলিখন করেছেন) রামকৃষ্ণ মণ্ডল ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন (বি.এড.কলেজ)-এর বি.এড.বিভাগের শিক্ষার্থী কণিকা চক্রবর্তী৷

প্রকৃতি আর মানুষকে ভালোবাসতেন তিনি৷ তাই ছোট থেকেই জগতটাকে দেখতেন দুচোখ ভরে৷ উপভোগ করতেন পথের দৃশ্য, নজর এড়াতোনা মানুষের সুখ-দুঃখ৷ সাহিত্যে সেই ছাপই রেখে গেছেন বাংলা কথাসাহিত্যের বিখ্যাত লেখক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়৷

ঈশ্বরচন্দ্র

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

জীবে প্রেম মানে ঈশ্বর সেবা

বুঝেছিলে বটে মর্মে,

মেতেছিলে তাই সারাটা জীবন

মানব সেবার ধর্মে৷

মেথর বাগদী চণ্ডাল মুচি

ভাবো নি কারেও ঘৃণ্য,

অন্তর হতে অন্ত্যজ জ্ঞানে

রাখোনি কারেও ভিন্ন৷

পরের দুঃখ পীড়নে সদাই

অশ্রু ঝরতো চক্ষে---

ছিলে অন্ধের ষষ্টির মতো

নির্যাতিতের পক্ষে৷

দারিদ্র্যভারে যারা ছিল শুধু

হতাশায় নিরানন্দ

চক্ষু থেকে ও অশিক্ষা আর

অজ্ঞানে ছিল অন্ধ---

তাদের বাঁচাতে করেছ কত না

অতন্দ্র শুভ চেষ্টা

তাইতো তোমায় প্রণাম জানায়

শ্রদ্ধায় গোটা দেশটা৷

নবান্নের আহ্বান

কৌশিক খাটুয়া

এসেছিলে যদি থাকো কিছুক্ষণ

 কিছু কথা যাও বলে,

কিছু শুনে যাও অবুঝ সবুজ

 না বলে যেওনা চলে৷

 

জমা কথা আজ হবে বিনিময়

 সবার সাথে হবে পরিচয়

চায়ের আসরে সব সমাধান

ভিডিও রেকর্ডে রইবে প্রমাণ৷

 

 বর যাত্রীর বাস এসেছিল

তারা এসে তবে কোথা চলে গেল

আমি একা বসে বাসর সাজায়ে

 শূণ্য রাজমহলে !

 

বরযাত্রীর গোঁসা হয়েছে

 বুঝতে পারেনি পিসি,

তাদের দাবি লাইভ স্ট্রীমিং

 দেখুক বঙ্গবাসী৷

 

রাজমহলে যাবেনা সবাই

যাবেতো বিশেষ অতিথি,

সুকুমার রায়ের কবিতা

আসছে শরৎ আকাশে বাতাসে ভেসে

নৃত্যের ছন্দে তালে তালে নবীন বেশে

বন বনানী খুশীতে দোলায় আপন শাখায়

রঞ্জিত শ্যামল শোভা স্বাগত জানায়

বাসনা ভরা বিলাসী মন চঞ্চল পবনে

শারদপ্রাতে সোনালী আভা

                   লেগেছে প্রাণে৷

খুশীর আলোয় মনে

           দেয় দোলা শীতলবায়

সদা মন ছুটে মুক্ত গগনে

                   কার যে আশায়৷৷

সংস্কৃতির অঙ্গণে সুপ্রভাতের প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রভাত সঙ্গীতের আবির্ভাব - ১৪ই সেপ্ঢেম্বর মহাসমারোহে প্রভাত সঙ্গীত দিবস পালন

১৪ই সেপ্ঢেম্বর’২০২৪,‘প্রভাতসঙ্গীত দিবসে’র ৪২তম বর্ষপূর্ত্তিতে রেণেশাঁ আর্টিস্ট এন্ড রাইটার্স এ্যসোসিয়েশন সংক্ষেপে রাওয়া’র পক্ষ থেকে কলকাতার ভি.আই.পি বাজার, তিলজলাস্থিত আনন্দমার্গ প্রচারক সঙ্ঘের কেন্দ্রীয় আশ্রমে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়৷ ১৯৮২ সালের ১৪ই সেপ্ঢেম্বর দেওঘরে ‘বন্ধু হে নিয়ে চলো’ এই সঙ্গীতের মাধ্যমে প্রথম প্রভাতসঙ্গীত রচনা ও সুরারোপ করেন মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার তথা আনন্দমার্গের প্রতিষ্ঠাতা মহান ধর্মগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী৷১৯৮২ সালের ১৪ই সেপ্ঢেম্বর থেকে ১৯৯০ সালের ২০শে অক্টোবর পর্যন্ত মাত্র ৮বছর সময় কালে তিনি বাংলা, সংস্কৃত, ইংরেজী, হিন্দী, ঊর্দু, অঙ্গি

এক দেশ এক ভোট যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী

২০১৪ সালে শপথ নেবার আগেই নরেন্দ্র মোদী জোর গলায় ঘোষনা করেছিলেন--- ‘আচ্ছা দিন এসে গেছে’৷ সুইস ব্যাঙ্কের কালোটাকা, শূন্য এ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ, দুর্নীতিমুক্ত দেশ--- সব কথার কথা নোট বন্দি রাম মন্দিরে ঢাকা পড়ে যায়৷ তবে ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বড় ঘা খেয়েছে মোদি ম্যাজিক৷ ৪০০ পারের হুঙ্কার দিয়ে নির্বাচনী প্রচারে নেমেছিলেন৷ ভোটের ফলে ৪০০ পার তো দুরের কথা একক গরিষ্ঠতাও পায়নি৷ ২৪০-এই থেমে যেতে হয়েছে৷ যোগী রাজ্যে ভরাডুবি হয়েছে৷ মোদি নিজেও গতবারের তুলনায় অনেক কম মার্জিনে জয়ী হয়েছে৷ এই অবস্থায় জনগণের দৃষ্টি ঘোরাতে এক দেশ এক ভোটের স্লোগান৷