স্বাস্থ্য বিজ্ঞান

মানসিক দুশ্চিন্তা দূর করতে নিম পাতা চিবিয়ে খান

নিম পাতা আমাদের বিশেষ উপকারী সে কথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না৷ তবে মানসিক দুশ্চিন্তা দূরে রাখতে নিম পাতা যে সাহায্য করে তা হয়ত অনেকেই জানেন না৷ দুশ্চিন্তা দূর করতে প্রতিদিন কয়েকটি তাজা নিম পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন৷ তাজা নিমপাতা চিবিয়ে খেলে চর্মরোগ দূরে পালিয়ে যায়, দাঁতের অসুখ সেরে যায়, রক্তে শর্করা ও উচ্চচাপ দূরে পালিয়ে যায়৷ এছাড়া নিদ্রাহীনতার রোগও পালিয়ে যায়৷ অম্বল হলে নিম গাছের ছাল এক কাপ গরম জলে ভিজিয়ে রেখে সকালে ছেঁকে খালি পেটে খেলে উপকার পাওয়া যায়৷ রোজ সকালে খালি পেটে নিমছাল ও নিমপাতা বেটে তার বড়ি করে খেলে কৃমি রোগ সেরে যায়৷

শ্বাসযন্ত্র সংক্রান্ত রোগ ও জ্বররোগে তুলসী

তুলসীর গুণাগুণ ঃ বাংলার গ্রামে রাধাতুলসী যতটা জনপ্রিয়, বাবুই তুলসী বা কৃষ্ণতুলসী ততটা জনপ্রিয় নয়৷ সব তুলসীর ঔষধীয় গুণ প্রচুর৷ তবে ঔষধীয় গুণে সবার সেরা রাধাতুলসী, তারপর বাবুইতুলসী, তারপরে চন্দন তুলসী, তারপরে কৃষ্ণতুলসী৷ রাধাতুলসী মানুষের বয়স যত কম থাকে তার ওপরে তত বেশী প্রভাব বিস্তার করে৷ যত বয়স ক্ষাড়ে রাধাতুলসীর ঔষধীয় প্রভাব তার তুলনায় তত কম হয়৷ মানুষের বয়স যত বেশী হবে কৃষ্ণতুলসীর ঔষধীয় গুণের প্রভাব তত বেশী কাজে লাগবে৷ আর বয়স যত কমতে থাকবে ঔষধীয় গুণের প্রভাব তত কমতে থাকবে ঙ্ম দ্রব্যগুণের ভিত্তিতে চিকিৎসার ক্ষেত্রে কোন বিশেষ রোগে যে প্রকার তুলসী বেশী কার্যকরী, তা না পাওয়া গে

নারকোল

নারকোল পৃথিবীর বিষুবরেখীয়, কর্কটক্রান্তীয় ও মকরক্রান্তীয় এলাকায় জন্মায়৷ নারকোলের প্রজাতি আছে অনেক রকমের৷ তবে বয়স–সীমা ও উচ্চতার বিচারে ভারতীয় নারকোল মুখ্যতঃ দু’টি শাখায় বিভক্ত৷ কনিষ্ঠ প্রজাতির নারকোল আন্দাজ ৭ বছর বয়সে ফল দেয়, দেয়ও মাঝারি পরিমাণে বাঁচে আন্দাজ ৪০ বছর৷ গরিষ্ঠ প্রজাতির নারকোল ফল দেয় আন্দাজ ৯ বছর বয়সে বাঁচে আন্দাজ ৭৫ বছর, ফল দেয় যথেষ্ট পরিমাণে৷ আজকালকার অধিক ফলনশীল নারকোল* তিন বৎসর বয়সে ফল দিতে শুরু করে৷ নারকোল উৎপাদনে পৃথিবীর প্রধান পাঁচটি দেশ হচ্ছে ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপিন্স, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা ও ভারত৷ ভারতের নারকোল গাছ ও ফলের সকল অংশই কোন না কোন কাজে লাগে৷ সেজন্যে সংস্কৃত ভাষায়

গোলমরিচ

গোলমরিচকে প্রাচীনকালে কথ্য সংস্কৃতে ক্ষলা হত ‘‘কটূবীজম’’৷ গোলমরিচের আদিবাস দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া৷ উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়া গোলমরিচের অতি প্রিয়৷ হাওয়াতে–মাটিতে–জলে একটু নোনতা ভাব থাকলে তো সোণায় সোহাগা৷ মোটামুটি বিচারে ধরে নেওয়া যেতে পারে নারকোল, পান, চৈ, গোলমরিচ কতকটা একই ধরনের আবহাওয়া চায়৷ এই জন্যে আমরা দেখতে পাই অনেক ক্ষেত্রে লোকে গোলমরিচের লতা নারকোল গাছের ওপর তুলে দেয়৷ গোলমরিচ ভারত তথা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার একটি অন্যতম ফসল ও যথেষ্ট গুণযুক্ত একটি মশলা৷ গোলমরিচ একটি সংরক্ষণযোগ্য বীজ ঙ্শুকিয়ে রাখা যায় দীর্ঘদিন৷ দক্ষিণ বাংলা, পূর্ব বাংলা ও উত্তর বাংলার আবহাওয়া নারকোল, চৈ ও গোলমরিচ–তিনেরই উপযোগী৷ পূর

গুড়–ছোলাভিজে–আদা–মুড়ি

কর্মে উৎসাহহীনতা দূর করতে আদা ঃ যাঁরা কোন কর্মে উৎসাহ পান না, যাঁরা দীর্ঘসূত্রী বা অলস, তাঁরা গুড়–ছোলাভিজে–আদা একসঙ্গে কিছুদিন খেলে কর্মোদ্যম ফিরে পাবেন৷ মুড়িতে যে পেট–ফাঁপার দোষ আছে, আদার সঙ্গে মুড়ি খেলে সে দোষটা থাকে না৷ তাই যেখানে জলখাবারে মুড়ির প্রচলন, সেখানে উচিত মুড়ির সঙ্গে দু’–চারটে আদা–কুচি খেয়ে নেওয়া৷

               ‘‘মুড়ির সঙ্গে নারকোল কুরো আর আদা কুচি

               গপাগপ খাবে দাদা ফেলে দিয়ে লুচি৷’’

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে খাদ্যের আঁশ

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ

বর্তমানে সারা বিশ্বে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় Dietary fibre বা খাদ্যের আঁশের ওপর বেশ জোর দেওয়া হচ্ছে৷ কারণ বহু সমীক্ষার পর দেখা গেছে, খাদ্যের আঁশ দেহে ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়িয়ে দেয়, পাকস্থলীতে বেশীক্ষণ থাকে, কোলেষ্টেরল ও ট্রাইগ্লাইসেরাইডের মাত্রা কমায়, ওজন ও রক্তচাপের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে৷ এই কারণে প্রাচীন সমাজে ডায়াবেটিস রোগীদের অধিক পরিমাণে আঁশ ও স্বল্প পরিমাণে সহজ শর্করা দিয়ে চিকিৎসা করা হতো৷

ফিট বা তড়কা

 ছন্দা বসু

আজকাল বেশীর ভাগ বাচ্চাদের জ্বর হলেই তড়কা বা কনভাল্শন হচ্ছে৷ এতে স্বাভাবিকভাবেই বাবা–মায়েরা ভয় পান, নার্ভাস হয়ে পড়েন৷ বেশ কিছুদিন আগেও এ বিষয়ে মানুষের ধ্যান ধারণা ছিল অন্ধকারাচ্ছন্ন৷ তখন তড়কা বা ফিট হলেই লোকে ভাবত ভূতে পেয়েছে৷ মানুষ ছুটত ওঝার কাছে৷ তখন ওঝাই ছিল এই রোগের নির্ভরযোগ্য চিকিৎসক৷ যে পদ্ধতিতে এর চিকিৎসা করা হত সেটাও ছিল বীভৎস, কষ্টদায়ক ও অমানুষিক৷ ক্রমশঃ মানুষ সভ্যতার দিকে এগিয়ে যেতে শুরু করল৷ চিকিৎসা পদ্ধতিতেও এল পরিবর্তন৷ চিকিৎসা পদ্ধতিও হ’ল আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত৷ সাধারণতঃ বেশী জ্বর, শরীরে জল কমে যাওয়া, মৃগী আর মেনিনজাইটিস থেকে এই তড়কা বা ফিট হয়৷ ধনুষ্টঙ্কার বা টিটেনাস থেকেও ফিট

পটোল ও  ডালিমের উপকারিতা

পরিচয় ও প্রজাতি ঃ পটোল উত্তর–পূর্ব ভারতের একটি মুখ্য সব্জী৷ কারণ এর আদি বাস পূর্ব ভারতে–বিশেষ করে গঙ্গা অববাহিকার সাহেবগঞ্জ, মালদা, নদীয়া ও রাজমহল এলাকায়৷ এছাড়াও পটোল বেশী পাওয়া যায় রাঢ়, সমতট, মিথিলা (বিহার) ও উৎকলে (ওড়িষ্যা)৷ পটোল একটি ইন্ডিকা বর্গীয় গাছ৷ বাংলায় একে পটোল বলে, সংস্কৃতেও ‘পটোল’৷ মগহীতে শাদা রঙের পটোলকে বলা হয় পটোল কিন্তু সবুজ রঙের পটোলকে বলা হয় ‘পরবল’৷ ভোজপুরীতে বলা হয় ‘পরুরা’ বা ‘পরোরা’৷ মৈথিলীতে ‘পরোর’, হিন্দীতেও ‘পরবল’, আর ইংরেজীতে বলা হয় wax gourd õ± squart gourd । মোটামুটি বিচারে পটোলের চারটি প্রজাতি আছে৷ তার তিনটি প্রজাতিই বাংলার৷ মাত্র একটি প্রজাতি বি

শরীরের উপযোগী খাবার

ডাক্তারবাবু

কয়েক বছর ধরে যে কোন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডেই নারীদের একটি বিশেষ স্থান দেওয়ার চেষ্টা করা হয়৷ এমনকি খাদ্য সচেতনতার ক্ষেত্রেও এটি লক্ষ্য করা যায়৷ তাই দেখা যায় তথ্য সরবরাহ করা হয় নারীর প্রয়োজনীয় খাদ্য কি হবে এ ব্যাপারে৷ এসব তথ্যের ওপর ভিত্তি করে আপনি হয়ত প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ পান করছেন, গর্ভকালীন অবস্থায় ‘ফলিক এসিড সাপ্লিমেণ্ঢ’ নিচ্ছেন–ও ভাবছেন শরীরের জন্যে প্রয়োজনীয় সব খাবারই খাওয়া হয়েছে৷ কিন্তু জানেন কি, এমন কিছু খাবার আছে, যার কার্যগুণ সম্পর্কে হয়ত আপনার কোন ধারণা নেই৷ যেমন ঃ কেবোল পাস্তা/ নুডুলস আপনার ক্লান্তি দূর করে আবার বাঁধাকপি আপনার ত্বকে উজ্জ্বলতা আনে৷