March 2021

একুশেফেব্রুয়ারী দিনটি বাঙালীর কাছে গর্বের দিন

তপোময় বিশ্বাস

আশাকরি পাঠকবৃন্দ দিনটির তাৎপর্য সম্পর্কে অবগত আছেন, তথাপি নবীন প্রজন্মের যাদের বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা নেই, তাদের জন্য ঘটনাটি সংক্ষেপে বলি-১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারী ঊর্দু সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে বর্তমান বাঙলাদেশের পাঁচ তরুণ ছাত্র (রফিক, বরকত, আব্দুল জববর, সালাউদ্দিন ও আতায়ূর রহমান) প্রাণ দিয়েছিলেন৷ তাঁরাই প্রথম জগৎবাসীকে মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার্থে জীবন বিসর্জন দিতে হলেও  পিছু না হাটার শিক্ষা দিয়েছিলেন৷  সেই বীর আত্মবলিদানকারী অমর ৫ ভাষা শহীদদের বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করি৷

দেশের জনগণ যদি স্বার্থান্ধ রাজনৈতিক নেতাদের পশ্চাতেই ছোটেন তা হলে ভবিষ্যৎ অন্ধকার

প্রভাত খাঁ

যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থায় রাজ্যগুলির আর্থিক স্বচ্ছলতা ও সামাজিক সুসংহতি দৃঢ় ও কঠোর থাকাটা বিশেষভাবে প্রয়োজন৷ তবেই যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থা সার্থক হবে৷ কিন্তু ভারতের মতো বহুভাষাভাষীর দেশে এটারই দারুণ অভাব৷ কেন্দ্র সরকারের যেভাবে কেন্দ্রীয় শাসন পরিচালনা করা দরকার সংবিধান অনুসারে সেটা কিন্তু  প্রথম থেকেই দেখা যাচ্ছে অত্যন্ত নড়বড়ে ও পক্ষপাতিত্বমূলক যেখানে বিরোধী দলের শাসন রাজ্যগুলিতে সেখানেই বিমাতৃসুলভ আচরণ করে চলেছে কেন্দ্র ৷ কেন্দ্রে  যখন কংগ্রেস সরকার ইন্দিরার আমলে তখন পশ্চিম বাঙলায় জোট সরকার কে কতটা যে হেনস্থা করা হয়েছে সেটা দেখা গেছে দেশে জরুরী অবস্থা জারীর আগে পর্যন্ত৷ শেষে জরুরী অ

ডামরুঘুটু গ্রামোন্নয়ন প্রকল্ ঃ কিছু কথা

জ্যোতিবিকাশ সিন্‌হা

শতকোটি জন্মের পর মানুষ দুর্লভ মানবজন্ম লাভ করে আর এই  মানবজন্মের প্রকৃত লক্ষ্য হলো আধ্যাত্মিক সাধনার মাধ্যমে পরমপুরুষের পানে এগিয়ে চলতে চলতে একদিন কোন এক শুভ মুহূর্তে সেই পরম ভূমাসত্তার সাথে মিলে মিশে এক হয়ে যাওয়া৷ বর্তমান পৃথিবীতে জড়বাদী পুঁজিবাদী অশুভ শক্তির বহুমুখী আগ্রাসনে শোষিত,বঞ্চিত,নিপীড়িত মানুষ শুধুমাত্র অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রামে এতটাই বিপর্যস্ত হয়ে থাকে যে ধর্ম সাধনার মানসিকতা ও সামর্থ্য দুইই হারিয়ে ফেলে৷ অন্যায়, অবিচার, দুর্নীতির করাল গ্রাসে ন্যায়-নীতি, ধর্ম সাধনা, সত্যনিষ্ঠা, আধ্যাত্মিকতা, মানবতা সবই ভুলুন্ঠিত হতে বাধ্য হয়৷ এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের জন্যে মহান দার্শনিক ঋষি শ্র

ভারত-সরকার ও ভারতবাসী

হরিগোপাল দেবনাথ

২৬শে জানুয়ারী দিনটি আমাদের জাতীয় সরকার খুবই ঘটা  করে প্রতি বছর ‘রিপাবলিক ডে’ তথা ‘‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ -রূপে পালন করে আসছেন৷ এবারেও যথারীতি পালিত হয়েছে৷ সারা বছরে পনের আগষ্টে ‘স্বাধীনতা দিবস’ আর ছাবিবশে জানুয়ারীতে ‘‘প্রজাতন্ত্র দিবস’--- এ দু’টো দিনই তামাম ভারতবাসীর জনমানসে অতি স্মরণীয় দিবস--- তবে পরিস্থিতি নিরিখে বিশ্লেষণাত্মক দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে ভারতে গেলে মননশীলতা ও বিচার-বিবেচনায় খুবই হোঁচট খেতে হয় অতি স্বাভাবিক কতিপয় কারণে৷ এর কারণ খুঁজতে গিয়েই এই নিবন্ধটির অবতারণা৷ কারণসমূহ একে একে তুলে ধরাই নিবন্ধকারের মূল উদ্দেশ্য৷ আশা রাখছি,এ আলোচনা থেকে কিঞ্চিৎমাত্রায় হলেও আঁচ পাওয়া যাবে, আমাদের দেশ বৃহ

ভাষা শহীদ স্মরণে

উত্তর ২৪ পরগণা ঃ এই জেলার ব্যারাকপুর, বারাসাত, নৈহাটি কাঁকিনাড়া খড়দহ প্রভৃতি স্থানে ভাষা শহীদদের  প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে সভার আয়োজন করা করে ‘আমরা বাঙালী’ উত্তর ২৪পরগণা জেলায় কমিটি৷ বিভিন্ন সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জয়ন্ত দাশ, তপোময় বিশ্বাস, অরূপ মজুমদার, গৌতম মণ্ডল, সৈকত ঘোষ, প্রমুখ৷ নৈহাটির সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বামী আগমানন্দ, ব্যারাকপুরে ভাষা শহীদ স্মরণ সভায় বিশেষ সম্মান প্রদান করা হয় ডাক্তার জগদীশ হালদার কে৷ উল্লেখযোগ্য ডাক্তার হালদারের নাম পদ্মশ্রী প্রাপক তালিকায় নথিভুক্ত হয়েছে৷ তাঁকে ২১শে ফেব্রুয়ারীর ব্যাচ পরিয়ে দেন যুবনেতা তপোময় বিশ্বাস, পুষ্পস্তবক দ

সাইকেল যুগ ফিরছে

২০১৪ এই মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন পঞ্চাশ টাকার নীচে থাকবে পেট্রোল ডিজেলের দাম৷ এই মুহুর্তে পেট্রোল সেঞ্চুরি করেছে, ডিজেল ৮০ পার করেছে, গ্যাস ৮৫০ টাকা ছুঁতে চলেছে৷ কোথায় গিয়ে থামবে কেউ জানে না৷ তবে এটা স্পষ্ট এই বিজেপি ভোটের আগে যে প্রতিশ্রুতি দেয়,ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে বিপরীত পথে চলে যায়৷

আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রত্যাশা

সত্যসন্ধ দেব

সমাজে নারী ও পুরুষ পাখীর  দুটি  ডানার  মতো৷ একটা ডানা  যদি  পঙ্গু হয়,  তা  হলে একটিমাত্র  ডানা  দিয়ে  পাখী  উড়তে  পারে  না৷ ঠিক তেমনি  সমাজে  নারী যদি  অবহেলিত  হয়,  শোষিত  হয়,   নির্যাতিত  হয়,  যা  আজকে  হচ্ছেও,  এ  অবস্থায় সমাজের প্রকঁত প্রগতি  হতে  পারে  না৷ নারী  পুরুষের  জননী৷  এই  সত্য  মদগর্বী  কিছু  পুরুষ  ভুলে  যায়  ও  নারীর  ওপর  নির্যাতন  চালায়৷

বর্তমানে বিভিন্ন স্থানে,  কিছু  পশুস্বভাবযুক্ত  পুরুষ  যেভাবে  মেয়েদের ওপর  পাশবিক  নির্যাতন  চালাচ্ছে  তা  মানব  সভ্যতার  মুখে  চরমভাবে  কালি  লেপন  করছে৷

বাঙালী কি মানুষ হইতে পারিবে

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

এন আর সি-র কালো ধোঁয়া, নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের অন্ধগলি, রাষ্ট্রহীনতার আশঙ্কা, রাজনৈতিক তঞ্চকতা, অর্থনৈতিক বৈষম্য, সামাজিক সাম্প্রদয়িক বিভেদ, সাংসৃকতিক অবক্ষয়, শিক্ষার পবিত্র অঙ্গণে উচ্ছৃঙ্খলতা, সাহিত্যের নামে অশ্লীলতা, ধর্মের নামে বেলেল্লাপনা, সোনার বাঙলার স্বপ্ণ দেখিয়ে হিন্দী সাম্রাজ্যবাদীর অনুপ্রবেশ, আদর্শহীন ভোট সর্বস্ব রাজনীতির বাধ্যবাধকতায় পররাজ্যবাসীদের তোষণ--- বাঙালীর জীবনে সূর্যোদয়ের সকালটাও কালো অন্ধকারে ঢেকে দেয়৷

মার্গীয় বিধিতে নাম করণ

শালগ্রামের বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শিখা মাহাত ও শক্তিপদ মাহাতর প্রথম পুত্রের নামকরণ ও মুখেভাত অনুষ্ঠান আনন্দমার্গে চর্যাচর্য বিধিমতে অনুষ্ঠিত হয়৷ এই উপলক্ষ্যে তিনঘন্টা অখণ্ড বাবা নাম কেবলম্‌ মহামন্ত্র কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আচার্য মুক্তানন্দ অবধূত৷

সমবায় প্রসঙ্গে আলোচনা সভা

গত ২৭ ও ২৮শে ফেব্রুয়ারী আনন্দনগর প্রাউট সেবাদল ভবনে দু’দিনের প্রাউটের সমবায় নীতি, প্রগতিশীল  সমবায় পরিচালনার বিষয়ে আলোচনা হয়  ও নূতন পরিচালনা কমিটি ঘটিত হয়৷ আলোচনা সভায়  উপস্থিত ছিলেন প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্র্সলের কেন্দ্রীয় সচিব আচার্য রবিশানন্দ অবধূত, সংঘটন সচিব আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত,আচার্য সত্যস্বরূপানন্দ অবধূত প্রমুখ৷