সংবাদ দর্পণ

মেদিনীপুরে ভগবতী শিশু শিক্ষায়তনে গল্প বলা প্রতিযোগিতা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

মেদিনীপুর শহরের অন্যতম নামী শিশু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভগবতী শিশু শিক্ষায়তনে ২০ শে জুলাই, শনিবার অনুষ্ঠিত হল রেণেশাঁ আর্টিস্টস এণ্ড রাইটার্স এ্যাসোসিয়েশন পরিচালিত পঞ্চম বর্ষ গল্প বলা প্রতিযোগিতা৷ অনুষ্ঠানের শুরুতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্রী মদন দেRAWA- র এই উদ্যোগ কে সাধুবাদ জানান৷ এই সংস্থার পক্ষে শ্রী বিশ্বদেব মুখোপাধ্যায় প্রতিযোগিতা সংক্রান্ত বিষয়ে ছাত্র ছাত্রাদের কিছু নির্দেশ দেওয়ার পর শুরু হয় মূল প্রতিযোগিতা৷ ৩৬ জন প্রতিযোগী মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাত রঞ্জন সরকার এর ‘অনুনাসিকতা’ গল্প টি সুন্দর ভাবে পরিবেশন করে৷ শ্রীমতী পাঞ্চালী চক্রবর্তী ও সায়রী অধিকারী বিচারক হিসেবে উপস্থিত থেকে যে সেরা পাঁচ প্রতিযোগীকে বেছে নেন তারা হল ---প্রতীম দে দালাল (১ম), সন্দীপ্তা দাস (২য়),শুভ পোড় (৩য়), সৌমিলি গাঙ্গুলী (৪থ) ও অনুস্মিতা পাল(৫ম)৷ প্রতিযোগিতা শেষে শ্রীমতী পাঞ্চালী চক্রবর্তী প্রতিযোগীদের উদ্দেশ্যে কিছু শিক্ষণীয় বিষয় বলেন,যা তাদের আবৃত্তি বা গল্প বলা প্রতিযোগিতায় ভবিষ্যতেও কাজে লাগবে৷ বিদ্যালয়ের সম্পাদক শ্রী অলোক কুমার দাসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের পর সেরা পাঁচ সহ সকল প্রতিযোগীর হাতে শংসাপত্র ও পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়৷ পুরস্কার ও শংসাপত্র তুলে দেন শ্রীমতী পাঞ্চালী চক্রবর্তী, শ্রী অলোক কুমার দাস, শ্রী মদন দে,শ্রীমতী মৃন্ময়ী রায় ও সায়রী অধিকারী৷

বিকৃত বাংলা বানান ইচ্ছাকৃত ভুল---প্রতিবাদে আমরা বাঙালী

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

দমদমের সেন্ট স্টিফেন্স স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণীর বাংলা ভাষার পরীক্ষায় প্রথম থেকে শেষ অবধি ভুলে ভরা বাংলা বানান!! এইরকম ভুল বাংলা বানান শিক্ষার্থীদের বাংলা ভাষা সম্পর্কে অবজ্ঞা অনীহা বোধ সৃষ্টির অভিযোগ তুলে স্কুল কতৃপক্ষকে স্মারকলিপি দিল ‘আমরা বাঙালী’ সংগঠন৷ সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সচিব তপোময় বিশ্বাস বলেন, শিক্ষা আনে চেতনা, চেতনা আনে বিপ্লব৷ শিক্ষার অপরিহার‌্য অঙ্গ মাতৃভাষা৷ বাঙালীর মাতৃভাষা বাংলা ভাষার বিকৃতি ঘটালো দমদম সেন্ট স্টিফেন্স স্কুল৷ষষ্ঠ শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষার প্রশ্ণপত্রে বিকৃত তথা ভুলে ভরা বাংলা বানানে৷ এর প্রতিবাদে গণতান্ত্রিক পথে এই স্কুল কতৃপক্ষ কে স্মারকপত্র দেওয়ার কথা বললে এদের দ্বাররক্ষীরা আমাদের সঙ্গে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করে ফলে আমরা এই বিক্ষোভের আয়োজন করতে বাধ্য হই৷ আমরা পরিষ্কার বলে দিচ্ছি, হতে পারে এই সেন্ট স্টিফেন্স স্কুল খ্রীস্টান মিশনারী স্কুল৷ খ্রীষ্টধর্মের রীতিনীতি নিয়ে আমাদের কোন মাথাব্যথা নেই, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের বুকে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী বাঙালীর মাতৃভাষার বিকৃতি করা, ভুল বাংলা শিখিয়ে বাঙালী শিশু মনে বাংলা ভাষা সম্পর্কে অবজ্ঞা, অবহেলার মনোভাব তৈরী করার কুচক্রান্ত মেনে নেব না৷ এই ভাবে পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে বাংলা ভাষা, বাংলা সংস্কৃতির অসম্মান হতে দেওয়া উচিত নয়৷ দেশের জাতীয় সঙ্গীত এই বাংলা ভাষাতেই রচিত, এই বাংলা ভাষাতেই রচনা করে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতবর্ষে প্রথম নোবেল পুরস্কার এনে দেন৷ রাষ্ট্রসঙ্ঘ আমাদের মাতৃভাষা বাংলা ভাষাকে পৃথিবীর সবচেয়ে মধুরতম ভাষার স্বীকৃতি প্রদান করেছে৷ বাঙালীর প্রাণের ভাষা বাংলা ভাষার চরম অবমাননা ঘটিয়েছে দমদম সেন্ট স্টিফেন্স স্কুল৷ আমাদের দাবী অবিলম্বে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে এবং এই বাংলা ভাষার অবমাননার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে৷এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উত্তর ২৪ পরগণা জেলা সচিব বাপী পাল, সমতট সাংগঠনিক সচিব জয়ন্ত দাশ, অরূপ মজুমদার, মিন্টু বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় প্রকাশন সচিব প্রণতি পাল,নমিতা দেবী, সুবোধ কর, গোপাল রায় চৌধুরী, সুশীল জানা প্রমুখ

বাঙলা ভাগের আবাজ সুকান্তের কন্ঠে প্রতিবাদে সরব বিরোধীরা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

বিজেপির বাঙালী বিরোধী চরিত্র আবার প্রকাশ হয়ে পড়লো৷ গত ২৪শে জুলাই সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করার পর বিজেপির রাজ্য সভাপতি ও কেন্দ্রের রাষ্ট্রমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার এক ভিডিও বার্র্তয় বলেন---উত্তর পূর্ব ভারতের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের সাদৃশ্য তুলে ধরে আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি পশ্চিমবঙ্গ থেকে পৃথক করে উত্তরবঙ্গকে উত্তরপূর্ব ভারতের সঙ্গে জুড়ে দিতে৷ এতে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা বেশী পাওয়া যাবে ও এলাকা উন্নত হবে৷ এখন প্রধানমন্ত্রীর বিবেচনা করবেন৷

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে বেরিয়ে এসে সুকান্তর এই বার্র্তয় স্পষ্ট যে বিজেপির উপর মহল বাঙলা ভাগের দাবীকে মদত দিচ্ছে৷ তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন--- শুধু সুকান্ত নয়, গোটা বিজেপি দলটাই বাঙলা ভাগ চায়৷ যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয় বাঙলা ভাগ নয়, উত্তরবঙ্গ ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রকল্প একসঙ্গে জুড়ে দেওয়ার কথা বলেছে সুকান্ত৷ এই নিয়েও প্রশ্ণ উঠেছে একটি রাজ্যের কিছু অংশ উন্নয়ন প্রকল্পে অন্য রাজ্যের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া যায় কিনা৷ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিতে ২৫শে জুলাই দিল্লী গেছেন৷ ২৭শে জুলাই নীতি আয়োগের বৈঠকের মধ্যেই তিনি সরব হবেন বাঙলা ভাগের বিরোধিতায় এমনটাই খবর আছে৷

আমরা বাঙালীর প্রতিবাদ ঃ আবারও বাঙলা ভাগের উষ্কাণী৷ এবার খোদ বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও উত্তর-পূর্ব বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের মুখে শোনা গেল রাজ্য ভাগের প্রস্তাব৷ তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গকে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে যুক্ত করার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়েছে৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র প্রতিবাদ জানায় ‘আমরা বাঙালী’ দল৷ দলের পক্ষে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সচিব তপোময় বিশ্বাস বলেন- বাঙলা সহ গোটা দেশে বিজেপির বিপর্যয়ের পরেও এদের শিক্ষা হয় না! শরিকদের ভরে সরকার টেকাতে হয় যাদের তাদের মুখে এই ধরনের আলটপকা মন্তব্য হাস্যকর৷ এতদিন বলছিল উত্তরবঙ্গ কে আলাদা রাজ্য করতে হবে, এখন আবার কি সব প্রলাপ বকছে, আসলে নেই কাজ তো খই ভাজ৷ এরা বাঙলা বাঙালীর চরম শত্রু, বাঙলার উন্নয়ন না করে বাঙলাতে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করে প্রচারের আলোয় আসা এদের লক্ষ্য৷ আমরা পরিষ্কার বলে দিচ্ছি বাঙলা ভাগ আমরা মানবো না৷ উত্তরবঙ্গের মানুষের মধ্যে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করা চলবে না৷ এর ফল বিপরীত হবে এটা যেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি মনে রাখেন৷

হিমন্তের বক্তব্য বাঙলাভাষী মানুষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্র্ম দেশভাগের বলি বাঙালীদের নাগরিকত্বের ব্যাপারে যে ধরণের বক্তব্য রাখছেন ও তার দলের একশ্রেণীর নেতৃবৃন্দ যেভাবে উদ্বাস্তু আনন্দ প্রকাস করছেন, তাতে আমরা বিস্মিত৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন ২০১৪ সালের আগে যারা অসমে এসেছেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলা ট্রাইবুন্যালে প্রেরণ না করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন৷ সাথে সাথে নাগবিকত্ত্বের জন্য নির্দিষ্ট পোর্টালে আবেদন করতে বলেছেন, কিন্তু আবেদন করতে গেলে যে বিধির কথা বলা আছে, অর্থাৎ বাংলাদেশে যে ছিলেন তার প্রমাণ দেওয়া৷ এই ব্যাপারে ছিন্নমূল লোকদের বিপন্নতা থেকে রক্ষা করার কোন প্রচেষ্টা নেই৷

এদিকে সরকারী ঘোষনা অনুযায়ী এক কোটি ৫৯ লক্ষ ঘোষিত বিদেশী৷ যাদের আধার কার্ড নেই৷ সন্তান সন্ততিরা পড়াশুনা করতে পারছে না৷ সরকারী সমস্ত রকম সুযোগ থেকে বঞ্চিত৷ নাগরিকপঞ্জীতে যে ৩ কোটি ১১ লক্ষ লোকেরা নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে৷ তাদের ক্ষেত্রে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা অর্থহীন৷ নাগরিকত্ত্বের প্রমাণ কতবার দিতে হবে৷ যে ১৯ লক্ষের নাম এখনও নাগরিকপঞ্জীতে আসেনি ও এই সূত্রে ২৭ লক্ষ লোকের আধার কার্ড নেই৷ তাদের মধ্যে বেশীর ভাগই ভারতীয় নাগরিক৷ এই ব্যাপারে সরকারের কোন পদক্ষেপ আমরা দেখতে পাচ্ছি না৷ শুধু শুধু বয়ান বাজী করে এই সমস্যার সমাধান হবে না বলে, সি আর পিসি আসাম মনে করে৷ সরকারের যদি সদিচ্ছা থাকে তাহলে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের ৬(ক) ধারা মতে যে ১৯৭১ ও ১৯৬৬ ইংরেজীর আসে তাদের লোকদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে৷ সেইভাবে ২০১৯-এর সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী ২০১৪ সালের আগের ভোটার তালিকা বা অন্য যে কোন নথিভুক্ত নথিকে ভিত্তি ধরে নাগরিকত্ব হিসাবে ঘোষনা করা হউক৷ নতুবা আবেদন নিবেদনের ঘেরাটোপে রাজনীতি করা যাবে, কিন্তু ছিন্নমূল দেশভাগের বলি লোকদের হেনস্থা বাড়বে কোন লাভ হবে না৷

এদিকে আবার অসমের মুখ্যমন্ত্রী ঝাড়খণ্ড রাজ্যে গিয়ে অসমে অনুপ্রবেশ প্রশ্ণে যে মনগড়া পরিসংখ্যান দিয়েছেন৷ তাতে আমরা লজ্জিত৷ উনার এই বক্তব্য সারা দেশে বাংলা ভাষাভাষি মানুষের বিরুদ্ধে এক ষড়যন্ত্র বলে আমরা মনে করি৷ তাতে রাজ্যে রাজ্যে বাঙালী বিদ্বেষ ছড়িয়ে পড়বে৷ অসমে বাঙালী আগেও ছিল তাই আমরা সকল শুভুবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষকে এই সব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সরব হতে আহ্বান জানাই

শিলচরে ২১শে জুলাই ভাষা শহীদ স্মরণ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

২১শে জুলাই শুধু পালন নয়, ২১শে জুলাই আমাদের গর্জে ওঠার দিন৷ জগন্ময় দেব ও দিব্যেন্দু দাসের আত্মত্যাগ যে দাবীতে হয়েছিল সেই দাবী আজও পুরন হয়নি৷ বাধ্যতামূলক অসমিয়া শিক্ষাসংক্রান্ত সার্কুলার আজও বাতিল হয়নি৷ স্থগিত রাখা হয়েছে মাত্র৷ কথাগুলি বলেন আমরা বাঙালী দলের অসম রাজ্যসচিব সাধন পুরকায়স্থ ২১শে জুলাই এর ভাষা শহীদ স্মরণ সভায়৷ গত ২১শে জুলাই শিলচরে ১৯৮৬ সালের ২১শে জুলাই এর ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্পণ করতে এক স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়েছিল৷ এই সভায় সাধন পুরকায়স্থ বলেন---২১শে জুলাই-এর ভাষা আন্দোলনে নিহত শহীদদের রক্তের দাগ আজও আমাদের মন থেকে মুছে যায়নি৷ প্রফুল্ল ভৃগুর হিংস্র পুলিশ বাহিনী সমগ্র করিমগঞ্জ শহর জুড়ে যে তাণ্ডব চালিয়েছিল তা করিমগঞ্জের ইতিহাসের এক কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে প্রাক্তন বিধায়ক থেকে আরম্ভ করে কোন জননেতাকে সেদিন রেহাই দেওয়া হয়নি৷ সেদিনের অসম সরকারের হিংস্রতা ব্রিটিশ সরকারকেও হার মানিয়েছিল৷ তাই আজ শুধু প্রতিবাদ নয়, প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান দিকে দিকে ধবনিত হোক৷ ২১শে জুলাই শুধু শ্রদ্ধা নিবেদন নয়, গর্জে ওঠার দিন৷

শ্রী পুরকায়স্থ জানান--- আমাদের দাবী বাধ্যতামূলক অসমীয়া ভাষা শিক্ষা সংক্রান্ত সার্কুলার বাতিল করতে হবে৷ বরাকের সরকারী ভাষা বাংলা সরকারী বেসরকারী সকল ক্ষেত্রে চালু করতে হবে৷ চাকুরী ক্ষেত্রে ১০০ভাগই বরাকের শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতিদের দিতে হবে৷ ১৯শে মে ও ২১শে জুলাই এর ভাষা শহীদদের সরকারী স্বীকৃতি দিতে হবে ও শহীদদের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে৷ এদিনের স্মরণ সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সমর পাল, দেবাশীষ রায় চৌধুরী, পুলক সোম, রাজেশ ভট্টাচার্য, তপন দত্ত চৌধুরী, রুবি রায়, ববি রায়, শম্পা দেব, শিল্পী চক্রবর্তী পার্থদেব প্রমুখ৷

মোদির পঙ্গুত্বের নীতি মেনে তোষণের বাজেট

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

একক সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকারে থাকা কালিন প্রধানমন্ত্রী মোদি বলতেন-জোট রাজনীতি সরকার কে পঙ্গু করে৷ অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে একক গরিষ্ঠতা হারিয়ে মোদি পঙ্গু জোট সরকার গড়তে বাধ্য হয়েছেন৷ সেই পঙ্গুত্বের নীতি মেনেই শরিক তুষ্টির বাজেট করতে বাধ্য হলেন নির্মলা সীতারমন৷ ২৩শে জুলাই অর্থমন্ত্রী যে বাজেট সংসদে পেশ করলেন তাতে প্রধানমন্ত্রীর ‘সব কা সাথ সব কা বিকাশ’ শ্লোগান উধাও৷ বরং পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী নেতার স্লোগান ‘জিস্‌কা সাথ উনকা বিকাশ’ স্লোগানকে গুরুত্ব দিয়ে শরিক তুষ্টির বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী৷ বেকারত্ব দূরীকরণ, আর্থিক বৈষম্য কমানোর কোন দিশা বাজেটে নেই৷ আয় করে সামান্য ছাড় যার সঙ্গেও গরিব মধ্যবিত্তের কোন যোগ নেই৷ করের হার অপরিবর্তিত রেখে দুটি ধাপে করের সীমা বাড়িয়েছেন৷ ৩ লক্ষ পর্যন্ত বার্ষিক আয় আগেও কর দিতে হতো না এখনও তাই৷ ৩ লক্ষের বেশী থেকে ৬ লক্ষ পর্যন্ত ৫ শতাংশ হারের করের স্তর ৬ লক্ষ থেকে বাড়িয়ে সাত লক্ষ করা হয়েছে৷ ১০ শতাংশ হারের আগের স্তর ৬ লক্ষের বেশী থেকে ৯ লক্ষ পর্যন্ত বর্তমানে ৭ লক্ষের বেশী থেকে ১০ লক্ষ পর্যন্ত৷ ১৫ শতাংশ করের ৯ লক্ষের বেশী থেকে ১২লক্ষ আগের স্তর বর্তমানে ১০ লক্ষের বেশী থেকে ১২লক্ষ পর্যন্ত৷ পরবর্তী স্তর অপরিবর্তিত৷ এই চিত্র থেকে স্পষ্ট আয় করের সুরাহা সকল করদাতা পাচ্ছেন না৷

বিজেপি সরকার বিহার অন্ধ্রপ্রদেশের কাঁধে ভর দিয়ে চলছে৷ তাই নির্মলা সীতারমনের বাজেটে বিহার অন্ধ্রপ্রদেশকে দরাজ হস্তে আর্থিক সাহায্য ঘোষনা করেছেন৷ অপর দিকে বাঙলার কাছে এই বাজেট প্রতিহিংসার বাজেট৷ ২০২১শে বিধানসভা ও ২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে প্রত্যাশার ধারে কাছে পৌঁছতে পারেনি বিজেপি৷ তাই প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে বাঙলার প্রতি বঞ্চনা এই বাজেটেও অব্যাহত৷ অর্থমন্ত্রী হুমকির সুরে সংসদে এই অভিযোগ অস্বীকার করলেও তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অর্থমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবী জানায়৷

আনন্দমার্গের বৈপ্লবিক বিবাহ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

১৫ই জুলাই’২৪ রাঁচি হিনো নিবাসী শ্রীমতী জয়ন্তী ও ডক্টর রঞ্জিত কুমার দত্তের প্রথম পুত্র সন্তান ডক্টর মনোজিতের সহিত রাঁচি ঋষভ নিবাসী শ্রীমতী কৃষ্ণা ও শ্রী যমুনা কান্ত মাইতির একমাত্র কন্যা ডক্টর জয়শ্রীর শুভবিবাহ অনুষ্ঠিত হয় আনন্দমার্গে চর্যাচর্য বিধি অনুযায়ী রাঁচি সেফরন রিসর্টে৷ প্রভাত-সঙ্গীত, বাবা নাম কেবলম কীর্ত্তন, ঈশ্বর-প্রণিধান, বর্ণার্ঘ্যদান ও স্বাধ্যায়ের মাধ্যমে এক আধ্যাত্মিক পরিমণ্ডলে অনুষ্ঠান সুসম্পন্ন হয়৷ বিবাহের পূর্বে আনন্দমার্গ বিবাহের বৈশিষ্ট্য সম্বন্ধে ব্যাখ্যা করা হয়৷ পাত্রপক্ষে পৌরহিত্য করেন আচার্য গুরুদত্তানন্দ অবধূত ও পাত্রীপক্ষে পৌরহিত্য করেন অবধূতিকা আনন্দ সুমিতা আচার্যা৷

মেদিনীপুরে অনুষ্ঠিত হল গল্প বলা প্রতিযোগিতা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

মেদিনীপুর শহরে অবস্থিত বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠ শিশু বিভাগে অনুষ্ঠিত হল ৫ম বর্ষ গল্প বলা প্রতিযোগিতা ৬ই জুলাই, শনিবার৷ সকাল ৮টায় শুরু হয় প্রতিযোগিতা৷ সংস্থার সম্পাদক শিক্ষার্থীদের গল্প বলা,পাঠ করা ও শোনার উপর জোর দিতে বলেন৷ এতে তাদের কল্পনা শক্তি বাড়ার পাশাপাশি নতুন নতুন বিষয় সম্বন্ধেও তারা জানতে পারবে৷ তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর ৩২ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু হয়৷ শ্রী প্রভাত রঞ্জন সরকার এর ‘অনুনাসিকতা’ গল্পটি সুন্দর ভাবে তারা উপস্থাপিত করে৷ প্রতিযোগিতা শেষে অন্যতম বিচারক সুতপা দে পড়িয়া মহাশয়া গল্প টি নিজে বলে শোনান শিক্ষার্থীদের৷ সফল সেরা পাঁচ প্রতিযোগী হল--সুকৃতি বেরা, প্রীতম মাজী, সেক আয়ান, অঙ্কুশ চক্রবর্তী ও শুভঙ্কর নন্দী৷ সেরা পাঁচ সহ সকল প্রতিযোগীর হাতে শংসাপত্র সহ পুরস্কার তুলে দেন সুতপা দে পড়িয়া, কল্পনা গিরি, শুভাশীষ সাহু, সাহানি ম্যাডাম ও প্রধান শিক্ষিকা ব্রততী খাঁড়া মহাশয়া৷

কাঞ্চনজঙ্ঘা দুর্ঘটনার দায় রেলের

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

গত ১৭ই জুন উত্তরবঙ্গে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় ১০জন যাত্রীর মৃত্যুর পর রেল বোর্ডের চেয়ার পার্সন জয়া ভার্র্ম সিন্‌হা দুর্ঘটনার দায় চাপিয়ে দিয়েছিলেন মাল গাড়ীর মৃত চালকের উপর৷ দুর্ঘটনার একমাস পর তদন্তের প্রতিবেদন জমা দিল কমিশন অব রেলওয়ে সেফটি (সি.আর.এস)৷

সি আর এস-এর প্রতিবেদনে দুর্ঘটনার দায় রেলের ঘাড়েই চাপান হয়েছে৷ প্রতিবেদনে বলা হয় মালগাড়ীর চালককে পেপার সিগন্যাল ভুল দেওয়া হয়েছিল৷ টিডি-৯১২-এর পরিবর্তে দেওয়া হয় টিএ-৯১২ যাতে গতি সীমার কোনো উল্লেখ ছিল না৷ টিডি-৯১২ পেপার সিগন্যালে গতিসীমা ১৫ কিমি উল্লেখ থাকতো৷ ট্রেন চালক ও সহচালকের কাছে প্রয়োজনে ব্যবহারের মত ওয়াকি-টকি ছিল না৷ তদন্তে আরও বলা হয়েছে ভারপ্রাপ্ত রেলকর্মীরা নিজেদের দায়ীত্ব পালন করেনি৷ সার্বিকভাবে ট্রেন পরিচালকদের অজ্ঞতাকেও দায়ী করা হয়েছে৷ লোকো পাইলট ও স্টেশন মাষ্টারদের মধ্যে বোঝা পড়ারও অভাব ছিল৷ তদন্তের সারকথা ব্যর্থ রেলওয়ে সিস্টেম৷ রেলযাত্রীদের নিরাপত্তাতেই রেলের অগ্রাধিকার--- মোদি সরকারের এই প্রচার যে কত অসার প্রতিবেদনে সেটাই উঠে এসেছে৷

শহরে দিন দিন বাড়ছে সাইবার প্রতারণা

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

অচেনা নম্বর থেকে ফোন৷ অপর প্রান্ত থেকে ভারী গলায় কেউ বলল, ‘‘কাস্টমস অফিসে আপনার নামে একটি পার্সেল ধরা পড়েছে৷ তাতে রয়েছে নিষিদ্ধ বস্তু৷ দু’ঘণ্টার মধ্যে আপনার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হবে৷’’ তা হলে উপায়? ফোনের অপর প্রান্তের ব্যক্তিই এ বার ‘সঙ্কট’ থেকে মুক্তির পথ বাতলে জানাল, গ্রেফতারি এড়াতে ওই তরুণীকে কিছু ব্যক্তিগত তথ্য জানাতে হবে৷ সেই সব তথ্য না দিলে পরিণতি যে ভাল হবে না, এমন কথা বলে ভয়ও দেখাল সে৷ দিন চারেক আগে এমনই একটি ফোন পেয়েছিলেন এক তরুণী৷ তবে, ফোন করা ব্যক্তি যে জালিয়াত, তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি তাঁর৷ তাই সরাসরি লালবাজারের দ্বারস্থ হন ওই তরুণী৷ সেখানকার সাইবার বিভাগের কর্তারাও তাঁকে আশ্বস্ত করে জানান, ওই ভাবে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা যায় না৷ তরুণীকে সাইবার বিভাগে অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দেন তাঁরা৷ ওই তরুণীর কথায়, ‘‘গোটা বিষয়টি এমন ভাবে হয়েছিল যে, ভয় পেয়ে অনেকেই হয়তো নিজের সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে দেবেন৷ আমিও ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম৷ কিন্তু পরে কিছুটা সন্দেহ হওয়ায় সরাসরি লালবাজারের সাইবার বিভাগে ফোন করি৷’’ লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু শুল্ক দফতরের নাম করে নয়, ইদানীং ডাক বিভাগের নাম করেও সাইবার প্রতারণার ঘটনা ঘটছে শহরে৷ ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে লালবাজারের সাইবার বিভাগে৷ অনেকে আবার ফোন পেয়েই লালবাজারে মেল করে গোটা বিষয়টি জানিয়েছেন৷ কেউ কেউ আবার মেসেজ পেয়েছেন বলেও জানিয়েছেন৷ মেসেজের প্রাপককে জানানো হচ্ছে, তাঁর নামে দামি একটি পার্সেল এসেছে৷ কিন্তু ঠিকানা ভুল থাকায় সেটি পৌঁছে দেওয়া যায়নি৷ ঠিকানা ‘আপডেট’ করার কথা বলে মেসেজের নীচে দেওয়া থাকছে লিঙ্ক৷ সেই লিঙ্কে ক্লিক করলেই ব্যক্তিগত তথ্য চলে যাচ্ছে সাইবার প্রতারকদের হাতে৷ এই পদ্ধতিতে সাইবার প্রতারণার একাধিক ঘটনার অভিযোগ ইতিমধ্যেই নথিভুক্ত হয়েছে লালবাজারে৷ লালবাজারের কর্তারা সাইবার অপরাধের নতুন এই কৌশল নিয়ে ইতিমধ্যেই সতর্ক করেছেন৷ সাইবার বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি লালবাজারের পুলিশকর্তারা জানাচ্ছেন, এই কৌশলে প্রতারণার জন্য ‘প্রক্সি সার্ভার’ ব্যবহার করছে প্রতারকেরা৷ হংকংয়ে বসে এই ধরনের প্রতারণার ঘটনা সংঘটিত করা হচ্ছে বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে৷ তবে, হংকংয়ের পাশাপাশি অন্যান্য দেশ থেকেও এই চক্র চালানো হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে৷ লালবাজারের এক কর্তা বলেন, ‘‘প্রতারকেরা নিজেদের ভৌগোলিক অবস্থান গোপন রাখতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছে৷ তাদের সন্ধান পেতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে৷ প্রতারণার এই নতুন ধরন নিয়ে তদন্ত করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও সচেতন করার উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে৷’’