December 2024

প্রাউট সঙ্গীত

সাক্ষীগোপাল দেব

চল্‌রে চল্‌রে চল্‌রে চল,

দেশের অরুণ তরুণদল

ভাঙতে হবে হাজার যুগের

শোষণ শাসন জগদ্দল৷৷

নেবে রে তুলে ত্যাগ নিশান

ডাকছে প্রাউট ঐ বিধান

কদম কদম এগিয়ে চল

কাঁপুক ধূলার ধরণী তল৷৷

ভেদ বিভেদের উৎপাটন

করবে তোলা সব মিলে

অত্যাচারী কর খতম

তোলরে তাকে কাঠ ঝিলে৷

প্রাউট শাসন কর কায়েম

মাটির বুকে জবরদস্ত

সংগচ্ছধবং মন্ত্র হোক

কলকাতা মেট্রোয় আক্রান্ত বাংলা

তপোময় বিশ্বাস

‘‘ইন্ডিয়া কা ল্যাঙ্গুয়েজ হিন্দী হ্যায়, তুমি হিন্দী জানো না!! তুমি কি বাংলাদেশী?’’

মাতৃভূমি খোদ কলকাতায় বহিরাগত এক অবাঙালীর মুখ থেকে বাঙালীকে শুনতে হচ্ছে ইন্ডিয়ায় থাকো হিন্দী জানো না! এটা বাংলাদেশ নয়, এখানে হিন্দী শিখতেই হবে! সম্প্রতি সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে এই দৃশ্য দেখে গোটা দেশের বাঙালী সমাজ হতবাক, স্তম্ভিত৷ পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা মেট্রোতে বাংলায় কথা বলায় হিন্দী সাম্রাজ্যবাদী দৌরাত্ম্যে এভাবে এক বাঙালী তরুণীকে হেনস্থার শিকার হতে হওয়ার ভাইরাল হওয়া ভিডিও আমাদের প্রসূপ্ত চেতনাবোধ কি জাগাতে পেরেছে?

খাদ্যরস

খাদ্যরস সাধারণতঃ ছয় প্রকারের৷ এই ষড়রস হচ্ছে–তিক্ত, কটু, কষায়, লবণ, অম্ল ও মধুর৷ তন্ত্র–ভারতীয় ভেষজবিজ্ঞান এই হিসাবকেই অনুসরণ করে৷ প্রথম পাতে খেতে হয় তিক্ত (যেমন পলতা, শুক্তো, নিম–বেগুন, শিউলি পাতার ঝোল প্রভৃতি)৷ দ্বিতীয় পাতে খেতে হয় কটু অর্থাৎ ঝাল (যেমন একটু বেশী লঙ্কা বা গোলমরিচ বা পিপুল দিয়ে তৈরী রান্না–আলু–মরিচ, নিরামিষ ঝাল, ৰড়ির ঝাল)৷ তৃতীয় পাতে খেতে হয় কষায় জিনিস (যেমন ডুমুর, মোচা, থোড়, কাঁচকলা প্রভৃতি)৷ চতুর্থ পাতে খেতে হয় লবণযুক্ত জিনিস (যেমন অচার, পাঁপড়, নোনতা পোলাও, নিমকি, সিঙ্গাড়া প্রভৃতি)৷ পঞ্চম স্তরে খেতে হয় অম্লরস যুক্ত খাদ্য (অম্বল, চাটনি, টক, তেঁতুল, আমড়া, জলপাই, করমচা, কামরা

দীক্ষা ও যোগসাধনা

...ব্রহ্মাস্মি বিজ্ঞান যদি কেবল শাব্দিক স্তরে সীমিত থাকে, তাতেও কোন কাজ হবে না৷ এ জন্যে ‘সোহং’ মন্ত্রের পরিচ্ছেদহীন ভাবনা নিতে হবে৷ এই যে অ–পরিচ্ছিন্ন ভাবনা, এ ভাবনা বাচনিক জপে সম্ভব নয়৷ মানস তথা অধ্যাত্মসাধনার এই যে সূক্ষ্মবিজ্ঞান, এটা তন্ত্রেরই আবিষ্কার (তন্ত্র ও যোগের মধ্যে মূলতঃ কোন পার্থক্য নেই৷ তন্ত্রেরই সূক্ষ্মতর সাধনার নাম যোগমার্গ)৷ সাধনামার্গে জপক্রিয়া ও ধ্যানক্রিয়া মহাকৌলেরই ব্যবস্থা৷ কেবল জপেও কোন কাজ হবে না, যদি মন্ত্রের গতিধারার সঙ্গে মনের গতিধারা সমান তালে না চলে৷ মনে মনে জপও করছি, আবার তার সঙ্গে অন্যের ক্ষতির চিন্তাও করছি–এ ধরনের জপ নিষ্ফল৷ জপক্রিয়ায় সাফল্য লাভ করতে গেলে সমস

ঔপল ঃ উপ-লা+ ড = উপল৷ ইংরেজীতে যাকে ৰলে ‘পেৰ্‌ল্‌’ pebble) ‘ৰাংলায় ‘নুড়ি’, হিন্দীতে ‘রোড়ে’, উর্দুতে ‘সংরেজে’৷ এই নুড়ি সংক্রান্ত বিষয়কে ৰলৰ ‘ঔপল’৷ যে পার্বত্য পথ নুড়িতে ভর্তি তাকে আমরা অনায়াসে ‘ঔপল পথ’ ৰলতে পারি৷ উপল পথ ‘ঔপল’ শব্দ পাচ্ছি৷ উপল মানে যে কেবল নুড়ি তাই নয়৷ যে কোন ক্ষুদ্রাকৃতি কঠোর বস্তুকেই ‘উপল’ ৰলা চলে৷ এমনকি যে বস্তু আগে কঠোর ছিল না, এখন কঠোর হয়ে গেছে, তাকেও উপল বলা চলে৷ উপলী/উপলি হচ্ছে সংস্কৃত ভাষায় ঘুঁটের একটি নাম৷ পর্যায়বাচক শব্দ হচ্ছে ‘ঘুন্টক’ (যার থেকে ‘ঘুঁটে’ শব্দ এসেছে), কাণ্ডক (যার থেকে উত্তর ভারতে ‘কাণ্ডা’), কুরীষ, ঘোসকী (যার থেকে ৰাংলায় ‘ঘোসি’---ঘুসি নয়৷ ঘুসি মানে ‘কি

প্রাচীনকালে নারীর স্থান

(মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার তাঁর শব্দ চয়নিকা–২৬ খণ্ড গ্রন্থের বিভিন্ন স্থানে ‘নারীর মর্যাদা’ বিষয়ক অনেক কিছুই বলেছেন৷ ওই গ্রন্থ থেকে কিছু অংশ সংকলিত করে প্রকাশ করা হচ্ছে৷ –সম্পাদক)

বাংলা ভাষা ও তার উপভাষা

বাঙলা ভাষায় মুখ্যতঃ বারটি উপভাষা (dialect) রয়েছে৷ সেই উপভাষা ও তাদের ব্যবহারের ক্ষেত্রগুলি নিম্নরূপ–

(১) মধ্যরাঢ়ীয় বাংলা ঃ

(ক) নলহাটি, মুরারই বাদে বীরভূম জেলা

(খ) কান্দি মহকুমা

(গ) সাঁওতাল পরগণা জেলার দুমকা, জামতুড়া ও দেওঘর মহকুমা

(ঘ) বর্দ্ধমান জেলার দুর্গাপুর ও আসানসোল মহকুমা

(ঙ) ধানবাদ জেলা (পশ্চিমে পরেশনাথ পাহাড় পর্যন্ত)

(চ) পুরুলিয়া জেলা

(ছ) গিরিডি জেলার অংশবিশেষ

(জ)রাঁচী জেলার পূর্বাংশ–সিল্লি, সোণাহাতু, বুন্দু ও তমাড়

(ঝ) সিংভূম জেলার উত্তর–পূর্বাংশ

(ঞ) কাঁথি এলাকা বাদে মেদিনীপুর জেলা

উপধর্মাশ্রিত উন্মত্ততা মানুষকে ধবংসের কিনারে নিয়ে যাচ্ছে প্রাউটের উদার অসাম্প্রদায়িক ভাবাধারাই বিশ্বভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করবে

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রীপ্রভাত খাঁ বলেন---বাংলাদেশে যা ঘটছে তা ভাবজড়তা কেন্দ্রিক ন্যায়নীতি বর্জিত, অবৈজ্ঞানিক অমনস্তাত্ত্বিক দর্শনের অনুগামীদের বীভৎস দানবীয় দাপট৷ এই সর্বনাশা উন্মত্ততা কোনপক্ষেরই কোন কল্যাণ করবে না৷ শ্রী খাঁ বলেন ভাবজড়তা কেন্দ্রিক উপধর্মের পাণ্ডারা সুকৌশলে চালিত করে ধনিক শ্রেণীর স্বার্থরক্ষা করতে৷ অজ্ঞ অচেতন মানুষগুলো বোঝেই না এই অন্ধ উন্মত্ততা শুধু ভায়ে ভায়ে বিভেদ সৃষ্টি করে নিজেদেরই সর্বনাশ করছে৷ বিশ্বের অধিকাংশ রাষ্ট্রের শাসকবর্গই ভাবজড়তা কেন্দ্রিক উপধর্মের আশ্রয় নিয়ে নিজের দেশের নাগরিকদের সঙ্গে প্রতারণা করছে, তাদের ভুলপথে

সাংঘাতিক!

বছর ১০-১২ আগে কেরলে মোবাইল চুরি করতে গিয়ে বিহারের একটি ছেলে ধরা পড়েছিল৷ কেরলের প্রথম শ্রেণীর দৈনিকে প্রথম পাতায় ছবিসহ ছাপা হয়েছিল বিহারী চোরো৷

আজ বাঙলায় বেআইনি অস্ত্র সরবরাহ থেকে ট্যাব কেলেঙ্কারি সবেতেই যোগ বিহারের৷ ভিন্ন প্রদেশে কোন অপরাধের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের কেউ থাকলে বড় বড় করে প্রচার হয়--- বাঙলার যোগ৷ কিন্তু বাঙলার নেতা মন্ত্রী থেকে মিডিয়া পশ্চিমবাঙলায় ভিন রাজ্যের অপরাধীদের নিয়ে কোন কথা বলে না, বরং আর জি কর কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় রাই কে, রায় বলে পরিচয় দেয়া হচ্ছে৷