March 2021

বাঙালীস্তানই বাঙালীর অস্তিত্ব রক্ষা করবে

এইচ.এন. মাহাতো

স্বাধীন ভারতে বাঙালীর অস্তিত্ব আজ বিপন্ন৷ বিশেষ করে ভারতে বাংলা ভাষা কৃষ্টি সংস্কৃতি এমকি বাঙালী জাতিটাকেই বিলুপ্ত করার ষড়যন্ত্র চলছে স্বাধীনতার জন্ম লগ্ণ থেকেই৷ বাঙালীর এই সংকট থেকে বেরবার পথ কী?

ভারতে কর্ষক  আন্দোলন  ও সমাজ-চেতনা

হরিগোপাল দেবনাথ

দিল্লী শহরটি ভারতের রাজধানী শহর৷ দিল্লীতেই অবস্থিত ভারত যুক্তরাষ্ট্রের সাংসদ ভবন--- রাজ্যসভা ও লোকসভা৷ সেখানেই অবস্থিত কেন্দ্রীয় কেবিনেট--- মন্ত্রীসভা ও রাষ্ট্রপতি ভবন৷ অর্থাৎ সমগ্র ভারতকে পরিচালনার জন্যে যে মস্তিষ্ক শক্তির সেটি দিল্লীতে রয়েছে৷  দিল্লীতেই ভারতের শীর্ষ আদালত আর বিচারালয় তাই, দিল্লীতে অবস্থিত শীর্ষ আদালত তথা সুপ্রিম কোর্টকে ভারত যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশ্রেষ্ট চিকিৎসালয়ও বলা যেতে পারে, কেননা রাষ্ট্রদেহে যদি কোথাও রোগ-ব্যাধি দেখা দেয়, অসুস্থতা কিংবা অচলাবস্থা যেকোনো কারণেই উপস্থিত হোক না কেন, শেষ কথাটি শোণার জন্যে সকলেই শীর্ষ আদালতের রায়ের প্রতীক্ষায় অনড় থাকবেন৷ এমনকি ভারত রাষ্ট্রদ

মানবতার মুক্তিকল্পে বাঙালী জনগোষ্ঠী ঐক্যবদ্ধ হোক

প্রভাত খঁ

যখনই নির্বাচন আসে তখনই সব রাজনৈতিক দলগুলো নেতাজী সুভাষচন্দ্রকে হাতিয়ার করে বোটে জয়ী হতে চেষ্টা করে৷ অথচ কংগ্রেস কম্যুনিষ্ট আর এস এস মার্র্ক বিজেপি কেউ সেদিন সুভাষচন্দ্রের পাশে থাকেনি৷ বরং সুভাষচন্দ্রকে জব্দ করতে ব্রিটিশের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে---কেউ প্রকাশ্যে কেউ গোপনে৷ আজ তারা নির্বাচনী বৈতরনী পার হতে চায় সুভাষচন্দ্রকে অবলম্বন করে৷ কিন্তু তাঁর মতাদর্শ ও তাঁর চিন্তাভাবনাকে তিলমাত্র বাস্তবায়নে কি সচেষ্ট হয়েছেন? না হয়নি৷ এটাই হলো দলীয় রাজনৈতিক দ্বিচারিতা৷

ব্যারাকপুরে পদার্পণ দিবস

৯৮২ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারী ব্যারাকপুর আনন্দমার্গ স্কুলে শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী পদাপর্ণ করেছিলেন৷ সেই উপলক্ষ্যে প্রতিবছর ব্যারাকপুর ইয়ূনিট ও স্থানীয় অঞ্চলের মার্গী ভাইবোনেরা স্কুলে সমবেত হয়ে প্রভাত সঙ্গীত কীর্ত্তন প্রভৃতি অনুষ্ঠানের  মধ্যে দিয়ে দিনটি অতিবাহিত করেন৷ এবছর  ওইদিন সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত তিনঘন্টা অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ পরে মিলিত সাধনা শেষে সেই বিশেষ দিনের স্মৃতিচারনা করেন দীনেশ বিশ্বাস গৌতম সাহা প্রমুখ৷

পিছিয়ে ডবল ইঞ্জিন

পরিযায়ী নেতারা বাঙলায় এসে প্রচার করছেন রাজ্যে ডবল ইঞ্জিন সরকার (কেন্দ্রে রাজ্যে একই দলের সরকার)হলে উন্নয়নের গতি অনেক বেশী হয়৷ কিন্তু এই প্রচার যে কতখানি অসার তা প্রমাণ করে দিল কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রকের পেশ করা তথ্য৷ ত্রিপুরায় এখন চলছে ডবল ইঞ্জিন সরকার৷ সম্প্রতি শ্রমমন্ত্রক রাজ্যসভায় ২০১৭-১৮,২০১৮-১৯ আর্থিক বছরের গোটা দেশের পিরিয়ডিক লেবার ফোর্স সার্ভে রিপোর্ট পেশ করেছেন৷ কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রমমন্ত্রকের প্রকাশিত এই পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে ত্রিপুরা রাজ্যের ডবল ইঞ্জিন সরকার কতখানি ব্যর্থ৷ শ্রমমন্ত্রকের প্রকাশিত সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে দেশের বেকারত্বের হার ৫.৮ শতাংশ  সেখানে ত্রিপুরায়

 করোনার কোপ কি আবার ফিরে আসছে

করোনার দৈনিক গ্রাফ ২০০’র অনেক নীচে নেমে গিয়েছিল, শেষ কয়দিন ধীর গতিতে হলেও একটু একটু বাড়ছে সংক্রমণ৷ কেরল, মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব মধ্যপ্রদেশে সংক্রমণ নূতন করে বাড়ছে৷ কেরল মহারাষ্ট্রের সঙ্গে বাঙলার যোগাযোগ অনেক বেশী৷ এই অবস্থায় সংক্রমণ রুখতে মহারাষ্ট্র, কেরল, কর্ণাটক, তেলেঙ্গানা থেকে আসা যাত্রীদের বিমানে চাপার ৭২ ঘন্টা আগের করা করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট দেখতে হবে৷ এমনই নির্দেশ জারি করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার আগামী ২৭শে ফেব্রুয়ারী থেকে এই নিময় কার্যকর হবে৷  অসামরিক বিমান পরিবহন দপ্তরে এই মর্মে চিঠিও দিয়েছে রাজ্য সরকার৷

২১শে ফেব্রুয়ারী 

সাক্ষীগোপাল দেব

‘মা’ ডাকে তে ভাষার স্ফূরন

‘মা’ মহামন্ত্র,

‘মা’ ধবনিতে বেজে উঠে

সকল হৃদয় তন্ত্র৷

কান্না হাসির দোদুল দোলায়

জীবন পানসী ভাসে,

অমানিসা কেটে গিয়ে

জীবনটা উদ্ভাসে৷

কে জানতো এতশক্তি

ধরে মাতৃভাষা,

শত্রুদের ধবংস করে

আগুন শত্রুনাশা৷

বুকের রক্তে রক্ষা করে

মাতৃভাষার মান,

আবুল,বরকত, রফিক, সালাম

আরও বীর সন্তান৷

দেখিয়ে দিল জাত বাঙালী

গড়লো নজির বিশ্বে,

বাংলা ভাষার বিজয় কেতন

উঠলো সবার শীর্ষে৷

বাংলাদেশটা স্বাধীন হলো

শুধু ভাষার জন্য,

বাংলা মাতৃভাষা কলমে

শর্মিলা রীত

বাংলা আমার জন্মভূমি

বাংলা মায়ের ভাষা৷

বাংলায় মোরা কথা কয়ে যাই

মেটাই মনের আশা৷৷

 

বাংলা ভাষার জন্যে লড়াই

                                      জাতিধর্ম ভুলে৷

শহীদ হয়েছে শত শত প্রাণ

                                     এই বাঙলারই ছেলে৷৷

রক্ত মূল্যে কিনেছি ভাষা

                                  ভুলতে নাইকো পারি৷

রক্তে রাঙানো বাংলা আমার

                                একুশে ফেব্রুয়ারি৷৷

বাংলা

জয়তী দেবনাথ

বাংলা আমার মায়ের ভাষা,

                                আপন নাড়ির টান৷

এই ভাষাতেই আমার সুখ,

                   আবেগ-অভিমান৷৷

আমি এই ভাষাতেই ছন্দ টেনে,

                                বাড়াই আবেগ যত৷

এই ভাষাতেই হাসি, কাঁদি,

                                গাই য়ে অবিরত৷৷

বাংলা গানে, সুরের টানে

                                আবেগি এই প্রাণ,

এই ভাষাতেই কেমন যেনো

                                আপন-আপন ঘ্রান৷৷

একুশ আগে বাঙলায় জাগে

শিবরাম চক্রবর্তী

একুশ তুমি বাংলার কাছে

অতীত এক বিস্ময়,

বাংলা ভাষা রাখতে খাসায়

বাঙালী তোমায় পায়৷

একুশ তুমি বাঙালীর ধন

সদাই মনে থাকবে

তোমার ইতিহাস শুণে বাঙালী

ভবিষ্যতেও জাগবে৷

একুশ তুমি, রফিক, সালাম

জববরদের কপালে

ভাষা শহীদের তিলককেটে

অমর করে দিলে৷

একুশ তুমি মাতৃভাষার

মূল উৎসের ফলে,

জয় বাংলা ধবনী তুলে

মুজিবের দল চলে৷

একুশ তুমি লড়াইয়ের বল

একাত্তরে দান করে

বহু বাঙালীর মৃত্যুর পর

(স্বাধীন) বাংলা দেশ দিলে গড়ে৷

একুশ তুমি ‘মাতৃভাষার’