প্রবন্ধ

মানব সভ্যতার জনক শিব

পত্রিকা প্রিতিনিধি

‘‘তমসাবৃত নিশীথে আলোর আমেজ কি কেবল মানুষই চায়?....সবাই চায়৷ তিমিরাচ্ছন্ন আস্তিত্বিক বিস্মৃতির ভেতর দিয়ে উত্তরণের উত্তাপ.....বেঁচে থাকা....বেড়ে থাকার আকুতির পরিপূর্তি সবাই চায়৷ সবাইকার এই চাওয়াটা পাওয়ার মাধুর্যে পূর্ণত্বের দিকে এগিয়ে চলবার প্রথম সুযোগ যে মহাশম্ভূতির মাধ্যমে পৃথিবী পেয়েছিল তার সম্বন্ধে যথাযথভাবে আলোচনা মানুষ করেনি৷’’

মিঃ ট্রাম্পের নয়া আমদানি শুল্ক নীতি মারাত্মক আর্থিক শোষণনীতি তাই চুক্তিবদ্ধ রাষ্ট্রগুলি সাবধান

প্রভাত খাঁ

আমেরিকার সবচেয়ে বড় ব্যবসাদার হলেন রাষ্ট্রপ্রধান মিঃ ট্রাম্প৷ এদিকে পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান হিন্দুত্ববাদী শ্রী মোদিজীর মধ্যে এক যৌথ বাণিজ্য চুক্তি হয়েছে আগামী ৫ বছরে ৫০,০০০ হাজার কোটি ডলারে নিয়ে যাওয়া৷

দধীচি দিবস কেন?

প্রভাত খাঁ

পুরাণের গল্পগুলো খুবই শিক্ষনীয়৷ আসুরিক শক্তির বিনাশে দধীচি মুনির আত্মত্যাগ সেরকমই এক শিক্ষনীয় কাহিনী৷ পুরাণ বর্ণিত কাহিনী অনুযায়ী বৃত্তাসুর নামের এক অসুর স্বর্গরাজ্য জয় করে দেবতাদের স্বর্গ থেকে বিতাড়ণ করে৷ নিরুপায় দেবতারা বিষ্ণুর কাছে স্বর্গ উদ্ধারে সাহায্য প্রার্থনা করেন৷ দেবতাদের কাতর আবেদন শুণে বিষ্ণু বলেন---কেউ স্বেচ্ছায় জীবন দান করলে তার অস্থি নির্মিত বজ্রের সাহায্যে বৃত্তাসুর কে বধ করা সম্ভব হবে৷

২১শে ফেব্রুয়ারীঃ মাতৃভাষা প্রেমিকদের জীবনে একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন

মনোতোষ মণ্ডল

আন্তরিক ভাব ও অনুভূতি সমূহ প্রকাশ করার যে মাধ্যম, তাকে বলা হয়--- ভাষা৷ সুতরাং ভাষা হচ্ছে--- প্রতিটি মানুষের প্রাণীন সম্পদ বা প্রাণধর্ম৷ কিন্তু এই ভাষা হচ্ছে---মানুষের সত্তাগত বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত৷ যদিও একজন মানুষ একাধিক ভাষায় কথা বলতে সক্ষম, তবুও বলে রাখি, মাতৃভাষায় ভাব প্রকাশ করা সর্বাধিক সহজ৷ কারণ অন্য যে কোন ভাষায় সহজতর উপায়ে মনোভাব প্রকাশ করা সম্ভব হয় না৷ সুতরাং অন্যান্য ভাষার তুলনায় মাতৃভাষার মহত্ব যে কোন মানুষের জীবনে সর্বাধিক তাৎপর্যপূর্ণ৷

‘‘একুশে ফেব্রুয়ারী’-এক জাগরণের দিন”

বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়

আন্তর্জাতিক ভাষা ও সাহিত্যের ইতিহাসে ‘একুশে ফেব্রুয়ারী’ এক স্মরণীয় ও বরণীয় দিন৷ ‘একুশে ফেব্রুয়ারী’ ভাষাগত মূল্যবোধে এক জাগ্রত প্রহরী৷ একুশ ধন্য হওয়ার একটি দিন, একুশ আমাদের চেতনার রঙে রাঙানো একটি দিন৷ একুশের কোন সীমাবদ্ধতা নেই, পেশীর বাঁধনে একুশকে বন্দী করা যায় না, একুশ অমর অজেয় ও অসীম৷

ইতিহাসের সরণী বেয়ে ও প্রকৃতির চিরায়ত আবর্ত্তনের পথ ধরে একুশ যখন আমাদের চেতনা আর চিত্তের আকাশে আত্মপ্রকাশ করে তখন আমরা প্রাণিত ও উজ্জীবিত হই৷ একুশে ফেব্রুয়ারীর সূর্য্যস্নাত সকাল আমাদের চিত্তের দুয়ারে টোকা দেয় ও আমাদের ভাষাগত মূল্যবোধের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়৷

উপরাষ্ট্রপতির কেন ইচ্ছে হলো পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় বক্তব্য রাখার

শ্রী নিরপেক্ষ

আজ ভারতবর্ষে বলা যায় গণতন্ত্রের নামে দলতন্ত্রের শাসন চলছে৷ ভারত একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থা৷ কেন্দ্রীয় সরকার ও বিভিন্ন রাজ্যে যেগুলি সংবিধানে রাষ্ট্র নামে উল্লিখিত সেখানে পৃথক সরকার শাসন চালায়৷ তবে কেন্দ্রের ও রাজ্যের অধিকার দায়িত্ব সংবিধানে নির্দিষ্ট করে দেওয়া আছে৷ এই সংবিধান ১৯৫০ সালের ২৬শে জানুয়ারী লোকসভায় গৃহীত হয় সেই সময়ের ২৪৮ জন সদস্যার সমর্থনে যাঁরা সেই সময় দেশের জ্ঞানীগুণী ছিলেন৷

ডঃ ইয়ূনুস সাহেব শিক্ষার মর্যাদা দিয়ে সোজা পথে চলে দ্রুত নির্র্বচনের ব্যবস্থা করুন

প্রভাত খাঁ

বাংলাদেশের অন্তবর্ত্তী সরকারের প্রধান মিঃ ইয়ূনুস খান এসেছিলেন একমাত্র সাধারণ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতেই৷ কিন্তু সেদিকে পা না বাড়িয়ে শান্তিরনামে নোবেল জয়ী ইয়ূনুস দীর্ঘকাল গদীতে বসে পাকিস্তানী প্রেমকে গলার হার করে বাংলাদেশের জনগণকে কি বিপথে ঠেলে দিচ্ছেন না?

জনবিরোধী সংস্কার বিরোধী ভোটমুখী ঘাটতি বাজেট

প্রভাত খাঁ

২৫-২৬ সালের বাজেট অধিবেশনের আগে সংসদের উভয় সভায় ভাষণে মাননীয়া রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বর্তমান সরকারের প্রশংসা করে বলেন---এই সরকার ভারতকে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে, বিকশিত ভারত ঘটনই আমাদের লক্ষ্য৷ ২৫কোটি মানুষের দরিদ্র দূরীকরণ হয়েছে ইত্যাদি৷

সমাজে মানবরূপী দানবের সংখ্যা ও অত্যাচার বেড়েই চলেছে

বিশ্বদেব মুখোপাধ্যায়

সংবাদপত্রের পাতায় কিংবা টিভিতে প্রচারিত সংবাদ যেখানেই চোখ রাখুন এমন ধরনের সংবাদ নজরে আসছে যা দেখে বা শুনে আপনি শিউরে উঠবেন৷ আপনার মনে হতে বাধ্য পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ জীব মানুষ এসব ঘটনায় জড়িত? যারা জ্ঞানে বিজ্ঞানে অনেক এগিয়েছে বলে দাবী করে তারা এভাবে খুন- ধর্ষণ -রাহাজানি- নারী নির্যাতন - প্রতারণা -জোচ্চুরি- সাম্প্রদায়িক হানাহানি ইত্যাদি যা ঘটে চলেছে তার সাথে যুক্ত !! একথা ভাবতে না পারলেও এটাই সত্যি৷ জলের মতো পরিষ্কার আজ এসব কর্মকাণ্ডের পেছনে আছে নররূপী দানবের দল৷ যাদের সংখ্যা ক্রমে বেড়েই চলেছে.........

জনচেতনার অভাবে দানবতন্ত্রের প্রবেশ

সঞ্জীব বিশ্বাস

সংসদীয় গণতন্ত্রের পক্ষে ও বিপক্ষে বিতর্ক চলেছেই৷ তবে এই শাসনতন্ত্রের বিশেষত্ব হ’ল এই যে, যে দেশের ভোট দাতাদের মধ্যে বিচারশীল মানুষদের সংখ্যাধিক্য বেশী সেখানেই এটি কৃতকার্য হতে পেরেছে৷ অন্যথায় প্রাগৈতিহাসিক মনোভাবাপন্ন বা মেকী সভ্য সমাজে এই শাসনতন্ত্র সুশাসনের প্রতীক হতে পারছে না৷ কারণ এই তন্ত্রকে ফলপ্রসূ করতে গেলে জনশিক্ষার দরকার হয়৷ এর অর্থ দেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে কমপক্ষে ৫১ শতাংশ অভিজ্ঞান প্রাপ্ত শিক্ষিত হলেই চলবে না, এই শিক্ষিতদের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সচেতনতা থাকতে হবে৷ সঙ্গে একটা বিচারশীল মানসিকতাও চাই৷