প্রবন্ধ

ধ্রুপদী ভাষার নামে নূতন করে শোষণ বন্ধ করুণ!

জহরলাল সাহা

যা এখন শোনা যায় তাতে মনে হয় আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে বাঙালী ছেলেমেয়েরা মাধ্যমিক স্তরে অর্থাৎ পঞ্চমশ্রেণী পাশের পর আর বাঙলায় পড়াশোনা করতে পারবে না৷ নূতন শিক্ষানীতি তো তা-ই বলে৷

স্বাধীনতার ৭৫ বছর পেরিয়ে গেলেও সকল ভারতবাসীর মাথায় ছাদ নেই

বিশ্বদেব মুখোপাধ্যায

মানুষের পাঁচটি মৌল চাহিদার একটি হল বাসস্থান৷ আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী ব্যষ্টিগণ নিজেরাই নিজেদের ও তাদের বংশধরদের জন্যে বাসস্থানের ব্যবস্থা করে নেয়৷ এব্যাপারে তারা সাধারণত প্রশাসনের উপর সরাসরি নির্ভরশীল নয়৷ আমাদের দেশে সমস্যা আর্থিকভাবে দুর্বল মানুষদের৷ দেশের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও তাদের মধ্যে অনেকেই এখনও মাথা গোঁজার ঠাঁই তৈরি করে নিতে পারেননি৷ ফলে শীত- গ্রীষ্ম- বর্ষা সবেতেই তাদের দুর্র্ভেগের শেষ থাকে না৷ ১৯৮৫ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল অর্থাৎ দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাসকারীদের গৃহ নির্মাণের জন্য ’ ইন্দিরা আবাস যোজনা’ চালু করেন৷নাম বদল হয়েছে এই প্রকল্পের

রবীন্দ্রনাথের নোবেল কি অধরাই থেকে যাবে?

বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়

মানবতার পূজারী, মানব মৈত্রীর ঋষি ও বিশ্ববন্দিত কবি রবীন্দ্রনাথ বিশ্বকে এক জায়গায় নিয়ে এসে মেলানোর জন্য তিনি বিশ্বভারতী গড়ে তুলেছিলেন৷ এই বিশ্বভারতী স্থাপনের নেপথ্যে কবির কঠোর পরিশ্রম আর আশাবাদ নিহিত ছিল৷ রবীন্দ্রনাথের উদার শিক্ষা চিন্তার স্মারক-এই বিশ্বভারতী৷ কত মনীষী, সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ ও চিন্তানায়কদের স্মৃতি বিধৌত এই বিশ্বভারতী৷ এই বিশ্বভারতীর আচার্য হলেন ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী৷ বিশ্বভারতীর সর্বাঙ্গীন বিকাশ, প্রসার, উন্নতি সর্র্বেপরি এর মহান ঐতিহ্যকে রক্ষা করার জন্য তিনি সদা জাগ্রত থাকবেন দেশবাসী এমনটাই আশা করে৷

অমর ২১ শে          

একর্ষি

২১শে ফেব্রুয়ারী৷ বাংলা ভাষা শহীদ দিবস, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস৷ অমর ভাষা- শহীদদের জানাই শতকোটি প্রণাম৷ দিনটা বঙ্গভাষী হিসেবে আত্মসমীক্ষার তথা নিজেকে ও বাঙলাকে নোতুন করে জানার দিন৷ কখনই ভোলা যায়না--- হিন্দুয়ানি, মুসলমানি, খ্রীষ্টানি, বৌদ্ধী ইত্যাদি বাঙলার মাটির দান নয়, বাঙালীর রক্তের নয়৷ বাঙালীর একটা স্বতন্ত্র জীবনধর্ম আছে৷ এ ধর্ম সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে পূর্ণতার পথে চলা৷ বাংলা ভাষা, অধ্যাত্ম বেদীপীঠে বিকচিত সমুন্নত সংস্কৃতি, চিরায়ত স্বয়ম্ভর অর্থনৈতিক বুনিয়াদ তার সঞ্জীবনী শক্তি ও প্রেষণা, অস্তিত্বের প্রাণ ভোমরা৷ অথচ তা এখন বিপন্নতার রাহুগ্রাসে, অস্তিত্বের সংকটের ভয়াল গহ্বরে৷ বাংলা ভাষা-সংস্কৃত

ভুক্তিপ্রধান ও তার দায়িত্ব

শ্রী সুভাষপ্রকাশ পাল

মহান দার্শনিক ধর্মগুরু, সমাজগুরু ঋষি শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ১৯৫৫ সালের জানুয়ারী মাসের প্রথম সপ্তাহে জগৎ কল্যাণের উদ্দেশ্যে আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের প্রতিষ্ঠা করেন৷ তিনি জানতেন কোন মহান আদর্শ সমাজের বুকে দীর্ঘস্থায়ী করতে হলে একটা মজবুত সংঘটন দরকার৷ সেই জন্যেই এই সংঘটনের প্রতিষ্ঠা করেন৷ তাঁর সংঘটনে যেমন সর্বত্যাগী সন্ন্যাসী সন্ন্যাসিনী আছেন ঠিক সেভাবে আদর্শের জন্যে প্রাণপাত করতে প্রস্তুত গৃহী মার্গীরাও আছেন৷

ভিনগ্রহে কি কোন বুদ্ধিমান জীব আছে?

সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

আমরা সৌরজগতের অন্তর্গত পৃথিবী নামক গ্রহের বাসিন্দা৷ সীমাহীন রাত্রির আকাশের নীচে পৃথিবীপৃষ্ঠে দাঁড়িয়ে যখন অনন্ত মহাশূন্যে অগণিত তারকা মণ্ডল চোখে পড়ে, তখন স্বভাবতই মনে হয়--- এই পৃথিবীর মাটি ছেড়ে এই পৃথিবীর বাইরে কি কোন বুদ্ধিমান জীবের অস্তিত্ব আছে?

গণতন্ত্রের উদ্ধারে আবশ্যিক শোষিত নিপীড়িতদের নবজাগরণ

প্রভাত খাঁ

ভারতে চলছে দলতন্ত্রবাদ যে বাদের লক্ষ্যই হলো সরকার দলের, দলের জন্য,দলের দ্বারা৷ গণতন্ত্রে সরকার হবে জনগণের, জনগণের জন্য, জনগণের দ্বারা৷ কিন্তু আজ ভারতে সেটা নেই৷ তার কারণের জন্য দায়ী সাম্রাজ্যবাদী ইংরেজ শাসক যারা ৭৬ বছর আগে এই দেশের শাসন ছাড়ে আর যাদের হাতে শাসনভার দেয় তারা ছিল দলের অর্থাৎ হিন্দু ও মুসলমানদের নেতা৷ কিন্তু এদেশ তো শুধু হিন্দু ও মুসলমানরা থাকে না৷ জনগণ হলো জাতি ধর্ম মত নির্বিশেষে সকলশ্রেণীর মানুষ৷ আর সংবিধানে বলা হয় এই ভারত যুক্তরাষ্ট্র হলো ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র৷ তাই আজ পদে পদে যারাই শাসনে যায় তারাই ঐ সংবিধানকে অস্বীকার করেই সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে বোটকে হাতিয়ার করে গদী পায়৷ স

দৈনন্দিন জীবনে নৈতিকতার মূল্য

লীনা দাস

এখন কি জীবনে খুব দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে? তা কি যুগোপযোগী নয়? এর সাথে নাকি তাল মেলানো যায় না৷ কিন্তু এটা পরিবর্তন নয় - বিবর্তন৷ ডায়নোসোর থেকে বাঁদর, বাঁদর থেকে মানুষ৷ মানুষের আদিমযুগের যুথবদ্ধতা থেকে ধাতুর ব্যবহার, আগুনের ব্যবহার থেকে সভ্যতা শুরু ৷ তারপর মানুষের তৈরী গোষ্ঠী, সমাজ, সম্প্রদায় ও ধর্ম৷ তারপর বিজ্ঞান প্রযুক্তির হাত ধরে এগিয়ে চলে রাষ্ট্র, ধর্ম, শিক্ষা, শিল্প, সংস্কৃতি৷ এখন একটা কথাও শোনা যায়৷ পুরানো সব মূল্যবোধ নাকি ভেঙ্গে গেছে৷ ধর্ম ভেঙ্গে গেছে৷ সংস্কার, সংসার ভেঙ্গে গেছে৷ আরে এগুলো কি কাঁচ নাকি?

আনন্দনগর বিশ্বের পথ নির্দেশক

পথির বর

শাসকের রক্তচক্ষুর কাছে মাথা নত করে নয়, রাজশক্তির দয়া-দাক্ষিণ্যে নয়, নেতা মন্ত্রীদের তোয়াজ তোষামোদ করে নয়, জামালপুরের ছোট্ট একটা রেল কোয়ার্টার্স থেকে আনন্দমার্গ বিশ্ব সংঘটন হয়ে ওঠার পিছনে আছে বহু কর্মীর ত্যাগ তিতিক্ষা আত্মত্যাগের ইতিহাস৷ দুর্জয় সাহসে ভর করে সমস্ত বাধা-বিপত্তি দু’পায়ে দলে এগিয়ে চলার ইতিহাস৷

মাইক্রোবাইটাম অনুসন্ধান পরিক্রমা

সমরেন্দ্রনাথ  ভৌমিক

‘মাইক্রোবাইটাম তত্ত্ব’-এর আবিষ্কার বিশ্বের বুকে এই প্রথম৷ এই তত্ত্বের উদ্ভাবক হ’লেন--- দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার৷ শ্রী সরকার তাঁর মাইক্রোবাইটামের তত্ত্ব নিয়ে মানব কল্যাণের জন্য জাগতিক, রাসায়নিক, চিকিৎসা, ঔষধ-প্রস্তুত সংক্রান্ত ব্যাপারে সমাজের এরূপ বহুমুখী সমস্যার সমাধান, এমনকি প্রাণের উৎস কী, তাও ‘তিনি’ (শ্রী পি.আর.সরকার) ব’লে গিয়েছেন৷ শুধু বলে গেছেন, তাও না, যাতে আমরা এই সম্পূর্ণ অজানা তত্ত্বটিকে মানব সমাজের কল্যাণ কাজে লাগাতে পারি তার জন্য এই মাইক্রোবাইটাম সংক্রান্ত গবেষণার জন্য বেশ কিছু নীতি-নির্দেশনাও দিয়ে গেছেন৷