সংবাদ দর্পণ

প্রতিশ্রুতির বহর আছে---অর্থের হদিশ নেই রামভরসার বাজেটে উপেক্ষিত মধ্যবিত্ত

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

অর্থমন্ত্রী বাজেট বত্তৃণতা দিলেন প্রায় এক ঘন্টা, বাজেটের কথা ছিল মাত্র ছয় মিনিট, বাকি সময় নিজের দলের দশবছরের সাফল্যের ঢাক পিটিয়ে গেলেন, যার অনেকটাই অসার৷

বাজেটের ছয় মিনিটের সারকথা---উন্নয়নের যাবতীয় পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে ২০৪৭ সালের দিকে তাকিয়ে --- এমনটাই জানালেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন৷ অর্থমন্ত্রীর কথায় এই বাজেট ভবিষ্যতের স্বপ্ণ দেখার বাজেট৷

২০১৪ সালে আচ্ছা দিনের স্বপ্ণ ফেরি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী, বছরে দুকোটি চাকরী, সীমান্তে সন্ত্রাস বন্ধ, কালো টাকা উদ্ধার, শূন্য একাউন্টে ১৫ লক্ষ সবই এখনও অধরা৷ আর্থিক বৃদ্ধির লক্ষ্যের কথা ফলাও করে প্রচার করলেও গরীব মধ্যবিত্তের আর্থিক দুর্দশা দূর করার কোন পথ দেখাননি৷ গত দশ বছরে মোদি জমানায় বেকারত্ব, কর্মসংস্থান, মূল্যবৃদ্ধি সবই আগের নজীরকে ছাড়িয়ে গেছে৷ অর্থমন্ত্রীর সাফল্যের ঢাক পেটানো বাজেট-কথায় এসব নিয়ে কোন উচ্চবাচ্য ছিল না৷

করোনার সময় কাল থেকে মধ্যবিত্তের আয় কমেছে, ধনকুবের ও উচ্চবৃত্তের আয় কয়েকগুন করে বেড়েছে৷ দুয়ের গড় কষে সাধারণের আয় বৃদ্ধি দেখানো হয়েছে, এখানেও ফাঁকি৷ আসলে রাম মন্দিরে আস্থা রেখে ভোটের বাজেটে গরীব মধ্যবিত্তকে উপেক্ষাই করেছে৷

ভোটের সামনে স্বল্প সময়ের অন্তবর্ত্তী বাজেটে সাধারণত সংখ্যা গরিষ্ঠ সাধারণ মানুষকে কিছু পাইয়ে দেওয়া হয়৷ মোদি সরকারের আশা দেশের সাধারণ মানুষ বিশেষ করে গো-বলয়ের মানুষ রাম নামেই বোট দেবে, বাজেট নিয়ে মাথা ঘামাবে না৷

প্রবীন প্রাউট-তাত্ত্বিক শ্রী প্রভাত খাঁ আক্ষেপ করে বলেন স্বাধীনতার ৭৬ বছর পরও দেশের জনসংখ্যার বৃহত্তর অংশ সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনীতি বিষয়ে অজ্ঞ, তাই ধনকুবেরদের নিয়ন্ত্রিত সরকার এই বাজেট পেস করতে সাহস পেয়েছে৷ আজ পর্যন্ত কোন সরকারই জনবহুল এই দেশে বিশাল জনগোষ্ঠীর দৈহিক মানসিক ও আধ্যাত্মিক সামর্থ্যের সদ্‌ব্যবহার করে দেশের সার্বিক উন্নয়নের কোন চেষ্টাই করেনি৷ ধনিক শ্রেণী নানা জাত, পাত, সম্প্রদায় বর্ণ ইত্যাদি বিভাজন সৃষ্টি করে মানুষকে অবদমিত করে রাখার চেষ্টা করে৷

শ্রীখাঁ বলেন প্রাউটের সামাজিক অর্থনৈতিক পরিকল্পনায় মানুষের দৈহিক মানসিক ও আধ্যাত্মিক সম্পদের সর্বাধিক উপযোগের কথা বলা হয়েছে৷ প্রাউট সমাজে সবরকম শোষণ বন্ধ করার পক্ষে৷ কিন্তু পুঁজিবাদ নিয়ন্ত্রিত কোন রাজনৈতিক দলের পক্ষে এই শোষণ বন্ধ করা সম্ভব নয়৷ আজ যারা বাজেটের বিরুদ্ধে তারাও একদিন ক্ষমতায় থেকে এমনটা করেছে৷ ৭৬ বছর ধরে দেশে এই রাজনীতি চলছে৷ একমাত্র প্রাউটের বাস্তবায়ন ছাড়া মানুষের মুক্তি নেই৷

 

আন্তর্জাতিক আলোচনা সভা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

স্কুল অফ বৈদিক স্টাডিজ, রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা ও আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের বুদ্ধিজীবী সংস্থা রেনেসাঁ ইউনিবার্সাল ও রেনেসাঁ শিল্পী ও লেখক সমিতি, ‘বৈদিক ঐতিহ্য’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সেমিনারের আয়োজন করেছে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ বৈদিক স্টাডিজের সেমিনার হলে ৩০ ও ৩১শে জানুয়ারি,২০২৪৷ বৈদিক মঙ্গলাচরণ ও প্রভাত সংগীতের মধ্য দিয়ে সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়৷ সেমিনারের উদ্বোধন করেন উপাচার্য শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়, যিনি উদ্বোধনী অধিবেশনের প্রধান অতিথি ছিলেন৷ স্বাগত বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ভাস্করনাথ ভট্টাচার্য ও সেমিনারের আহ্বায়ক৷ মূল বক্তব্য রাখেন ড. বিশ্বজিৎ ভৌমিক, সিনিয়র আঞ্চলিক পরিচালক, ইন্দিরা গান্ধী জাতীয় উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, আগরতলা, ত্রিপুরা৷ উদ্বোধনী অধিবেশনে সম্মানিত অতিথি ছিলেন পদ্মভূষণ অধ্যাপক কপিল কাপুর,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক সাইফুল আহমেদ৷

প্রথম একাডেমিক সেশন ছিল বেদ ও শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী ও দ্বিতীয়টি ছিল ব্যাকারণগত ঐতিহ্য ও শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী৷ প্রথম একাডেমিক সেশনে প্রফেসর রাজকুমার মোদক, দর্শন বিভাগ,সিধু-কানু-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়, পুরুলিয়া, প্রফেসর অমল কুমার মন্ডল, সংস্কৃত বিভাগ, রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, প্রফেসর অয়ন ভট্টাচার্য, বারাসত স্টেট ইউনিভার্সিটি, পশ্চিমবঙ্গ৷ এবং প্রফেসর অনিল প্রতাপ গিরি, সংস্কৃত বিভাগ, এলাহাবাদ৷ সকলেই শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ভাষা বিজ্ঞানের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন৷ সেশনে সভাপতিত্ব করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের অধ্যাপক সত্যজিৎ লায়েক৷

দুই দিনের এই সম্মেলনে বিভিন্ন উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যাপকরা উপস্থিত থেকে ভারতীয় দর্শন শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী, নব্যমানবতা ও শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী, ভারতীয় নন্দনতত্ত্ব ও শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করেন৷

বৈদিক ঐতিহ্য ও শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী আধুনিক দর্শনের পরিপ্রেক্ষিতে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সেমিনার সমাপনী অধিবেশনের মাধ্যমে শেষ হয়৷ সমাপ্ত ভাষণটি দেন প্রফেসর গোপালচন্দ্র মিশ্র, (প্রাক্তন ভাইস-চ্যান্সেলর, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় মালদা) যিনি ৩১ জানুয়ারি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ বৈদিক স্টাডিজের প্রাক্তন পরিচালক অধ্যাপক নবনারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে ছিলেন৷ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন প্রফেসর ভাস্করনাথ ভট্টাচার্য, পরিচালক, স্কুল অফ বৈদিক স্টাডিজ, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ও সেমিনারের আহ্বায়ক৷ এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেন কেন্দ্রীয় জনসংযোগ সচিব আচার্য দিব্যচেতনানন্দ অবধূত৷

আনন্দমার্গে চর্যাচর্য বিধিতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ২৪শে জানুয়ারী নদীয়া জেলার চাপড়ার বিশিষ্ট আনন্দমার্গী পারুলবালা বড়াল পরলোক গমন করেন৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর৷ তিনি অত্যন্ত ভক্তিমতি ও নিষ্ঠাবান আনন্দমার্গী ছিলেন৷ গত ২৯শে জানুয়ারী পারুলবালা বড়ালের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান আনন্দমার্গীবিধিতে অনুষ্ঠিত হয় উত্তর কলিকাতা টালাপার্ক নিবাসী পারুলবালার কন্যা অঞ্জু সরকার ও জামাতা মনোজ সরকারের বাসগৃহে৷ অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রভাত সঙ্গীত ও ৰাৰা নাম কেবলম্‌ কীর্ত্তন পরিবেশন করেন অবধূতিকা আনন্দ অভিষা আচার্যা৷ শ্রাদ্ধানুষ্ঠান পরিচালনা করেন অবধূতিকা আনন্দ অভিষা আচার্যা৷ উপস্থিত ছিলেন আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত ও পারুলবালা বড়ালের কন্যা, জামাতা ও আত্মীয়-স্বজন৷ শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের শেষে উপস্থিত সকলে পারুলবালা বড়ালের স্মৃতিচারণা করেন৷

অখণ্ড নাম সংকীর্ত্তন ও শিশুর নামকরণ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

৭ই জানুয়ারী’২৪ এই প্রথম কল্যাণপুর গ্রামে শ্রীমতী শিখা মাহাতোর বাসভবনে শ্রীপিন্দ্রনাথ মাহাতোর ব্যবস্থাপনায় মানসিক শান্তির জন্যে ৬ঘণ্টা অখণ্ড ‘‘বাবা নাম কেবলম নাম সংকীর্ত্তন, মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান, স্বাধ্যায় ও নারায়ণ সেবার আয়োজন করা হয়৷

 আর আজকের দিনেই জিওদারু গ্রাম নিবাসী ভাস্কর ও সুজাতা মাহাতোর প্রথম কন্যা সন্তানের আনন্দমার্গ চর্যাচর্য বিধানুযায়ী নাম করণ ও এই উপলক্ষ্যে তিন ঘণ্টা অখণ্ড ‘‘বাবা নাম কেবলম নাম সংকীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ নবাগতা শিশুর নাম রাখা হয় ‘‘চয়নিকা’’৷

নদীয়া জেলার এলাঙ্গী গ্রামে কীর্ত্তন অনুষ্ঠান

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ২৬শে জানুয়ারী ২৪ শুক্রবার নদীয়া জেলার ভুক্তি কমিটির সদস্যবৃন্দ সহ বিভিন্ন ব্লক থেকে আগত শতাধিক ভক্তের উপস্থিতিতে নদীয়া জেলার অন্তর্গত বাংলাদেশ সীমান্তে এলাঙ্গী গ্রামে নদীয়া জেলার ভূক্তি প্রধান ডাঃ বৃন্দাবন বিশ্বাস ও শ্রীমতী কল্পনা বিশ্বাস এর বাসগৃহে সকাল ১০টা থেকে ১ টা পর্যন্ত তিন ঘন্টা ব্যাপী মানব মুক্তির মহমন্ত্র ‘‘বাবা নাম্‌ কেবলম্‌’’ অখন্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তন পরিচালনা করেন ডাঃবৃন্দাবন বিশ্বাস,কাজল সরকার, কাকলী মন্ডল,অনুপ্রিয়া দেব, ব্রহ্মচারিণী শুদ্ধা আচার্যা প্রমুখ৷ কীর্ত্তন শেষে মিলিত সাধনা,গুরুপুজা হয়৷ স্বাধ্যায় করেন---মনোতোষ মজুমদার৷ কীর্ত্তনের মধুরানন্দে গ্রামের দূর-দুরাস্ত থেকে বহু ভক্ত কীর্ত্তন অঙ্গনে উপস্থিত হন৷ কীর্ত্তন মহিমা বিষয়ের ওপর মূল্যবান আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন-- কৃষ্ণনগর ডায়োসিস সেক্রেটারী আচার্য সৌম্য সুন্দরানন্দ অবধূত, বিশিষ্ট শিক্ষাব্রতী ও প্রাবন্ধিক শ্রীমনোরঞ্জন বিশ্বাস ও কৃষ্ণনগর আনন্দমার্গ স্কুলের অধ্যক্ষা তথা কৃষ্ণনগর ডিট সেক্রেটারী (এল) ব্রহ্মচারিণী শুদ্ধা আচার্যা প্রমুখ৷ অনুষ্ঠান শেষে রাত্রি ১১টা পর্যন্ত সাড়া গ্রামের বহু ভক্তকে নারায়ণ সেবায় আপ্যায়ীত করেন শ্রীবৃন্দাবন বিশ্বাস ও.শ্রীমতী কল্পনা বিশ্বাস ও তাঁদের পুত্র শ্রীমান ছন্দক বিশ্বাস৷ এ ছাড়া নারায়ণ সেবায় একটি বড় ভূমিকা ছিল কৃষ্ণনগর ইউনিট সেক্রেটারী শ্রী আনন্দ বিশ্বাস মহাশয়ের৷

নীলকন্ঠ দিবসের শপথ–শোষণ ও দুর্নীতির বিষমুক্ত সমাজ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

পৃথিবীর ইতিহাসে দেখা গেছে, যখনই কোনো মহাপুরুষ প্রচলিত ধর্মীয় কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাসের বিরোধিতা করেছেন, সামাজিক–র্থনৈতিক নানান শোষণ ও অবিচারের প্রতিবাদ করেছেন, শোষণমুক্ত সমাজের আদর্শ তুলে ধরেছেন, তখনই তাঁর বিরুদ্ধে শোষকশ্রেণী বা কায়েমী স্বার্থবাদী গোষ্ঠী ও তাদের স্তাবকরা নানা ভাবে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে, এমন কি তাঁদের পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্যে নানান্ভাবে চেষ্টা চালিয়েছে৷

তাই সক্রেটিসকে হেমলগ বিষ পান করানো হয়েছিল, যীশুখৃষ্টকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল–এমনি অজস্র উদাহরণ ইতিহাসের পাতায় উজ্জ্বল হয়ে রয়েছে৷

শ্রীশ্রীআন্দমূর্ত্তিজীর ক্ষেত্রে তার ব্যতিক্রম হয় নি৷  শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী (যাঁর লৌকিক নাম শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার) ধর্মের ক্ষেত্রে সমস্ত প্রকারের কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাস, জাত–পাত–সম্প্রদায়–এ সমস্ত কিছুর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে আনন্দমার্গ নামে নোতুন ধর্মসাধনার পথনির্দেশ করেছেন, ঘোষণা করেছেন ‘সকল মানুষের ধর্ম এক, তার নাম মানবধর্ম’, ‘মানুষ মানুষ ভাই ভাই, উঁচু কিংবা নীচু নাই৷’ সামাজিক অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও সারা পৃথিবী জুড়ে–কি ধনতান্ত্রিক দেশগুলিতে–কি মার্ক্সবাদী দেশগুলিতে সর্বত্র মানুষের ওপর শোষণ চলেছে৷ সেক্ষেত্রে এই দুই সামাজিক–র্থনৈতিক ব্যবস্থার তীব্র সমালোচনা করে’–এই দু’য়ের অর্থনৈতিক কেন্দ্রীকরণ সহ অন্যান্য ত্রুটিগুলিতে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে তিনি নোতুন সামাজিক অর্থনৈতিক দর্শন–‘প্রাউট’ দিয়েছেন৷ তাই প্রাউটিষ্টরা সর্বত্র প্রচার করছে, ‘ধনতন্ত্র ভাতে মারে, আঁতে মারে কম্যুনিষ্ট, তাই তো মোরা প্রাউটিষ্ট’, ‘ধনতন্ত্র ও মার্ক্সবাদের গেল দিন, প্রাউট এল জেনে নিন’৷ এইভাবে ধর্ম, অর্থনীতি, রাষ্ট্রনীতি ও শিক্ষা–সংস্কৃতি–সর্বক্ষেত্রেই দোষত্রুটি তুলে ধরে তিনি মানুষের সামনে সর্বাত্মক শোষণমুক্ত সমাজ ঘটনের আদর্শ সামাজিক অর্থনৈতিক তত্ত্ব উপহার দিয়েছেন৷

এই কারণে একদিকে যেমন, ভারতের পুঁজিপতি গোষ্ঠী তাঁকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, ‘আপনি প্রাউটের প্রচার করবেন না, তাহলে আপনার ধর্মীয় ও সমাজসেবামূলক কাজে যত অর্থ লাগবে, আমরা দেব৷’ শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ওঁদের প্রস্তাব ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে বলেছিলেন, বিশেষ করে ‘প্রাউটে’র জন্যেই তো আমি এসেছি৷ অন্যদিকে তাঁর ‘প্রাউট’ দর্শন বিশ্বের সর্বত্র প্রচার হতে শুরু করেছে, তখন কম্যুনিষ্ট দুনিয়ার কেন্দ্র রাশিয়ার কম্যুনিষ্ট প্রধানরা উপলব্ধি করে ‘প্রাউটে’র ব্যাপক প্রচারের মধ্যে তাদের মৃত্যুবাণ নিহিত রয়েছে, তখন তারা তাদের এদেশের এজেন্ট–কম্যুনিষ্ট পার্টিকে দিয়ে প্রথমে ১৯৬৭ সালের ৫ই মার্চ আনন্দমার্গের মূল আশ্রম আনন্দনগরকে হাজার হাজার ভাড়াটিয়া গুণ্ডা দিয়ে ঘিরে ফেলে চারিদিক থেকে আক্রমণ চালায়৷ তখন মার্গগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী এখানেই অবস্থান করতেন৷ সেসময় ওই গুণ্ডাদের আক্রমণ থেকে মার্গগুরুদেব ও আনন্দমার্গ আশ্রমকে রক্ষা করতে ৫জন সর্বত্যাগী সন্ন্যাসী প্রথমে এগিয়ে গিয়ে ওদের বোঝাতে চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু গুণ্ডাবাহিনী তাদের নৃশংশভাবে হত্যা করে৷ পরে তারা পিছু হটতে বাধ্য হয়৷ ১৯৭০ সালে মেদিনীপুর কোর্টে এই মামলার রায়ে মাননীয় বিচারপতি স্পষ্ট উল্লেখ করেছেন যে, কম্যুনিষ্ট নেতারা এই আক্রমণের ষড়যন্ত্রের পেছনে ছিল৷

এত করেও যখন শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী হত্যা করা গেল না ও আনন্দমার্গকে ধ্বংস করা গেল না, তখন তারা নূতন ভাবে ষড়যন্ত্র শুরু করে৷ তখন রাশিয়ার শাসকগোষ্ঠীর সঙ্গে ভারতের ইন্দিরা সরকারের গভীর আঁতাত ও বন্ধুত্ব ছিল৷ চীনে কম্যুনিষ্ট নেতারা এই সুযোগ নিতে ভুললো না৷ তারা ইন্দিরা গান্ধীকে বোঝাতে লাগল ‘আনন্দমার্গ ও আনন্দমূর্ত্তিজী’ অত্যন্ত বিপদজনক৷ তারপর তারা সুকৌশলে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে মার্গগুরুদেবকে ১৯৭১ সালের ২৯শে ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করাল৷ গ্রেপ্তার করার পর সিবিআই থেকে বলাও হয়েছিল, আপনি ‘প্রাউট’ প্রচার বন্ধ করে দিন, তাহলে আমরা আপনার ওপর থেকে সমস্ত মামলা প্রত্যাহার করে নেব৷ তখনও দৃপ্তকণ্ঠে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন৷ সরকার তখন তাঁকে পটনা বাঁকীপুর সেন্ড্রাল জেলে আটক করে রাখেন৷ মার্গগুরুদেবের অনমনীয় ভাবও তাঁকে মুক্ত করার জন্যে দেশব্যাপী আনন্দমার্গীদের আন্দোলন দেখে মদগর্বী সরকার গোপন সিদ্ধান্ত নিল, যেমন করে হোক, শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ধরা থেকেই সরিয়ে দিতে হবে৷ আর সেই ষড়যন্ত্রে ফলস্বরূপ ১৯৭৩ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারী জেলের ডাক্তারকে দিয়ে ওষুধের নাম করে তাঁর ওপর তীব্র বিষ প্রয়োগ করা হয়৷ এর অব্যবহিত পরে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান৷ পরদিন সকালে যখন তাঁর জ্ঞান ফিরে আসে তখন মাথায় অসহ্য যন্ত্রণা, মস্তিষ্কের অসাড়তা, দুচোখ দিয়ে অঝোরে অশ্রুপাত, সারা দেহে ব্যথা ও প্রচণ্ড দুর্বলতা দেখা দেয়৷ পরদিন দৃষ্টি শক্তি অত্যন্ত ক্ষীণ হয়ে যায়৷

ওষুধের নাম করে তাঁর ওপর যে বিষ প্রয়োগ করা হয়, তাতে আর কোনো সন্দেহ থাকে না৷ শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী লিখিত ভাবে এর বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবী করেন৷ কিন্তু সরকার বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবীতে বিন্দুমাত্র কর্ণপাত করেনি৷ তখন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন আইনমন্ত্রী শ্রী অমরপ্রসাদ চক্রবর্ত্তী ও শ্রী ভক্তিভূষণ মণ্ডলের নেতৃত্বে এক বেসরকারী তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়৷ ওই বেসরকারী তদন্ত কমিশন পটনায় গিয়ে বিভিন্ন তথ্য ও সাক্ষী প্রমাণের ভিত্তিতে রায় দেন, জেলের ভেতর শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ওপর প্রকৃতই মারাত্মক বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল৷ মার্গগুরুদেব সরকারীভাবে এই বিষ প্রয়োগের বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবীতে ১৯৭৩ সালের ১লা এপ্রিল থেকে অনির্দিষ্টকাল তিনি অনশন শুরু করেন৷  এই ঐতিহাসিক অনশন ১৯৭৮ সালের ২রা আগষ্ট পর্যন্ত–যেদিন হাইকোর্টের রায়ে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ার পর জেল থেকে বেরিয়ে এলেন–সেদিন পর্যন্ত অর্থাৎ ৫বছর ৪মাস ২দিন চলেছিল৷ ইতোপূর্বে তাঁর অনশন ভঙ্গের জন্যে শ্রীটলবিহারী বাজপেয়ী, শ্রীসমর গুহ প্রমুখ পার্লামেন্টের ৪ জন সদস্য ও দিল্লীর শাহী ইমাম আবদুল বুখারী পটনা বাঁকীপুর সেন্ড্রাল জেলে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী অনশন ভঙ্গের জন্যে অনুরোধ জানাতে গিয়েছিলেন৷ মার্গগুরুদেব তাঁদের জানান, তিনি ধর্ম ও আদর্শের জন্যে লড়াই করছেন৷ তাঁর জীবনের চেয়ে আদর্শ বড়৷ তাই তিনি অনশন ত্যাগ করবেন না৷  পটনা জেলে মার্গগুরুদেবের ওপর নির্যাতন ও তাঁকে হত্যা করা চেষ্টার প্রতিবাদে ভারতে আচার্য্য দিব্যানন্দ অবধূত, আচার্য্য দীনেশ্বরানন্দ অবধূত ও আচার্য্য অতুলানন্দ অবধূত নিজেরাই গায়ে পেট্রোল ঢ়েলে তাতে অগ্ণিসংযোগ করে আত্মাহূতি দেন৷ ভারতের বাইরেও ৫জন আত্মাহুতি দেন৷ কিন্তু সরকার ওই বিষপ্রয়োগের বিচার–বিভাগীয় তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দেওয়ার কোনো ব্যবস্থাই করলো না৷

এর মধ্যে ১৯৭৫ সালে কেন্দ্রীয় সরকার দেশে জরুরী অবস্থা জারী করে আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘ ও এর সমস্ত শাখা সংঘটনগুলিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে আনন্দমার্গকে নিশ্চিহ্ণ করার চেষ্টা করেছিল৷ পরে ১৯৭৭ সালে ইন্দিরা গান্ধী নির্বাচনে পরাজিত হলে আনন্দমার্গের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যায়৷ এর আগেই বলা হয়েছে ১৯৭৮ সালের ২রা আগষ্ট পটনা উচ্চ আদালতের রায়ে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী সম্পূর্ণ নির্দোষ প্রমাণিত হন ও যথারীতি কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করেন৷ সত্যের ও ধর্মের জয় হয়৷

ইতোপূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে মার্গগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ১৯৭৩ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারী কারান্তরালে হত্যা করার জন্যে তাঁর ওপর তীব্র বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল৷ যদিও তাঁর শরীরে এই মারাত্মক বিষের প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই বিষকে তিনি আত্মস্থ করে নেন ও তাঁকে হত্যা করার যে চক্রান্ত তা ব্যর্থ হয়৷

তার পরের বছর থেকে প্রতি বৎসরই সারা বিশ্বের আনন্দমার্গীরা এই ১২ই ফেব্রুয়ারীর দিনটিকে ‘নীলকণ্ঠ দিবস’ হিসেবে উদযাপন করে আসছেন৷ পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে সমুদ্রমন্থনের ফলে উত্থিত ভয়ঙ্কর বিষের প্রতিক্রিয়া থেকে জগৎকে বাঁচানোর জন্যে শিব যেমন এই মারাত্মক বিষকে পান করে ‘নীলকণ্ঠ’ হয়েছিলেন, মার্গগুরদেবও তেমনি পাপশক্তির প্রয়োগ করা মারাত্মক বিষকে আত্মস্থ করে নিয়েছিলেন৷ এইভাবে তিনি পাপশক্তির ষড়রন্ত্র ব্যর্থ করে মানবতার বিজয়রথকে এগিয়ে নিয়ে চলেছিলেন৷ এই ‘নীলকণ্ঠ দিবস’ স্মরণ করিয়ে দেয় মার্গগুরুদেব বিশ্বমানবতার কল্যাণে কীভাবে কষ্টবরণ করেছেন, কীভাবে তাঁর প্রতি পাপশক্তি ষড়যন্ত্র করেছে ও কীভাবে শেষ পর্যন্ত সত্যের জয় হয়৷

 যে মহান আদর্শের জন্যে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী এইভাবে কারান্তরালে চরম নির্যাতন সহ্য করেছিলেন, সেই আদর্শকে বাস্তবায়িত করে’ নিপীড়িত মানবতাকে শোষকশ্রেণীর অক্টোপাশের বন্ধন থেকে মুক্ত করার মহান সংকল্পকে বার বার স্মরণ করার জন্যেই এই নীলকণ্ঠ দিবসের উদ্যাপন৷ অত্যাচারী শাসকের ঔষধরূপি বিষ যেমন শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী হজম করেছেন তেমনি তাঁর মহান আদর্শ মানব সমাজ থেকে সর্বপ্রকার শোষণ অবদমন নিপীড়নের বিষ মুক্ত করে নোতুন পৃথিবী গড়ে তুলবেই৷

মেধান্বেষন ও বৃত্তি পরীক্ষা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

৩রা মার্চ,২৪ আনন্দনগর ডায়োসিসের তথা জয়পুর ও কৌটশিলা থানার যতসব পঞ্চম  ও নবম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রাদের আমন্ত্রণ জানানো যাচ্ছে যে ‘স্বর্গীয় শম্ভুনারায়ণ রায়’ স্মৃতি মেধান্বেষণ বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আনন্দমার্গ হাইস্কুলে সময় দুপুর ১২টায়৷ উত্তির্ণ পঞ্চম শ্রেণীর প্রথম কুড়িজনকে ও নবম শ্রেণীর প্রথম দশ জনকে প্রত্যেককে দুহাজার ও তিন হাজার টাকা ও শংসাপত্র প্রদান করা হবে৷ পরিচালনায় আনন্দমার্গ গুরুকুল, আনন্দনগর৷

পারিবারিক সকলকে নিয়ে আনন্দনগর ভ্রমণ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

হুগলী জেলার মগরার আদর্শ-মার্গী স্বর্গীয় গোবিন্দ প্রসাদ পালের তিন কন্যার পরিবারের সকলেই ২৬---২৯শে জানুয়ারী’২৪ আনন্দনগর ভ্রমণে আসেন৷ আনন্দনগরের দর্শনীয় স্থান ও সেবামূলক প্রকল্পগুলি যথা বাবা মেমোরিয়াল ও জল সংরক্ষণ প্রকল্প (ড্যাম),পসকা (পরিবেশ সংবর্দন কানন), রোটাণ্ডা(অডিটোরিয়াম হল), তন্ত্রপীঠ, কপিল গুহা, অস্থিহিল ও ডায়নোসরের ফসিল, বাঁশগড়ের  মালটা-মোসাম্বির বাগান, আপেল-নাশপাতি-ব্রেড ফ্রুটের গাছ, আভা সেবা সদন চিকিৎসা কেন্দ্র, উমা নিবাসের গার্ল হোম ও মহিলা বিভাগের অন্যান্য সেবা মূলক প্রকল্প ও মধ্য আনন্দনগরের শিশু সদন পরিদর্শন করেন৷ শিশু সদনের ছেলেদের স্কুল ব্যাগ বিতরণ করেন৷

আনন্দমার্গ হাইস্কুলে বিবেকানন্দ জন্মজয়ন্তী উদযাপন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

১২ই জানুয়ারী’২৪ আনন্দমার্গ হাইস্কুল, আনন্দনগরে স্বামী বিবেকানন্দের ১৬০ তম জন্মজয়ন্তী কবিতা, সঙ্গীত, গল্প, বক্তব্য ও ছেলেদের সায়েন্স ওলম্পিয়াড পরীক্ষার শংসাপত্র বিতরণের মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হয়েছে৷ শেষে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আচার্য প্রজ্ঞানানন্দ অবধূত ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন৷

কাঁথিতে তিন ঘন্টা ব্যাপী বাবা নাম কেবলম’ কীর্ত্তন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

কাঁথি, ২৩ শে জানুয়ারী, কাঁথি ইউনিটের বিশিষ্ট আনন্দমার্গী তথা কাঁথি ইউনিটের সম্পাদক সম্মানীয় শুভেন্দু ঘোষ মহাশয়ের ব্যবস্থাপনায় আজ মনোহরচকস্থিত তার নিজ বাসভবনে তিন ঘন্টা ব্যাপী অখন্ড বাবা নাম কেবলম অষ্টাক্ষরী সিদ্ধ মন্ত্র কীর্ত্তন ‘‘বাবা নাম কেবলম’’ পরিবেশিত হয়৷ কীর্ত্তন পরিবেশন করেন বিশিষ্ট আনন্দমার্গী ভজহরি বর্মন, শুভেন্দু ঘোষ, শুদ্ধসত্ব মাহাত, কাকলী জানা, দীনেশ প্রধান, সোমা সিন্‌হা, বিদ্যাসাগর মাহাত, পূর্ণেন্দু খান্ডা প্রমূখ৷ কীর্ত্তনান্তে মিলিত ঈশ্বরপ্রণিধান (সাধনা), গুরু পূজা, স্বাধ্যায় ও আধ্যাত্মিক আলোচনা হয়৷ আধ্যাত্মিক আলোচনায় বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় কীর্ত্তন এর প্রাসঙ্গিকতা ও অষ্টাদশ পুরাণের রচনাকার মহর্ষি বেদব্যাস  বিকালতাদোষ প্রাপ্ত হয়ে অরূপ ঈশ্বরকে রূপে কল্পনা করেছেন, সর্বব্যাপনশীলতাকে তীর্থের মধ্যে বেঁধে সংকুচিত করেছেন ও অনির্বচনীয়তাকে স্তুতির মধ্যে এনে খর্ব করেছেন৷ এর জন্যে তিনি যে শ্লোকে ঈশ্বরের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন তা উপস্থিত ভক্তমন্ডলীর কাছে ব্যাখ্যা করা হয়৷’

রূপং রূপবিবর্জিতস্য ভবতো যদ্ধ্যানেন কল্পিতম্‌

স্‌তুত্যাহনির্বচনীয়্ অখিলগুরো দূরীকৃতা যন্ময়া৷

ব্যাপিত্বং চ নিরাকৃত্যং যৎ তীর্থযাত্রাদিনা৷

ক্ষন্তব্যং জগদীশো তদ্বি কলতাদোষত্রয়ং মৎকৃতম্‌