January 2021

যোগ শিক্ষণ শিবির

আলঙ্গিরি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ব্লকের অন্তর্গত এক বর্ধিষ্ণু গ্রাম৷  এই গ্রামে ‘গ্রাম্য পাঠশালা’ নামে একটি বেশ বড় কোচিং সেন্টার রয়েছে৷ আনন্দমার্গের একনিষ্ঠ কর্মী শ্রীমান সৌমিত্র পালের উদ্যোগে এখানে গত ৭ই ডিসেম্বর একটি যোগ শিবিবের আয়োজন করা হয়৷ এতে অংশগ্রহণ করেন সেই সেন্টারের ৪৫ জন ছাত্র-ছাত্রা, ৪জন শিক্ষক ও কিছু শুভানুধ্যায়ী৷ অনুষ্ঠান শুরু হয় সকাল ৮টায় ও শেষ হয় সকাল এগারোটায়৷ কোচিং সেন্টারের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক শ্রীযুক্ত  আদিত্য সাঁতবার আন্তরিক সহযোগিতায় পুরো অনুষ্ঠানটি সফলভাবে সমাপন হয়৷ এই অনুষ্ঠানে যোগ সম্পর্কে তত্ত্বগত আলোচনা ও তৎসহ কিছু আসন ও তাণ্ডব-কৌশীকি শেখান বিভাংশু মাইতি৷

কৃষি আইন বাতিলের দাবীতে বারাসাতে আমরা বাঙালীর বিক্ষোভ

গত ১১ই ডিসেম্বর কৃষি আইন বাতিলের দাবীতে ও কর্ষক আন্দোলনের সমর্থনে আমরা বাঙালী দলের উত্তর ২৪ পরগণা জেলা কমিটির পক্ষ থেকে বারাসাত শহরের হেলা বটতলা, কলোনী মোড়,বারাসাত স্টেশন ও চাঁপাডালিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন কর্মী ও সমর্থকরা৷ তাদের দাবী  অবিলম্বে কৃষি আইন বাতিল করতে হবে৷ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্রী জয়ন্ত দাশ বলেন--- নোতুন পুরোনো কোন আইনেই কৃষকের কল্যাণ হবে না৷ কেন্দ্রিত অর্থনীতির খোলনলচে পাল্টে প্রাউটের পথে ব্লকভিত্তিক বিকেন্দ্রিত অর্থনৈতিক পরিকল্পনার মাধ্যমে কৃষি ও শিল্প সমস্যার সমাধান করতে হবে৷ তাতে শুধু কর্ষক নয়, সমাজের সর্বশ্রেণীর মানুষের কল্যাণ হবে৷ বিক্ষোভ সভাগুলিতে আরও বক্তব্য রাখেন--

মনু বাজারে অখণ্ড কীর্ত্তন

গত ১৬ই ডিসেম্বর দক্ষিণ ত্রিপুরার সাব্রুম মহকুমার মনু বাজারের বিশিষ্ট আনন্দমার্গী বিপুল পাঠারির  বাসভবনে তিনঘন্টা অষ্টাক্ষরী মহানাম মন্ত্র ‘াা নাম কেবলম্‌’ অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ স্থানীয় মার্গী ভাই বোন ও বহু সাধারণ মানুষ কীর্ত্তনে অংশগ্রহণ করেন৷ কীর্ত্তন পরিচালনা করেন,শুকলাল বিশ্বাস ও স্থানীয়  মার্গী ভাই বোনেরা ৷ কীর্ত্তন ও মিলিত সাধনার পর শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর রচনা থেকে পাঠ করে শোনান শ্রী গোবিন্দ মজুমদার৷ কীর্ত্তনের মাহাত্ম্য ও আনন্দমার্গের লক্ষ উদ্দেশ্য সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন আচার্য সুব্রজানন্দ অবধূত, আচার্য ব্রহ্মদেবানন্দ অবধূত ও দক্ষিণ ত্রিপুরার ভুক্তি প্রধান গৌরীশঙ্কর নন্দী৷

বোকারোয়  অখন্ড কীর্ত্তন

ঝাড়খণ্ডের বোকারো ইস্পাত নগরীর সেক্টর-ফোর এ বিশিষ্ট আনন্দমার্গী চক্রধর কালিন্দির বাসভবনে তিনঘন্টা অখণ্ড ‘াা নাম কেবলম্‌’ কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ এই উপলক্ষ্যে স্থানীয় মার্গী ভাইবোন ও দাদা-দিদিরা উপস্থিত ছিলেন৷ প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন করে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়৷

আনন্দমার্গের  সমাজশাস্ত্রানুসারে বৈপ্লবিক   বিবাহ অনুষ্ঠান

গত ১০ই ডিসেম্বর কলকাতায় আনন্দমার্গের কেন্দ্রীয় আশ্রমের জাগৃতি ভবনে  শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর সমাজশাস্ত্রানুসারে  এক শুভ  বৈপ্লবিক বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়৷ এই বিবাহে পাত্র ছিলেন  কলকাতার উল্টোডাঙ্গা নিবাসী  শ্রী স্বপন সাহা ও শ্রীমতি বীথিকা সাহার কনিষ্ঠ পুত্র শ্রীমান কৌশিক সাহা৷ আর পাত্রী ছিলেন উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ নিবাসী শ্রী কুমারেশ দাস ও শ্রীমতি নিয়তি দাসের কন্যা কল্যাণীয়া শিল্পা  দাস৷ অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন পাত্রপক্ষে আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত ও পাত্রীপক্ষে অবধূতিকা আনন্দ করুণা আচার্যা৷

মার্গীয় বিধিতে  অন্নপ্রাশন ও নামকরণ

১৩ই ডিসেম্বর কলকাতার বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রী মানবেন্দ্রনাথ ও শ্রীমতি জয়শ্রী নাথের পুত্রের অন্নপ্রাশন ও নামকরন ‘আনন্দমার্গে চর্যাচর্য’ সমাজ শাস্ত্র মতে অনুষ্ঠিত হয়৷ এই অনুষ্ঠানে পৌরহিত্য করেন আচার্য নির্মলশিবানন্দ অবধূত৷

খাতড়ায় বৈপ্লবিক বিবাহ

গত ১০ই ডিসেম্বর বাঁকুড়া জেলার খাতড়া আনন্দমার্গ সুকলে খাতড়া নিবাসী স্বর্গীয় সমীরণ সেন ও চাঁপা সেনের পুত্র সৌম্যজিতের  সঙ্গে রায়গঞ্জ নিবাসী গৌরাঙ্গ দাশ ও শিউলি দাশের  কন্যা পায়েলের সহিত আনন্দমার্গ সমাজশাস্ত্র মতে বৈপ্লবিক বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়৷ অনুষ্ঠানের সূচনায় প্রভাত সঙ্গীত ও কীর্ত্তন পরিবেশিত হয়৷ উপস্থিত মার্গী ভাই-বোনদের  মিলিত সাধনার পর বিবাহ অনুষ্ঠান শুরু হয়৷ বিবাহ অনুষ্ঠানে পৌরহিত্য করেন পাত্রপক্ষে আচার্য বোধিসত্ত্বানন্দ অবধূত ও পাত্রী পক্ষে অবধূতিকা আনন্দ সুধীরা আচার্যা৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ও আনন্দমার্গের বৈপ্লবিক বিবাহের বিষয়ে বক্তব্য রাখেন আচার্য সত্যনিষ্ঠানন্দ অবধূত৷

মার্গীয় বিধিতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

গত ১২ই ডিসেম্বর দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার বারুইপুরের বিশিষ্ট আনন্দমার্গী পরলোকগত অরবিন্দ নস্করের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান আনন্দমার্গে চর্যাচর্য বিধিমতে অনুষ্ঠিত হয়৷  গত ৭ই ডিসেম্বর শ্রী নস্কর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পরলোক গমন করেন৷  মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর৷ তিনি স্ত্রী, দুইপুত্র , দুই কন্যা ও নাতি-নাতনিদের রেখে গেছেন৷

বৈপ্লবিক  বিবাহ

গত ১০ই ডিসেম্বর কালনা আনন্দমার্গ সুকলে কালনা নিবাসী শ্রী শুভেন্দু ঘোষ ও কৃষ্ণা বর্মনের শুভবিবাহ অনুষ্ঠিত হয় আনন্দমার্গে চর্যাচর্য বিধিমতে৷ এই অনুষ্ঠানে পৌরহিত্য করেন পাত্রপক্ষে আচার্য নির্মলশিবানন্দ অবধূত ও পাত্রীপক্ষে অবধূতিকা আনন্দপ্রীতিশুধা আচার্যা৷

বৈধব্য ও সতীদাহ

বিচার–বুদ্ধি–মনীষার্ উন্মেষের ফলে প্রাচীনকালের যে সমস্ত অনুষ্ঠান বা বিধি বর্জিত হয় তাকে ‘ক্রিয়ালোপ’ বলে৷ পরিবেশগত চাপে বা প্রাকৃতিক কারণে যে সকল রীতি–বিরাজ বন্ধ হয়ে যায় তাকেও ‘ক্রিয়ালোপ’ বলে৷ এককালে কুসংস্কারের ফলে ভারতের মানুষ সদ্যবিধবা নারীকে জীবন্ত অবস্থায় স্বামীর চিতায় পুড়িয়ে মারত৷ আজ সে প্রথা অবলুপ্ত৷ আমি দেখেছি বর্দ্ধমান জেলার যে সকল গ্রামে তথাকথিত উচ্চবর্ণীয় মানুষেরা বেশী সংখ্যায় বাস করেন, বিশেষ করে যে সমস্ত গ্রামে ব্রাহ্মণ–কায়স্থের বাস সেই সমস্ত গ্রামে এমন কিছু কিছু  জায়গা আছে যাকে বর্দ্ধমানের স্থানিক ভাষায় ‘আগুন–খাকী’ বলা হয়৷ আগুন–খাকী মানে যে সব নারী জীবিত অবস্থায় আগুন খেয়েছিলেন অ