June 2018

নোতুন পৃথিবীতে

শ্রী রবীন্দ্রনাথ সেন

এসো ভাই, মানবতার গান গাই

এসো ভাই, মানুষের তরে কাজ করে যাই৷

দেখো কত কালে কালে

লোকে চলে দলে দলে

আলো চাই আলো চাই বলে–

কত বাধা ঠেলে, দ্বন্দ্ব হিংসা ভুলে

কামনা কলুষ কালো যবনিকা ফেলে

আলোর আরতি দিতে চলে৷

এসো ভাই, মানবতার গান গাই

এসো ভাই, মানুষের তরে কাজ করে যাই৷

আরো চাই আরো চাই করে

শুধু প্রাণ আছো তুমি ধরে

সুখের স্বপ্ণে ইমারত গড়ে

মানুষের প্রাণ নিয়েছ যে কেড়ে

মানবতার মাঝে দানবতা ভরে

অজ্ঞতার বর্মখানি রয়েছ যে পরে

আর নয় চেয়ে দেখো অরুণোদয়

নব্য মানবতার কথা কারা কয়

আয় বর্ষা আয় না

শিবরাম চক্রবর্তী

আয় বর্ষা আয় না    গরম যে আর সয় না

    কেন ধরিস বায়না?

সময় মত এলে    সবই কাজ ফেলে

    গড়ে দেব গয়না৷

নুপূর পরে পায়    বৃষ্টি মেখে গায়

    ঘুরবি পাড়াময়

দেখবি খোকাখুকি    মেরে উঁকিঝুঁকি

    গাইছে তোর জয়৷

ঘরে হয়ে বন্দি    করে অভিসন্ধি

    যে এড়িয়ে চলবে৷

জানালা খুলে যেই    দেখবে তোমাকেই

    বর্ষারাণী বলবে৷

গরম হবে নরম    মেনে বর্ষার ধরণ

    তবু সে বাঁচতে চায়

ধুকুর ধুকুর বুকে    রান্না ঘরে ঢুকে

    সাঁটে রাঁধুনির গায়৷

 

তোমায় আমি ভালবাসি

রামদাস বিশ্বাস

আমার গানের সুরে নীল–নীলিমায় দূরে

তোমার গীতির ধারা বয়ে যায়৷

তোমার প্রেমের স্রোতে অনন্ত এই পথে

আমার জীবন যায় ভেসে যায়৷৷

গান শোণাতে বাজাও বাঁশী

মধুর চেয়েও মিষ্টি হাসি

হাসো তুমি কাছে–দূরে বিশ্বভূবন ঘুরে ঘুরে

দোলাও হূদয় মধুর দ্যোতনায়৷৷

তোমায় আমি ভালবাসি

ভালবাসি ভালবাসি

আমার মুখে তোমার ভাষা

আমার বুকে তোমার আশা

আমার আশা যাচি গো তোমায়৷৷

বাড়তি নম্বর ছিল পকেটে

প্রাচীনকালের মানুষ জামার পকেট রাখত সাধারণতঃ দুটি কারণে৷ একটি কারণ ছিল শীতের সময় হাত দু’টোকে পকেটে ভরে এই ব্যথার জগতেও খানিকটা স্বর্গসুখ ভোগ করা আর দ্বিতীয় কারণ ছিল–টাকা–পয়সা বা যেসব নেশার জিনিস আর পাঁচ জনকে দেখানো যায় না সেগুলোকে লুকিয়ে রাখা৷ ইংরেজীতে যাকে ‘পকেট’ বলি ফার্সীতে তাকেই বলি ‘জেব’, ভাল বাংলায় ‘কোষ্ঠক’৷ উত্তর ভারতে এই ফার্সী ‘জেব’ শব্দটি আজও ভাল ভাবেই চলে–উর্দুতে তো চলেই৷ স্থানীয় লোকভাষাগুলিতে যেমন অঙ্গিকা, মৈথিলী, ভোজপুরী, মগহী, অবধী প্রভৃতি ভাষাতেও ‘জেব’ শব্দটি ভালভাবেই চলে৷

দশাননের মুণ্ডুপাত

আমি যেখানকার কথা বলছি সেখানে যাত্রাগানের পালা ছিল ‘লক্ষ্মণের শক্তিশেল’৷ যাত্রাদলের বিবেকের কাজ হচ্ছে গানের মাধ্যমে যে ঘটনা হচ্ছে বা হতে চলেছে তার একটা আভাস দেওয়া৷ কিন্তু এখানকার বিবেক সে পথ না মাড়িয়ে রাবণের বিরুদ্ধে  জমিদারবাবুকে চটিয়ে দিয়ে বখশিসের ব্যবস্থা করতে চাইল৷

    ‘‘রাবণ আসিল জুদ্দে পইর্যা ক্ষুট জুতা,

    হনুমান মারে তারে লাতি–সর–গুতা৷

    সর কাইয়া রাবণ রাজা জায় গরাগরি,

    হনুমান বলে, ‘‘তোরে মাইরাসি সাপরি৷৷

    সাপর মারিনি তোরে মাইরাসি সাপরি’’৷

    সাপর মারিলে তুই জইতিস জমের বারি’’৷৷

‘‘গোলোক বৃন্দাবন’’

গ্রামে যাত্রাগান চলছে৷ গীতাভিনয় (সেকালে ভাল ক্ষাঙলায় যাত্রাকে ‘গীতাভিনয়’ বলা হত৷) হচ্ছে জমিদার বাড়ীর সামনেকার প্রকাণ্ড মাঠে৷ যার যা পার্ট সে পার্ট তো সে করছেই উপরন্তু সবাইকার চেষ্টা কোনোক্রমে জমিদারবাবুকে কিছুটা সন্তুষ্ট করে দিয়ে কিছু বখ্শিস আদায় করা৷ এই ধরনের ব্যাপার সেকালকার ক্ষাঙলায় খুব চলত৷ যার এলেম (মূল শব্দটি ‘ইল্ম্’ যার থেকে ‘আলিম্’ শব্দটি এসেছে৷) তেমন নেই সেও জমিদারের খোশামোদ করে দিয়ে বখশিসের ব্যবস্থা করে নিত৷ সেই যে গল্পে আছে না–

ফুটবলের বিশ্বকাপে মাতোয়ারা সারা বিশ্ব!

সমগ্র বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ফুটবল খেলায় যখন বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়রা একে অপরকে ছাপিয়ে যাবার জন্যে প্রতিযোগিতায় নামেন তখন স্বাভাবিকভাবেই উত্তেজনার পারদ চরমে ওঠে৷ প্রতি চার বছর অন্তর যখন বিশ্বকাপ ফুটবল অনুষ্ঠিত হয় তখন সারা বিশ্বের আনাচে-কানাচে তার ছোঁয়া অবশ্যই লাগে৷ এবার রাশিয়ায় বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর বসেছে৷ রাজধানী মস্কো তো বটেই অন্য শহরগুলোও সেজে উঠেছে৷ চারিদিকে জায়াণ্ট স্ক্রীনের ছড়াছড়ি, মাঠে সকলেই তো আর খেলা দেখার সুযোগ পাবেন না৷ তাই টিভি-র পর্দায় এই ‘গ্রেটেষ্ট শো অন আর্থ’ এর তাপ অনুভব করতে আক্রান্ত হয়েছে ফটবল জ্বরে৷ শুধু রাশিয়াতেই কেন সারা বিশ্বেরই বিভিন্ন শহরে এখন বিশ্বকাপ নিয়ে মাতামাতি৷ এই

প্রথম ম্যাচে সালাহর খেলতে পারা নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও জনপ্রিয়তার শিখরে সালাহ

চ্যাম্পিয়ন্স লীগের পরে বিশ্বকাপে খেলা  প্রায় অনিশ্চিত হয়ে যায় মহম্মদ সালাহর৷ চ্যাম্পিয়্যানস লিগের ফাইনালে হাই প্রোফাইল ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে কাঁধে চোট পান লিভারপুলের মহম্মদ সালাহ৷ মাঠ থেকে বেরিয়ে যাবার সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি৷ দর্শকদের মধ্যেও অনেকের চোখে জল আসে৷ আসলে সালাহর মত কুশলী মিডফিল্ডার একটা দলকে দারুণভাবে উজ্জীবিত করতে পারে৷ সেই কারণে মিশর যখব ১৯৯০ সালের পর বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল তখন ফুটবল অনুরাগীরা অবশ্যই মিশরের সবচেয়ে দক্ষ খেলোয়াড়টির দিকে তাকিয়ে রয়েছেন৷ যোগ্য খেলোয়াড় হিসেবেই লিভারপুলে প্রথম এগারোয় জায়গা করে নিয়েছেন৷ তাই তাঁকে ঘিরে স্বপ্

কেন মেসির সঙ্গে তুলনা? ঃ সুনীল

সম্প্রতি কণ্টিনেণ্টাল ট্রফি জিতেছে ভারত৷ বিশ্ব ফুটবল মানচিত্রে ভারতের স্থান নীচের দিকে হলেও ভারতের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রীকে অনেকেই ‘ভারতের মেসি’ বলেছেন৷ এই প্রতিযোগিতার ফাইনালে সুনীল ছেত্রী দুটি গোল করে দু-দলের মধ্যে ফারাক এনে দেন৷ এই ট্রফি জেতার পর ভারতের অধিনায়ক মন্তব্য করেছেন---ভারত কিছুদিনের মধ্যেই ফুটবলে অনেক এগিয়ে যাবে৷ নিজেকে মেসির সঙ্গে তুলনায় তিনি নারাজ৷

পুঁজিপতি তোষণের  কারণে  বড় বড় ব্যাঙ্কগুলিতে  লোকসান, অথচ লাভ হচ্ছে সমবায় ব্যাঙ্কগুলিতে

রাষ্ট্রায়াত্ত বড় বড় ব্যাঙ্কগুলিতে লোকসানের পরিমাণ ৮৭ হাজার কোটি  ছাড়িয়ে  গেলেও  সমবায় ব্যাঙ্কগুলি প্রতিবছর  কোটি কোটি  টাকা লাভ করছে৷