ত্রিপুরায় দুই প্রকারের ধান হয়– আউশ আর বোরো চাষ৷ অসমের দুটি প্রধান নদী উপত্যকা হচ্ছে ব্রহ্মপুত্র আর বরাক উপত্যকা৷ বরাক উপত্যকার করিমগঞ্জ ব্লকে বাঁশের মান খুব ভাল, একে কাগজ শিল্পে ব্যবহার করা উচিত৷ মিষ্টি আলু আর সুগার বিটের চাষও এ এলাকায় হতে পারে৷ এখানে বছরে চারটি ফসল হওয়া উচিত৷ আনারস থেকে পরিধানের জন্যে কৃত্রিম তন্তু, ওষুধ, জ্যাম–জেলি প্রস্তুত করা উচিত৷ কলাগাছ ও কলাগাছের পাতা ইত্যাদিকে কাজে লাগানো উচিত আর কলাগাছ পুড়িয়ে সোডিয়াম আর সোডিয়াম নাইট্রেট সংগ্রহ করে নিয়ে সাবান শিল্পে ব্যবহূত হওয়া উচিত৷ অসম আর ত্রিপুরায় কাঁটাল খুব ভাল হয়, এর সঙ্গে মধু আর প্রাকৃতিক প্যারাফিনের মোম তৈরী হতে পারে৷
ত্রিপুরায় লালমাটি আছে৷ এই মাটিতে সিলেটের ছোট কমলা, কাজুবাদাম আর পেঁপে উৎপন্ন হতে পারে৷ ছোট ছোট শিল্পও গড়ে তোলা উচিত৷ ত্রিপুরার অমরপুর ব্লকে প্রাকৃতিক রাবারের সঙ্গে সঙ্গে কৃত্রিম রাবারের উৎপাদনকেও উৎসাহ দেওয়া উচিত৷ একই কথা পানিসাগর ব্লকের জাম্পুই পার্বত্য অঞ্চলের জন্যেও প্রযোজ্য৷ চীনাবাদাম, অন্যান্য প্রকারের বাদাম আর সাদা তিল উৎপন্ন হতে পারে৷ এই অঞ্চলের তেল আর প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহারের প্রচুর সম্ভাবনা আছে, আর এর সঙ্গে সৌরশক্তিও উৎপাদিত করতে হবে৷ সৌরশক্তি হ’ল একটি অন্যতম স্থায়ী শক্তির উৎস যা নিঃশেষ হবে না৷ সৌরশক্তিকে ব্যাটারির মধ্যে ভরে সৌর–ব্যাটারি তৈরী করা উচিত৷ ত্রিপুরাকে শক্তিস্রোতের জন্যে কেন বাইরের ওপর নির্ভর করতে হবে?