প্রবন্ধ

আর কত দিন---এই আন্দোলন আন্দোলন খেলা!

মনোজ দেব

গণতন্ত্রের জন্য প্রচলিত প্রবাদ---জনগণের জন্য, জনগণের দ্বারা, জনগণের সরকার৷ এটাকে ব্যাঙ্গাত্মক করে বলা হয় বোকাদের জন্য, বোকাদের দ্বারা,বোকাদের সরকার৷ ব্যাঙ্গাত্মক হলেও এটাই নির্মম সত্য৷ স্বাধীনতার ৭৫ বছরে  সরকার যখন দেশজুড়ে স্বাধীনতার অমৃত মহা-উৎসবে মেতে উঠেছে তখন দেশের সেই সাধারণ মানুষ স্বাধীনতার অমৃতের কতটুকু আস্বাদন করতে পেরেছেন?

রাজ্যে অসমিয়া বাঙালী বিভাজনে মদত দেওয়া হচ্ছে

সাধন পুরকায়স্থ

সম্প্রতি রবীন্দ্র সঙ্গীত নিয়ে হোজাইয়ের রবীন্দ্রনাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্জিত বিতর্ক তৈরি করে রাজ্যে অসমিয়া বাঙালি বিভাজনে মদত দেওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন ‘আমরা বাঙালী’ অসম, রাজ্যসচিব সাধনপুরকায়স্থ

বিশ্বকবির নামাঙ্কিত হোজাইয়ের রবীন্দ্রনাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা দিবসে অধ্যক্ষ কর্তৃক একটি রবীন্দ্র সঙ্গীত বাজানো নিয়ে উক্ত প্রতিষ্ঠানেরই একাংশ আপত্তি তুলেছেন ও এটিকে অসমিয়া ভাষার উপর আগ্রাসন প্রতিপন্ন করে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করছেন৷ এনিয়ে  এবার তীব্র অসন্তোষ ব্যক্ত করলেন সাধন পুরকায়স্থ৷

বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অফলাইন মোডে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তের পুনর্বিবেচনা প্রয়োজন

তপোময় বিশ্বাস 

অনলাইন পরীক্ষার দাবীতে পড়ুয়াদের বেশ কিছু আন্দোলন চোখে পড়ছে৷  রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়  কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন  বিশ্ববিদ্যালয়ের অফলাইন মোডে পরীক্ষা নেওয়ার কথা ঘোষণার পর থেকেই অফলাইন বাতিল করে অনলাইন পরীক্ষার দাবীতে ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভ প্রদর্শন করা শুরু হয়েছে৷ গত ২০ মে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েও অফলাইন পরীক্ষার কথা সুপারিশ করার পরের দিনই শনিবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন ক্যাম্পাস গেটের বাইরে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার দাবীতে বিক্ষোভ দেখায় বেশ কিছু ছাত্রছাত্রী৷

নুপূর শর্মাদের কুর্কীত্তিটা স্পর্দ্ধার সীমা অতিক্রম করেছে

নিরপেক্ষ

ভারতের সুপ্রাচীনকালে মহান ঋষিগণ মানুষকে ‘অমৃতের সন্তান’’ হিসাবে ঘোষনা করেন৷ সেই মহান ভারতে  তাই সারা পৃথিবীর বিভিন্ন সম্প্রদায় ও ধর্মমতের মানুষরা এসেছে ও স্থায়ীভাবে বসবাস করে ভারতের সন্তান হয়ে গেছে৷ এখানে তাই নানা সম্প্রদায়ের মানুষরা ভারতীয় হিসাবেই যুগ যুগ  ধরে বাস করেছেন ও বাহিরের বিদেশী শক্তি যেমন পাঠান, মোগল ও ইংরেজরা এদেশের মানুষদের রাজশক্তির অধিকারী হয়ে শাসন করেছে আর তারা মিলে মিশে এক হয়ে গেছে৷ সাম্প্রদায়িকতাটা কিন্তু এদেশের মাটিতে তেমন গুরুত্ব পায়নি৷ আর যারা বাহির থেকে এদেশে এসেছে তাদের অনেকেই এদেশের মেয়েদের  বিবাহ করে তারা এদেশেরই স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে ভারতীয় হয়ে গেছে৷ বাহিরের শাসকদের

শিক্ষাব্যবস্থাটা শিক্ষাবিদদের হাতে থাকাটাই কাম্য আর্থিক দায় সরকারের

প্রভাত খাঁ

ভারতের শাসন ব্যবস্থা পরিচালিত হবে দেশের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা৷ কোথাও বলা হয়নি এ কথা যে শাসকগণ এর অধিকার আছে শিক্ষা ব্যবস্থাকে হাতে নিয়ে যখন যেখানে রাজনৈতিক দলের সরকার আসবে তারা এসেই নিজেদের মতো করে শিক্ষা ব্যবস্থাকে সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করবে৷ শিক্ষা বিস্তারে তারা উৎসাহ দেবে৷ শিক্ষা থাকবে শিক্ষাবিদদের হাতে আর শিক্ষা ব্যবস্থা যাতে সুষ্ঠুভাবে চলে তার জন্য আর্থিক সাহায্য দেবে সরকার৷ দেখা যাচ্ছে কি কেন্দ্র আর কি রাজ্য শাসনে এসেই অর্থ সাহায্য করে বলে তারা বা শাসকগণ শিক্ষা ব্যবস্থায় সরাসরি হস্তক্ষেপ করবে৷ ইংরেজ শাসনেও দেখা গেছে এই বৃহত্তর বাংলার কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় চলতো বেসরকারীভাবে শিক্ষাবি

বিভেদের রাজনীতি ভুলে বাঙালীকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে

মনোজ দেব

‘‘মানুষ মানুষ হারায়ে হুঁশ কোথায় চলেছ তুমি

আকাশ সাগর বিষিয়ে দিয়ে নরক করে মর্তভূমি’’৷

ধর্মান্ধতা ও ধর্ম

যুক্তিহীন ধর্মান্ধতা কোন পর্যায়ে গেলে একটা রাষ্ট্রকে কতটা বিপাকে পড়তে হয় তার দৃষ্টান্ত আজ ভারতবর্ষ৷ কেন্দ্রীয় শাসকদলের  দুই নেতা নেত্রীর অবিবেচক মন্তব্য আজ বর্হিভারতে দেশের মাথা নত করেছে৷ দেশের অভ্যন্তরে একটি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ক্রমাগত বিষ ছড়াতে ছড়াতে কাণ্ডজ্ঞান হারালে এমনটাই হয়৷ এই অবস্থায় মানুষের জানা উচিত ধর্মান্ধতা ও ধর্ম এক নয়৷ ধর্মের নামে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষই আজ বিভিন্ন সামাজিক ব্যাধীর মূল কারণ৷ আর এর পেছনে রয়েছে মানুষের অন্ধবিশ্বাস, ডগ্মা বা যুক্তিহীন ভাবজড়তা৷

প্রাউটের সদবিপ্র নেতৃত্বই বিশ্বকে সঠিক পথ নির্দেশনা দেবে

প্রভাত খাঁ

ভারতের আয়তন বেশ বড়ো৷ এখানে নানা ভাষা-ভাষী ও ধর্মমতের মানুষ বাস করেন৷ তারমধ্যে ভারতের সুপ্রাচীন কাল থেকে যাঁরা বাস করছেন তাঁরা আছেন, আর আছেন দেশের বাহির থেকে আসা   বিভিন্ন ধর্মমতের  বাসিন্দারা ও তাঁদের বংশোধর গণ৷ যাঁরা  সুপ্রাচীন কাল থেকে বাস করছেন তাঁরা সেই প্রাচীন কালের ধর্মকেই অর্র্থৎ সনাতন ধর্মের বার্র্ত্তবহ৷ সেই ধর্মই হলো আধ্যাত্মিক ধর্ম৷ যেটি সব মানুষের ধর্ম৷ কারণ মানব সমাজ হলো এক ও অবিভাজ্য৷ দেশ কাল  পাত্রের আপেক্ষিক জগতে যে আপাত দৃষ্টিতে পার্থক্য দেখা যায় সেটা বাহ্যিক৷ কিন্তু মূলতঃ সকল মানুষের চাওয়া পাওয়াটি একই৷  এমন কোন মানুষ কী আছেন এই পৃথিবী গ্রহে যিনি আনন্দ পেতে চান না!