প্রবন্ধ

গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও ভারতের জাতীয় নেতৃবৃন্দের আসল চরিত্র

অমৃতবোধানন্দ অবধূত

বর্তমান মানুষের জীবনযাত্রা প্রযুক্তি নির্ভর৷ তা জীবনে গতি ও স্বাচ্ছন্দ্য এনে দিয়েছে৷ একে প্রগতির দ্যোতক  হিসেবেই  গণ্য করা হয়৷  তবে কিছু কিছু ব্যষ্টি  বা গোষ্ঠী তাৎক্ষণিক লাভের স্বার্থে বিশেষ কোনো প্রযুক্তির  পরিবর্তন ঘটিয়ে সেকেলে পুরোনো ধ্যানধারণার প্রতিষ্ঠার  মতো প্রতিক্রিয়াশীল দাবীও করে থাকেন৷ নির্বাচন কমিশনে ইবিএম EVM) ব্যবহারে কিছু রাজনৈতিক দলের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার পরিপ্রেক্ষিতে  এ আলোচনা৷ বিশেষ কোন প্রমাণ ছাড়াই  অনেকে ইবিএম - এর  কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ  প্রকাশ  করে সময়সাপেক্ষ ব্যালটে বোট Vote) গ্রহণের দাবী তুলেছিলেন৷  বোটপর্বকে  স্বচ্ছ  ও যথার্থ করতে নির্বাচন  কমিশন ইবিএম-এর সাথে ব

‘এ গান থামিবে না, এ দাবি দমিবে না’

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

মহাকালের অনাদি থেকে অনন্তের যাত্রাপথে বিশেষ কিছু বিন্দু সৃষ্টি হয় যা বিশ্বের ইতিহাসে এক একটা মাইল ফলক হিসেবে চিহ্ণিত হয়ে থাকে, বিশেষ কিছু মুহূর্ত বা ঘটনা মানব চেতনার গভীরে মোটা দাগ এঁকে দিয়ে যায়৷ ১৯৮২ সালের ৩০শে এপ্রিল এমনই একটা দিন যা পৃথিবীর ইতিহাসে মানবতার  চরমতম লাঞ্ছনার অন্যতম একটি কলঙ্কময় অধ্যায় হিসেবেই পরিচিত হয়ে থাকবে৷ আমরা আরও একটি ৩০শে এপ্রিল পেরিয়ে এলাম, যে দিনটাকে বিশ্বের সকল আনন্দমার্গী ভাই-বোন ‘‘মানবতা বাঁচাও দিবস’’রূপে পালন করে আসছেন৷ আনন্দমার্গের অনুগামী ও বিশ্বের সমস্ত শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষদের কাছে এই দিনটা প্রচণ্ড যন্ত্রণাবিদ্ধ হওয়ার দিন, হৃদয়ের সমস্ত সুকুমার বৃত্তিগুলোক

গো-বলয়ে অশনি সংকেত-তাই কি  বাঙলার দিকে এত নজর!

মনোজ দেব

 খাস তালুক গো-বলয়ের  উপর এবার দিল্লির  শাসকদল ভরসা  রাখতে পারছে না৷ উত্তরপ্রদেশে  যোগী ক্ষমতায়  আসার পর  থেকে যতগুলি  উপনির্বাচন হয়েছে সবগুলিতে  বিজেপি হেরেছে৷ তারপর এই নির্বাচনে অখিলেস-মায়াবতীর  জোট উত্তরপ্রদেশে শাসক  দলের মাথা ব্যাথা বহুগুন বাড়িয়ে  দিয়েছে৷ সম্প্রতি বিধানসভা  নির্বাচনে গো-বলয়ের  তিনটি রাজ্য বিজেপির  হাত ছাড়া হয়েছে৷  সেখানে কংগ্রেস আবার ক্ষমতায় ফিরেছে৷

৩০শে এপ্রিল : কলকাতার কলঙ্ক

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

বাঙালীর গর্বের শহর এই কলকাতাকে আমরা ‘কল্লোলিনী কলকাতা’, আনন্দময়ী নগরী, শিল্প-সাহিত্য-সংসৃকতির পীঠস্থান, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সহাবস্থানের উৎকৃষ্ট উদাহরণ ইত্যাদি নামে চিনি৷ আর সেই কলকাতার বুকেই সংঘটিত হয়েছে ১৯৮২ সালের ৩০শে এপ্রিল মানবেতিহাসের জঘন্যতম, কলঙ্কময়, নৃশংসতম হত্যাকাণ্ড যার শিকার হয়েছিলেন একটি জনসেবামূলক আধ্যাত্মিক সংঘটন ‘আনন্দমার্গ’-এর ১৭ জন সর্বত্যাগী সন্ন্যাসী-সন্ন্যাসিনীগণ৷ পরমহংস রামকৃষ্ণদেব, স্বামী বিবেকানন্দ, ঋষি অরবিন্দ, নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ, আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু, আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়, ভগিনী নিবেদিতা, মাদার টের

ওরা দু’পায়ে  দলে  মরণ শঙ্কারে

মন্ত্র আনন্দ

আবার সেই এপ্রিল ! চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহ!!  জালালাবাদের এই যুদ্ধ হয়েছিল ১৮ই এপ্রিল ১৯৩০৷ বছর ঘুরতেই  সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশের  ওপর আবার আঘাত৷ ৭ই এপ্রিল ১৯৩১, মেদিনীপুরের অত্যাচারী  জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেমস্ পেডি নিহত হয়৷  সাম্রাজ্যবাদী শাসকের  অত্যাচার  যত বাড়ে বাঙলার দামাল ছেলেদের  স্বাধীনতার  বেদীমূলে  জীবন উৎসর্গ করার লাইনটাও তত  দীর্ঘ  হয়৷  আর এপ্রিল-টাই  যেন অকুতোভয়  বিপ্লবীদের বড় পছন্দের মাস ! দুষ্টু ছেলেকে শান্ত করতে  ব্রিটিশ রমনী  গাইতো  ঘুমপাড়ানি গান---‘বেবি, স্লিপ অন, অ্যানাদার  এপ্রিল  ইজ কামিং!’

বিজন সেতুর পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে

আচার্য ত্র্যাম্বকেশ্বরানন্দ অবধূত

১৯৮২ সালের ৩০শে এপ্রিল ভারতের সংস্কৃতির  পীঠস্থানরূপে  পরিচিত কলকাতার কসবা এলাকায়  বিজন সেতুর  ওপরে  তলায় ও  অনতিদূরে বুন্দেল গেটে একই সঙ্গে ৩জায়গায় কলকাতার  আনন্দমার্গের সন্ন্যাসী ও সন্ন্যাসিনীদের ওপর নৃশংসভাবে আক্রমণ  চালানো হয়৷  এতে ১৬জন সন্ন্যাসী ও ১ জন সন্ন্যাসিনীকে একদল গুন্ডাবাহিনী পৈশাচিকভাবে হত্যা করে৷

কে বা কারা ওই পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল? ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ  করে সেই প্রশ্ণের উত্তর দিয়ে এই নিবন্ধটি লিখেছিলেন  আচার্য ত্র্যম্বকেশ্বরানন্দ অবধূত৷ তিনি এখন আমাদের মধ্যে নেই কিন্তু তাঁর এই তথ্য সমৃদ্ধি  বিশ্লেষণাত্মক নিবন্ধটি পাঠকদের সামনে তুলে ধরছি৷

শৈব বাংলায় বিকৃত সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে

মানস দেববাংলার কৃষ্টি সভ্যতা সংস্কৃতি আজ চরম সংকটের সম্মুখে৷ বাংলা সালের শেষ মাসের শেষ দিন৷ বছরের এই সময়টা বাংলা উত্তাল থাকে শিবের গাজনে৷ গর্জন শব্দ থেকে গাজন শব্দটা এসেছে৷ বছরের এই সময়টা বাঙলার সাধারণ মানুষ চৈত্র গাজনে মেতে থাকে, কিন্তু এবার বাংলা সালের শেষ দিন বিভিন্নস্থানে অস্ত্রহাতে ডিজে আর রাম রাম (বিকৃত হয়ে কানে বাজছিল ভাম ভাম) চিৎকারে যে লুম্পেন নাচ চলল তা একথায় বলা যায়, বাংলা ভাষা সংস্কৃতির উপর গণধর্ষণ৷ অবাক লাগল যারা এই নৃত্য করল তারা অধিকাংশই ভিনরাজ্যের,দাঁড়িয়ে তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করল মূলতঃ বাংলা ভাষী মানুষ৷

বাতাসে বিষ

মনোজ কুমার সরকার

দূষণনগরী কলকাতা---দিনে ২০টা সিগারেটের বিষ ঢুকছে  প্রতিটি  নাগরিকের ফুসফুসে৷ দূষণের  চাদরে  ঢেকে  গিয়েছে  কলকাতার আকাশ বাতাস৷ পরিস্থিতি এতটাই  বিপজ্জনক যে, শহরে শ্বাস নেওয়া মানেই দিনে  গড়ে ১৮ থেকে ২০টা সিগারেট খাওয়ার সমান বিষ আমাদের  শরীরে ঢুকে যাচ্ছে৷ অর্থাৎ সিগারেট থেকে  দূরে  থেকেও  বা বাস্তবে  সিগারেট না খেয়েও আপনার অজান্তে ফুসফুসে ঢুকে যাচ্ছে  বিষাক্ত বাতাস--- যা আপনার  শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর৷ গত ডিসেম্বরের (২০১৮) শুরুতে  কলকাতার  বাতাসে দূষণের  মাত্রা বাড়তে  শুরু করেছিল৷ ডিসেম্বরের প্রথম  সপ্তাহান্তে  দূষণের  পরিমান  অত্যন্ত বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে পৌঁছে গিয়েছিল যখন বাতাসে ভাসমান  ধ

নির্বাচনে দলগুলো নিজেদের লক্ষ্য ও পরিকল্পনার কথা বলুক, ব্যষ্টিকেন্দ্রিক নোঙরা খেউড় বন্ধ করুক

প্রভাত খাঁ

ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রের সতেরতম লোকসভা নির্বাচন চলেছে৷ কোন কোন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনও এই সঙ্গে হয়ে যাবে৷ এবারে নির্বাচন যাতে সুষ্ঠুভাবে হয় সে ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন৷ দেখা যাক কী হয়! এ.ড়িআর.