December 2020

অচেনা শরৎ

জ্যোতিবিকাশ সিনহা

প্রকৃতির রঙ্গমঞ্চে শরতের আবির্ভাব অপরূপ সৌন্দর্যে বিধৃত, উৎসবের মাধুর্যে মণ্ডিত৷ সুনীল আকাশে ভেসে চলা খণ্ড খণ্ড মেঘের  ভেলা, মাঝে মধে এক টুকরো কালো মেঘের আনাগোনা, হঠাৎ এক পশলা ঝিরঝিরে বৃষ্টি, মেঘ রোদ্দুরের লুকোচুরি, মাঠেঘাটে রাশি রাশি  কাশফুলের চামরদোলা, গাছের পাতায় ঘাসের গায়ে জমে থাকা শিশির বিন্দুতে সূর্য কিরণের ঝিকিমিকি, বাতাসে শিউলির সুবাস--- শরতের এই মোহময়ী অনন্য পরিবেশের পরশে মানুষের মন হয় আনন্দের স্পন্দনে উদ্বেলিত৷ বাংলা ও বাঙালীর সঙ্গে শরতের রয়েছে সুগভীর সম্পর্ক৷ শরতকালেই অনুষ্ঠিত হয় বাঙালীর সার্বজনীন উৎসব---দুর্র্গেৎসব, জগদ্বাত্রী পূজা, শ্যামা ও দীপাবলী৷ দীর্ঘদিনের প্রস্তুতি ও পরিশ্

প্রভাত সঙ্গীতের স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি

খগেন্দ্রনাথ দাস

(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

প্রভাত সঙ্গীতের নানা বৈচিত্র্য ছাড়াও অন্য একটি বিস্ময়কর দিক স্রষ্টার প্রতিভা প্রকাশের বয়স৷ ১৯৮২ সনের ১৪ই সেপ্ঢেম্বর সন্ধ্যার সেই মুহূর্তটির আগে পর্যন্ত একথা তেমনভাবে কেই জানতেনই না যে  তিনি একজন গীতিকার ও সুরকার৷ এটা বিস্ময়ের ও অপার রহস্যের বিষয় যে জীবনের প্রথম ছটি দশক সঙ্গীতের এই অনন্য প্রতিভা, সঙ্গীতের এক দুর্র্বর স্রোতস্বিনী ধারাকে কেন ও কীভাবে গোপন রেখেছিলেন?

আসুন সবে মিলে রত্নগর্ভা ‘সভ্যতার আদিবিন্দু রাঢ়’কে সুন্দরভাবে গড়ে তুলি

প্রফুল্ল কুমার মাহাত

স্রষ্টার সৃষ্টির প্রথম সূতিকাগৃহ হচ্ছে রাঢ়ভূমি৷ তাই মানবসমাজ  ও সভ্যতার ইতিহাসে রাঢ়ের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য, মৌলিকত্ব ও ঐতিহ্য রয়েছে৷ মানব সভ্যতার, বিকাশে রাঢ়ের মানুষদের অবদান অপরিসীম, ও অনস্বীকার্য৷ এই রাঢ়ভূমিতেই প্রথম মৃত্তিকার সৃষ্টি হয়েছে, প্রথম অরণ্যভূমির সৃষ্টি হয়েছে, প্রথম ছোট বড় বহু অরণ্যচর প্রাণীর সৃষ্টি হয়েছে, প্রথম মানবশিশুর জন্ম হয়েছে রাঢ়েরই সূতিকাগৃহে৷ রাঢ়ের মাটিতেই প্রথম আগুনের আবিষ্কার ও ব্যবহার হয়েছে, প্রথম চাকার আবিষ্কার হয়েছে, পশুপালনের সূচনা হয়েছে ও প্রথম কৃষিকার্যের প্রচলন হয়েছে৷ এজন্য রাঢ়ের মাটি আমাদের নিকট পূন্যভূমি, আর রাঢ়ের আদিম মানুষেরা আমাদের পূজনীয় পথ প্রদর্শক, মান

বাঙালীর বোধহয় কি হবে?

গোবিন্দ মজুমদার

স্বার্থমগ্ণ যে জনবিমুখ বৃহৎ জগৎ হতে, সে কখনো শেখেনি বাঁচিতে৷ কবির এই অমোঘ বানী এই মূহূর্তে বাঙালীর জীবনে কতটা  বাস্তব৷ ত্রিপুরার পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে ‘‘আমরা বাঙালী’’ দল আজ মর্মে মর্মে তা উপলদ্ধি করতে পারছে৷ কাঞ্চনপুরের বাঙালীরা তিলে তিলে মরছে৷ গুলি খেয়ে রাজপথ রক্তে রঞ্জিত করছে৷ গুলি খেয়ে পা খুইয়েছেন একজন৷ পাম্প অপারেটর সুবল দে জি, বি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷ দামছড়ার অপহৃত লিটন দেবনাথ বৈরী কবলে৷ মেঘালয়ের বাঙালীদের উপর চলছে খাসিয়াদের অত্যাচার৷ সারা ভারত জুড়ে বিজেপি প্রচার চালাচ্ছে বাঙালীরাই বাংলাদেশী৷ এন.আর.সি, সি.এ.এ, সি.এ.বি এর মতো আইন পাশ করে বর্তমানের কেন্দ্রীয় সরকার বাঙালীদের নাগরিকত্ব হরন

সাংবাদিক আক্রান্তে ‘আমরা বাঙালী’র নিন্দা

সম্প্রতি কাছাড় জেলার  দুই সাংবাদিকের ওপর  হামলার তীব্র নিন্দা করে ‘আমরা বাঙালী’ অসম রাজ্য সচিব  শ্রী সাধন পুরকায়স্ত ৷ কাটিগড়ায় সাংবাদিক ইমাদউদ্দিন মজুমদারের উপর প্রাণঘাতি হামলা ও সাংবাদিক হিমু লস্করকে প্রাণে মারার হুমকী আজ কাছারের জনজীবনকে বিপন্ন করে তুলেছে৷ সংবাদপত্র যেখানে সমাজের দর্পনরূপে কাজ করছে , সেখানে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত থাকা প্রয়োজন৷ এক শ্রেণীর সমাজ বিরোধীর এইসব জঘন্য কাজের আমরা তীব্র নিন্দা ও ধীক্কার জানাচ্ছি৷ আমরা অবিলম্বে, ইমাদ উদ্দিনের উপর আক্রমণকারীদের চিহ্ণিত করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে প্রশাসনের কাছে দাবী রাখছি৷ ইমাদ উদ্দিনের চিকিৎসার সমস্ত ক্ষতিপূরণের দাবী রা

সত্য চিরকালই সত্য

প্রভাত খাঁ

মহাকাব্য বলে তাঁকেই  যেটি কোন মহাকবি জগৎ কল্যাণে লেখেন সেটিই ‘‘সুলললিত বাক্যং ইত্যাহু’’৷ এই বিরাট ভারতবর্ষে লোকশিক্ষার জন্য দুটি মহাকাব্য লিপিবদ্ধ করেন৷ একটি রামায়ণ আর একটি মহাভারত৷ রামায়ণ রচনা করেন মহাকবি বাল্মীকি আর মহাভারত রচনা করেন মহাকবি বেদব্যাস৷ দুটিই প্রাচীন ভারতবর্ষের ভাষা সংসৃকতে লিপিবদ্ধ হয়৷ এই দুটি লোক শিক্ষার কারণেই লিখিত হয়৷ রামায়ণ লিপিবদ্ধ হয় বাল্মীকির দ্বারা, বলা হয় শ্রীরামচন্দ্রের জন্মের বহু বছর পূর্বে৷ তাই শ্রীরামচন্দ্র ছিলেন মহাকবি সৃষ্টি এক পূত আদর্শ চরিত্র শ্রীরামচন্দ্রের তাঁকে নরচন্দ্রিমা বলা হয়৷ শ্রী রামায়ণ গীত হতো গায়কদের  দ্বারা ভক্তবৃন্দের মধ্যে৷ এটি (শ্রীরামায়ণ) স

ত্রিপুরায় অভিশপ্ত ৯০ এর আতঙ্ক

রাজ্যে আবার ফিরে এল নববই এর দশকের  উগ্রপন্থীদের মাধ্যমে বাঙালী অপহরণ, খুন ও মুক্তিপণ আদায়ের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চল তথা এডিসি এলাকাকে বাঙালী শূন্য করার ষড়যন্ত্রের খেলা৷ কারণ গত ২৭ শে নভেম্বর গভীর রাতে উত্তর জেলার দাম ছাড়া থানাধীন জয়রাম পাড়া থেকে লিটননাথ নামে এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে তার বাড়ীঘর, দোকানপাট লুটের পর দেড়লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে উগ্রবাদীরা অপহরণ করে নিয়ে যায়৷ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, বাম আমলে ১৯৮০-এর জুনের গণহত্যার পর থেকে ত্রিপুরাতে যে বাঙালী খুন, অপহরণ, নারীধর্ষন ও সম্পদ লুট করে  বাঙালীশূন্য এডিসি  করার চক্রান্ত করা হয়েছিল, তা আশি, নববইএর দশক পেরিয়ে এখন ২০২০ সালে নূতন উদ্যমে শুরু

বাঙালী ছাত্র যুব সমাজের রক্তদান

গত ২১ শে নভেম্বর ত্রিপুরার কাঞ্চনপুরে পুলিশের গুলিতে আহত হরেকৃষ্ণদাস বর্তমানে কলকাতার একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷ তার রক্তের প্রয়োজন হলে বাঙালী ছাত্র যুবসমাজের পক্ষ থেকে কৌস্তব সাহা ও তপোময় বিশ্বাস রক্ত দিয়ে আহত ও তাঁর পরিবারের পাশে দাঁড়ায়৷

মনের বিকাশ

সত্যসন্ধ্য দেব

স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন–‘‘মানুষের মধ্যে রয়েছে দেবত্বের বীজ, তাই মানুষের জীবনের লক্ষ্য হ’ল বহিঃপ্রকৃতি ও অনন্তঃপ্রকৃতির সঙ্গে সংগ্রমের মাধ্যমে সে অন্তর্নিহিত দেবত্বকে প্রকাশিত করা৷’’

বিভিন্ন পদবির উৎস

হাজরা ঃ বাংলায় ব্যবহূত ‘হাজরা’ শব্দটি একটা সামরিক র্যাঙ্ক বা পদবিশেষ৷ এক সহস্র (ফার্সীতে, ‘হজার’) সৈনিকের যিনি অধিপতি তিনি হলেন ‘হজারা’৷ ভুল করে একেই বলা হয় ‘হাজরা’৷ তেমনি আসলে ফার্সী শব্দটা হচ্ছে ‘হজারিবাগ’৷ বাংলায় যখন ‘হাজারিবাগ’ বলি তখন কিন্তু কাউকেই হাসতে দেখি না অর্থাৎ ভুল উচ্চারণটাই মেনে নেওয়া হয়েছে৷