April 2018

শেওড়াফুলি-শ্রীরামপুর লিঙ্ক রাস্তাটি বিপজ্জনক

বৈদ্যবাটি পৌরসভার অন্তর্গত বিখ্যাত শেওড়াফুলি হাটের সংলগ্ণ সরু রাস্তাটি যার নাম শেওড়াফুলি-শ্রীরামপুর সংযোগ রক্ষাকারী রাস্তা সেটি জনসাধারণের চলাচলে যতদিন যাচ্ছে ততই অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে যাচ্ছে৷ এই রাস্তাটি ছাতু গঞ্জ হয়ে মুসলমান পাড়া, কুমোর পাড়া ঘোষ পাড়া, চাতরা বাজার, মহাত্মা অশ্বীনি কুমার সরণী হয়ে শ্রীরামপুর গোঁসাই পাড়ায় মিশেছে৷ শ্রীরামপুর পৌরসভার ১ ও ২ নং ওয়ার্ডের জনবহুল এলাকা দিয়ে গঙ্গার ধার ঘেঁসে চলে গেছে৷ রাস্তাটি অত্যন্ত সরু হয়ে গেছে এই রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে আছে প্রাথমিক সুকল , মন্দির , চাতরা নন্দলাল ইনষ্টিটিউশনের মতো বিখ্যাত শতাব্দী প্রাচীন বিদ্যালয়৷ এই রাস্তাটির পাশেই রয়েছে চাতরা পুলিশ

চুঁচুঁড়া আনন্দমার্গ স্কুলে বসন্তোৎসব

চুঁচুঁড়া ঃ বসন্তোৎসবের প্রাক সন্ধ্যায় চুঁচুঁড়া আনন্দমার্গ স্কুলের কচিকাঁচা ছেলেমেয়েরা নৃত্যের তালে তালে নৃত্যের ছন্দে বসন্তবরণে মেতে উঠেছিল৷ অনুষ্ঠানে রবীন্দ্র সঙ্গীতের বসন্তের গান ও নৃত্য, বসন্ত ঋতুকেন্দ্রিক বিভিন্ন কবিতা আবৃত্তি করে ছাত্র-ছাত্রারা৷ এছাড়াও দার্শনিক শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার রচিত ও সুরারোপিত প্রভাত সঙ্গীতের বসন্ত ঋতুকেন্দ্রিক সঙ্গীত অবলম্বনে নৃত্য সুন্দরভাবে উপস্থাপন করে, যার মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হ’ল ‘ফাগুন এইসেছে রঙের আগুন নিয়ে’, ‘বসন্ত আজ জাগলো আম্র-মুকুল-বকুল-শিমূল- পারুল পলাশে’৷ উল্লেখযোগ্য ও নৃত্যগুলি সকলের কাছে দৃষ্টি নন্দন হয়৷

পুইনান আনন্দমার্গ স্কুলের অনুষ্ঠান

পুইনান ঃ সম্প্রতি হুগলী জেলার পোলবা -দাদপুর ব্লকের অন্তর্গত পুইনান আনন্দমার্গ স্কুলের বাৎসরিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হল৷ এই উপলক্ষ্যে পুইনান আনন্দমার্গ স্কুলের ছাত্র-ছাত্রারা এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা উপস্থাপন করল অভিভাবক ও গ্রামবাসীদের কাছে৷

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ইংরাজী রাইমাস, বাংলা ছড়া, নৃত্য ও প্রভাতসঙ্গীত অবলম্বনে নৃত্য পরিবেশন করে৷ উল্লেখ্য প্রভাত সঙ্গীত হল শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার রচিত ও সুরারোপিত৷ সবশেষে তারা প্রভাতরঞ্জন সরকারের গল্প অবলম্বনে গীতিনাট্য ‘নীল সায়রের স্বর্ণকমল’ মঞ্চস্থ করে৷

অনুষ্ঠানে ২০১৭ শিক্ষাবর্ষের কৃতিছাত্রদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়৷

ত্রিপুরায় আমরা বাঙালী সংবাদ

গত ২৪শে মার্চ পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার ‘আমরা বাঙালী’ জেলা কমিটি নতুনভাবে পূনর্ঘটিত করা হয়৷ শ্রী ভুপেশ দেবনাথের নেতৃত্বে নতুন কমিটি হয়৷ উক্ত সম্মেলনে রাজ্যকমিটির সহসচিব গৌরাঙ্গ রুদ্রপালও উপস্থিত ছিলেন৷ এছাড়াও প্রায় ৩০জন কর্মী ও সমর্থক উপস্থিত ছিলেন৷

গত ১লা এপ্রিল উত্তর ত্রিপুরা জেলার ‘আমরা বাঙালীর’ কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়৷ উক্ত কর্মীসম্মেলনে ত্রিপুরা সাংঘটনিক সচিব কেশব মজুমদার রাজ্য কমিটির সদস্য গোপালকৃষ্ণ দেব ও সুনীল সাহাজী উপস্থিত ছিলেন৷ উক্ত কমিটিতে জ্যোতিষচন্দ্রনাথের নেতৃত্বে নোতুনভাবে কমিটি পুনঘটিত হয়৷

যোগ মানুষের বৈয়ষ্টিক ও সামূহিক জীবনের কল্যাণের চাবিকাঠি

আচার্য পরাবিদ্যানন্দ অবধূত

সারা পৃথিবীতে ‘যোগ’ এখন একটি বিশেষ জনপ্রিয় নাম৷ যদিও ‘যোগ’ শব্দটা হয়ে গেছে ‘যোগা’৷ এর উৎপত্তিস্থল প্রাচীন ভারতের মুনি-ঋষি তথা যোগীদের আশ্রম৷ কিন্তু বর্তমান পৃথিবীতে ‘যোগ’ থেকে জাত ‘যোগা’ শব্দটির দ্বারা আমরা যা বুঝি কেবলমাত্র বিশেষ রকমের শারীরিক কসরৎ অর্থাৎ exercise অর্থাৎ মহর্ষি পতঞ্জলির অষ্টাঙ্গিক যোগ সাধনার কেবলমাত্র ‘আসন’৷ না, এই আসন মানে যোগ নয়৷ আবার যদি আসনটিও দেহের জন্য ঠিকভাবে দৈনিক করতে হয় তাহলেও তা ঠিক শিক্ষকের কাছ থেকে শিখতে হয়---যাঁর শরীর বিদ্যা ও চিকিৎসা বিদ্যা সম্বন্ধে জ্ঞান আছে৷ যদি তা না করা হয় তবে লাভের থেকে ক্ষতির সম্ভাবনা বেশী থাকবে৷ উদাহরণ স্বরূপ---শীর্ষাসন৷ শীর্ষাসন সবাই

প্রেতযোনিও একপ্রকার নেগেটিব মাইক্রোবাইটাম্

সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

‘পিশাচ’ শব্দ হতে ‘প্রেতযোনি’ নাম হয়েছে৷ সাধারণভাবে যে সমস্ত মানুষ অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ করেছে এদের বিশেষ বিশেষ গুণগত ত্রুটির জন্যে এদের মৃত্যুর পর পাঞ্চভৌতিক দেহ নিয়ে পৃথিবীতে জন্ম হয় না৷ এরা অশরীরি অবস্থায় অর্থাৎ লুমিনাস বডিতে অবস্থান করে৷ এইভাবে অবস্থান করলে এদের বলা হয় প্রেতযোনি৷ এদের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী প্রেতযোনিকে সাত প্রকারে বিভক্ত করা হয়েছে৷ এরা হ’ল---

(১) দুর্মুখ (২) কবন্ধ (৩) মধ্যকপাল (৪) মহাকপাল (৫) ব্রহ্মদৈত্য (ব্রহ্মপিশাচ) (৬) আকাশী প্রেত (৭) পিশাচ৷

তুমি এসেছিলে কাউকে না বলে

আচার্য মন্ত্রেশ্বরানন্দ অবধূত

শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী (শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার) ছেলেবেলাকার কিছু বিস্ময়কর ঘটনা এখানে নোতুন পৃথিবীর পাঠকদের উপহার দিচ্ছি৷ ..... বামুন পাড়ার (শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী পৈত্রিক বাসস্থান) নরেশ ঘোষ মহাশয় একজন শিক্ষিত সমাজসেবী ছিলেন৷ প্রভাতরঞ্জনের চেয়ে বয়সে তিনি বছর পাঁচেকের ছোট ছিলেন৷ যখনই বুবু (প্রভাতরঞ্জন) বামুনপাড়া আসতেন নরেশবাবু ছায়ার মত তাঁর সঙ্গী হতেন৷ তিনি বিশ্বাস করতেন যে প্রভাতরঞ্জন আধ্যাত্মিক শক্তিতে শক্তিমান ছিলেন৷ তাঁর অগাধ জ্ঞানসমুদ্রে ডুব দিয়ে তাঁকে জানার চেষ্টা করা বৃথা....বুদ্ধি দিয়ে তার পরিমাপ করা যায় না৷

আনন্দমার্গ মহাবিদ্যালয়ের অভিভাবকদের সভায় আনন্দমার্গের শিক্ষা ও আদর্শ সম্পর্কে আলোচনা

গত ২৩শে মার্চ আনন্দনগরে আনন্দমার্গ মহাবিদ্যালয়ের অভিভাবকদের সভায় আনন্দমার্গের শিক্ষা ও আদর্শ সম্পর্কে এক আলোচনাচক্রের আয়োজন করা হয়৷ এই আলোচনা সভায় পৌরোহিত্য করেন মহাবিদ্যালয়ের প্রশাসক আচার্য ধ্যানাত্মানন্দ অবধূত৷ প্রধান অতিথি ও বিশিষ্ট অতিথিরূপে উপস্থিত ছিলেন আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত ও টংলা কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক শ্রী ভাগবৎ সাহা মহাশয়৷ আলোচনা সভায় আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত বলেন--- সভ্যতার আদিবিন্দু হল রাঢ় আর রাঢ়ের প্রাণকেন্দ্র হল আনন্দনগর৷ গুরুদেব শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী এই স্থানটির নাম দিয়েছেন ‘‘আনন্দনগর’’ এই আনন্দনগর নাম করণের মধ্যেই গুরুদেব শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর অনেক আশা ও আশীর্

যোগের ওপর আনন্দমার্গের সেমিনার

কাঁথি ঃ গত ২৫ শে মার্চ পশ্চিম মেদিনীপুরের জেঠাই বাড়ীতে আনন্দমার্গের পক্ষ থেকে ‘যোগ মনস্তত্ব যোগসাধনা ও যোগাসনের’ ওপর এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়৷ এই সেমিনারে উপরিউক্ত বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন আনন্দমার্গের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সচিব আচার্য হরাত্মানন্দ অবধূত জীব বিজ্ঞান ও মনোবিজ্ঞানসম্মতভা শরীরের বিভিন্ন এন্ডেক্রিন গ্ল্যান্ড , হরমোন সিক্রেশন ও মানুষের চিন্তাভাবনা ও মনস্তত্ত্বের ওপর তার প্রভাব এ সব আলোচনা করে তার ভিত্তিতে বিভিন্ন যোগাসন, প্রাণায়াম ও ধ্যানের উপকারিতার ওপর মনোজ্ঞ বক্তব্য রাখেন৷ তিনি বলেন যোগসাধনার মাধ্যমে শরীরকে সুস্থ রাখা যায়, মনকে শুদ্ধ পবিত্র রাখা যায় ও মনের শক্তি বৃদ্ধির সঙ্গে

নবরায়নগর ও পলতায় অখন্ড কীর্ত্তন

নবরায়নগর ঃ গত ২৫শে মার্চ সকাল ৬টা হতে ১২টা পর্যন্ত নদীয়ার নবরায় নগর নিবাসী শ্রীমতি শিপ্রা সরকারের বাড়ীতে ৬ঘন্টাব্যাপী অখন্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ এই অখন্ড কীর্ত্তনে নদীয়া জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আনন্দমার্গীগণ যোগদান করেন৷ কীর্ত্তন শেষে মিলিত ধ্যান, গুরুপূজা অনুষ্ঠিত হয়৷ স্বাধ্যায় পাঠ করেন আচার্য বাসুদেবানন্দ অবধূত৷ কীর্ত্তন মহিমা ও ভক্তিতত্ব নিয়ে বক্তব্য রাখেন আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত৷ সদাব্রত অনুষ্ঠানে শতাধিক মানুষের মাঝে সুস্বাদু আহার বিতরণ করা হয়৷