August 2020

স্বাধীনতা!

জয়তী দেবনাথ

দুইশত বৎসরের বহু যন্ত্রণার পর,

এসেছিল আমাদের স্বাধীনতা!

ধর্মান্ধের রোষে ভেঙেছে রাষ্ট্র

      ছিন্ন হয়নি একতা

কলুষিত ছোঁয়ায় যায়নি হারিয়ে,

    এই পূণ্যভূমির পবিত্রতা

 

বিদেশী শাসক পারলো কি ভাঙতে

       আমাদের এই ঐক্য

হয়নি ব্যর্থ শত শহীদের

    দেশ প্রেমের বাক্য

এই ভারতে যখনই কোনো

     পাপীর হবে বাস,

ভারত মায়ের সন্তানরাই

     করবে তাদের নাশ

কেউ পারবে না ভাঙতে মোদের

        ঐক্য ও প্রীতি,

১৫ই আগষ্ট ভারতমাতাকে

       দিচ্ছি প্রতিশ্রুতি

 

আবেগ

নব্যদূত

পিতা মাতা ভগ্ণি ভ্রাতা

         নয় যে আপন পর,

    তুমিই ঘিরে রয়েছ মোরে

         ক্ষুদ্র জীবন ভর

তোমার মাঝেই প্রিয়তম

         রইযে সারাক্ষণ,

         আগেপরে তুমিই ওগো

         রয়েছো পরমধন

তোমার তালে তাল

মিলিয়ে চলি সারাক্ষণ,

         সহজ সরল সুদ্ধ

জীবন করে নিবেদন

দিয়েছি সব নিয়েছো সব

       জীবন আলো করে,

    তোমারি কৃপায় প্রিয়তম রয়েছো

         জীবন ভরে

বদলে যেতে পারে আই লিগের ফরম্যাট!

করোনা বাইরাসের জেরে চিনের সুপার লিগের ধাঁচে আই লিগেও অংশগ্রহণকারী দলগুলিকে দুটি গ্রুপে ভাগ করে  খেলানো হবে তার পরে হবে নক-আউট পর্ব দুটি গ্রুপের এক ও দুই নম্বর দলকে নিয়ে হবে সেমিফাইনাল তার পর ফাইনাল যারা জিতবে ফাইনালে তারাই লিল চ্যাম্পিয়ন ১৪ই আগষ্ট, সর্বভারতীয়  ফুটবল ফেডারেশনের আই লিগ কমিটির সভাতেই হয়তো এ ব্যাপারে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তবে কোভিডের কারণে কমিটির সদস্যেরা ভিডিয়ো কনফারেন্সেই সভা করবেন।

করোনা---দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাঙলাতেও বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা

দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই  ৫০ হাজারের ওপর। গত দশদিনে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যায় ভারত প্রথম। বাঙলাতেও দৈনিক গড়ে ৩ হাজারের ওপর আক্রান্ত হচ্… তবে সুস্থতার হার স্বস্তিতে রাখছে। পশ্চিমবঙ্গে সুস্থতার হার ৭৫ শতাংশের বেশী।

 

 

বাঙলার বাড়ি প্রকল্পে স্বচ্ছতায় কেন্দ্রের শিলমোহর

কেন্দ্রের হাউসিং ফর অল্ প্রকল্প, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দেয়া নাম বাঙলার বা… কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ মেনে খরচে স্বচ্ছতা ও নিয়মমতো কাজ করায় কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের উচ্ছসিত প্রশংসা করেছে। বাঙলার বাড়ি প্রকল্পে প্রতিটি বাড়ির জন্যে খরচ ৩ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা। এর ৪০ শতাংশ দেয় কেন্দ্রীয় সরকার ও ৪০ শতাংশ দেয় রাজ্যসরকার রাজ্য সরক.। এখনও পর্যন্ত ১লক্ষ ২১হাজার বাড়ি নির্র্মণের কাজ শেষ  করেছে। ২ লক্ষ ২৪ হাজারের মতো বাড়ির কাজ চল… এর মধ্যে রাজ্য সরকারের নিষ্ঠা ও স্বচ্ছতায় সন্তোষ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় সরকার আরও ৪৫ হাজার নতুন বাড়ির অনুমোদন দিয়েছে। রাজ্য সরকার কেন্দ্রের এই সহযোগিতাকে স্বচ্ছতার প্রতিদান মনে করছেন।

জাতীয় শিক্ষানীতি ভারতীয় প্রাণধর্মের বিনাশ ঘটাবে বিপন্ন করবে দেশের সংহতি

আমরা বাঙালী কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্রী জয়ন্ত দাশ কেন্দ্রীয় সরকারের জাতীয় শিক্ষানীতির তীব্র বিরোধিতা করে বলেন--- এই শিক্ষানীতি ভারতীয় প্রাণধর্মের বিনাশ ঘটাবে। দেশের সংহতিকে বিপন্ন করবে শ্রী জয়ন্ত দাশ জানান ভারতবর্ষ কোন একটি বিশেষ ভাষার মানুষের দেশ নয়, ভারতবর্ষ ৪৪টি ভাষা-কৃষ্টি-সংস্কৃতি সম্পন্ন ৪৪টি জনগোষ্ঠীর দেশ। তাই দেশের ভাষা নীতি, শিক্ষানীতি অর্থনীতির  সব পরিকল্পনাই নিতে হবে ৪৪ জনগোষ্ঠীর সার্বিক বিকাশের কথা মাথায় রে… একদেশ, একভাষা, এক শিক্ষানীতির ধূয়োতুলে কোন একটি ভাষাকে ৪৪টি জনগোষ্ঠীর মাথায় চাপিয়ে দিতে চাইলে ফল মারাত্মক হতে বাধ্য। কেন্দ্রীয় সরকারের ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত। ভাষার ক

বাঙালী ছাত্র যুবসমাজের স্মারকলিপি প্রদান

কেন্দ্রীয় সরকারের বাঙালী বিদ্বেষী ভাষা নীতির প্রতিবাদে আমরা বাঙালী ও বাঙালী ছাত্র যুব সমাজের পক্ষ থেকে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী শ্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাতে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়। গত ১৫ই আগষ্ট বাঙালী ছাত্র যুব সমাজের সচিব শ্রী তপোময় বিশ্বাস বলেন শুধু ভারতবর্ষের । বিশ্বের অন্যতম ধ্রপদী ভাষা বাংলা ভাষা রাষ্ট্রসংঘ স্বীকার করেছে বিশ্বের মধুরতম ভাষা। বাংলা ভাষা ভারতবর্ষের একমাত্র নোবেল জয়ী ভাষা। বাংলা বিশ্ব কবি এই বাংলা ভাষাতেই গীতাঞ্জলি লিখে নোবেল জয়ী হন অথচ সেই বাংলা ভাষা  ধ্রুপদী ভাষার স্থান পায় না। ভারতবর্ষে কেন্দ্রীয় শিক্ষাব্যবস্থা একদল মুর্খের হাতে রয়ে। এটা পরিষ্কার বোঝা যায়। আমরা বাঙালী

শিক্ষার বাণিজ্যকরণের সর্বত্র প্রতিবাদ হওয়া উচিত

বিশ্বদেব মুখোপাধ্যায়

প্রথমেই বিভিন্ন বোর্ডের মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায়  সবের্র্বচ্চ নম্বর প্রাপ্ত মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি। তাদের প্রতি রইল আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা, ভালোবাসা ও আশীর্বাদ ভবিষ্যৎ জীবনে তারা আদর্শ মানুষ হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে দেশ ও দেশবাসীর  কল্যাণে নিজেদের নিয়োজিত করবে এই কামনাই  করি। ছাত্রছাত্রীদের নম্বর  দেখে বুঝতে পারছি না এরকম ঢালাও নম্বর দেওয়ার নির্দেশ কী বোর্ডের তরফে ছিল, নাকি, স্বাভাবিকভাবেই ছাত্র বা তাদের মেধার কারণে  পেয়েছে!

সর্বাত্মক স্বাধীনতা

আচার্য সাত্যাশিবানন্দ অবধূত

১৯৪৭ সালের ১৫ই আগষ্ট ভারত তথাকথিত স্বাধীনতা লাভের  পর ৭৩ বছর অতিক্রান্ত হল । এখন আমরা সদ্য ৭৪ তম স্বাধীনতা উৎসব পালন করলাম কিন্তু আজও এই পূর্ণ স্বাধীনতার স্বাদ দেশে কত শতাংশ মানুষ পেয়েছে এখন এইটাই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ণ । কয়েকমাস আগে এক আন্তর্জাতিক সমীক্ষায় দেখা গেছে, দুনিয়ার ক্ষুধার সূচকে ১১৭টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ১০২ নম্বরে । আমাদের ওপরে আছে বাংলাদেশ, নেপাল, পাকিস্তান, ইরাক, কম্বোডিয়া প্রভৃতি দেশ অর্থাৎ ওইসব দেশের চেয়েও ভারতের ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যার হার কম, ভারতে প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্য সীমারেখার নীচে জীবনধারণের নূ্যনতম চাহিদা মেটানোর সামর্থ্য এদের নেই । কোটি কোটি মানুষ কর্মহী

শান্তিনিকেতনে অশান্তির আগুন

বিচার বিভাগ থেকে প্রশাসন, গণমাধ্যম থেকে শিক্ষাঙ্গন--- সর্বস্তরে দলীয়করণের যে ঘৃণ্য রাজনীতি দিল্লির শাসক শুরু করেছে তার স্পর্শ বিষে সংক্রমিত বিশ্বকবির বিশ্বভারতী মুক্ত শিক্ষার অঙ্গনে । যে খোলা ময়দান তাকে হঠাৎ ইটের প্রাচীরে আবদ্ধ করার করার কি প্রয়োজন হল  । উত্তর যাইহোক---মতলব বদ, উদ্দেশ্য খারাপ শক্তিদম্ভ আর স্বার্থ লোভ মহামারীর মত গ্রাস  করছে ভুবন ডাঙ্গার মাঠ ।শান্তিনিকেতন আরএসএস দ্বারা পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন সেই সুযোগ পেয়ে শান্তিনিকেতনের মত পবিত্র শিক্ষাঙ্গনকে দলীয় রাজনীতির আখড়া বানাতে চাইছে দিল্লীর শাসকবর্গ ও তাদের বশংবদ । বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ দিল্লীর বর্তমান শাসকদল যে রবীন্দ্র বিদ