April 2022

ভারতের ছেলে ও মেয়েদের দলগত ও ব্যক্তিগত ইভেন্টে মোট দুটি সোনা এসেছে

ভারতের দুটি সোনা এসেছে ছেলেদের দলগত রিকার্ভ ও মেয়েদের ব্যক্তিগত কম্পাউন্ড ইভেন্টে৷ দ্বিতীয় বাছাই সাক্ষী চৌধুরী প্রতিপক্ষ, ১৩ নম্বর বাছাই পরণীত কৌরকে হারিয়েছেন শট-অফ ফিনিশে৷ দুজনেই দশ নম্বর রিংয়ের মধ্যে তির ছোড়েন, তবে সাক্ষীর তির লক্ষ্যের অনেকটা কাছে থাকায় তিনিই সোনা জেতেন৷

গত শনিবার এশিয়া কাপে  তিরন্দাজিতে দুর্দান্ত ছন্দে ছিল ভারতের প্রতেকটি প্রতিনিধি৷ দুটি  সোনা ও ছয়টি রূপো জিতে ভারত রয়েছে দুই নম্বরে৷ এক নম্বরে রয়েছে বাংলাদেশ৷

ভারত-শ্রীলঙ্কার বাকজালা ক্রসিং এ সাঁতারে রাষ্ট্রীয় পুরস্কারে সম্মানিত হল ১৩ বছরের জিয়া রাই

শারীরিক সমস্যার জন্যই চিকিৎসকের  পরামর্শে দু’বছর বয়সে জিয়াকে সাঁতারে ভর্তি করেন তাঁর বাবা-মা৷ সেই থেকেই তাঁর সাঁতারের জার্নি শুরু জিয়ার জীবনে৷ এখনও পর্যন্ত বিশেষ সক্ষম মহিলা হিসেবে বিশ্বরেকর্ডও রয়েছে জিয়ার দখলে৷  খোলা জলে ১৪ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা গতিতে সাঁতারকেটে এই রেকর্ড করে নৌ সেনা কর্মী মদন রাইয়ের কন্যা জিয়া রাই৷

টেনিসকে বিদায় জানালেন বার্টি

অষ্ট্রেলিয়ার অ্যাশলে বার্টি নেটমাধ্যমে হঠাৎই তাঁর টেনিস ছেড়ে দেওয়ার কথায় ক্রীড়াজগতের সকলেই খুবই হতাশ৷ কারণ মাত্র ২৫ বছর বয়সেই তিনি টেনিস ছেড়ে দিতে চাইছেন৷

গত বুধবার বার্টি নেটিজেনদের জানান--- ‘‘কী করে বা কী ভাবে বলব কিছু বুঝতে পারছি না খুব কঠিন বলাটা কিন্তু  বলতে তো হবে , আমি খুব খুশি  ও তৈরি৷  আমি জানি এই মুহূর্তে এটাই সঠিক সিদ্ধান্ত৷ টেনিস আমাকে যা দিয়েছে, তার জন্য আমি ধন্য৷ তবে আমার এটাই সেরা সময় টেনিস থেকে সরে যাওয়ার  ও নিজের স্বপ্ণের পিছনে দৌড়ানোর৷

এই মানবিক মুখই বঙ্গ সংসৃকতির অঙ্গ

স্রোতে ভেসে যাবার মানুষ তিনি নন৷ শোককে ক্ষোভের আগুনে পরিণত হতে দেন নি৷ চার বছর আগের ঘটনা৷ ২৮শে মার্চ ২০১৮, প্রতিহিংসার আগুনে জ্বলছে আসানসোল৷ সেই প্রতিহিংসার আগুনে বলি হলো দশম শ্রেণীর ছাত্র ১৬ বছরের কিশোর সিবগতউল্লা রশিদ৷ বাবা ইমদাদউল্লা রশিদ স্থানীয় মসজিদের ইমাম৷ পুত্র শোকে ঘরে পাথর হয়ে বসে থাকেন নি৷ আবার পুত্র হারানোর শোককে ক্ষোভের আগুনে পরিণত করে আসানশোলকে আর একটা গুজরাট হতে দেননি৷ আসানসোলের রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে আবেদন করেছিলেন শান্ত হবার, কাতর কন্ঠে বলেছিলেন---আর কারো সন্তান যেন প্রতিশোধের বলি না হয়৷ সন্তান হারা পিতার আবেদনে সেদিন শান্ত হয়েছিল আসানসোল৷ ছেলের অপহ

রাজ্যে খুন হত্যা অস্থিরতা বাঙালী বিনাশের সুগভীর ষড়যন্ত্র

আমরা বাঙালী সংঘটনের পক্ষ থেকে বগটুই-এর ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হয়৷ দলের কেন্দ্রীয় সংঘটন সচিব শ্রী জয়ন্ত দাশ বলেন--- এই বর্বরতার নিন্দা করার ভাষা নেই৷ কিন্তু এটাকে নিছক পারিবারিক বা দলের অর্ন্তকলহ হিসেবে দেখলে হবে না৷ বাঙালী জনগোষ্ঠীকে নিশ্চিহ্ণ করার সুগভীর ষড়যন্ত্র কাজ করছে এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে৷ শ্রী দাশ বলেন---নেহেরু থেকে মোদি কোন সরকারই বাঙালীর ভালো চায় না৷ উল্টে বাঙালী জনগোষ্ঠীকে নিশ্চিহ্ণ করার চক্রান্ত চলছে৷ আপাত দৃষ্টিতে রামপুর হাটের গণহত্যা আর পাঁচটা রাজনৈতিক খুনের মতই মনে হতে পারে৷ যে হত্যালীলা ষাটের দশক থেকে পশ্চিমবঙ্গে কম্যুনিষ্টদের হাত ধরে শুরু হয়েছিল৷ বর্ধমানের  সাঁইবাড়ীর গণহত্যা

অসমে রাজ্যিক সহযোগী ভাষা বাংলা হলে বোরোদের আপত্তি নেই

শিলচর থেকে দেবায়ন দেব ঃ সম্প্রতি বরাকের একটি দৈনিক পত্রিকার অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হবার সুত্রে শিলচরে এসেছিলেন বোরো সাহিত্য সভার উপসভাপতি তথা বোরোল্যাণ্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ও ডঃ দীননাথ বসুমাতারি৷ শিলচর ইলোরা হোটেলে বিডিএফ এর এক প্রতিনিধি দলের সাথে দীর্ঘ ও আন্তরিক আলোচনার সময় বাংলাকে সহযোগী রাজ্যিক ভাষা করা হলে ব্যক্তিগতভাবে তার এবং বৃহত্তর বোরো জনগোষ্ঠীর কোন আপত্তি থাকবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি৷

প্রয়াত হলেন শোলাশিল্পী শিল্পগুরু অনন্ত মালাকার

বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শোলাশিল্পী শ্রী অনন্ত মালাকার গত ৩০শে মার্চ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বর্ধমানের একটি বেসরকারী নার্সিং হোমে পরলোক গমন করেন৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়ছিল ৮১ বছর৷ তার আদি বাড়ী বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম থানার পালিটা গ্রামে৷  বর্তমানে বীরভূম জেলার কীর্ণাহারের বাসিন্দা ছিলেন৷ তিনি একজন নিষ্ঠাবান আনন্দমার্গী ছিলেন৷ শোলা শিল্পের পাশাপাশি আনন্দমার্গের জনকল্যাণমূলক কাজের সঙ্গেও তিনি ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন৷ মার্গগুরুদেব ভৌতিক শরীরে থাকাকালীন আনন্দনগরের ধর্মমহাচক্রের মূল মঞ্চের কাজ তিনি করতেন৷ শিল্পী হিসেবে দেশের বাইরেও তিনি ক্ষ্যাতি অর্জন করেছিলেন৷ দেশ বিদেশে নানা পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি৷ শোলা

দীক্ষা ও যোগসাধনা

...ব্রহ্মাস্মি বিজ্ঞান যদি কেবল শাব্দিক স্তরে সীমিত থাকে, তাতেও কোন কাজ হবে না৷ এ জন্যে ‘সোহং’ মন্ত্রের পরিচ্ছেদহীন ভাবনা নিতে হবে৷ এই যে অ–পরিচ্ছিন্ন ভাবনা, এ ভাবনা বাচনিক জপে সম্ভব নয়৷ মানস তথা অধ্যাত্মসাধনার এই যে সূক্ষ্মবিজ্ঞান, এটা তন্ত্রেরই আবিষ্কার ঙ্মতন্ত্র ও যোগের মধ্যে মূলতঃ কোন পার্থক্য নেই৷ তন্ত্রেরই সূক্ষ্মতর সাধনার নাম যোগমার্গৰ৷ সাধনামার্গে জপক্রিয়া ও ধ্যানক্রিয়া মহাকৌলেরই ব্যবস্থা৷ কেবল জপেও কোন কাজ হবে না, যদি মন্ত্রের গতিধারার সঙ্গে মনের গতিধারা সমান তালে না চলে৷ মনে মনে জপও করছি, আবার তার সঙ্গে অন্যের ক্ষতির চিন্তাও করছি–এ ধরনের জপ নিষ্ফল৷ জপক্রিয়ায় সাফল্য লাভ করতে গেলে স

নব্যমানবতাবাদ

মানুষ চলতে শুরু করেছে যখন, নিজের কথাটা যতটা ভেবেছে, অন্যের কথাটা ততটা ভাবেনি৷ অন্য মানুষের কথাও ভাবেনি, আর মনুষ্যেতর জীব জন্তুর কথাও ভাবেনি,গাছপালার কথাও ভাবেনি৷ অথচ একটু ঠাণ্ডা মাথায় ভাবলে দেখা যাবে যে, নিজের কাছে নিজের অস্তিত্ব যতটা প্রিয়, প্রত্যেকের কাছে তাদের নিজের নিজের অস্তিত্ব ততটাই প্রিয়৷ আর সব জীবের এই নিজ অস্তিত্বপ্রিয়তাকে যথাযোগ্য মূল্য না দিলে সামগ্রিক ভাবে মানবিকতার বিকাশ অসম্ভব৷ মানুষ যদি ব্যষ্টি বা পরিবার,জাত বা গোষ্ঠীর কথা ভাবলো, সামগ্রিক ভাবে মানুষের কথা না ভাবলো–সেটা অবশ্যই ক্ষতিকর৷ কিন্তু মানুষ যদি সামগ্রিকভাবে জীবজগৎ, উদ্ভিদ জগতের কথা না ভাবলো সেটা কি ক্ষতিকর নয় মানবিকতা