December 2024

হাওড়ায় কৌশিকী দিবস

গত ৬ই সেপ্ঢেম্বর হাওড়া-আন্দুল খটির বাজার আনন্দমার্গ আশ্রমে কৌশিকী দিবস পালন করা হয়৷ এই উপলক্ষ্যে উপস্থিত মার্গী ভাই বোনদের কৌশিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়৷ প্রশিক্ষক ছিলেন সুশান্ত শীল, আচার্য লোপামুদ্রা ব্রহ্মচারিনী ও ভারতী কুন্ডু৷ পরিচালনা করে সেবাধর্মে মিশনের কর্মী বৃন্দ৷

‘ডাক্তার অমরনাথ চক্রবর্তী নক-আউট ফুটবল টুর্নামেন্ট

যুবসমাজকে খেলাধুলার প্রতি আকর্ষিত ও সামাজের শুভ কাজে অধিক পরিমাণে লিপ্ত হতে৷ সামাজের অবক্ষয় থেকে যুবসমাজকে রক্ষা করতেSSAC-আনন্দনগর গ্রামের ছেলেমেয়েদের খেলাধুলার মাধ্যমে তাদের সুপ্ত প্রতিভাকে জাগিয়ে তুলতে সদা সচেষ্ট৷ শিশু বয়স থেকে প্রাপ্ত বয়স্ক পর্যন্ত ফুটবল টুর্নামেন্ট ও লীগ খেলার আয়োজন করে থাকে৷ এর মাধ্যমে প্রতিভা সম্পন্ন ছেলে ও মেয়েদের চিহ্ণিত করা হয়৷ প্রতিভাসম্পন্নদের বিশেষ সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হয় যাতে ভবিষ্যতে সমাজের অমূল্যসম্পদে পরিণত হয়৷

রাজ্য ফুটবল দলেSSAC-আনন্দনগর

‘বেঙ্গল ফুটবল টীম’ (রাজ্য দল) গঠনের জন্যে বেঙ্গল ফুটবল একাডেমীর ফাইনাল ট্রায়ালেSSAC-আনন্দনগর ফুটবল একাডেমীর তিনজন ফুটবল প্লেয়ার নির্বাচিত হয়৷ তাদের উত্তর ২৪ পরগণার খড়াদায় বেঙ্গল ফুটবল একাডেমীর ট্রেনিং সেন্টারে প্র্যাক্টিস চলছে৷ অনূর্ধ-১৯ বেঙ্গল ফুটবল টীমে শ্রী সিমল মাঝি কলকাতা ফুটবল লীগ খেলার জন্যে প্রথম ১৮জন দলের মধ্যে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছে৷ এই প্রথম রাজ্য ফুটবল টীমেSSAC-আনন্দনগর থেকে সুযোগ পেয়েছে৷

আমরা বাঙালীর কোচবিহার জেলা সম্মেলন

২২শে সেপ্ঢেম্বর কোচবিহারের সুকান্ত মঞ্চ পান্থ নিবাস হলে ‘আমরা বাঙালী’র কোচবিহার জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়৷ এই সম্মেলনে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রচার সচিব উজ্জ্বল ঘোষ, হারাধন ভৌমিক, বরেন্দ্র সাংঘটনিক সচিব দলেন্দ্রনাথ রায়৷ প্রায় শতাধিক কর্মী এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন ও পরিশেষে রতন বর্মন মহোদয়কে জেলা সচিব হিসেবে নির্বাচিত করা হয়৷

অনূর্র্ধ-১৫ শম্ভুনারায়ণ রায় স্মৃতি ফুটবল লীগ

২১-২২ সেপ্ঢেম্বর’২৪ দুই দিন ব্যাপীSSAC-আনন্দনগর আয়োজিত অনূর্ধ-১৫ শম্ভুনারায়ণ রায় স্মৃতি লীগ কাম নকআউট ফুটবল টুর্নামেন্ট প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় মধ্য আনন্দনগর আনন্দমার্গ প্রাইমারী স্কুল প্রাঙ্গণে৷ মোট ১২টি দল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে৷ লীগ প্রতিযোগিতায় সুপার সিক্সে যে ছয়টি দল উঠে আসে: ১)SSAC-আনন্দনগর ২) ইয়ং ব্রাদার্স ডামরুঘুটু ৩) আনন্দমার্গ হাইস্কুল ৪) তুইমা ফুটবল ক্লাব ৫) বিবেক ডাইনামাইট ৬) রাজনগর রামচন্দ্র আদর্শ বিদ্যাপীঠ, পূর্ব মেদিনীপুর৷ ১) ফাইনাল ম্যাচ খেলা হয় তুইমা বনাম ইয়ং ব্রাদার্স ডামরুঘুটু৷ ট্রাইবেকারে ৩-২ গোলে তুইমা ফুটবল ক্লাবকে হারিয়ে ইয়ং ব্রাদার্স ডামরুঘুটু চ্যাম্পিয়ন হয়৷

প্রাক্তন শিশুসদনের ছেলেদের দ্বারা আয়োজিত ফুটবল প্রতিযোগিতা

১৪-১৫ সেপ্ঢেম্বর’২৪ প্রাক্তন আনন্দমার্গ শিশুসদনের ছেলেদের দ্বারা আয়োজিত অনূর্ধ-১৭ আচার্য গুনময়ানন্দ অবধূত নকআউট ফুটবল টুর্নামেন্ট প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়৷ ১৬টি দল যে যার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে, সেগুলো হচ্ছে৷

বৈষয়িক ক্ষেত্রে সামঞ্জস্য স্থাপনের মধ্য দিয়ে পরাগতির দিকে এগিয়ে চলা

আমি অবশ্যই বর্তমান কালকে অস্বীকার বা অবহেলা করতে পারি না । এর অর্থ আমাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে আমি কোথায় আছি আর ঠিক বর্তমানে আমাকে কী করতে হবে । কিন্তু বর্তমান কাকে বলব?

আমরা জানি বর্তমান, অতীত আর ভবিষ্যতকে নিয়ে কাল তিনটি । এই তিন ধরনের কাল আসলে কী বস্তুতঃ বর্তমান কাল বলে ঠিক কোন কিছু নেই । আমি যখন কিছু বলি, তুমি ততক্ষণাৎ তা শুণতে পাও না । কিছুটা বিরতির পরে তুমি সেটা শুণতে পাও । তাহলে সেই বিরতিটা কী শব্দ বায়ুর দ্বারা বাহিত হয়ে কাণে পঁৌছতে যে সময় লাগে সেটাই বিরতি । আর যখন তা তুমি শোণ সেটা আমার কাছে কিন্তু অতীত, আর তোমার কাছে তা ভবিষ্যৎ কেননা অল্পক্ষণ পরে তুমি তা শুণতে পাচ্ছ ।

মানব ইতিহাস ও সামূহিক মনস্তত্ত্ব

মানব ইতিহাস গড়ে ওঠে সামূহিক আকুতি বা সামবায়িক মনস্তত্ত্বকে কেন্দ্র করে৷ অতীতে ইতিহাস সম্বন্ধে জনগরের ধারণা ছিল এই যে ইতিহাস মানেই হ’ল কোন রাজা বা রাণী কিছু দিনের জন্যে রাজ্যশাসন করৰেন, কয়েকটা যুদ্ধ পরিচালনা করৰেন,---কোনটাতে জিতৰেন, কোনটাতে হারৰেন---কোথাও বা তারা শত্রুপক্ষকে হত্যা করছেন, কোথাও বা তারা নিজেরাই নিহত হচ্ছেন---এ সৰেরই ঘটনাপঞ্জী৷ কিন্তু আজকের ইতিহাস সম্বন্ধে ধারণা সম্পূর্ণ ভিন্ন৷ আজকাল ইতিহাস ৰলতে কেবল রাজা-মহারাজাদের ইতিহাস ৰোঝায় না৷ সাধারণ মানুষের ইতিহাসকেও ৰোঝায়৷ সাধারণ মানুষের এষণা, আকুতি, মনোজাগতিক চিন্তাধারা এ সবকিছুই ইতিহাসের আলোচ্য বিষয়৷

আকাট

আকাট ঃ যা কাটা যায় না বা খণ্ডন করা যায় না৷ সংস্কৃতে ‘‘কাটা-র যথার্থ ক্রিয়া হচ্ছে ‘কর্ত্তন’, প্রাকৃতে ‘কট্টন’৷ এই ‘কট্টন’ থেকেই লৌকিক সংস্কৃত ‘অকাট্য’ শব্দ তৈরী হয়েছে৷ ঠিক যেমনভাবে ‘মীন’ শব্দটি, ‘পল্লী’ (‘গ্রাম’ অর্থে) শব্দটি গৃহীত হয়েছে, যেমনভাবে গৃহীত হয়েছে ‘রুজ্জু’, ‘গুৰাক্‌’ ‘পেরুকম্‌’ প্রভৃতি৷ সংস্কৃতে মুর্খদের সাধারণতঃ কয়েকটি ভাগে বিভাজিত করা যায়৷ তারা হচ্ছে আকাট মূর্খ ......গণ্ডমূর্খ.........নীরেট মূর্খ...........হস্তীমূর্খ........কেউ কেউ গো-মূর্খও ৰলে থাকেন৷ ‘গণ্ডমূর্খ’ মানে মূর্খতা যার গণ্ডদেশ পর্যন্ত পৌছে গেছে, যে কোন মুহূর্তে মুখ বিবর দিয়ে বেরিয়ে আসতে পারে৷ ‘নীরেট’ মানে যার ভেতরটা

ৰাংলার দুর্র্গেৎসব

 প্রাচীন মহাযানী বৌদ্ধ ও পৌরাণিক হিন্দুদের যে সকল দেবতার সঙ্গে ধনুক থাকত তাদের কাউকে কাউকে চাপধারী বা কোদণ্ডধারী ৰলা হত৷ শিবের সম্বন্ধেও ৰলা হ’ত ‘কোদণ্ডদণ্ডপাশহস্ত্৷’ বামাচারী তান্ত্রিক দেবী তথা বৌদ্ধতন্ত্রে স্বীকৃতা যোড়শী বা রাজরাজেশ্বরী সম্বন্ধে (আধুনিক যুগের জগদ্ধাত্রী এরই একটি বিবর্তিত রূপ৷ জগদ্ধাত্রী পূজার ইতিহাস একটু পরে ৰলছি) ৰলা হয়েছে ‘পাশাঙ্কুশচাপধারিণী শিবা’৷