January 2024

কৌশিক খাটুয়ার কবিতা

কৌশিক খাটুয়া

লাল পাখীটা সবুজকে কয়

নেবেন নাকি ঘরভাড়া

আলো বাতাস ভালোই খেলে

রাত্রিতে রয় পাহারা৷

 

সবুজ বলে অমি রাজি

চাইনা পৃথক কামরা,

একই ঘরে বাকি জীবন

থাকতে পারি আমরা৷

 

এই ভাবেতে সবুজ-লাল

কাটিয়ে দিল জীবনকাল,

বর্ণভেদ চিন্তাধারায়

মানুষের কি করুন হাল!

 

একাই বানায় নিজের আবাস

সাবাস পক্ষী সাবাস!

কষ্ট করে জোগাড় করে

ডাল, পালা, খড়, ঘাস৷

 

যদি দুর্যোগ নেমে আসে

ভূমিকম্প বা প্রলয়,

ঝড় বৃষ্টিতে কড়কাপাতে

সুকুমার  রায়ের কবিতা

সুকুমার  রায়

ওগো ত্রিকালদর্শী

মধুবন বিহারী

বিশ্বভুবন রেখেছো

তুমি মননে ভরী৷

অনন্তলীলায় খেলিছো

বিশ্ব বিধাতা

দয়ার সাগর তুমি

জীবের পরিত্রাতা৷

বাজাও বাঁশি

ওগো মোহন বেশে

নন্দনলোকের দিব্যানন্দে

আছো মিশে৷

 

২.

দিনের আলোয় ব্যস্ত তারা

তাই তো বুঝি দেয় না ধরা

রাত গগনে তাকায় তারা

কৌতুহলে দীপ্ত নয়ন ভরা

আসতে মানা মোদের পাশে

বন্দি সেকোন অজানা দেশে৷

 

কোলকাতার প্রথম বে আইনী বাড়ি

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

আজকাল কোলকাতায় বে-আইনী বাড়ি নিয়ে প্রায়ই হৈচৈ শোণা যায়৷ বেআইনী বাড়ি নির্মাণ ঠেকাতে কোলকাতা কর্র্পেরেশন হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে৷ কিন্তু শুণতে অদ্ভূত লাগলেও এ কথা সত্যি যে, কোলকাতা নগরের পত্তনই হয়েছিল বে-আইনী বাড়ি দিয়ে৷

ইন্দ্র

‘ইন্দ্র’ মানে শ্রেষ্ঠ৷ বৈদিক ও পৌরাণিক কথানিকা অনুযায়ী দেবতাদের যিনি শ্রেষ্ঠ তাঁকে ‘ইন্দ্র’ বলা হত৷ ‘ইন্দ্র’ ঠিক কোন ব্যষ্টিবিশেষের নাম নয়, এটি একটি পদবিশেষ  ইন্দ্রের স্ত্রীর নাম শচী৷ সেটা ব্যষ্টিবিশেষের নাম৷ পদাধিকারে ইন্দ্রের স্ত্রীলিঙ্গে ‘ইন্দ্রাণী’, বা ‘ইন্দ্রা’ (‘ইন্দিরা’ শব্দটি বৈয়াকরণিক বিচারে অশুদ্ধ)৷ ‘ইন্দ্র’ শব্দের অর্থ শ্রেষ্ঠ তাই ৰড় কূপকে  সংস্কৃতে ৰলা হয় ইন্দ্রকূপ ইন্দ্রকূপ> ইন্দ্রউ> ইন্দরু> ইন্দার> ইনারা (বিহারের কোন কোন জায়গায় কথ্য ভাষায় ‘ইনারা’ ৰলা হয়৷) অরণ্যানী-শোভা শালবৃক্ষ৷ সে সুন্দর তার ঋজুতায়, দীর্ঘতায়, গাম্ভীর্যে৷ তাই শালেরও সংস্কৃত নাম ইন্দ্রবৃক্ষ৷ ‘ইন্দ্র

বিয়ের ঝামেলা

একজন কর্ষক ছিল৷ সে ছিল দারুণ ঔদরিক ৷ কিন্তু তার দু’পায়ে ছিল গোদ৷ তা সে যাই হোক, সেই কর্ষক গেছল বিয়ে করতে৷ গোদ দেখাদেখি জানাজানি হলে বিয়ে কেঁচে যাবে যে! তাই ঔদরিকতার কথা ভেবে তাকে তখন সবসময় ধুতি দিয়ে গোদ ঢ়েকে রাখতে হয়েছে৷ সে কী ৰিড়ম্বনা!

কনের অবস্থাও শোচনীয়, কারণ তিনি কানা৷ তাঁকে সব সময় চোখ ঢ়েকে রাখতে হচ্ছে৷ নইলে জানাজানি হয়ে গেলে বিয়ে ভেস্তে যাবে৷ তিনি বিয়ের আগের মুহূর্ত পর্যন্ত বাংলা পান দিয়ে মুখ ঢ়েকে রাখছিলেন৷ বিয়ের পর তো আরো সুবিধে৷ ঘোমটা দিয়ে মুখ ঢ়েকে রাখার সুযোগ পাওয়া গেছল৷ ঔদরিক ৰড় উস্খুস করছেন, কারণ তার সমস্ত সংবেদনা আজ ঔদরিকতার ভাবনায় প্রেষিত৷

২০৩৬ সালের অলিম্পিক আয়োজনের চেষ্টা চালাচ্ছে ভারত

 গত অক্টোবরে মুম্বইয়ে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক্স কমিটির (আইওসি) অধিবেশনে অলিম্পিক আয়োজনের ইচ্ছাপ্রকাশ করে ভারত ও এরজন্য প্রস্তাবও রাখা হয় অলিম্পিক্স কমিটির কাছে৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী জানান---দেশে খেলাধূলার প্রসার ও প্রচার বাড়াতে হবে৷ এখানেই ২০৩৬ সালের অলিম্পিক্সের আয়োজন করতে হবে৷ যদি ভারতের প্রস্তাব তাঁরা গ্রহণ করেন তবে এদেশেই হয়তো অলিম্পিক্সের আয়োজন করা সম্ভব৷ যদি ভারত অলিম্পিক্স আয়োজনের সুযোগ পায় তাহলে সর্দার পটেল স্পোর্টস কম্পপ্লেক্সে আয়োজন করা হবে৷ ইতিমধ্যেই ৪৬০০ কোটি টাকা অনুমোদন করেছে সরকার৷ ৬০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে নবরঙ্গপুর স্পোর্টস কমপ্লেক্সের (আমদাবাদে) জন্য৷ এটাই ভারতের সবচে

বিশ্বকাপ ফাইনালের ব্যর্থতার রেষ এখনো কাটেনি ভারতীয় ক্রিকেট দলের

বিশ্বকাপ ফাইনালের হারের পর কেটে গেছে প্রায় একমাসেরও বেশি৷ কিন্তু ভারতের প্রথম সারির ক্রিকেটারেরা আবার নেমে পড়েছেন অনুশীলনে৷ দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথমবার টেষ্ট সিরিজ জিততে মরিয়া তারা৷ প্রথম টেস্টের দু’দিন আগে কোচ রাহুল দ্রাবিড় স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, বিশ্বকাপ ফাইনালে হারের ব্যর্থতা আর তাড়া করছে না ভারতকে৷ দক্ষিণ আফ্রিকায় নতুন ইতিহাস লিখতে চান তাঁরা৷

নববর্ষের অঙ্গীকার

পত্রিকা প্রিতিনিধি

দানবীয় রাজনৈতিক গণতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে অবিলম্বে অর্থনৈতিক গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা করতেই হবে৷ তবেই অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান সম্ভব৷ প্রাউট প্রবক্তার ভাষায়--- ‘‘অর্থনীতি হবে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ও প্রয়োগভৌমিক বিজ্ঞান, আর একে বিশ্বের সর্বস্তরের মানুষ, সর্বজীবের তথা সর্ব অস্তিত্বের সার্বিক কল্যাণের স্বার্থে বিকশিত করতে হবে৷’’

আন্তর্জাতিক নববর্ষ উপলক্ষ্যে আনন্দনগরে ত্রি-দিবসীয় ধর্ম মহাসম্মেলন

 গত ১লা,২রা ও ৩রা জানুয়ারি আনন্দনগরে ত্রি-দিবসীয় আনন্দমার্গ আন্তর্জাতিক ধর্ম মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়৷ এই ধর্ম মহাসম্মেলন উপলক্ষ্যে ৩১শে ডিসেম্বর অপরাহ্ণ ৩ ঘটিকায় শুরু হয় ৭২ ঘন্টার অখণ্ড ৰাৰা নাম কেবলম্‌ নাম সংকীর্ত্তন৷ ৩রা জানুয়ারী,২৪ অপরাহ্ণ ৩ ঘটিকায় কীর্ত্তন সমাপ্ত হয় ও ঈশ্বর প্রণিধানের পর আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত কীর্ত্তন মাহাত্ম্য বিষয়ে বক্তব্য রাখেন৷ এই দিন রাত্রি ১০ ঘটিকায় আনন্দমূর্ত্তিজীর বরাভয় আশীর্বাদ মুদ্রার প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে ধর্ম মহাসম্মেলন সুসম্পন্ন হয়৷

আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের বার্ষিক প্রতিবেদনে পূর্বভাষ - ঋণ জর্জরিত হবে ভারত

 আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার (ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফাণ্ড) তার বার্ষিক প্রতিবেদনে  জানিয়েছে ভারত সরকারের ঋণ জিডিপির ১০০ শতাংশ ছুঁয়ে যাবে৷ কারণ হিসেবে জানিয়েছে আগামী দিনে ভারতকে বিভিন্ন খাতে যে পরিমাণ অর্থ লগ্ণি করতে হবে, সেই তুলনায় আয়ের সংস্থান কম৷ প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি ২০২৪শে ক্ষমতায় আসার পর ভারতের অর্থনীতি পাঁচলক্ষ কোটিতে পৌঁছে দেবেন৷ আই.এম.এফের সতর্কবার্তা মোদি সরকারের কাছে যথেষ্ট অস্বস্তিকর৷ যদিও সরকারের যুক্তি আভ্যন্তরীণ ঋণ দেশীয় মুদ্রায় দেওয়া নেওয়া হয়৷ তাই বিদেশী মুদ্রা বিনিময় মূল্যের সঙ্গে এর কোন সম্পর্ক নেই৷ আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের প্রতিবেদন প্রকাশের দুমাস আগেই অর্থমন্ত্রী জানিয়