February 2018

বৈপ্লবিক বিবাহ

হাওড়া ঃ গত ২৬শে জানুয়ারী হাওড়া জেলার অন্তর্গত আমতা থানার খড়দহ নিবাসী প্রবীণ আনন্দমার্গী ভদ্রেশ্বর অধিকারীর পুত্র শ্রীমান অতীন অধিকারীর সঙ্গে আমতা সংলগ্ণ কুমারচক নিবাসী শ্রী মাধব মণ্ডলের কন্যা কল্যাণীয়া বনশ্রী মণ্ডলের আনন্দমার্গীয় প্রথায় শুভবিবাহ অনুষ্ঠিত হয়৷ উক্ত বিবাহের শুরুতে প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন করেন অবধূতিকা আনন্দ চিরমধুরা আচার্যা ও কীর্ত্তন পরিচালনা করেন অবধূতিকা আনন্দ রূপলীনা আচার্যা৷ কীর্ত্তন ও মিলিত সাধনার পর আনন্দমার্গের বৈপ্লবিক বিবাহ পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন আচার্য সুবিকাশানন্দ অবধূত৷ এই বিবাহ অনুষ্ঠানে পাত্রপক্ষে পৌরোহিত্য করেন আচার্য কাশীশ্বরান

উত্তর ২৪ পরগণায় সোদপুরের ঘোলাতে অখণ্ড কীর্ত্তন ও তত্ত্বসভা

উত্তর ২৪ পরগণা ঃ উত্তর ২৪ পরগণায় সোদপুরের ঘোলাতে শ্রী রঞ্জিত বসাক ও মিতা বসাকের উদ্যোগে তাঁর গৃহে গত ৪ঠা ফেব্রুয়ারী রবিবার সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত দেড় শতাধিক ভক্ত সহ আনন্দমার্গের অনুগামী, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও প্রতিবেশীর উপস্থিতিতে তিন ঘণ্টা ব্যাপী মানবমুক্তির মহামন্ত্র ‘বাবা নাম কেবলম্’ অখণ্ড সংকীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷

প্রভাত সঙ্গীত ও ‘বাবা নাম কেবলম্’ কীর্ত্তন পরিচালনা করেন আচার্য ভাবপ্রকাশানন্দ অবধূত, অবধূতিকা আনন্দ মধুচেতনা আচার্যা, অবধূতিকা আনন্দ মধুমালিকা আচার্যা, শ্রী হরলাল হাজারী, কালিপদ পোড়ে প্রমুখ৷

আনন্দনগরে চেক ড্যামের শিলান্যাস

ডিমডিহা চেকড্যামের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

আনন্দনগর (পুরুলিয়া) ঃ পুরুলিয়া জেলার আনন্দনগর এলাকার (জয়পুর ও ঝালদা ব্লকে) গ্রামগুলিতে প্রচণ্ড জলাভাব৷ পাহাড়ী ছোট ছোট জোড়ে (নদী) জল নেই বললেই চলে৷ খুবই শীর্ণ জলধারা৷ এ অবস্থায় পানীয় জল বা সেচের জলের জন্যে চরম সংকটে পড়তে হয় গ্রামবাসীদের৷

পরলোকে  নোতুন পৃথিবীর প্রাক্তন কর্মী চুড়ামণি বাগ

রানীহাটি, ৩রা ফেব্রুয়ারী ঃ চুড়ামণি বাগ যিনি ‘নোতুন পৃথিবী’ কার্য্যালয়ে প্রাক্তন কর্মী ছিলেন দীর্ঘ দিন ধরে রোগ ভোগের  পর  কুলাই গ্রামে নিজ বাসভবনে পরলোক গমন করেন৷ তিনি মৃত্যুকালে এক  পুত্র ও এক কন্যা রেখে যান৷ আনন্দমার্গীীয় বিধিতে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়৷ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য তিনি একসময় এই এলাকায়  একজন আনন্দমার্গের সক্রিয় কর্মী ছিলেন৷ তাঁর মৃত্যুতে এই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে৷

 

অর্ঘ্য

পথিক

মোর জীবনের আত্মা গো তুমি

                মানস-কুসুম মধুরতা

মম, মূর্ত্ত জীবনাদর্শ গো তুমি

                পরমারাধ্য ওগো পিতা৷

প্রাণের আগুনে তুমি তাপ প্রভু

                অন্তর-নীরে শীতলতা

হৃদি চন্দনে গন্ধ তুমি গো

                মানবদেহের মানবতা৷

কৌটায় ভরা সে প্রাণ-ভোমরা

                চুরি গেলে সেই রূপকথা রাক্ষসীর            

কিছুই রহে না আর

তুমি ছাড়া প্রভু তেমনই আমার

                থাকে না কিছুই বাকী

                শূন্য জীবনাধার৷

তাই,

মুক্তির বাসনায়.....

শ্রীমন

মন ছুটে যেতে চায়

                মুক্তির বাসনায়---

মুক্ত আকাশে ডানা মেলে ওড়া

পাখিদের মত৷

কিন্তু হাতছানি দেয়

                পিছুটান জগৎ সংসার৷

হে বন্ধন কেন ওরে,

                বাধা দিতেছিস মুক্তির দ্বারে......

ছুটে যেতে চায় মন---

প্রাণ চলে না, রজ্জু ছিঁড়ে

                মায়ার বন্ধন

মুক্তির বাসনাটা মনে থেকেই যায়---

                উড়তে থাকে হওয়ার ভীড়ে৷৷

মেঘ ভেসে ভেসে যায়

                বৃষ্টি হয়---

আবার অন্য কোথাও

                মেঘ ভেসে চলে ---

খন্ খন্ ঝন্ ঝন্

গম্ভীর শব্দের অর্থ হল জলের তলমাপক ভাব অর্থাৎ জলকে গম্ভীর বললে বুঝতে হবে সেটা অর্থই জল.... অনেকতলা পর্যন্ত সেই জল গেছে৷ যদিও শব্দটি আদিতে  জলপরিমাপক  হিসেবেই ব্যবহৃত হত কিন্তু পরবর্তীকালে বিভিন্ন ধরণের  অলঙ্কারে বিভিন্ন বস্তুর  তলমাপকতায় এর ব্যবহার হয়ে এসেছে৷ ভারী আবাজ, ভারী মনমেজাজ, ভারী চলন-বলন,  যার মধ্যে অনেক নীচ অবধি বা অনেক ভিতর পর্যন্ত মাপবার  প্রশ্ণ ওঠে তার জন্যে ‘গম্ভীর আবাজ হাসিবিহীন মুখকে লব গম্ভীর চলন৷ তবে মনে  রাখতে হবে মুখ্যতঃ এটি জলেরই  তলত্ব বা অতলত্বের  পরিমাপ৷

নীলকণ্ঠ

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

১২ই ফেব্রুয়ারী, ১৯৭৩, এসেছিল মহাপাতকী দুরাচারী

ত্রস্ত চরণে, নিঃশ্ছিদ্র নিভৃত কারাগারে, চিকিৎসক-বেশে

যেথা শয়ান বিশ্বনিয়ন্তা, অন্তর্যামী, সর্বসন্তাপহারী

ঔষধের অছিলায় বিষ করিল প্রয়োগ দুর্বৃত্ত প্রভুর নির্দেশে৷

সহসা কাঁপিল ধরিত্রী, দাবাগ্ণি শিখায় প্রজ্জ্বলিত অরণ্যানী

প্রচণ্ড রোষে গর্জিল জলধি, তরঙ্গোচ্ছাসে, রুদ্ররবি-তপ্ত তীরে

স্তম্ভিত সমগ্র প্রকৃতি, ধীর-স্থির সকল পাদপ-প্রাণী

বিনামেঘে অতর্কিতে ঝলকিত অশণি, বিষণ্ণ্ অম্বরে

ভাঙ্গিল ধ্যান আগ্ণেয়গিরি, উৎসারিত অনল-ফুটন্ত লাভাস্রোতে

গগন-পবন পরিব্যাপ্ত আকস্মিক এক অজানা আশঙ্কায়

ভলিতে সেরা বাংলার মেয়েরা

কেন্দ্রীয় সরকারের খেল ইন্ডিয়া অনুধর্ব-১৭ স্কুল গেমস প্রতিযোগিতায় ভলিবলে চ্যাম্পিয়ন হল বাংলার মেয়েরা৷ গোটা প্রতিযোগিতায় মাত্র  একটি  সেট হেরেছিল  বাংলার মেয়েরা৷ সেটা সেমিফাইনালে৷  এছাড়া গ্রুপ লিগ থেকে ফাইনালে  সবেতেই  স্ট্রেট সেটে বাজিমাত করেছিল দেবাংশী তেওয়ারি, তিথি ধাড়া, দিশা ঘোষেরা৷ ওই প্রতিযোগিতায় মোট দল ছিল ৮টি৷ তাদের দু’টি গ্রুপে ভাগ  করে লিগ  পর্র্যয়ের  খেলা হয়৷ সেখানে পঞ্জাব, দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলা৷ সেমিফাইনালে বাংলা ৩-১ সেটে গুজরাতকে হারিয়েই ফাইনালে পৌঁছয়৷ এই ম্যাচেই প্রথম সেট হারতে  হয়েছিল গুজরাতের  কাছে৷ পরের তিনটি সেট খুব সহজেই জিতে নিয়েছিল বাংলায়