May 2018

ভাগাড়ের মাংস বেচে ৬০ কোটি টাকা মুনাফা

বজবজ ভাগাড় কাণ্ডে ধৃতদের মধ্যে অন্যতম বিশ্বনাথ ঘড়ুইকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, তারা উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা, হাওড়া ও হুগলী সব মিলিয়ে প্রায় ২৫টির মত ভাগাড় থেকে মৃত গোরু, ভেড়া, কুকুর, বিড়াল প্রভৃতি মৃত পশুর মাংস সংগ্রহ করে কলকাতার নিউমার্কেট সহ কলকাতা সংলগ্ণ জেলার হোটেল ও রেস্তোঁরায় সরবরাহ করত৷ বাইরের রাজ্যেও এই মাংস পাঠাত৷ এমনি করে ১০ বছরে সে প্রায় ৬০ কোটি টাকা মুনাফা অর্জন করেছে৷ এই টাকায় একাধিক ফ্ল্যাট কিনেছে, নামে-বেনামে প্রায় ১২টি গাড়িও করেছে সে৷ বিশ্বনাথ ঘড়ুইয়ের মত এই ধরণের ভাগাড়ের মাংসের আরও পাঁচজন বড় বড় কারবারির নাম পুলিশ জানতে পেরেছে৷ রাজাবাজারে আলাদা আলাদা ভাবে হিমঘর ভাড়া

গণতন্ত্র না সদ্বিপ্রতন্ত্র ?

সুকুমার সরকার

সাধারণ একটি পঞ্চায়েৎ  নির্বাচনকে কেন্দ্র করে  পশ্চিমবঙ্গে যে প্রহসনের  রঙ্গমঞ্চ শুরু হয়েছে  তাতে করে স্পষ্ট, এই ধরণের  গণতন্ত্র একুশ শতকের রাজ্য রাজনীতিতে  অচল৷ যতই আমরা গর্ব করে বলি না কেন, বিশ্বের প্রথম প্রজাতন্ত্র ভারতবর্ষের লিচ্ছবি প্রজাতন্ত্র৷ কিংবা ভারতের  বর্তমান  গণতন্ত্র বিশ্বের  অন্যতম  বৃহৎ গণতন্ত্র --- আসলে  এটা ধাপ্পাতন্ত্র৷

বিরাটকে নিয়ে আগামী  টি-টোয়েন্টিতে বিভ্রান্তি

আগামী জুনের শেষে আয়ার ল্যান্ডে যে দুটি Virat Kohli 1টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে ভারত, সেই দলের অধিনায়কত্ব করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিরাট কোহালির ওপর এই নিয়ে ক্রিকেট মহলে দারুণ বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে৷ এর কারণ বিরাটের ওই সময়েই কাউন্টির খেলার কথা ঠিক হয়ে রয়েছে৷ এটা জেনেও কেন তাকে দলে রাখা  হল এ প্রশ্ণের উত্তর এখনো পাওয়া যায়নি৷

প্রাক্তন ইষ্টবেঙ্গল কোচ মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য আবার ক্লাব কোচিং এ যুক্ত হলেন

গত বছর ডিসেম্বর মাস থেকে  মরসুমেরManoranjan-Coach শুরুতে রোজ মাঠে আসতেন টিম ম্যানেজার মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য৷ কিন্তু আই লিগ শুরু হতেই আর তাঁকে দেখা যেত না প্র্যাকটিসে ৷ এরপর এক রহস্যের সৃষ্টি হয় খালিদের দলের ম্যানেজার অর্র্থ মনোরঞ্জন ভট্টাচার্যকে নিয়ে৷ এখন প্রশ্ণ ছিল হঠাৎ কি হল তাঁর?

আনন্দমার্গের শিক্ষা প্রশিক্ষণ শিবির

গত ৯ই মে থেকে কলকাতায় ETC-18-1আনন্দমার্গের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঁচদিনের জন্যে শিক্ষা প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে৷ এই প্রশিক্ষণ শিবিরে আনন্দমার্গের স্কুলগুলি থেকে প্রায় ৪০০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা যোগদান করেছেন৷

দিল্লিতে মহাসমারোহে আনন্দপূর্ণিমা উদ্যাপন

১৯২১ সালের বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিটি পৃথিবীর  ইতিহাসে চির-উজ্জ্বল হয়ে থাকবে৷ এই পুণ্যতিথিতে জগদগুরু শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর  ধরাধামে আবির্র্ভব হয়৷ তাঁর এই জন্ম-তিথিকে সমগ্র বিশ্বের ভক্ত-শিষ্য-অনুগামীরা ভক্তিপূত হৃদয়ে মহোল্লাসে পালন করে থাকেন৷

গত ২৯শে এপ্রিল, ভারতবর্ষের রাজধানী দিল্লিতেও আনন্দপূর্ণিমা সাড়ম্বরে পালন করা হয়৷ অনুষ্ঠান শুরু হয় ভোর ৪-৩০ মিনিটে নগড়কীর্ত্তনের মাধ্যমে আনন্দমার্গের  মালবীয় নগরস্থিত আশ্রমে৷  অতঃপর পাঞ্চজন্য, মিলিত সাধনা, আনন্দবাণী  পাঠ,  বাবা- কথার পর সকলে মিলিতভাবে প্রাতঃরাশ করেন৷

প্রয়াত শম্ভুনাথ দাসের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

গত ২২শে এপ্রিল আসানসোলের  আনন্দমার্গের একনিষ্ঠ কর্মী প্রয়াত শম্ভুনাথ দাসের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান আনন্দমার্গীয় সমাজশাস্ত্রানুসারে অনুষ্ঠিত হয়৷ অনুষ্ঠানে প্রভাত সঙ্গীত, কীর্ত্তন  পরিবেশন  করেন আচার্য চিরগতানন্দ  অবধূত৷ আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন৷ উপস্থিত সকলে  অনুষ্ঠানে  পরমপুরুষের  চরণে প্রয়াত শম্ভুনাথ ঘোষের আত্মার  সদ্গতির  জন্যে প্রার্থনা করেন৷

বোলপুরে শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর ৯৭তম জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠান

গত ৬ই মে  বোলপুরের টাউনহলে শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর  ৯৭ তম জন্মবার্ষিকী পালন উপলক্ষ্যে  এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের  আয়োজন করা হয়৷ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন  রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত শিল্পগুরু শ্রী অনন্ত মালাকার৷ প্রধান অতিথির  আসন অলংঙ্কৃত করেন বিশ্বভারতীর বাংলা বিভাগের  অধ্যাপক  শ্রী প্রহ্লাদ রায়৷  তাঁরা শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর  বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন৷  এছাড়া প্রভাত সঙ্গীতের  ওপর বিভিন্ন নৃত্যানুষ্ঠান  ও সমাজে  সদাশিবের  অবদান সম্পর্কে নৃত্যনাট্য পরিবেশন  করে দর্শকদের  আনন্দ দেন সবুজকলি  নৃত্যগোষ্ঠী৷ হল দর্শকে পরিপূর্ণ ছিল৷ সবাই অনুষ্ঠানের ভূয়সী প্রশংসা করেন৷  সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরি

গায়ত্ত্রী মন্ত্র

প্রাচীনকালে দীক্ষার দু’টি পদ্ধতি ছিল৷ এই দুই দীক্ষা পদ্ধতির মধ্যে প্রথম ছিল বৈদিকী দীক্ষা৷ দ্বিতীয় তান্ত্রিকী দীক্ষা অর্থাৎ প্রথমে ক্ষৈদিক বিচার–আচার–পদ্ধত অনুযায়ী দীক্ষা আর তন্ত্রানুসারী দীক্ষা৷ বৈদিকী দীক্ষার মুখ্য মন্ত্র ছিল গায়ত্ত্রী মন্ত্র৷ বৈদিকী দীক্ষার মূলনীতি ছিল ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করার সৎপথ তথা আনন্দম্–এর পথ–নির্দেশ করা৷ তান্ত্রিকী দীক্ষার মূল নীতি ছিল সেই পথে এগিয়ে চলা৷ প্রথমটায় পরমাত্মার কাছে পথ– প্রদর্শনের জন্যে প্রার্থনা করা, আর দ্বিতীয়টিতে সাধক এগিয়ে চলে সেই পথে৷ তাই তান্ত্রিকী দীক্ষালাভের পরে সাধককে গুরুর নির্দেশানুসারে অগ্রসর হতে হয়৷

নেতৃত্বের অভ্যুদয়

সমাজ–চক্রের পরিঘূর্ণনে, একটা বিশেষ যুগে তার পরবর্ত্তী যুগ আসার আগে একটা বিশেষ শ্রেণীর আধিপত্য থাকে, গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে৷ এই বিশেষ শ্রেণী যখন রাজনৈতিক ক্ষমতায় থাকে, তাদের দ্বারা সমাজে শোষণ চলার সমূহ সম্ভাবনা থেকে যায়৷ ইতিহাসের শিক্ষা এই যে, শোষণের সম্ভাবনাই শুধু নয়, যুগে যুগে এই শোষণের পুনরাবির্ভাব ঘটেছে৷