‘‘আমার ভায়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী’’
স্থানীয় ঐতিহাসিক একটি দিন কিন্তু কাদের জন্যে এই দিনটা?---ওই ওপারের৷ কারা রক্ত দিল? --- ওই ওপারের৷ কেন রক্ত দিল?--- মাতৃভাষা মর্যাদা রক্ষার জন্যে৷ কাদের মাতৃভাষা? ওই ওপারের, কী সেই ভাষা--- বাংলা ভাষা৷
সবই তো ওপারেব, তাহলে এপারে এত আবেগ কেন!
ওরা তো মুসলিম ! হ্যাঁ, ওদের ভাষার অধিকার কেড়ে নিয়েছিল উর্দু সাম্রাজ্যবাদীরা, তারাও তো মুসলিম ! ওরা লড়েছিল জীবন দিয়ে, রক্ত দিয়ে, মা -বোনেদের অশ্রু দিয়ে মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষা করেছিল পৃথক রাষ্ট্র গড়ে, জগৎকে দেখিয়েছে অন্ধ ধর্মীয় গোঁড়ামির চেয়ে মাতৃভাষার মর্যাদা অনেক বেশী৷ আর এ পারে আমাদের চলনে, বলনে হিন্দী৷ কলকাতা শহরে হিন্দীরই রাজত্ব৷
বাংলা ভাষার জন্যে এপারেও জীবন দিয়েছিল শিলচর রেলষ্টেশনে৷ সেখানেও আজ আমরা বিদেশী হয়ে যাচ্ছি৷ ষাট বছরে ষ্টেশনের নামটাও পরিবর্তন করতে পারিনি৷
বাঙলার অধিকার দাবী করে লড়েছিল মানভূমের মানুষ৷ তাদের পাশে আমরা থাকিনি৷ মানভূমের সাংসদ ভজহরি মাহাত সংসদে বলেছিলেন--- ‘‘আমরা মানভুমের সাংসদ, ভারতীয় কিন্তু আমরা মানভুমের মানুষ, বিহার সরকারের অধীনে থাকতে চাইনা৷’’ তাঁকেও আমরা মনে রাখিনি৷ তবে কিসের তরে একুশ আমার কাছে গর্বের! ওপারের গর্ব, এপারের লজ্জা৷