May 2025

৩০শে এপ্রিল ১৯৮২ – রাতের চেয়ে অন্ধকার এক সকাল

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

৩০শে এপ্রিল ১৯৮২–দিনটা ছিল শুক্রবার৷ প্রভাত সূর্যের রাঙা আলো গায়ে মেখে জেগে উঠেছে মহানগর কোলকাতা৷ ঘুম ভাঙা চোখে কেউ বা থলি হাতে বাজারের পথে, কেউ বা ঘর থেকে বার হয়ে গলির চায়ের দোকানে ভীড় জমিয়েছে৷ আর পাঁচটা দিনের মতই সাধারণ একটি দিন৷ তখনও কেউ বোঝেনি এই সকালটা আর পাঁচটা সকালের মত সাধারণ হয়ে থাকবে না৷

৩০শে এপ্রিল : কলকাতার কলঙ্ক

জ্যোতিবিকাশ সিন্‌হা

বাঙালীর গর্বের শহর এই কলকাতাকে আমরা ‘কল্লোলিনী কলকাতা’, আনন্দময়ী নগরী, শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির পীঠস্থান, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সহাবস্থানের উৎকৃষ্ট উদাহরণ ইত্যাদি নামে চিনি৷ আর সেই কলকাতার বুকেই সংঘটিত হয়েছে ১৯৮২ সালের ৩০শে এপ্রিল মানবেতিহাসের জঘন্যতম, কলঙ্কময়, নৃশংসতম হত্যাকাণ্ড যার শিকার হয়েছিলেন একটি জনসেবামূলক আধ্যাত্মিক সংঘটন ‘আনন্দমার্গ’-এর ১৭ জন সর্বত্যাগী সন্ন্যাসী-সন্ন্যাসিনীগণ৷ পরমহংস রামকৃষ্ণদেব, স্বামী বিবেকানন্দ, ঋষি অরবিন্দ, নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ, আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু, আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়, ভগিনী নিবেদিতা, মাদার টে

গণতন্ত্রের বেদীতে ফ্যাসিষ্ট হুংকার আক্রান্ত শীর্ষ আদালত

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

দলীয় স্বার্থে ও বিরোধী পক্ষকে হেনস্থা করতে সরকারী এজেন্সীর অপব্যবহার পূর্বতন সরকারও করেছে৷ কিন্তু বর্তমান সরকার দলীয় ক্যাডারে পরিণত করেছে সরকারী এজেন্সীকে৷ বিচার বিভাগকেও কব্জা করতে উঠে পড়ে লেগেছে৷ এই কাজে শাসক দল বিক্ষিপ্তভাবে সফল হলেও এখনও শীর্ষ আদালত বিচার ব্যবস্থার নিরপেক্ষতা বজায় রেখে নির্ভীকভাবে চলছে অন্তত চলতে চাইছে৷ শাসক দলের সেটাই নাপসন্দ্‌৷

আজকের চরম দুর্দ্দিনে দেশের সৎনীতিবাদী মানুষকে এগিয়ে আসতেই হবে

প্রভাত খাঁ

সারা ভারত যুক্তরাষ্ট্রের মোট জন সংখ্যার প্রায় ৬৫ শতাংশ মানুষ যাঁরা নিম্নমধ্যবিত্ত ও গরিব হতদরিদ্র তাঁদের বেঁচে থাকার সব অধিকার হরণ করে বর্তমান কেন্দ্র সরকার এমন একপেশে পুঁজিপতি তোষনের জঘন্য শাসন চালিয়ে যাচ্ছে যেটাকে মোটেই জনগণের সরকার বলা চলে না!

বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

                   সেদিন বিজন সেতুর বুকে প্রকাশ্য দিবালোকে

                   অকস্মাৎ নেমে এসেছিল সূর্যহারা অরণ্যের অন্ধকার

                   শাসককুলের যত কুলাঙ্গার

                   ষড়যন্ত্রের নিশ্চিদ্র জাল করেছিল বিস্তার৷

                   মানব সেবায় নিবেদিত প্রাণ

                   সপ্তদশ অবধূত অবধূতিকা---

                   মিথ্যা গুজবের অপবাদ তাঁদের জীবন

                   গ্রাস করেছিল আগুনের লেলিহান শিখা৷

                   কী যন্ত্রনা, কী নিষ্ঠুরতা, সাহায্যার্থে

সপ্তদশ দধীচিকে শ্রদ্ধা জানাতে --- কম্যুনিষ্ট পৈশাচীকতাকে ধিক্কার জানাতে ৩০শে এপ্রিল বিজন সেতুতে সমাবেশ

১৯৮২ সালের ৩০শে এপ্রিল সভ্যতা ও সংস্কৃতির পীঠস্থান কলকাতার জনবহুল বিজন সেতু ও বণ্ডেল গেট৷ এখানেই সাত-সকালে ১৭ জন সন্ন্যাসী ও সন্ন্যাসিনীকে নৃশংসভাবে খুন করেছিল সেদিনের পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল সিপিএমের ঘাতক বাহিনী, পিটিয়ে, খুঁচিয়ে, পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে, অ্যাসিড দিয়ে জ্বালিয়ে৷ আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের জনসংযোগ সচিব আচার্য দিব্যচেতনানন্দ অবধূত বলেন--- সাম্প্রদায়িক মৌলবাদের মতই নৃশংস ও নিষ্ঠুর ছিল রাজনৈতিক মৌলবাদী কমিউনিষ্টরা৷ তিনি বলেন---শুধু পশ্চিমবঙ্গেই নয় বিশ্বের যে দেশেই কমিউনিষ্টরা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছে সেখানেই তারা সন্ত্রাস সৃষ্টি করে নৃশংস অত্যাচার চালিয়ে মানুষকে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করেছে৷

রাজরোষের শিকার সুপ্রিমকোর্ট

মোদি ম্যাজিক উধাও হয়েছে আগেই৷ এখন দিন দিন জনগণ থেকেও আস্থা হারাচ্ছে মোদি সরকার৷ গত লোকসভা নির্বাচনে ৪০০ পারের হুংকার দিয়ে একক গরিষ্ঠতাও পায়নি৷ ২৪০ আসনে থামতে হয়েছে৷ নীতিশ নাইডুর কাঁধে ভর দিয়ে সরকার গড়তে হয়েছে৷ মোদি সরকার এখন এন.ডি.এ সরকার৷ এই অবস্থায় হিন্দুত্ববাদকে আঁকড়ে ধরে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাইছে হিন্দুত্ববাদী বিজেপি৷

আর্থিক স্বচ্ছতায় মোদির ভারত ইউ.পি.এ থেকে পিছিয়ে গেল

স্বচ্ছ ভারত গড়ার ডাক দিয়েছিলেন মোদির ভারত৷ নিজে ঝাড়ু হাতে পথে নেমেছিলেন৷ এতো পরিবেশের কথা৷ নরেন মোদি ক্ষমতায় এসে জোর গলায় বলেছিলেন--- না খাউঙ্গা, না খানে দুঙ্গা৷ কিন্তু আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার আই এম এফ-এ প্রকাশিত একটি আর্থিক প্রতিবেদনে মোদির ভারত ইউপিএ জামানার তুলনায় ২০২৩ অর্থবর্ষে ৪০ ধাপ নীচে নেমে গেছে৷ আই এম এফ আর্থিক স্বচ্ছতার নিরিখে বিশ্বের ১২৫ দেশকে নিয়ে যে তালিকা প্রকাশ করা হয় তাতে ভারতের স্থান ৫৪ নম্বরে৷ ২০১২ সালে ভারতের স্থান ছিল ১৪ নম্বরে৷

গোবরাড়া গ্রামে কীর্ত্তন

চুঁচুড়া ঃ গত ১৮ এপ্রিল গুডফ্রাইডের দিন হুগলী জেলার ধনিয়াখালি ব্লকের অন্তর্গত গোবরাড়া গ্রামে তিন ঘন্টাব্যাপী আনন্দমার্গ পরিচালিত অখণ্ড ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ এই কীর্ত্তন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন পুইনান আনন্দমার্গ স্কুলের শিক্ষক সুশান্ত নন্দী ও সহযোগিতা করেন টিচাব-ইনচার্জ প্রশান্ত নন্দী৷ গোবরাড়ায় তাঁদের বাসভবনে এই কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তনে অংশ নেন পুইনান, ধনিয়াখালি, ভাণ্ডারহাটি তারকেশ্বর, চাঁপাডাঙ্গা স্কুলের শিক্ষকবৃন্দ৷

আমেরিকার রাস্তায় ট্রাম্প-বিরোধী আন্দোলন আর তীব্র আকার নিয়েছে

মাত্র চার মাস আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের গদিতে বসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ অথচ এর মধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে আন্দোলন তীব্রতর হচ্ছে আমেরিকায়৷ ওয়াশিংটন ডিসি থেকে সান ফ্রান্সিসকো বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ক্ষোভের আগুন বাড়ছে৷ শনিবার (আমেরিকার স্থানীয় সময়) রাস্তায় নেমে হাজার হাজার মানুষ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছেন! প্ল্যাকার্ড হাতে হেঁটেছেন মাইলের পর মাইল রাস্তা৷ দ্বিতীয় বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেওয়ার পর থেকেই একের পর এক সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প! অভিবাসীদের বিতাড়ন, সরকারি চাকরি থেকে ছাঁটাই, গাজানীতি ট্রাম্প প্রশাসনের এইসব কর্মকাণ্ড ভালভাবে নেননি দেশের নাগরিকদের একাংশ৷