সংবাদ দর্পণ

বিজ্ঞানের অপরিণামদর্শিতা মানুষের সীমাহীন লোভ শাসকের নির্লিপ্ততায় পাহাড় থেকে সমতল প্রকৃতির ভয়াল রূপ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

আজ থেকে প্রায় ৩৮ বছর আগে প্রাউট প্রবক্তা পরম শ্রদ্ধেয় শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার মেরুর স্থানান্তরন বিষয়ে বলেছিলেন---মেরুর স্থান পরিবর্তন একটি ভৌগোলিক তথ্য৷ এই পরিবর্তনের ফলে সূর্যের চারপাশে পৃথিবী ঘুরতে যে সময় লাগে তার কিছুটা এদিক-ওদিক হতে পারে৷ দিনরাত বছরের সময়টা পরিবর্তন হয়ে যাবে৷ পৃথিবীর নিজের কক্ষপথে প্রদক্ষিণের সময়েরও হ্রাস বৃদ্ধি হতে পারে৷ ফলে মাসের সঙ্গে ঋতুর সামঞ্জস্য থাকবে না৷ পৃথিবীর পরিবেশগত সামঞ্জস্যও ক্ষুণ্ণ্ হবে৷ এমন কি মানুষ জীবজন্তু উদ্ভিদেরও সংরচনাগত পরিবর্তন হবে৷ শ্রী সরকার সেদিন বলেছিলেন---মেরুর স্থান পরিবর্তন সমূহের জন্য ভবিষ্যতে পরিবেশগত সামঞ্জস্যের অভাবের স্বাভাবিক ফলশ্রুতির জন্য তৈরী থাকতে হবে৷ কিছু কিছু ক্ষেত্রে মেরুর স্থান পরিবর্তনের প্রভাব ইতিমধ্যেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷ মাসের সঙ্গে ঋতুর সামঞ্জস্য থাকছে না৷ চাষ-আবাদের ক্ষেত্রেও এর প্রভাব পড়ছে৷ প্রকৃতির এই স্বাভাবিক ফলশ্রুতির সঙ্গে মানুষের সীমাহীন চাহিদা পূর্ত্তির অস্বাভাবিক প্রচেষ্টা প্রকৃতিতে বিপর্যয় ডেকে আনছে৷ পাহাড় থেকে সমতল সর্বত্রই প্রকৃতি ভয়াল রূপ ধারণ করছে৷ পশ্চিমবঙ্গের উত্তরে বর্ষার কারণে পাহাড়ে ধস, সমতলে প্লাবন জনজীবন বিপর্যস্ত করছে দক্ষিণবঙ্গ তখন তাপপ্রবাহে পুড়ছে৷

উত্তরবঙ্গে বর্ষার মরসুম এলেই তিস্তা ভয়াল রূপ ধারণ করে কিন্তু গত বছর থেকে তিস্তার ধবংসাত্মক রূপ প্রবল হচ্ছে৷ এর কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা প্রাকৃতিক কারণের সঙ্গে মানুষের কার্যকলাপ তিস্তাকে ভয়ঙ্কর করে তুলছে৷ সিকিমে ১৭০ কিমি ও পশ্চিমবঙ্গে ১২৩ কিমি পথে তিস্তা প্রবাহিত হচ্ছে৷ এই দীর্ঘপথে ৪৭টি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরী হয়েছে৷ এরফলে নদীর গতিপথ ও স্বাভাবিক ছন্দ নষ্ট হচ্ছে৷ সেবক-রংপো রেলপথে ১৪টি সুড়ঙ্গ তৈরী করতে হয়েছে ডিনামাইট ফাটিয়ে৷ তারও প্রভাব পড়ছে তিস্তায়৷ নদীর উপরিভাগ থেকে বালি পাথর নুড়ি নেমে এসে তিস্তার নদীখাত উঁচু করে দিচ্ছে৷ এর পরিনামে হড়পা বান বা জলস্ফীতিতে নদীর দুপাশের রাস্তা সেতু জঙ্গল পাহাড় ধবসে যাচ্ছে৷ বিশেষজ্ঞদের মতে যে কোন নির্মাণের ক্ষেত্রে ভৌগোলিক অবস্থান ও পরিবেশ পরিবর্তনের বিষয়ে ভাবাই হয় না৷

দক্ষিণবঙ্গে ভয়াল তাপপ্রবাহের জন্যে শুধু প্রকৃতি নয় মানুষও দায়ী৷ বনজঙ্গল কেটে, জলাশয়, খাল, বিল ভরাট করে কৃষি জমির উপর আবাস, শিল্প কারখানা গড়ে উঠছে৷ সবুজায়ন ধবংস করে নগর গড়ে উঠছে৷ এ ব্যাপারে প্রশাসন একেবারে নির্লিপ্ত, প্রাকৃতিক কারণের উপর সব দায় চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে৷ অবিলম্বে প্রশাসনের মানসিকতার পরিবর্তন না হলে যে কোন নির্র্মণের ক্ষেত্রে পরিবেশের উপর প্রভাব পড়া নিয়ে সজাগ সচেতন না হলে আগামীদিনে প্রকৃতি আরও ভয়ালরূপ ধারণ করবে৷

কার দোষ?

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

আর একটা রেল দুর্ঘটনা, মোদি জমানায় গত দশ বছরে প্রায় ২৫টি ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে৷ ১৭ জুন এন.জে.পি ছেড়ে শিয়ালদহগামী কাঞ্চজঙ্ঘা এক্সপ্রেস রাঙাপানি পেরোতেই পিছন থেকে একটি মালগাড়ী এসে ধাক্কা মারে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে৷ ১১ জনের মৃত্যু পঞ্চাশজনের বেশী আহত৷ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকার্য, নেতা মন্ত্রীদের দুঃখ প্রকাশ দুর্ঘটনার পর যা যা বিধিসম্মত সবই হলো৷ তারপর আর একটি দুর্ঘটনার অপেক্ষায়৷ কিন্তু সেই ছোট্ট মেয়েটি যে তার জন্মদিনের উৎসবে বাবার অপেক্ষায় ছিল--- তার বাবা আর কোন দিন আসবে না, কাঞ্চনজঙ্ঘার দুর্ঘটনা চিরদিনের জন্যে তার বাবাকে তার কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছে৷ আজীবন এক মর্মান্তিক স্মৃতি নিয়ে চলতে হবে মেয়েটিকে৷ যারা ঘরে ফিরলো, তারাও কি আর নিশ্চিন্তে রেল ভ্রমণ করতে পারবে কোনদিন৷ প্রতিটি দুর্ঘটনার বেদনাদায়ক ফলশ্রুতি ভোগ করতেই হয় কিছু মানুষকে কিছু পরিবারকে৷

কিন্তু সব দুর্ঘটনাই নিছক দুর্ঘটনা নয়৷ থাকে গাফিলতি কর্তব্যে অবহেলা, দায়িত্ব পালনে অসতর্কতা৷ রেলের মত বিশাল পরিবহন ব্যবস্থায় নিয়মিত নজরদারিতে ত্রুটি, প্রযুক্তিগত ব্যবস্থায় ত্রুটি---একটি দুর্ঘটনার পিছনে এরকম অনেক কারণ থাকতে পারে৷ যা তদন্ত সাপেক্ষ৷ কিন্তু তদন্তের আগেই তড়িঘড়ি রেলদপ্তরের এক পদস্থ অফিসার দুর্ঘটনায় নিহত মালগাড়ীর চালকের ঘাড়ে দুর্ঘটনার দায় চাপিয়ে দিলেন৷ যত সন্দেহ এখানেই৷ কেন এত দ্রুত মৃত চালককে দায়ী করা হয়৷ তবে কি প্রকৃত দোষীদের আড়াল করার চেষ্টা! সাধারণ মানুষ প্রযুক্তিগত ব্যাপারও জানে না, ট্রেন চলাচলের নিয়মারীতিও বোঝে না৷ তারা চায় নিশ্চিন্তে নিরাপদে ভ্রমণ করতে৷ তার দায়িত্ব নিতে হবে রেল দপ্তরকেই৷ কাদের কর্তব্যের গাফিলতিতে এই দুঘর্টনা, অথবা কোথাও কোন যান্ত্রিক ত্রুটিতে এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকুক দোষ কার খুঁজে বার করার দায়িত্ব রেল কর্তৃপক্ষের৷ তাঁরা এই কাজটা নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে করুন৷ রেল দপ্তরের অধিকারী দুর্ঘটনায় নিহত মালগাড়ীর চালককে এর ঘাড়ে দায় চাপানোয় সাধারণ মানুষের মনে অনেক সন্দেহ দানা বাঁধে৷ সন্দেহ দুর করার দায় দাযিত্ব রেলকর্ত্তৃপক্ষকেই নিতে হবে৷

যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রা বিজ্ঞাপনের বহরে আবদ্ধ না থাকে, ঘোষকের সৌজন্যমূলক আবেদনেই যেন রেলযাত্রীদের নিরাপত্তার দায় সারা না হয়৷ বিশ্বের বৃহত্তম এই পরিবহন ব্যবস্থার ত্রুটি বিচ্যুতি দূর করা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায় রেলকর্ত্তৃপক্ষেরই


 

দীঘায় পর্র্দপন দিবস পালন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

জগদগুরু শ্রী শ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর শুভ পদার্পণ দিবস উপলক্ষে গত ৪ঠা ও ৫ই মে দীঘা আনন্দমার্গ আশ্রমে ২৪ঘণ্টা ব্যাপী অখণ্ড বাবানাম কেবলম নামসংকীর্তন অনুষ্ঠিত হল৷ আচার্য নির্মলশিবানন্দ অবধূত, দেবাত্মানন্দ অবধূত, মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত, সুবোধানন্দ অবধূত, কৃষ্ণনাথানন্দ অবধূত, অবধূতিকা আনন্দ বিভুকনা আচার্যা প্রমুখ দাদা-দিদি ও বিশিষ্ট মার্গীদের উপস্থিতিতে বাবা কোয়ার্টার কয়েকদিনের জন্য চাঁদের হাটে পরিনত হয়েছিল৷ দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া, হুগলি, কোলকাতা প্রভৃতি জেলা থেকে বহু মার্গী ভাই-বোন উপস্থিত হয়েছিলেন৷ সমস্ত রকম অসুবিধাকে মানিয়ে নিয়ে মার্গীরা বাবার উপস্থিতি ও কীর্ত্তন রস আস্বাদন করে নিজেদের ধন্য করেছেন৷ প্রাতঃকালীন নগর কীর্ত্তন ও সবশেষে সমুদ্রতীরে বসে মিলিত সাধনার একটা আলাদা অনুভূতির কথা কেউই ভুলতে পারবেন না৷

হাওড়ায় বিপুল উৎসাহে মার্গগুরুদেবের জন্মোৎসব পালন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ২৩শে মে হাওড়া জেলায় বিপুল সমারোহে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ১০৩ তম জন্ম বার্ষিকি পালন করা হয়৷

এইদিন রাণীহাটিতে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে মার্গগুরুদেবের জন্মদিবস পালিত হয়৷ পাঁচলা জগৎবল্লভপুর প্রভৃতি গ্রামে গ্রামে ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ কীর্ত্তন পরিবেশন ও প্রচারপত্র বিলি করা হয়৷ এখানে সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন জেলার ভুক্তি প্রধান সুব্রত সাহা৷ একইভাবে মার্গগুরুদেবের জন্মবার্ষিকি পালন করা হয় ডোমজুড়, আমতা, সুলতানপুর প্রভৃতি অঞ্চলে৷ ডোমজুড়ে পরিচালনায় ছিলেন সেবা ধর্ম মিশনের ভুক্তিপ্রধান সুশান্ত শীল, আমতা সুচিত্রা রীত প্রমুখ৷

মেদিনীপুরে মার্গগুরুদেবের জন্মোৎসব উদযাপন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

মার্গগুরু শ্রী শ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর ১০৩ তম শুভ জন্মোৎসব নানান অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদযাপন করা হয় ২৩ শে মে, বৃহস্পতিবার শহরের কেরানীটোলায় অবস্থিত আনন্দমার্গ জাগৃতিতে৷ অনুষ্ঠান শুরু হয় ভোর ৫টায় পাঞ্চজন্যের মধ্য দিয়ে৷ সকাল ৬টা ৭ মিনিটে জন্ম মূহুর্তে শঙ্খধবনি, উলুধবনি ও জয়ধবনি দেওয়া হয়৷ জন্মদিনের প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন করেন অবধূতিকা আনন্দ কীর্তিলেখা আচার্যা৷ এছাড়াও প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন করেন অপর্ণা দত্ত, মমতা পাল ও ধৃতি পাল৷ কীর্ত্তন ও মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান এর পরে বাংলা, ইংরেজি, হিন্দি ও সংস্কৃতে আনন্দ বাণী পাঠ করেন পুষ্প ঘোষ,বিশ্ব দেব মুখোপাধ্যায়, আচার্য শিবপ্রেমানন্দ অবধূত ও যূথিকা চন্দ্র৷ বাবার সম্বন্ধে বিভিন্ন ধরনের ঘটনা তুলে ধরেন অসিত কুমার দত্ত, শঙ্কর কুণ্ডু, রঞ্জিত ঘোষ, পারুল সাধু, অপর্ণা দত্ত,ইলা রাণী পাত্র প্রমুখ প্রবীন মার্গীগণ৷ তিন ঘণ্টাব্যাপী বাবা নাম কেবলম কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত৷ শ্রী শ্রীআনন্দমূর্ত্তিজীকে কেন জগৎগুরু বলা হয় ও প্রকৃত সনাতন ধর্ম বলতে কী বোঝায় তা সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেন আচার্য শিবপ্রেমানন্দ অবধূত কীর্ত্তন ও মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান এর পরে৷ এছাড়াও রাওয়ার উদ্যোগে তাড়া বাঁধা ছড়া গ্রন্থ থেকে নেওয়া জীব ঈশ্বরের সৃষ্টি ছড়াটির উপর ছড়া বলা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়৷ মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে ফলমূল বিতরণ করা হয়৷ দুপুরে মিলিত আহারে অংশগ্রহণ করেন প্রায় ৩৫০ জন মানুষ৷

মেদিনীপুরে RAWA উদ্যোগে ১মবর্ষ ছড়া বলা প্রতিযোগিতা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

মহান দার্শনিক শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার এর ১০৩ তম শুভ জন্মোৎসব উপলক্ষ্যে মেদিনীপুর শহরে অনুষ্ঠিত হল’ ছড়া বলা প্রতিযোগিতা৷ শহরের কেরানীটোলায় অবস্থিত আনন্দমার্গ স্কুলে সকাল সাড়ে আটটায় শুরু হয় প্রথম বর্ষ ছড়া বলা প্রতিযোগিতা৷ শ্রী প্রভাত রঞ্জন সরকারের ‘তাড়া বাঁধা ছড়া’ গ্রন্থ থেকে নেওয়া ‘জীব ঈশ্বরের সৃষ্টি’ ছড়াটির উপর চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর ৫১ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়৷ শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার এর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও অতিথি বরণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়৷ বিচারকগণের বিচারে সেরা পনের জন প্রতিযোগী হল সমৃদ্ধি মাতববর, সুপ্রভা পট্টনায়ক,ঐশী নায়েক, আরাধ্যা আচার্যা,ঐশানী সিং,আদিত্রী সাউ,অদ্রিজা বিশই,অরিত্রি ঘোষ,প্রতীম দে দালাল, অয়ন্তিকা মাজী, আদ্রিতা দে, শুভজিৎ ঘর, অঙ্কুশ জানা, অভীপ্সা চৌধুরী,যাঈমা আরেফিন৷ সকল অংশগ্রহণকারীকেই শংসাপত্র, পুরস্কার সহ গাছের চারা প্রদান করা হয়৷ রাওয়ার কর্তৃপক্ষ ছাড়াও বিচারকগণ সকল প্রতিযোগীর হাতে শংসাপত্র সহ পুরস্কার তুলে দেন

নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরে সাড়ম্বরে পালিত হল শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ১০৩ তম জন্মতিথি

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ২৩শে মে ২০২৪ বৃহস্পতিবার নদীয়া জেলা ভুক্তিকমিটির উদ্যোগে ও জেলার সমস্ত মার্গী দাদা-দিদি, ভাই-বোনের অকুন্ঠ উৎসাহ ও উদ্দিপনায় জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত ১৫০শোর্ধ ভক্তবৃন্দের উপস্থিতিতে নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর ঘুর্ণীর মোড়ে হালদার পাড়ায় অবস্থিত পরমারাধ্য মার্গ গুরুদেবের বাসগৃহ ‘মধুপর্র্ণ’য় ভোর ৫টা থেকেই একটি ভাবগম্ভীর পরিবেশে সারম্বরে পালিত হল ‘‘শুভ আনন্দপূর্ণিমা’’ অনুষ্ঠান৷ শ্রীমতী তাপসী মুখার্জ্জীর পরিচালনায় প্রভাতসঙ্গীত, মানবমুক্তির মহামন্ত্র ‘‘বাবানাম্‌ কেবলম্‌’’ কীর্ত্তন এর পরে ঠিক সকাল ৬টা ০৭মিঃ পরমারাধ্য মাগরুদেবের ১০৩ তম জন্মমুহূর্তে শঙ্খধবনি, উলুধবনি সহ ১০৩ টি প্রদীপ প্রজ্জলনের মধ্যে দিয়ে তাঁর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন উপস্থিত ভক্তবৃন্দ৷ সমবেত ‘‘সংগচ্ছধবং .... মন্ত্র পাঠ, মিলিত সাধনা, গুরুপুজা ও চরম নির্দেশের পর আনন্দপূর্ণিমা উপলক্ষে আনন্দৰাণী ২০২৪ পাঠ করেন বাংলা ভাষায় শ্রীমতী বুলবুল দত্ত ও ইংরাজী ভাষায় মার্গীবোন শ্রীমতী তৃণা পাল৷ এইভাবে প্রথম পর্বের অনুষ্ঠানের সমাপ্তী হয়৷ জলযোগের পরে---

দ্বিতীয় পর্বে সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত শ্রীমতী কাকলী মন্ডল, শ্রীমতী তাপসী মুখার্জ্জী, শ্রীমতি কল্পনা বিশ্বাস শ্রী কৌশিক সরকার প্রমুখের পরিচালনায় ‘‘তিন ঘন্টা ব্যাপী মানব মুক্তির মহামন্ত্র -‘বাৰা নাম্‌ কেবলম’ অখন্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ এর পর মিলিত সাধনা, গুরুপুজা, চরম নির্র্দেশ-এর পরে স্বাধ্যায় করেন তরুন মার্গীভাই শ্রী মনোতোষ মজদার৷

তৃতীয় পর্বে আনন্দমার্গ দর্শনের বিভিন্ন দিক নিয়ে মূল্যবান আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন -নদীয়ার ভুক্তিপ্রধান ডাঃ বৃন্দাবন বিশ্বাস, ভুক্তিকমিটির অন্যতম সদস্য, বিশিষ্ঠ শিক্ষাব্রতী ও বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক---শ্রীমনোরঞ্জন বিশ্বাস, বিশিষ্ঠ মার্গী বোন শ্রীমতী তৃপ্তি বিশ্বাস, বিশিষ্ঠমার্গী শ্রীসনৎ মৃধা৷ সবশেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেছেন -গৌরাঙ্গ ভট্টাচার্য অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সকলকে প্রীতিভোজে আপ্যায়িত করা হয়৷

সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন, নদীয়া জেলা রাওয়া সচিব শ্রীগোরাচাঁদ দত্ত ও কৃষ্ণনগর ইউনিট সচিব তথা নদীয়া জেলা ভুক্তি কমিটির সদস্য শ্রীআনন্দ মন্ডল৷

মহাসমারোহে কাঁথিতে উদযাপিত হল আনন্দ পূর্নিমা-২০২৪

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ২৩ শে মে ,কাঁথি ঃ সমগ্র বিশ্বের প্রতিটি ইউনিটের সাথে সাথে কাঁথি আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের ইউনিটেও আজ মহাসমারোহে পবিত্রতার সঙ্গে পালিত হল আনন্দ পূর্নিমা - আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের প্রতিষ্ঠাতা মার্গগুরু শ্রী শ্রী আনন্দমূর্তিজীর ১০৩ তম জন্মতিথি৷ ১৯২১ সালের বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতে সকাল ৬ টা ৭ মিনিটে বর্ধমান জেলার বামুনপাড়া গ্রামে লক্ষ্মীনারায়ণ সরকার ও আভা রানী দেবীর কোল আলো করে আবির্ভূত হন প্রভাতরঞ্জন সরকার৷ ১৯৩৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে তিনি প্রথম ধর্মগুরু তথা আধ্যাত্মিক গুরু হিসাবে নিজেকে প্রকাশ করেন৷ ঐ বছর শ্রাবণী পূর্নিমার তিথিতে গঙ্গার কাশিমিত্র ঘাটে প্রথম কলিকাতার কুখ্যাত ডাকাত কালীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে দীক্ষা দান করে তাঁকে নবজন্ম দান করে কালিকানন্দ অবধূত নাম দেন৷ তিনিই ছিলেন আনন্দমার্গ মিশনের প্রথম অবধূত৷ ১৯৫৫ সালের ৬ই জানুয়ারী বিহারের জামালপুরের রেলওয়ে কলোনিতে যে আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের প্রতিষ্ঠা করেন তা কিছুদিনের মধ্যেই বিশ্বের ১৮২ টি দেশে ছড়িয়ে পড়ে৷

তাঁর পূণ্য আবির্ভাব উদযাপনের উদ্দেশ্যে কাঁথি ইউনিটের সমস্ত ভক্ত মন্ডলী উপস্থিত হন বনমালীপুরস্থিত আনন্দমার্গ জাগৃতি গৃহে৷ ভোর পাঁচটায় পাঞ্চজন্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়৷ গুরুদেবের জন্ম মুহূর্ত শঙ্খধবনি , উলুধবনি ও জয়ধবনির মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হয়৷ তারপর বাংলা, হিন্দি, ইংরেজি, সংস্কৃত ,অসমীয়া, উড়িয়া প্রভৃতি ভাষায় আনন্দবাণী পাঠ করা হয়৷ এরপর শুরু হয় তিনঘণ্টা ব্যাপী অষ্টাক্ষরী সিদ্ধ মন্ত্র অখন্ড ‘বাবা নাম কেবলম’ কীর্ত্তন৷ কীর্ত্তনান্তে অনুষ্ঠিত হয় সমাজ মন্ত্র ,মিলিত ঈশ্বরপ্রণিধান (সাধনা),গুরু পূজা,চরম নির্দেশ পাঠ , স্বাধ্যায় পাঠ ও আধ্যাত্মিক আলোচনা চক্র৷ কীর্ত্তন পরিবেশন করেন ভজহরি বর্মন ,কাকলি জানা, শুদ্ধসত্ব মাহাত, দিপ্তেন্দু জানা, তীর্থরাজ বর্মন, অনিমা বর্মন, মনোরমা মাহাত,দীনেশ প্রধান প্রমুখ৷আধ্যাত্মিক আলোচনায় সাধনা বিজ্ঞানের নানান দিক তুলে ধরেন ডিট সম্পাদক আচার্য সুবোধানন্দ অবধূত৷ তিনি আরও বলেন যে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্তিজী একাধারে ছিলেন আধ্যাত্মিক ধর্ম গুরু, শিক্ষাগুরু, যৌগিক চিকিৎসক, ভাষাবিজ্ঞানী, নৃবিজ্ঞানী, প্রত্নতত্ত্ববিদ, মাইক্রোবাইটা তত্ত্বের উদগাতা, সামাজিক -রাজনৈতিক - অর্থনৈতিক দর্শন ‘প্রাউট’ (প্রোগ্রেসিভ ইউটিলাইজেশন থিওরি বা প্রায়োগিক উপযোগ তত্ত্ব) এর উদগাতা,সংগীত গুরু এবং কো-অপারেটিভ ব্যাবস্থার নব রূপকার৷ প্রবীণ আনন্দমার্গী সম্মানীয় রঘুনাথ বেরা মহাশয় গুরুদেবের সাথে তার সাক্ষাতের নানান অভিজ্ঞতার কথা ভক্ত মন্ডলীর কাছে তুলে ধরেন৷ একই সঙ্গে তিনি গুরুদেবের দেওয়া কাঁথি অববাহিক অঞ্চলের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা সম্পর্কেও বিশদে আলোচনা করেন৷ গুরুদেবের দেওয়া স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিজ্ঞান সংক্রান্ত যৌগিক চিকিৎসা বিদ্যা ও দ্রব্য গুণে রোগাআরোগ্য বিষয়ে আলোকপাত করেন বিশিষ্ট মার্গী পূর্ণেন্দু খান্ডা৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বিশিষ্ট আনন্দমার্গী ও শিক্ষক বিদ্যাসাগর মাহাত৷

কাঁথিতে মেডিকেল ক্যাম্প

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ২০ শে মে কাঁথি ৩ নং ব্লকের কুমিরদা অঞ্চলে অবস্থিত আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘ, জ্যেঠাইবাড়ী ইউনিটের ব্যাবস্থাপনায় ও ভি এস এস, পূর্ব মেদিনীপুর ভূক্তির উদ্যোগে সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প আয়োজন করা হয়৷ উক্ত ক্যাম্পে চিকিৎসা করেন উত্তর আমেরিকার হাইতি দেশ থেকে আগত প্রখ্যাত জেনারেল ফিজিশিয়ান ডা. পরমেশ ,এম. ডি. মেডিসিন, শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আচার্য ইন্দুভূষন ও জেনারেল ফিজিশিয়ান ডা. সুব্রত পাল৷ এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা ভূক্তি প্রধান সুভাষ প্রকাশ পাল, ভি এস এস এর গ্লোবাল সেক্রেটারি আচার্য প্রভাসানন্দ অবধূত, আচার্য সুমিতানন্দ অবধূত, বিশিষ্ট আনন্দমার্গী ও শিক্ষক বিদ্যাসাগর মাহাত , দীপক জানা, ইউনিট সম্পাদক লক্ষণ বেরা ও স্থানীয় মার্গীগন৷

উক্ত ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্পে এলাকার দুইশতাধিক মানুষ বিদেশ থেকে আগত চিকিৎসকগণের অভিনব চিকিৎসা পদ্ধতি ও সযত্ন পরিষেবা গ্রহণ করে উপকৃত হন এবং সংস্থার এই মহতী উদ্যোগের ভূয়ষী প্রশংসা করেন৷

মাধবপুরে অখণ্ড কীর্ত্তন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

ঝাড়খণ্ডে বোড়ামব্লকের মাধবপুর গ্রামে বিশিষ্ঠ আনন্দমার্গী ধরণীধর মাহাতোর নবনির্মিত গৃহের প্রথম প্রবেশ অনুষ্ঠানে গত ২৬শে মে সকাল ৯টা থেকে অপরাহ্ণ ৩টা পর্যন্ত অখণ্ড ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ কীর্ত্তন পরিবেশিত হয়৷ কীর্ত্তন ও মিলিত ঈশ্বর প্রণিধানের পর আনন্দমার্গ আদর্শ ও সমাজ শাস্ত্র বিষয়ে বক্তব্য রাখেন আচার্য কৃষ্ণস্বরূপানন্দ অবধূত৷ তিনিই গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন৷