January 2019

রথযাত্রার নাম করে রাজনৈতিক প্রচারে সুপ্রিম কোর্টের---না

সুপ্রিম কোর্টে নাকচ হয়ে গেল বিজেপির প্রস্তাবিত  রথযাত্রা৷ সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, রথযাত্রা বাদ দিয়ে বিজেপি জনসভা করতে চাইলে  তা করতে পারে৷

তাঁরা রাজনৈতিক মিছিল মিটিং করতে চান করুন, কিন্তু ‘রথযাত্রা’র নাম করে কেন? এতো ধর্মের আবেগকে  রাজনৈতিক প্রচারে কাজে লাগানো --- যা অনুচিত৷ এভাবে  রাজ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা  নষ্ট করা কাম্য নয় বলেই আদালতে  জানিয়েছে৷

ভারতবর্ষ ও আধ্যাত্মিকতা

এখন ভারতবর্ষ ও আধ্যাত্মিকতা সম্পর্কে কিছু আলোচনা করা যাক৷ এই দেশের নাম ভারতবর্ষ৷ জানতো, পৃথিবীতে যা কিছু শব্দ আছে সবই অর্থপূর্ণ৷ গ্রামের নামই হোক বা নদীর নাম, সবেরই একটা অর্থ আছে৷ এ দেশের নাম ভারতবর্ষ কেন রাখা হ’ল? প্রাচীনকালে এখানকার বাসিন্দা ছিল দ্রাবিড়, অষ্ট্রিক ও মঙ্গোলিয়ন৷ আর্যরা যখন এল তখন তারা এর নামকরণ করলে ‘ভারতবর্ষ’৷ এমন নাম কেন করা হ’ল?

নেতাজী জয়ন্তীর শপথ

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

মহাকালের কালচক্রে দিন, মাস, বছর নিয়মিত আসে যায়৷ কিন্তু এরই মধ্যে বছরের এক একটা দিন এমনই স্মরণীয় হয়ে থাকে যে, আমরা এটিকে পবিত্র দিন হিসেবে গ্রহণ করতে বাধ্য হই৷ এমনি একটা পবিত্র দিন ২৩শে জানুয়ারী–নেতাজী জয়ন্তী৷ এই দিন নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর পুন্য জন্মদিন, যিনি আজীবন দেশের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতার জন্যে কঠোর তপস্যা করে গেছেন৷

তোমার আসন শূন্য আজও, হে তাপস নেতাজী

প্রভাত খাঁ

কালচক্রের বিরাম নেই৷ সে চলে চলেছে অসীমের পানে৷ আমরাও চলে চলেছি তার সাথে৷ এই চলার পথে আমাদের মতো অতি সাধারণ মানুষের মধ্যে কখনো কখনো এমন ক্ষণজন্মা মহামানব জন্মগ্রহণ করেন যাঁরা তাঁদের ত্যাগ, নিষ্ঠা, চারিত্রিক দৃৃতা, নৈতিকতা ও অন্যায়–শোষণের বিরুদ্ধে আপোষহীন সংগ্রামের জন্যে মানুষের সমাজে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকেন৷ ঘুরে ঘুরে সেই ২৩ শে জানুয়ারী আবার আসছে আমাদের জানাতে–কৈ, তোমরা তৈরী হয়েছো তো দেশবরেণ্য নেতাজী সুভাষচন্দ্রকে শ্রদ্ধা জানাতে, তাঁর অসমাপ্ত কর্মকে সমাপ্ত করতে?

উলুবেড়িয়ায় মার্গগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী শুভ পদার্পণ দিবস পালন

গত ১৬ই জানুয়ারী হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়ায় মহাসমারোহে মার্গগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী শুভ পদার্পণ দিবস পালিত হয়৷ এখানে উল্লেখ্য, ১৯৭৯ সালের ১৬ই জানুয়ারী উলুবেড়িয়া বিটি কলেজে মার্গগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী পদার্পণ করেছিলেন ও ধর্ম মহাসম্মেলন করেছিলেন৷ এই উপলক্ষ্যে এবছরও যথারীতি হাওড়া জেলার আনন্দমার্গীরা পরম শ্রদ্ধার সঙ্গে এই দিনটিকে পালন করেন৷ অনুষ্ঠানের শুভারম্ভ হয় শ্রী নরহরি মণ্ডল কর্তৃক পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে৷ তৎপরে অখণ্ড কীর্ত্তন ও মিলিত সাধনার পর স্বাধ্যায়ে জেলার ভুক্তিপ্রধান সুব্রত সাহা উলুবেড়িয়ায় মার্গগুরুদেব যে প্রবচন দিয়েছিলেন সেটি পাঠ করে শোণান৷ তারপর বকুল রায় মার্গগুরুদেবের আগমণে

শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী শুভ পদার্পণ দিবস নিউ ব্যারাকপুরে

নিউ ব্যারাকপুর ঃ গত ১৪ই জানুয়ারী মার্গগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী শুভ পদার্পণ দিবস উপলক্ষ্যে নিউ ব্যারাকপুর আনন্দমার্গ আশ্রমে সকাল ৯টা ৩০ থেকে দুপুর ১২টা ৩০ পর্যন্ত অখণ্ড ‘বাবানাম কেবলম্’ কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ উত্তর ২৪ পরগণার বিভিন্ন ব্লক থেকে আনন্দমার্গীরা এই কীর্ত্তনে যোগদান করেন৷ কীর্ত্তন, সাধনা ও গুরুপূজার পর ‘‘আনন্দমার্গ ও শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী’’ সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত ও আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত৷ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন এই জেলার ভুক্তিপ্রধান শ্রীসন্তোষ কুমার বিশ্বাস৷

অখণ্ড কীর্ত্তন

গত ১৩ই জানুয়ারী নিউ ব্যারাকপুরের বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রী মোহন অধিকারীর বাসভবনে ছয় ঘণ্টা ব্যাপী অখণ্ড ‘বাবানাম কেবলম্’ মহানাম সংকীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ অনুষ্ঠানে কীর্ত্তন পরিচালনা করেন আচার্য বাসুদেবানন্দ অবধূত, শ্রীহরলাল হাজরা প্রমুখ৷ কীর্ত্তন ও মিলিত সাধনার পর কীর্ত্তন মাহাত্ম্য সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত, আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত ও মোহন অধিকারী৷ সবশেষে সমস্ত ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হয়৷

পাট ঝালদায় কপিল মেলা

মহর্ষি কপিলের জন্মস্থান পুরুলিয়া জেলার ঝালদা মহকুমার অন্তর্গত পাটঝালদা গ্রামে গত পৌষ সংক্রান্তিতে আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের পক্ষ থেকে মহাসমারোহে কপিল মেলা উৎসব পালিত হয়৷ এই মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংঘের প্রবীণ সন্ন্যাসী, সন্ন্যাসিনীগণ, স্থানীয় বিধায়ক মাননীয় নেপাল মাহাত৷ অনুষ্ঠানে প্রভাত সঙ্গীত, টুসু সঙ্গীত, ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের খেলাধূলা, বসে আঁকো প্রতিযোগিতা হয় ও স্থানীয় দরিদ্র মানুষদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়৷

আদর্শ ও জীবন–সাধনা প্রসঙ্গে

নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু

প্রত্যেক  ব্যষ্টির বা জাতির একটা ধর্ম বা আদর্শ আছে৷ সে Ideal বা আদর্শকে অবলম্বন বা আশ্রয় করিয়া সে গড়িয়া ওঠে৷ সেই Ideal–কে সার্থক করাই তার জীবনের উদ্দেশ্য এবং সেই Ideal বা আদর্শকে বাদ দিলে তার জীবন নিষ্প্রয়োজন ও অর্থহীন হয়ে পড়ে৷ দেশ ও কালের গণ্ডীর মধ্যে আদর্শের ক্রমবিকাশ বা অভিব্যক্তি একদিনে বা এক বৎসরে হয় না৷....আদর্শ একটা প্রাণহীন বস্তু নয়৷ তার বেগ আছে, গতি আছে৷ প্রাণ–সঞ্চারিণী শক্তি আছে৷....