March 2024

ধ্রুপদী ভাষার নামে নূতন করে শোষণ বন্ধ করুণ!

জহরলাল সাহা

যা এখন শোনা যায় তাতে মনে হয় আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে বাঙালী ছেলেমেয়েরা মাধ্যমিক স্তরে অর্থাৎ পঞ্চমশ্রেণী পাশের পর আর বাঙলায় পড়াশোনা করতে পারবে না৷ নূতন শিক্ষানীতি তো তা-ই বলে৷

আত্মোপলব্ধি ও মানবতার সেবা

‘আত্মমোক্ষার্থং জগদ্ধিতায় চ’, এটি একজন সাধকের জীবনের আদর্শ হওয়া উচিত৷ মানুষের কাজ করা উচিত, আর কাজ করার সময়ে মনে রাখা দরকার, সে যা কিছুই করছে তা আত্মমোক্ষের জন্যে৷

সামন্ততন্ত্র ও জমিদারী প্রথা

তোমরা যারা জমির খাজনা সংক্রান্ত বিধিব্যবস্থা নিয়ে পড়াশোণা করেছ তারা জান যে ভারতে পাঠান, মোগল, প্রাক্–ৰৌদ্ধ ও ৰৌদ্ধযুগে রাজাকে খাজনা দেওয়া হত সোণার বিনিময়ে৷ দশ–বিশটা গ্রামকে একত্র করে’ এক একটা revenue village বা মৌজা তৈরী হত আর গ্রামবাসীদের মধ্যে একজনকে ক্ষমতা দেওয়া হত খাজনা সংগ্রহের৷ এই খাজনা বা কর আদায়কারীদের সরকার কোন পয়সাকড়ি দিত না, জমি দিত যা চাষ করে’ তারা জীবিকা নির্বাহ করত৷ তারা কৃষিক্ষেত্রে রাজা ও জনসাধারণের মধ্যে মধ্যস্বত্বভোগী (intermediaries) রূপে কাজ করত, আর ধীরে ধীরে এরাই শক্তিশালী জমিদারে পরিণত হ’ল৷ প্রাচীনকাল থেকেই এই মধ্যস্বত্বভোগীদের অস্তিত্ব ছিল৷ এদের বলা হত জমিদার, পত্তনিদ

নারী জাতি হোক নূতন বিপ্লবের অগ্রদূত

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

সমাজে নারী ও পুরুষ পাখীর দুটি ডানার মতো৷ একটা ডানা যদি পঙ্গু হয়, তা হলে একটিমাত্র ডানা দিয়ে পাখী উড়তে পারে না৷ ঠিক তেমনি সমাজে নারী যদি অবহেলিত হয়, শোষিত হয়, নির্যাতিত হয়, যা আজকে হচ্ছেও, এ অবস্থায় সমাজের প্রকৃত প্রগতি হতে পারে না৷ নারী পুরুষের জননী৷ এই সত্য মদগর্বী কিছু পুরুষ ভুলে যায় ও নারীর ওপর নির্যাতন চালায়৷

বর্তমানে বিভিন্ন স্থানে, কিছু পশুস্বভাবযুক্ত পুরুষ যেভাবে মেয়েদের ওপর পাশবিক নির্যাতন চালাচ্ছে তা মানব সভ্যতার মুখে চরমভাবে কালি লেপন করছে৷

আগামী ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন প্রসঙ্গে

প্রভাত খাঁ

দেশে ২০২৪এর লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে৷ তাতে সব রাজনৈতিক দল যারা যা শক্তি তাই নিয়ে লড়ার জন্য প্রস্তুত৷ সবাই পরীক্ষায় বসে যে সব প্রার্থী তাদের আশা করে যেন তেন প্রকারে পাশ করতেই হবে৷ সেটা অন্যায় পথে হোক বা ন্যায় পথে হোক৷ এটা হলো চিরকালের একটা হওয়ার পদ্ধতি৷ তাই যারা বোটারতারা হলেন মূলতর ভাগ্যবিধাতা সেখানে কোন বাচ বিচার নেই৷ তারা সব বুঝে দেখে ও শুনে যাদের নাম ঠিক দেবেন তারাই জয়ী বলে ঘোষিত হবে৷ এব্যাপারে একটা কথা বার বার মনে আসছে তা হলো বোট দান কেন্দ্রে যারা বোট নিতে ও দিতে আসবে তারা ঠিকঠাক ব্যবস্থা যাতে বোটা দেবার বুথগুলিতে তাই বলতে বাধ্য হচ্ছি একটা কথা তো হলো বোটারদের একটা দায়িত

সঙ্গীত ও মাইক্রোবাইটাম

সমরেন্দ্রনাথ  ভৌমিক

সঙ্গীতের অভিস্ফুরন ঘটে বিশুদ্ধ চক্র হ’তে৷ এই চক্র আকাশতত্ত্বকে বা বোমতত্ত্বকে অর্থাৎ বাক্‌যন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণ করে৷ আমরা জানি যে, ‘ভাব’ ভাষায় রূপান্তরিত হ’য়ে বাকযন্ত্রের মাধ্যমে বাকস্ফুরন বা শ্রুতিগোচরা হয়৷ এই শ্রুতিগোচরা আবাজই হ’ল ধবনি sound) এই বিশুদ্ধচক্রে আছে ১৬টি বৃত্তি৷ এদের মধ্যে ধবনি সংক্রান্ত বৃত্তি হ’ল ৭টি৷ এই ৭টি বৃত্তি হ’ল (১) ষড়জ, (২) ঋষভ (৩) গান্ধার (৪) মধ্যম (৫) পঞ্চম (৬) ধৈবত (৭) নিষাদ৷ এই সাতটি বৃত্তি সাতটি পশুপক্ষীর নিজস্ব ধবনি৷ যত সঙ্গীত তৈরী হয়েছে সব সঙ্গীতের মূল সুর সপ্তক (সা,রে,গা,মা,পা,ধা,নি)৷ এই সুর সপ্তক Permutation) ও Combination) হ’য়ে নানান ধরণের রাগ, রাগিনীর সৃষ্টি

২০৩৫ সালের মধ্যে স্পেস স্টেশন তৈরি করবে ইসরো

রাশিয়া, আমেরিকা এবং চিনের পর নজির গড়তে চলেছে ভারত৷ মহাকাশে নিজেদের স্পেস স্টেশন তৈরি করে সারা বিশ্বে চতুর্থ স্থানের অধিকারী হতে চলেছে ভারত৷ ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর প্রধান এস সোমনাথ জানিয়েছেন, ২০৩৫ সালের মধ্যেই স্পেস স্টেশনটিকে মহাকাশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে৷ প্রস্তুতি পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে এখন থেকেই৷ ২০৩৫ সালের মধ্যে স্পেস স্টেশন কার্যকর হতে পারে বলে আশ্বাসও দিয়েছেন ইসরোর প্রধান৷ এই স্পেস স্টেশনটিকে নিম্ন কক্ষপথে অবস্থান করানো হবে৷ নাম রাখা হবে ‘ভারতীয় অন্তরীক্ষ স্টেশন’৷ স্পেস স্টেশনের ভিতরে দুই থেকে চার জন নভশ্চরের থাকার ব্যবস্থা করা হবে৷ এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিরুনন্তপুর

কর্পোরেট সরকার

মোদি সরকারের শ্লোগান---সবকা সাথ সব্‌কা বিকাশ, কিন্তু সরকার যখন কর্পোরেটএর কর্তাদের হাতে যায়--- তখন সেই সরকার সব্‌কা বিকাশ নয় ধনির মুনাফা নিয়ে পরিকল্পনা গড়বে৷

খবরে প্রকাশ মোদি সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন পদে কর্পোরেট কর্তাদের নিয়োগ করবে৷ অবিলম্বে সরকারী সংস্থার ডিরেক্টর, জয়েন্ট ডিরেক্টর, চেয়ারম্যান, সচিব প্রভৃতি পদে কর্পোরেট কর্তাদের নিয়োগ করা হবে৷ বিরোধীদের মতে শাসক বণিকের এই সমন্বয় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের পক্ষে বিপজ্জনক হতে পারে৷ মোদি সরকার জনগণের নয়, কর্পোরেট সরকার৷

গোড্ডায় গার্লস প্রাউটিষ্টের শোভাযাত্রা

গত ৬ই আগষ্ট ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় গার্লস প্রাউটিষ্টের ঝাড়খণ্ড শাখার উদ্যোগে একটি শোভাযাত্রা গোড্ডা শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে জেলা কমিশনারের কার্যালয়ের সামনে সমবেত হয়৷ নারী জাতির মর্যাদা রক্ষা ও দৈহিক মানসিক আত্মিক বিকাশের বিভিন্ন দাবী সহ একটি স্মারকলিরি কমিশনারের হাতে তুলে দেন গার্লস প্রাউটিষ্টের নেতৃবৃন্দ৷ শোভাযাত্রায় শতাধিক সদস্যা উপস্থিত ছিলেন৷

 

বেহালা ক্ষুদিরামপল্লীতে অখণ্ড কীর্ত্তন

গত ১লা, ২রা ও ৩রা মার্চ বেহালা ক্ষুদিরামপল্লীর বিশিষ্ট আনন্দমার্গী লক্ষণ মণ্ডলের বাসগৃহে ১৬প্রহর ব্যাপী অখণ্ড ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তনের পাশাপাশি সমাজসেবা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও একটি সুসজ্জিত শোভাযাত্রা পথ পরিক্রমা করে৷ দুঃস্থ মানুষের হাতে শিক্ষা সামগ্রী ও ছাতা বিতরণ করা হয়৷