জিডিপির পূর্বাভাস মেলেনি-আর্থিক বৃদ্ধি ১৫ মাসে সর্বনিম্ন
২০২৪-২৫ আর্থিক বর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিক পরিসংখ্যানে আর্থিক বৃদ্ধির যে পূর্বাভাস রিজার্ভ ব্যাঙ্ক দিয়েছিল, যা নিয়ে বিজেপি নেতা-মন্ত্রীরা আর্থিক বৃদ্ধির বড়াই করছিলেন তা যে অসার প্রথম ত্রৈমাসিক আর্থিক পরিসংখ্যান প্রকাশ করে কেন্দ্রই জানিয়ে দিল৷ গত পাঁচটি ত্রৈমাসিকে এটাই সর্বনিম্ন জিডিপি বৃদ্ধির হার৷ আগের ত্রৈমাসিকে আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল ৭.৮ শতাংশ ২০২৪-২৫-এর প্রথম তিন মাসে আর্থিক বৃদ্ধি ৭.২ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক৷ কিন্তু রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পূর্বাভাসকে ভুল প্রমান করে প্রথম ত্রৈমাসিকের আর্থিক বৃদ্ধি ৬.৭ শতাংশ৷
‘আমরা বাঙালী’ নেতা শ্রী তপোময় বিশ্বাস বলেন---জিডিপির সঙ্গে দেশের সার্বিক আর্থিক চিত্রের কোন সম্পর্ক নেই৷ জিডিপি বৃদ্ধির হার দেখিয়ে সরকার আর্থিক বিকাশের যে বড়াই করে তা দেশের সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা৷ আর্থিক বৃদ্ধির যে ত্রৈমাসিক পরিসংখ্যান সরকার প্রকাশ করে তা মুষ্টিমেয় ধনিক শ্রেণীর সঙ্গে সম্পর্কিত৷ সাধারণ মানুষ কি উৎপাদন করে কি খায় তা দেশের অর্থনীতিবিদরা জানেন না, হিসাবের মধ্যেও ধরে না৷
শ্রী বিশ্বাস বলেন পুঁজিবাদ নিয়ন্ত্রিত রাজনৈতিক গণতন্ত্রের দেশ ভারতবর্ষে আর্থিক পরিকল্পনা তৈরীই হয় শোষকের স্বার্থের দিকে তাকিয়ে৷ তাই অর্থনৈতিক বৈষম্য আকাশ-পাতাল৷ এই বৈষম্য দূর করার একমাত্র পথ পুঁজিবাদ নিয়ন্ত্রিত অর্থনৈতিক কাঠামো ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়ে প্রাউটের বিকেন্দ্রিত আর্থিক ব্যবস্থা রূপায়ন করতে হবে৷ আর্থিক ক্ষমতা থাকবে সাধারণ মানুষের হাতে৷ জীবন ধারণের সর্বনিম্ন প্রয়োজনপূর্ত্তির ক্রয়ক্ষমতা প্রতিটি মানুষকে দিতে হবে৷ যে দিন এটা সম্ভব হবে সেদিনই আর্থিক বিকাশের বড়াই করা শোভা পাবে৷