February 2020

২৩ শে জানুয়ারীর অঙ্গীকার

রাস্তাটা দিয়ে প্রায়ই যাই, কখনো চোখে পড়েনি আজ পড়লো৷ মূর্ত্তিটার চারপাশে বাঁশের ভারা বাঁধা৷ হঠাৎ কেন! ভালোই তো ছিল কাক- শালিখের আশ্রয়স্থল হয়ে৷

সামনে ২৩শে জানুয়ারি, নেতাজী তোমায় স্মরণ করতে হবে না! সারা বছর তো কাক-শালিখের....ভরা থাকে৷ এই একটা দিনের জন্যে একটু ঘষে মেজে ঝকঝকে করে নিতে হবে৷ তারপর তো যেই কে সেই৷ কে আর তোমায় মনে রাখে ! কতই তো খোঁজা হ’ল, কোথায় গেলে! আজকাল আবার স্যোশাল মিডিয়া নাকি বলে! ফেক নামে ভেক নামে কতই না লেখালেখি! তবু তুমি কোথায়---কেউ জানে না৷

ওপার বাঙলায় আগুন, সতর্ক করলো এপার বাঙলা

শিলচর ঃ- বিবেক কোন বাধা মানে না৷  এপারে করিমগঞ্জ শহর, ওপারে জকিগঞ্জ৷ দুই শহরকে ভাগ করে  বহে চলেছে কুশিয়ারা  নদী৷ তবে আরও বড়  রাজনৈতিক বিভাজনের শিকার দুই পড়শির দুই শহর, দুটি ভিন্ন রাষ্ট্রের অর্ন্তগত৷ রাষ্ট্রের  সীমানা অবরুদ্ধ করতে পারে নি কর্তব্যের আহ্বানকে৷

জল সংরক্ষণ

জলের অপচয় বন্ধ ও বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করতে না পারলে কোলকাতাও অদূর ভবিষ্যতে তীব্র জল সঙ্কটের  শিকার হবে৷

১৮ই জানুয়ারী শহরে পানীয় জল সংক্রান্ত এক আলোচনায় অংশগ্রহণ করে বিভিন্ন  বক্তা কোলকাতায় জল সংকট সম্পর্কে সতর্ক করেন৷ বক্তারা বলেন জলের জন্যে টাকা দিতে হচ্ছে না বলে  জলের অপচয় বন্ধ করা যাচ্ছে না৷  জল সংরক্ষণের পদ্ধতি, জল ব্যবহার প্রভৃতি বিষয়ের ওপর আলোচনা হয়৷

আলোচনায় বক্তা ছিলেন অধ্যাপক অরুণাভ মজুমদার (বিশিষ্ট বিশেষজ্ঞ),  কলিকাতা পুরসভার জল সরবরাহ  বিভাগের সি.ই.ও বিভাস মাইতি প্রমুখ৷

অক্সফাম ইণ্ডিয়ার প্রতিবেদন---অর্থনৈতিক বৈষম্য আকাশচুম্বী: ৬৩ জনের হাতে দুই-তৃতীয়াংশের বেশী সম্পদ

ক্ষমতায় বসে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন---‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ৷’ কিন্তু সম্প্রতি অক্সফাম ইণ্ডিয়ার একটি প্রতিবেদন দেশের অর্থনৈতিক বৈষম্যের করুণ চিত্রটি তুলে ধরেছে৷ বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক অবস্থার সমীক্ষা চালায় অক্সফাম সংস্থা৷ অর্থনীতিবিদরা এদের অর্থনৈতিক সংক্রান্ত প্রতিবেদনকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়৷

নেতাজীর স্বপ্ণ ছিল  অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন করা

নেতাজী সুভাষচন্দ্রের ১২৪-তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে  আমরা বাঙালী, বাঙালী বাহিনী ও বাঙালী নারী বাহিনীর কর্মীরা একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করে৷ এদিন সকালে আমরা বাঙালীর বিভিন্ন শাখার কর্মীরা চেতলা পার্কে জমায়েত হন৷  বেলা ১১-টার সময় সেখান থেকে একটি সুসজ্জিত মিছিল রাসবিহারী, যতীন দাশ পার্ক হয়ে এলগিন রোডে নেতাজী ভবনে পৌঁছায়৷ সেখানে বাঙালী বাহিনী ও বাঙালী নারী বাহিনীর পক্ষ থেকে নেতাজীকে গার্ড অব অনার জানানো হয়৷ এরপর বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ নেতাজীর মূর্ত্তিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানান৷ পরে একটি সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সচিব বকুল রায়, জয়ন্ত দাশ, অরূপ মজুমদার, তপোময় বিশ্বাস গোপাল রায় চউধুরী প্রমুখ৷ শ্র

প্রসঙ্গ তেইশে জানুয়ারী---‘‘আমি কারো প্রতিচ্ছবি নই, প্রতিধবনি নই’’

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

তেইশে জানুয়ারী---ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের আপোষহীন সংগ্রামী বিপ্লবী মহানায়ক সুভাষচন্দ্রের জন্মদিন৷ বাঙালীর কাছে এ বড় বেদনারও দিন৷ এই দিন সেই সব হাতগুলো পুষ্পস্তবক নিয়ে নেতাজীর মূর্ত্তির সামনে দাঁড়াবে যাঁরা বা যাঁদের পূর্বসূরী সুভাষচন্দ্রকে জব্দ করতে তলে তলে ব্রিটিশের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল৷ ওদেরই ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে সুভাষচন্দ্রকে দেশ ছাড়তে হয়েছিল৷ কংগ্রেস, কমিউনিষ্ট, আর.এস.এস---এদেরই বিশ্বাসঘাতকায় সুভাষচন্দ্রের স্বপ্ণের স্বাধীনতা আজও অধরা৷ তিনি নিজেও কোন অজানা পথের পথিক হয়ে রয়ে গেলেন!

কর্ণাটক সরকারের বর্বরতা, আতঙ্কে বেঙ্গালুরু ’ছাড়ছে বাঙালীরা

এক বিজেপি বিধায়কের একটি মিথ্যা ট্যুইটের ওপর নির্ভর করে বেঙ্গালুরুতে কর্মরত বাঙালী শ্রমিকদের বেশ কয়েকটি বস্তি কর্ণাটক পুলিশ ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়৷ ওই ট্যুইটারে বিধায়ক অভিযোগ করেছিল যে বস্তিবাসীরা বাঙলাদেশী৷ কিন্তু পরে দেখা যায় উচ্ছেদ হওয়া বস্তিবাসীরা অসম ত্রিপুরা ও পশ্চিমবাঙলার বাসিন্দা৷ প্রত্যেকের কাছে বৈধ পরিচয়পত্র---আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার পরিচয়পত্র সবই আছে৷ এমনকি অসম থেকে আসা বাঙালীদের এন.আর.সি.তে নামও আছে৷ তা সত্ত্বেও কর্ণাটক পুলিশ নৃশংসভাবে বাঙালীদের ওপর অত্যাচার করে৷ ভারতীয় হওয়ার সমস্ত বৈধ পরিচয়পত্র তাদের আছে৷

জিদ্ চাই

আগে বলেছিলুম, ভালো কাজের জন্যে জিদ্ চাই৷ তাই সাধকের মনে জিদ্ থাকা দরকার৷ শাস্ত্রে আছে, পার্বতী শিবকে জিজ্ঞাসা করলেন, কে এই সংসারে উন্নতি করে, কী তার রহস্য? দেখতে পাচ্ছি, কেউ বড় বড় কাজ করে জীবনে মহান হয়, কেউ বা শুয়ে বসেই থাকে চিরকাল৷ কেউ কেউ তো কলুর বলদ হয়েই থেকে যায়, আবার কারো কারো উন্নতি হয়৷ কেউ অনেক পড়েও খারাপ ফল করে, কেউ বা অল্প পড়েও ভাল ফল করে৷ এই সমস্ত কিছুর পিছনে রহস্য  কী?

উত্তরে শিব বললেন,

‘‘ফলিষ্যতীতি বিশ্বাসঃ সিদ্ধের্প্রথমলক্ষণ৷

দ্বিতীয়ং শ্রদ্ধয়া যুক্তং তৃতীয়ং গুরুপূজনম্৷৷

চতুর্থো সমতাভাবঃ পঞ্চমেন্দ্রিয়নিগ্রহ৷

সুভাষচন্দ্রের ‘কৌলালিক’ ভূমিকা

পরমশ্রদ্ধেয় শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার তাঁর ‘শব্দ চয়নিকা’ (জ্ঞানকোষ) গ্রন্থে ‘কুলাল’ শব্দ ও তার বিভিন্ন অর্থ নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে সুভাষচন্দ্র বসুর ‘কৌলালিক’ ভূমিকা সম্পর্কে যে অভিমত ব্যক্ত করেছেন তা তুলে দেওয়া হ’ল৷১১৯

দেশের যথার্থ-অর্থনৈতিক উন্নয়ন কোন্পথে?

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

আর ২ দিন পরে আগামী ২৬ শে জানুয়ারী ঘটা করে কেন্দ্রীয় সরকার  ভারতের প্রজাতন্ত্র  দিবস পালন করবেন৷  ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগষ্ট ব্রিটিশরা  স্বাধীন ভারতবর্ষের প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা  হস্তান্তরের পর আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৫০ সালের ২৬শে জানুয়ারী ভারতের নিজস্ব সংবিধান কার্যকর করা হয় ও ভারতকে  গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র হিসেবে ঘোষণা করা  হয়৷ এই সংবিধানে প্রতিটি  মানুষের জীবনধারণের অধিকার, সমানাধিকার, স্বাধীনতার অধিকার প্রভৃতি মৌলিক অধিকার  স্বীকৃত  হয়৷