১২ মিরাজ যুদ্ধবিমান ২০০০ হামলা

সংবাদদাতা
 পি.এন.এ.
সময়

কশ্মীরে ভারতীয় আধাসেনাবাহিনীর ৪৯জন জওয়ান শহীদ হওয়ার ১২দিন পর ভারত পুলওয়ামা হামলার বদলা নিল৷ গত ২৬শে ফেব্রুয়ারী, মঙ্গলবার, ভোর রাতে ভারতীয়  বায়ুসেনার  ১২টি  মিরাজ  ২০০০ যুদ্ধবিমান পাক অধিকৃত কশ্মীর  পেরিয়ে  পাকিস্তানের সীমায় ঢুকে জঙ্গী সংঘটন  জইশ-ই-মহম্মদের  একটি বড় ঘাঁটির  ওপর  বোমা ফেলে গুঁড়িয়ে দিয়েছে৷ এরফলে ওই জঙ্গী সংঘটনের  ৩৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে৷

ভারত যে যুদ্ধ বিমান দিয়ে জঙ্গি ঘাঁটিতে  বোমা ফেলেছে এগুলি হল মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমান৷ ১২টি যুদ্ধবিমান  পাঠানো  হয়েছিল৷  মিরাজ পাকিস্তানের  অন্ততঃ ৮০কিমি  ভেতরে গিয়ে জঙ্গী ঘাঁটিতে আঘাত  হেনেছে৷ নিহতদের মধ্যে ছিল জইশ প্রধান মওলানা মাসুদ আজহারের শ্যালক মওলানা ইউসুফ  আজহার  ওরফে  উস্তাদ  ঘাউড়ি৷ এই  ইউসুফ আজাহারই কান্দাহার বিমান  অপহরণের মাষ্টারমাইন্ড ছিল একসঙ্গে  বহু জঙ্গী নেতাসহ ৩৫০ জন জঙ্গীকে খতম করাকে ভারতের পক্ষে বিরাট সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে৷ এদিন জঙ্গীদের পর পর ৩টি জায়গায় বোমা ফেলা হয়েছে৷ প্রথমটি বালাকোর্টে, দ্বিতীয়টি মুজফফরবাদ ও তৃতীয়টি চাকোটিতে৷ রাত ৩টে ৩০মিনিটে যুদ্ধবিমানগুলি রবানা হয়েছিল, এরপর ১ম টার্গেট বালাকোর্টে বোমা ফেলে ৩টে ৪৫মিঃ, ৩টে ৪৮ মিনিটে দ্বিতীয় টার্গেট মজফফরবাদে  বোমা ফেলা হয়, আর এরপর ৪টা ৬মি চকোটিতে  বোমা ফেলা হয়৷  মোট ২১ মিনিটে অভিযান শেষ৷

পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া

এত শীঘ্র ও আচমকা ভারতের  পক্ষে বায়ুসেনার  এই প্রত্যাঘাতে  পাকিস্তান  সরকার  দিশাহারা৷ পরে পাক সরকারের তরফে  জানানো হয়েছে, নির্বাচনের আবহে ঘরোয়া  রাজনৈতিক  স্বার্থে গোটা অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে  ঝঁুকির  মুখে ঠেলে  দেওয়া হ’ল৷ ভারত অকারণে  আগ্রাসন দেখিয়েছে, কখন ও কোথায় এর জবাব  দেওয়া  হবে, তা পাকিস্তানই বেছে নেবে৷

J              ঠিক সময়ে ঠিক জায়গায় ভারতের আক্রমণের জবাব দেবে পাকিস্তান৷

---ইমরান খান

J              সংঘর্ষ আরও বাড়বে৷

---প্রাক্তন বায়ুসেনাপ্রধান অরূপ রাহা

J              যুদ্ধে কারও কোন লাভ হয় না৷ আমরা যুদ্ধ চাই না৷   ---পাক সেনা মুখপাত্র