January 2025

আচার্য অতুলানন্দ অবধূত স্মরণে নিবেদন

আচার্য প্রবুদ্ধানন্দ অবধূত

বীর বিপ্লবী অতুলানন্দ দা

করিলে জীবন দান,

আত্মাহুতির মাধ্যমে জানালে সম্মান,

গুরুদেবের প্রতি অন্যায় অবিচারের

সহিলেনা অপমান৷

মিথ্যা তদন্তের অজুহাতে

অধার্মিক সি. বি. আই দল

ঢুকিল আনন্দমূর্তিজীর কারাগারে,

অলক্ষ্যে তাঁর আংটি চুরি করিল,

হেনস্থা করিল অনশন রত গুরুদেবকে

অযথা বারে বারে৷

ন্যায্য বিচারের দাবীতে তুমি জানালে অভিযোগ,

কারাগার কর্তৃপক্ষের কাছে,

দিলে হুংকার তাঁর প্রতি

বিষপ্রয়োগ ও হত্যার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে৷

আর কোনও উপধর্মের সংঘাত নয়, প্রাউটের পতাকা তলে এক হয়ে প্রগতিশীল সমাজতন্ত্রের পথে চলতে হবে

প্রাউটিষ্ট

পৃথিবীর বুকে বহু মনীষী এসেছেন৷ তাঁদের মহান বাণীকে বিকৃত করে খণ্ড ক্ষুদ্র ব্যষ্টি স্বার্থ চরিতার্থ করতে কিছু চালাক লোক নিজেদের সংকীর্ণ মতবাদকে তাঁদের বাণী হিসাবে চালিয়ে চলেছে৷ সেই কারণে নানা মতবাদে আজ পৃথিবী ভারাক্রান্ত হয়ে এক ভয়ংকর জ্বলন্ত অগ্ণিকুণ্ডের আকার ধারণ করেছে৷ সব কিছু যেন জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে৷ এই অগ্ণিগর্ভ অবস্থায় যিনি এলেন ও সমগ্র বিশ্বের মানুষ সহ জীবজন্তু, গাছপালাকে নোতুন করে অভয় বাণী দিয়ে গেলেন ও কিভাবে তারা সকলে সার্থকভাবে বিকশিত হবে তার পথ দেখিয়ে গেলেন তিনিই হলেন মহাসম্ভূতি শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ওরফে শ্রদ্ধেয় শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার৷ তিনি ঘোষণা করলেন যে পৃথিব

দুঃসাধ্য---অসাধ্য নয়

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

মানুষের সমাজে সব থেকে ভয়াবহ হলো ধর্মকে হাতিয়ার করে মানুষে মানুষে, ভায়ে-ভায়ে বিভেদ সৃষ্টি৷ ভারতীয় উপমহাদেশে সবচেয়ে বেশী রক্তক্ষরণ হয়েছে উপধর্ম আশ্রিত দুই সম্প্রদায়ের সংঘাতে৷ পরাধীন ভারতে বিভেদ সৃষ্টি কর---শাসন করো তত্ত্বের প্রয়োগ করেছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ, শুধু সম্প্রদায়গত নয়, সম্প্রদায়ের ভিতর জাতি-উপজাতি তপশীলী নানাভাবে বিভাজন সৃষ্টি করে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামকে হীনবল করাই ছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের উদ্দেশ্য৷ ব্রিটিশ দেশ ছাড়লেও বিভাজনের তত্ত্বকে তারা চিরস্থায়ী ব্যবস্থা করে দিয়ে গেছে৷

বিভেদ ভুলে অর্থনৈতিক উন্নতির জন্যে নতুন করে ভাবতে হবে

প্রভাত খাঁ

যদি গভীরভাবে চিন্তা করা যায় তাহলে অবাক হতে হয় এই বিশাল ভারত দীর্ঘ ৭৭ বছরের মধ্যে কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে!

প্রকৃত ধর্ম মানুষে মানুষে বিভেদ মানে না, কোনরকম অন্ধবিশ্বাস, কুসংস্কারও মানে না

পত্রিকা প্রতিনিধি

বর্তমানে ধর্মের নামে নানান ধরণের গোঁড়ামী, জাত–পাতের ভেদ ও সাম্প্রদায়িক বিভেদ ও বিদ্বেষ চলছে৷ এগুলিকে ধর্মের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ বলে বলা হচ্ছে৷ তা কিন্তু  মোটেই ঠিক নয়৷

আবার সম্প্রতি সংবাদে প্রকাশ কোথাও কোথাও ধর্মের নামে শিশুবলি পর্যন্ত হচ্ছে কিন্তু এগুলির কোনটাই প্রকৃত ধর্ম নয়৷ কোনরকম যুক্তিহীন, অমানবিক কার্যকলাপের সঙ্গে ধর্মের কোনও সংযোগ থাকতে পারে না৷

সহিংস শিক্ষা ব্যবস্থা

কৌশিক খাটুয়া

ছাত্র না ওরা বিদ্বেষ ভরা

   হিংস্র অমানুষের দল,

ক্লাশের বন্ধু পিটিয়ে হত্যা

      শূণ্য মায়ের কোল৷

বন্ধুত্ব মিথ্যা, সাম্প্রদায়িকতা সত্যি

   মানব সমাজে একি বিপত্তি,

পাড়া-প্রতিবেশীর ভিন্ন ধর্মমতে

        উধাও ভ্রাতৃ প্রীতি,

সহিংসতার ইতিহাস বলে,

     ‘‘এটাই সমাজের রীতি’’!

সংবিধানের সমানাধিকার----

কারো নিজ স্বার্থে তার ব্যবহার,

কেউ আপন কর্মে হারায় স্বাধিকার

বিচিত্র দেশ আছে স্বেচ্ছাচার!

বদ্ধ দুয়ার মনের বিকার

        দেখা দিল দূর্নীতি,

সহাবস্থান নয় রক্তক্ষয়ী সঙ্ঘাতে

তের পার্বণ শস্যদাত্রী তুষূ ব্রত

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

এপার ওপার দুই বাংলাতেই তৃষু বা তোষলাব্রত অনুষ্ঠিত হয়, সার মাটি দিয়ে ক্ষেতের উর্বরতা বৃদ্ধিই এই ব্রতের উদ্দেশ্য৷ ব্রতের শুরু অগ্রহায়ণের সংক্রান্তি থেকে, আর শেষ পৌঁষের সংক্রান্তিতে!

তুষু পূজা আদতে শসাদাত্রী লক্ষ্মীরই পূজা! কারণ পৌষ মাস লক্ষ্মী মাস! ধানের খোসা অর্থাৎ তুষ থেকে তুষুর উৎপত্তি৷ অথবা পৌষ মাস পুষ্যা  নক্ষত্রের অপর নাম ‘তষ্য’৷ অনেকের মতে তিষ্যা নক্ষত্রকালীন উৎসব বলেই এর নাম তুষু৷’’

 এই ব্রতটি মেয়েরা এলোচুলেই সম্পন্ন করে৷ ‘‘গাইয়ের গোবর, সরষে ফুল/আসন পিঁড়ি এলোচুল৷’’ এই ‘‘এলো চুল’’ গোছা গোছা অঢেল শস্যের প্রতীক৷

সাধনা

দাদাঠাকুর

ছোট্ট ভাইবোনেরা, তোমরা সবাই ছাত্র–ছাত্রা, প্রতিদিন তোমাদের বিদ্যালয়ের পাঠ শিখতে পড়তে হয়৷ তোমরা কোন একটা পাঠ বার বার পড়, আবার কিছুক্ষণ পরে ভুলে যাও, তাই না বিদ্যালয়ের পড়া সহজে তোমাদের মনে থাকতে চায় না৷ অথচ যখন টেলিবিসনে কোনও কাহিনী দেখ বা কোনও গল্প শোন বা পড় তখন সেটা তোমাদের অনেকদিন মনে থাকে৷ কেন এমন হয় বলতে পার কি না, এর কারণ হলো তোমার মনের একাগ্রতা৷ যখন তুমি কোন কিছু মনোযোগের সঙ্গে পড়ো বা শোনো বা দেখো তখন সেটা তোমার মনে থাকে৷ কিন্তু যখন চঞ্চল মনে কোন কিছু পড়ো, দেখো বা শোনো তখন তা আর মনে থাকে না৷

বিনামূল্যে রেশন নয় কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করুক সরকারকে চরমবার্তা শীর্ষ আদালতের

২০১৪ সালে নির্বাচনী প্রচারে নরেন মোদির প্রতিশ্রুতি ছিল বছর ২কোটি চাকরীর৷ নির্বাচনে জয়লাভের পর উঁচু গলায় মোদি বলেছিলেন---আচ্ছা দিন এসে গেছে৷ দশবছর পার করে তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরেছে মোদি, যদিও একক গোরিষ্ঠতা হারিয়েছে৷ কিন্তু দুকোটি চাকরী, আচ্ছা দিন দুটোই এখনও অধরা আমজনতার৷ মোদি জমানায় বেকারত্বের হার গত ৪৫ বছরের পরিসংখ্যানকে ছাড়িয়ে গেছে৷ গত ৯ই নভেম্বর পরিযায়ী শ্রমিক সংক্রান্ত এক মামলার পরিপ্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালত মন্তব্য করেন---কোভিডের সময় দরিদ্র মানুষের হাতে সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ প্রশংসনীয় কিন্তু আর কতদিন এইভাবে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হবে৷ এতে সরকারের ঘাড়ে  বোঝা চাপছে৷ এইভাবে বিনামূল্যে রেশন

বিচারপতির অসাংবিধানিক মন্তব্য--- সংখ্যাগরিষ্ঠের ইচ্ছায় দেশ চলবে

যোগীরাজ্যে এলাহাবাদ উচ্চ আদালতের বিচারপতি শেখর কুমার যাদব বিশ্ব হিন্দু পরিষদদের একসভায় মন্তব্য করেন সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুর ইচ্ছা মতই দেশ চলবে৷ এই সভার আয়োজক ছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আইনি বিভাগ৷ ৮ই ডিসেম্বরেই ওইসভার আলোচ্য বিষয় ছিল---অভিন্ন দেওয়ানি বিধি৷