January 2020

সাহিত্যে জাতীয়  সম্মান

 

নিজস্ব সংবাদদাতা ঃ মুর্শিদাবাদ, কান্দির বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রী সাক্ষীগোপাল দেব গত ৮-১১-২০১৯ তারিখে  নিউ দিল্লিতে ভারতীয় দলিত সাহিত্য একাডেমী পক্ষ থেকে মহাত্মা জ্যোতিবা ফুলে স্মৃতি  সম্মান, ২০১৯ ‘জাতীয়  সম্মানে  ভূষিত হন তাঁর আজীবন সাহিত্য কর্মের স্বীকৃতি হিসেবে৷ তাঁর উল্লেখ্যযোগ্য গ্রন্থগুলি  হ’লো পাঞ্চজন্য (গীতিকাব্য), সুরের খোঁজে (গীতিকাব্যে) কারাস্মৃতি, তন-মন-প্রাণ (গল্প গ্রন্থ) যা ‘অন্নদা শংকর স্মৃতি সম্মানে ২০১৮ ইতোমধ্যে ভূষিত৷ পত্রিকার পক্ষ থেকে শ্রী দেবের দীর্ঘ জীবন কামন করি৷

দুঃস্থ ছাত্র-ছাত্রাদের পাশে এ্যামার্ট

বর্তমান সামাজিক ব্যাধিগুলির অন্যতম কারণ শিক্ষার অভাব৷ স্বাধীনতার বাহাত্তর বছর পরেও দেশের এক বৃহত্তর অংশের মানুষ অশিক্ষার অন্ধকারে রয়েছে৷ তাই আনন্দমার্গ শিক্ষার বিস্তারে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছে৷ বিশেষ করে শিশুশিক্ষার ওপর জোর দিয়ে সারা দেশে কয়েকশ’ প্রাথমিক বিদ্যালয় চালায় আনন্দমার্গ৷ কারণ শিশু বয়স থেকেই নৈতিকতার পাঠ দেওয়া উচিত৷

এন.আর.সি. ও ক্যাব-এর বিরুদ্ধে উল্টাডাঙ্গায় আমরা বাঙালীর পথসভা

কলিকাতা : এন.আর.সি. ও ক্যাগ-এর বিরুদ্ধে আমরা বাঙালীর পক্ষ থেকে উল্টাডাঙ্গার মোড়ে গত ১৭ই ডিসেম্বর বিকাল পাঁচটায় একটি পথসভার আয়োজন করা হয়৷ পথসভার শুরুতে মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার রচিত ও সুরারোপিত প্রভাত সঙ্গীত ‘বাঙলা আমার দেশ, বাঙলাকে ভালবাসি....’ গানটি পরিবেশন করেন ‘স্পান্দনিক’-এর শিল্পী অনির্বান মুখোপাধ্যায় ও চন্দ্রা সিন্হা৷

সিউড়ি বইমেলায় আনন্দমার্গের বুকষ্টল

গত ৫ থেকে ১১ই  ডিসেম্বর সিউড়ি ইরিগেশন কলোনী মাঠে সিউড়ি বইমেলার আয়োজন হয়েছিল৷ সেখানে আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের সিউড়ি শাখার পক্ষ থেকেও একটি বুক ষ্টল খোলা হয়৷

হাট/ঘাট

বাংলায় আর একটা কথা রয়েছে ‘হাট’৷ সংস্কৃত ‘হট্ট’ শব্দ থেকে ‘হাট’ শব্দটি এসেছে৷ যেমন পাশাপাশি সাজানো অনেকগুলি হাট, সংস্কৃতে ‘হট্টমালা’৷ ‘হট্টমালার গল্প’ তোমরা অনেকেই নিশ্চয় পড়েছ৷ সংস্কৃতে বড় বড় হাটকে বলে ‘হট্টিক’৷ হট্টূ‘ষ্ণিক্’ প্রত্যয় করে ‘হট্টিক’৷ যদিও বৈয়াকরণিক বিচারে ‘হট্টিক’ মানে ছোট হাট  হওয়া উচিত কিন্তু আসলে বড় হাট অর্থেই ‘হট্টিক’ শব্দটি ব্যবহার করা হ’ত৷ ‘হট্ট’–এর তদ্ভব বাংলা হচ্ছে ‘হাট’৷ যেমন রাজারহাট, বাগেরহাট, মাঝেরহাট প্রভৃতি৷ ‘হট্টিক’ শব্দের বাংলা ‘হাটি’৷ যেমন ‘নবহট্টিক’ থেকে ‘নৈহাটি’, ‘নলহট্টিক’ থেকে ‘নলহাটি’, ‘গুবাকহট্টিক’ থেকে ‘গৌহাটি’  (গুয়াহাটি) প্রভৃতি৷ দক্ষিণ বাংলায় হাটকে ‘হ

সপ্তর্ষির প্রশ্ণ

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

কৃষ্ণা রজনীর শেষ প্রহর

সপ্তমীর ক্ষয়িষ্ণু চাঁদ তখনও

ঢালছে অন্তিম জ্যোৎস্নার পুষ্পবর্ষণ,

আকাশের উজ্জ্বল তারার নিশানায়

ছোট্ট তরী ভাসিয়েছে মানুষ

ঝঞ্ঝা বিক্ষুব্ধ জীবনের অপার সমুদ্রে

অসহ্য ব্যথার তীব্র কালকূট বুকে

ফেনিল জীবন যন্ত্রণার উত্তাল তরঙ্গমালা চারিদিকে

মুক্তির আশ্বাস খুঁজেছে  শুক্রে-মঙ্গলে

কিংবা ওই আলো-বিলানো চাঁদের কোলে

পেয়েছে কি?---

ঊষার প্রথম পদক্ষেপে পাখীর কলগুঞ্জন

পূর্ব দিগন্তে সদ্য জেগে ওঠা চকোলেট রং

সভ্যতার অগ্রগতি হাই তোলে প্রকৃতির সাথে৷

শিমূল তুলো

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

শিমূল তুলো পরীর বাহন

               কোথায় উড়ে যও?

চাঁদেতে আর নেইকো বুড়ী

               হয়েছে উধাও৷

হঠাৎ সেদিন রকেট থেকে

               নামল মানুষ চাঁদে,

চরকা বুড়ী চরকা নিয়ে

               পড়ল বিষম ফাঁদে৷

ভয়ে শেষে পালিয়ে গেছে

               চাঁদের রাজ্যি ছেড়ে

তারার আলোয় ছায়াপথে

               চরকা নিয়ে ফেরে৷

শিমূল তুলো শিমূল তুলো

               কোথায় তুমি যাও?

শিমূল তুলো সত্যি তুমি

               পরীর পবন-নাও?

লুচি-পুরি

কবি রামদাস বিশ্বাস

লুচি পুরি দেখে আমার বড্ড লোভ হয়

লালসাতে জিভ দিয়ে ধারা জল বয়,

একশ’ দিনের কাজের পরে দু’টাকা কেজি চাল

রেশন দোকান দিচ্ছে তাই পালটে গেছে হাল৷

কাজ করি না বসে বসে বেশ তো চলে দিন

কাজ না করে করে আমার শক্তি হ’ল ক্ষীণ৷

বিনা কাজে ভাটিখানায় দল বাঁধিয়া ঘুরি

কেমন করে খাবো বল দামী লুচি-পুরি!

শীতের দিনে কড়াইশুঁটির পুরি বড্ড স্বাদু

কি করে আর খাবো বল জানি না তো জাদু৷

কাজ করি না কষ্টে আছি কেউ বোঝে না তা

দেশের অধিকাংশ মানুষ গরীব নেই কো পিতামাতা৷

ডান হাতটা কার?

অংশুমালী বাগচী সবে মাত্র ডাক্তারি পাস করেছে৷ ডিস্পেনসারি খুলেছে বগুড়ায়, তখনো তেমন জমেনি৷ চিকিৎসার চেয়েও পুরাতত্ত্বে archaeology তার ঝোঁক বেশী৷ প্রায়ই সে চলে যেত বাঙলার প্রাচীন রাজধানী মহাস্থানে যার অবস্থিতি বগুড়া থেকে বেশী দূরে নয়৷ মহাস্থানে কিছু পাথর, কিছু নুড়ি, কিছু ইট–পাটকেল পরীক্ষা  করে করতোয়া নদীর তীর ধরে খানিক বেড়িয়ে আসত৷ নদীতীর ধরে যেতে যেতে এমনই একটা প্রত্যন্ত সীমায় সে পৌঁছত যেখানে আছে প্রকাণ্ড একটা তেঁতুলগাছ৷ তার নীচে সিঁদুর–মাখানো কতকগুলো নুড়ি ওই জায়গাটায় এসে মনের মধ্যে কেমন যেন একটা অস্বস্তি বোধ করত৷ তারপর আর এগোত না৷