সংবাদ দর্পণ

বয়লাশোল গ্রামে ২৪ঘণ্টা ব্যাপী ‘বাবা নাম কেবলম’ কীর্ত্তন ও বৃক্ষরোপণ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

মেদিনীপুর সদর ব্লকের অন্তর্গত বয়লাশোল গ্রামে ২৪ঘণ্টা ব্যাপী ‘বাবা নাম কেবলম’ কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হ’ল ২২ ও ২৩ শে জুন৷ গ্রামবাসী ও স্থানীয় আনন্দ মার্গীগণের উদ্যোগে সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে এই কীর্ত্তন অনুষ্ঠান৷ কীর্ত্তন শেষে ঈশ্বর প্রণিধান ও স্বাধ্যায় পাঠ করা হয়৷ কীর্ত্তন প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখেন ডায়োসিস সচিব আচার্য কৃষ্ণনাথানন্দ অবধূত, শ্রী রঞ্জিত কুমার ঘোষ, শ্রী রমেন্দ্রনাথ মাইতি, শ্রী শুভাশীষ সাহু৷ ছোট্ট সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন করেন ধৃতি পাল, বৃহস্পতি দেব সিংহ ও আচার্য কৃষ্ণনাথানন্দ অবধূত৷ কীর্ত্তন চলাকালীন প্রতীকি দুটি আমগাছের চারা রোপণ করেন প্রবীণ আনন্দ মার্গী শ্রী রবীন্দ্রনাথ বেরা৷ তিনি বৃক্ষরোপণে গ্রামবাসী গণকে উৎসাহিত করার জন্য দশটি ভালো জাতের আম গাছের চারা প্রদান করেন৷ তিনি কথা দিয়ে এসেছেন আরও দশটি জামরুল গাছের চারা দেবেন৷ গ্রামে জাগৃতি তৈরীর জন্যও রবীন্দ্রনাথ বাবু উদ্যোগ নিতে বলেন স্থানীয় মার্গী ভাই বোনেদের৷ তিনি এ ব্যাপারেও তাদের পাশে থাকবেন বলে জানিয়েছেন৷ আশা করা যাচ্ছে আগামী শ্রাবণী পূর্ণিমার দিন থেকে কাজ শুরু হবে৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি আয়োজন ও পরিচালনা করেন রাজীব প্রতিহার,বিল্বদল মাইতি, তাপস বেরা, বাহাদুর প্রতিহার, শিউলি নায়েক প্রতিহার সহ গ্রামবাসীগণ৷

সকলের জন্যে কম্পিউটার ট্রেনিং

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

১লা জুলাই’২৪ গ্রামের ছেলেমেয়েদের বর্তমান সময়ের সঙ্গে তালমিলিয়ে চলতে গেলে কম্পিউটার শিক্ষা অতি আবশ্যক৷ সেই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে আনন্দনগর আনন্দমার্গ কলেজের পরিচালনায় ৬০জন ছাত্রকে নিয়ে কম্পিউটার ট্রেনিং একাডেমির শুভারম্ভ হয়৷ খুব অল্প মূল্যে এখানে সবার ও সব বয়সের জন্যে কম্পিউটার ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে৷ প্রাথমিক কম্পিউটার সিটা, ডিটা, ইণ্টারনেট, হার্ডওয়্যারের ও সফটওয়্যার, টেলি, ফটোশপ, ডিটিপি ইত্যাদি শেখানো হবে৷

 

আনন্দনগর পোষ্ট অফিসের ইতিকথা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

১৯৬২ সালের আগষ্ট মাসে জমি দানে পাওয়ার পর ১৯৬৩ সালের মার্চ মাসে আনন্দনগরে প্রথম প্রাইমারী স্কুল স্থাপিত হয়৷ ১৯৬৪ সালের ১লা জানুয়ারী হাইস্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়৷ তখন আনন্দনগরের পনের কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে কোন হাইস্কুল ছিলনা৷ আনন্দনগরের স্থানীয় সর্বসাধারণের চিঠিপত্রের মাধ্যমে আদানপ্রদান ও যোগাযোগ সুবিধার জন্যে পোষ্ট অফিস স্থাপনের ব্যাপারে ভারতীয় ডাক বিভাগের সঙ্গে অনেক প্রয়াস করা হয়৷ ১৯৬৪ সালের জুন মাসে গড়জয়পুর পোষ্ট অফিসের অধীনে ‘অস্থায়ী বাগলতা শাখা পোষ্ট অফিস’ অনুমতি প্রাপ্ত ও স্থাপিত হয়৷ শুরুতে তখনকার ‘প্রেস ও বুক-বাইণ্ডিং’ কার্যালয় থেকে পরিচালিত হতো৷ অফিসের কাজকর্ম আমাদের মিশনের লোকেদের দ্বারাই করতে হতো৷ প্রথম ব্রাঞ্চ পোষ্ট মাষ্টার ছিলেন রামপ্রসাদজী৷ ১৯৬৬ সালের ২৩শে জুলাই আনন্দমার্গ ডিগ্রী কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়৷ কলেজ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর পোষ্ট অফিসও স্থানান্তরিত হয় কলেজ বিল্ডিংয়ে৷ পোষ্ট মাষ্টারের দায়িত্ব অর্পিত হলো বড়মেট্যালা গ্রামের অনন্ত গোপের উপর৷ তারপর পোষ্ট মাষ্টারের দায়িত্ব পালন করেন যথাক্রমে পুনন্দাগের সুনীল অধিকারী, শালগ্রামের গোবিন্দ মাহাত ও কপিল মাহাত৷ ২০০২ সালে কলেজ বিল্ডিং থেকে মধুকর্ণিকা সরণির উপর অবস্থিত মিশনের সম্পূর্ণ আলাদা বাড়িতে স্থানান্তরিত হয়৷ পাশেই রয়েছে আনন্দমার্গ লাইব্রেরী ও তার পশ্চাতে রয়েছে প্রাইমারী স্কুল হোষ্টেল (সিংভূম হোষ্টেল নামে সমধিক পরিচিত- পূর্বতন সিংভূম জেলার মার্গীদের দ্বারা নির্মিত হয়েছিল)৷

২০০৩ সালের ৩১শে মার্চ সাব-পোষ্ট অফিসে রূপান্তরিত হয়৷ সাব-পোষ্ট অফিসে উন্নত হওয়ার ফলে সরাকারীভাবে সাব-পোষ্ট মাষ্টার নিয়োগ হলেন৷ লুঠপাট করার জন্যে দুষৃকতীরা কয়েক বার চেষ্টা করেছিল৷ সাব-পোষ্ট অফিসে উন্নতির ফলে পরিষেবা অনেক বেড়ে গেছে৷ লোক সংখ্যাও বেড়ে গেছে৷ কিন্তু সেই তুলনায় কর্মী সংখ্যা অনেক কম৷ পোষ্ট অফিসের কাজে এলে সাধারণের পানীয় জলের সমস্যা হচ্ছিল৷ বর্তমান শাসকদলের স্থানীয় নেতৃস্থানীয় ব্যষ্টি ডাক্তার শ্রী ধীরেন চন্দ্র মাহাতকে এই অসুবিধার কথা জানানো হয়৷ তাঁর শুভ উদ্যেগে ও তৎপরতার সঙ্গে পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়৷

আমের চারা প্রদান

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

১০ই জুলাই’২৪ আনন্দনগর আনন্দমার্গ ফার্ম ডিপার্টমেন্ট বাঁশগড় শাখার অধিকর্তা আচার্য সুরেশানন্দ অবধূত বাঁশগড় ফার্মের নিকটবর্তী গ্রামের ৮০জন প্রান্তিক ও গরীবি রেখার নীচের পরিবারকে গ্রাফেড হিমসাগর আমের চারা প্রদান করেন৷

চিৎমু গ্রামে যোগ শিক্ষা শিবির

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

২১শে জুলাই’২৪ আনন্দনগর ‘সি’ ডিটের একদিবসীয় যোগ শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত হয় চিৎমু উপরপাড়া আনন্দমার্গ জাগৃতিতে৷ বৃহতের আকর্ষণ ও যোগ-সাধনার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন আচার্য দীপাঞ্জনানন্দ অবধূত৷

আচার্য কীর্ত্যানন্দ অবধূত গ্রামীণ ফুটবল লীগ শুরু

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা স্কুল, কোচিং, মোবাইল ব্যতিরেকে খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ ও আকর্ষণ হারিয়ে যাচ্ছে বা গেছে বললে তেমন ভুল হবেনা৷ অনেক ক্ষেত্রেই যুবসমাজকে ইদানিং দেখা যায় অ্যালকোহলের প্রতি অত্যধিক আকর্ষিত ও অসামাজিক কাজে লিপ্ত হতে৷ সামাজিক এই অবক্ষয় থেকে যুবসমাজকে রক্ষা করতেSSAC-আনন্দনগর গ্রামের ছেলেমেয়েদের খেলাধুলার মাধ্যমে তাদের সুপ্ত প্রতিভাকে জাগিয়ে তুলতে বিবিধ পরিকল্পনা নিয়েছে৷ প্রতিবছর শিশু বয়স থেকে প্রাপ্ত বয়স্ক পর্যন্ত ফুটবল টুর্নামেন্ট ও লীগ খেলার আয়োজন করে থাকে৷ এরমাধ্যমে প্রতিভা সম্পন্ন ছেলে ও মেয়েদের চিহ্ণিত করা হয়৷ প্রতিভা সম্পন্নদের বিশেষ সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হয় যাতে ভবিষ্যতে সমাজের অমূল্য সম্পদে পরিণত হয়৷

এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে গত ২০শে জুলাই’২৪ থেকে আনন্দনগরে আচার্য কীর্ত্যানন্দ অবধূত গ্রামীণ ফুটবল লীগ শুরু হয়েছে৷ মোট দশটি দল লীগ খেলায় অংশগ্রহণ করছে৷ ৪ঠা আগষ্ট’২৪ গ্রুপের ফাইনাল ম্যাচ সম্পূর্ণ হবে৷ তারপর এই লীগের নক আউট কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ম্যাচের সূচী দেওয়া হবে৷

সিধি-জ্যেল্যাডি গ্রামে বার্ষিক নাম সংকীর্তন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

৭ই জুলাই’২৪ আনন্দনগরের উত্তর প্রত্যন্তে সিধি-জ্যেল্যাডি গ্রাম আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের সিধি-জ্যেল্যাডি শাখায় বার্ষিক ১২ঘণ্টা অখণ্ড বাবা নাম কেবলমনাম-সংকীর্তন, মিলিত ঈশ্বর-প্রণিধান, বর্ণার্ঘ্যদান, স্বাধ্যায়, তত্ত্বসভা ও নারায়ণ সেবার আয়োজন করা হয়৷

আনন্দনগরে ফল ও ফুল

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

আনন্দনগরের কানন ও বাগানের উপর প্রকৃতির অপরিসীম কৃপা বর্ষিত হচ্ছে৷ সারা বছরজুড়ে এখানে বিভিন্ন ধরনের ফল ও ফুলের সুষমা ফুটে ওঠে৷ একই সাথে, পশু-পাখি, মৌমাছি ও অন্যান্য কীটপতঙ্গের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে৷ ফার্মে চাষ হচ্ছে ড্রাগন ফল, আর বাবা স্মৃতি সৌধের বাগানে ফুটেছে নানা রঙের মরশুমি ফুল৷

বৃক্ষরাজির প্রয়োজন নেই কিন্তু মানুষের জন্যে অপরিহার্য

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

পৃথিবীতে বৃক্ষ, তরুরাজি, লতাগুল্মকে বাঁচতে হলে মানুষের দরকার নেই৷ কিন্তু মানুষকে বাঁচতে হলে এদের অবশ্যই প্রয়োজন৷ কিন্তু সমাজের নেতৃস্থানীয় ব্যষ্টিবর্গ এই জিনিসটাকে কোন গুরুত্বই দিচ্ছে না৷ যার ফলে সমগ্র বিশ্ব উষ্ণায়নের কবলে৷ প্রাকৃতিক ভারসাম্য হারিয়েছে৷

আনন্দমূর্ত্তিজীর নির্দেশনায় আনন্দনগরে প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে তিনশতাধিক একর জমিতে সবুজায়ন করেছে৷ সাধারণ মানুষের আর্থিক স্বনির্ভর ও সুস্বাস্থ্যের লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রজাতির ফল ছাড়াও শ্বেতচন্দন, মেহগনি, শাল, সেগুন, গামার, শিশু ইত্যাদি মূল্যবান বৃক্ষ রোপন করা হয়৷ যে কেউ এলে আনন্দনগরের প্রাকৃতিক পরিবেশের পরিবর্তন অনুভব করতে পারবেন৷ প্রতিবছর নতুন অনুর্বর ও পতিত জমিতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ করে চলেছি৷ অভেদানন্দডিহি ও ভেঙ্কটেশ্বরানন্দডিহ্ পরিখা খনন কাজ চলছে৷

জেলা টাইকোণ্ডু প্রতিযোগিতায় আনন্দনগরের মেয়েরা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

১৪ই জুলাই’২৪ ৩০তম পুরুলিয়া জেলা টাইকোণ্ডু চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৪ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় মানভূম স্পোর্টস এসোসিয়েশন ইণ্ডোর ষ্টেডিয়ামে৷

প্রতিযোগিতায় আনন্দমার্গ মহিলা কলেজ, আনন্দনগর দ্বারা পরিচালিত টাইকোণ্ডু প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ১০জন প্রতিযোগী এই প্রথমবার অংশগ্রহণ করেছে৷ সকলেই সাব জুনিয়র গ্রুপের ছিল৷ পাঁচজন গোল্ড পেয়েছে ও পাঁচজন সিলভার পেয়েছে৷ গোল্ড পেয়েছে--- যথাক্রমে রেণু মাহাত, মৌমিতা সরেন, মমতা হেমব্রম, জাহ্ণবী মাহাত, রিয়াবালা কর্মকার৷ সিলভার পেয়েছেযথাক্রমে রাজশ্রী মাহাত, তনুশ্রী মাহাত, অর্পিতা কুমার, তৃপ্তি তন্তুবায়, পুষ্পা দাস৷ সকলেই আনন্দমার্গ গার্ল হাইস্কুলের ছাত্রা৷ উল্লেখনীয় যে ২০২৩সালের ১১ই মার্চ আনন্দমার্গ মহিলা কলেজ, উমানিবাস ক্যাম্পাসে কলেজ অধ্যক্ষা অবধূতিকা আনন্দ তপঃশিলা আচার্যার তত্ত্বাবধানে প্রথাগত টাইকোণ্ডু প্রশিক্ষণের আনুষ্ঠানিকভাবে শুভারম্ভ হয়৷ উদ্দেশ্য গ্রামের ও আনন্দমার্গ গার্ল চিল্ড্রেন্স হোমের মেয়েদের আত্মসুরক্ষা-আত্মবল অর্জন, সাহসী করা, সুরক্ষা ও প্রতিরক্ষা বিভাগে সরকারী-বেসরকারী কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে যাতে বিশেষ সুযোগ পায়৷ গত ১৬ই মার্চ’২৪ টাইকোণ্ডু পরীক্ষার মাধ্যমে সকলে ‘ইয়েলো বেল্টে’ উন্নীত হয়ে৷ প্রতি শনি ও রবিবার বিকেলে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন দক্ষ প্রশিক্ষকের দ্বারা নিয়মিত শিক্ষা প্রদান করা হয়৷

আনন্দমার্গ স্কুল, কলেজে ছাত্র-ছাত্রাদের লেখাপড়ার পাশাপাশি অঙ্কন, সঙ্গীত, খেলাধুলা, যোগাসন, মেডিটেশন, নৈতিক শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে সমাজে সুনাগরিক তৈরী করা হয়৷

পরিচালনায় ও ব্যবস্থাপনায়: বেঙ্গল টাইকোণ্ডু এসোসিয়েশন ও বেঙ্গল অলিম্পিক এসোসিয়েশন অনুমোদন প্রাপ্ত টাইকোণ্ডু এসোসিয়েশন পুরুলিয়া৷