March 2020

আদর্শ সমাজ গঠনে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী বহুমুখী অবদান প্রসঙ্গে আলোচনা সভা

পোর্টব্লেয়ার : গত ১লা মার্চ পোর্টব্লেয়ার জঙ্গলীঘাটস্থিত আনন্দমার্গ মিড্ল স্কুলে রেণেশাঁ ইয়ূনিবার্সালের পক্ষ থেকে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়৷ এই আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আন্দামান ফিশারিজের ডাইরেক্টর ডঃ উৎপল কুমার সর, সম্মানীয় অতিথি ছিলেন পোর্টব্লেয়ার জে.এন.আর.এম.

বৃদ্ধির হার কমছে l রাজস্ব ঘাটতি বাড়ছে - আর্থিক অধোগতি শেষ সীমানায় পৌঁছেছে

২৮ ডিসেম্বর এন.এস.ও (ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্যাল অফিস) প্রকাশিত ত্রৈমাসিক (অক্টোবর-ডিসেম্বর) আর্থিক প্রতিবেদন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের অর্থনীতিতে ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় দুশ্চিন্তার ছাপ ফেলেছে৷ অবশ্য অর্থনৈতিক বিষয়ের সচিব অতনু চক্রবর্তীর কথায়---অর্থনীতি অধোগতির শেষ সীমা স্পর্শ করেছে৷ এবার ঘুরে দাঁড়াবে৷

গোড্ডায়  আনন্দমার্গের  ধর্ম  মহাসম্মেলন

গত ২৯শে ফেব্রুয়ারী ও ১লা মার্চ ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায়  আনন্দমার্গের ধর্মমহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়৷ এই ধর্মমহাসম্মেলনে আনন্দমার্গের শ্রদ্ধেয় পুরোধা প্রমুখ আধ্যাত্মিক সাধনা ও ভক্তিতত্ত্বের ওপর জ্ঞানগর্ভ প্রবচন দেন৷ ঝাড়খণ্ড রাজ্য, পশ্চিমবঙ্গ ও বিহার থেকে বহু আনন্দমার্গী এই ধর্মমহাসম্মেলনে যোগ দেন৷ এই ধর্মমহাসম্মেলনে শ্রদ্ধেয় পুরোধা প্রমুখ ছাড়া সংঘের ধর্মপ্রচার সচিব আচার্য বীতমোহানন্দ অবধূত ও অন্যান্য কেন্দ্রীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন৷ আনন্দমার্গের মহিলা  বিভাগের পক্ষ থেকে  অবধূতিকা আনন্দ করুণা আচার্যা সহ অন্যান্য দিদিরাও উপস্থিত থেকে ধর্মমহা- সম্মেলনে  আগত ভক্ত আনন্দমার্গী ভাই-বোনদের সাধনায় ও বিভিন্

ছুটিয়াছে জাতি প্রেম মৃত্যুর সন্ধানে

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

কয়েকদিন এক ভয়ঙ্কর বর্বরতার সাক্ষাৎদ্রষ্টা হয়ে থাকল দেশের রাজধানী শহর৷ তথাকথিত ধর্মের নামাবলী গায়ে একদল পাষণ্ড হিংসার উৎসবে মেতে উঠল৷ মানুষের রক্তের অকাল হোলি দেখল শহরবাসী৷ এই হিংসার উস্কানীদাতা লজ্জা-শরমহীন একদল দেশনেতা(!) কণ্ঠে যাদের হুঙ্কার ধবনি---‘গোলি মারো শা....’৷ এই দেশনেতারাই দেশের কর্ণধার৷ স্বাভাবিকভাবেই প্রশাসন সাক্ষীগোপাল হয়ে থাকল৷ একই হুঙ্কার কলকাতাবাসীকেও শুনিয়ে গেল দেশের রক্ষক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷ তাঁর সভাতেও আবাজ উঠল---’গোলি মারো.....’৷ শাহজী শুনে উচ্ছ্বসিত হলেন, বাঙলা তাহলে দখলে আসছে! আশ্বাস দিলেন সোনার বাঙলার৷ গোলির বন্যায় সোনার বাঙলা---বাঙালী উদ্বেলিত!

দোল উৎসব প্রসঙ্গে

যারা অনন্যমনসা–অনন্যভাক্ হয়ে পরমপুরুষের ভজনা করে, জাগতিক অন্যান্য চিন্তা–ভাবনাকে পরিত্যাগ করে মানসচিন্তায় সুকোমল মসৃণতা নিয়ে কেবল পরমপুরুষের দিকেই এগিয়ে যায় তারা গোপী৷ এই রকম ধরণের গোপীদের ছবি আঁকা যায় না৷ কারণ গোপীর গোপীত্ব তার অন্তরের সুকোমল ভাবরাজি, তার অন্তরের অন্তঃস্থলে নিহিত৷ এটা একেবারে ভেতরের জিনিস–মনের জিনিস৷ এই ধরণের ভক্তি ভাবসমন্বিত গোপীদের ভাষাও ব্যক্ত করা যায় না৷

পূর্বার্দ্র তত্ত্ব

পশ্চিমবঙ্গ, বাঙলাদেশ, ত্রিপুরা ও অসম সমন্বিত ভারতের পূর্বাঞ্চলের এই বিশাল ভূভাগটি জলবায়ুর দিক থেকেও বৈশিষ্ট্যপূর্ণ৷ সমগ্র অঞ্চলের জলবায়ুই উষ্ণ ও আর্দ্র৷ সমুদ্র কাছাকাছি বলে শীত–গ্রীষ্মও ততটা প্রখর নয়৷ তথাপি এর পশ্চিম অংশের সঙ্গে পূর্বাংশের জলবায়ু–গত কিছুটা পার্থক্য আছে৷ পশ্চিমাংশের সমভূমিতে গ্রীষ্মে ১২০0 ফারেনহাইট পর্যন্ত উষ্ণতা বৃদ্ধি পায় আবার শীতকালে উষ্ণতা ৫৫0  ফারেনহাইটে নেমে আসে৷ কিন্তু পূর্বাংশে অর্থাৎ ত্রিপুরা–সমে জলবায়ু অপেক্ষাকৃত সিক্ত ও আর্দ্র৷ পশ্চিমের রাঢ় অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ যেখানে গড়ে ৫০ –৫৫ ইঞ্চি  সেখানে পূর্বাঞ্চলের অসম–মেঘালয় অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের গড় পরিমাণ ৫০৮ ইঞ্চি ৷ উত

এই কি রাজধর্ম

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

দিল্লী আগুনে জ্বলছে৷ সিএএ পন্থী ও সিএএ বিরোধীদের মধ্যে লড়াই চলছে৷ যেন পুরোপুরী যুদ্ধক্ষেত্র৷ এই সম্পাদকীয় লেখা পর্যন্ত পুলিশের রিপোর্টেই বলা হচ্ছে, ৫০০ রাউণ্ড গুলি চলেছে৷ মূলত লড়াই চলেছে ওই দুই পক্ষের মধ্যেই৷ এ পর্যন্ত মৃত ৫০ জন, আহত ২৫০-এর বেশী৷ পুলিশের গুলিতে কেউ মারা যায়নি বলে পুলিশেরই রিপোর্ট৷ গুলির সঙ্গে চলেছে অ্যাসিড ছোড়া, পুড়ছে ঘরবাড়ী, গাড়ী, সুকটার৷ এখন প্রায় সমস্ত উত্তরপূর্ব দিল্লী জ্বলছে৷ এ আগুনই সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা৷ বিস্ময়ের বিষয় এখনও পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ঘটনাস্থলে গিয়ে শান্তির জন্য আবেদন করা, দুই পক্ষকে শান্ত করা---এসব করতে দেখা যায়নি৷

মানব ইতিহাসে শিবের অবদান

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

ঐতিহাসিক শিব

শিব প্রকৃতপক্ষে কাল্পনিক দেবতা নয়৷ আজ থেকে প্রায় সাত হাজার বছর পূর্বে হিমালয় অঞ্চলে (কৈলাস) এই মহামানব শিব জন্মগ্রহণ করেছিলেন৷ ধর্ম, নৃত্য-গীত, চিকিৎসা, সমাজব্যবস্থা---তৎকালীন সমাজের প্রায় সমস্ত ক্ষেত্রে শিব মানুষকে যথাার্থ পথ প্রদর্শন করে মানব সমাজের আদি গুরু রূপে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন৷

আধ্যাত্মিক সাধনার ক্ষেত্রে শিবের অবদান

শিবই আধ্যাত্মিক সাধনা বিজ্ঞান ও তন্ত্র শাস্ত্রের রচয়িতা৷ বেদ মূলত তাত্ত্বিক৷ এর ৯৫ শতাংশ তত্ত্ব৷ এতে বৈবহারিক সাধনা পদ্ধতি অতি সামান্য৷, বলা চলে পাঁচ শতাংশ মাত্র৷ তাও বেশীরভাগ কেবল প্রার্থনামূলক৷

প্রজাতন্ত্রের সত্তর বছর পেরিয়ে...

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

পরিশেষে ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের সময় বহু বাঙালী পরিবার ভারতে প্রবেশ করেন, যাদের অনেকেই পরে আর নবগঠিত রাষ্ট্র ‘বাঙলাদেশ’-এ ফিরে যাননি৷

রবীন্দ্রনাথের নোবেল আজও অধরা! এ যে শতাব্দীর লজ্জা

বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এক অবিস্মরণীয় অবিসংবাদিত নাম৷ যিনি চির স্মরণীয় ও চির বরণীয়৷ রবীন্দ্রনাথ কবি, সাহিত্যিক, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, গীতিকার ও ঔপন্যাসিক, ছান্দসিক সমবায় নীতির পথিকৃত৷ সর্বোপরি তিনি মানব মৈত্রীর ঋষি৷ এ কথায় কোন বিশেষণই তাঁর পক্ষে যথেষ্ট নয়৷ ৮০ বছরের বৃত্তে দাঁড়িয়ে তিনি হাজার বছরের কাজ করেছিলেন৷ আমরা গর্বিত ও ধন্য এই ভেবে তিনি বাঙলার ভূমিপুত্র৷ আমরা অত্যন্ত গর্বিত ও সৌভাগ্যবান এই কারণে আমরা রবীন্দ্রনাথের দেশে জন্মগ্রহণ করেছি৷