May 2022

জীবন ধারণের নূ্যনতম প্রয়োজন পূর্তিতে গণ অর্থনীতি মহৌষধ

প্রভাত খাঁ

আজ পর্যন্ত মানুষের সমাজে বিশেষভাবে প্রচলিত যে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চালু আছে তা হ’ল এ্যাডাম স্মিথের ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা৷ এই ব্যবস্থার সঙ্গে ধনী ব্যষ্টি ও শাসককুল যুক্ত৷ যাদের মূল অর্থনৈতিক লক্ষ্যটা ‘‘শোষণের ওপর সমৃদ্ধি’’৷ এখানে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠতম জীব হ’ল মানুষ৷ সেই মানুষকে উৎপাদনের অন্যতম ফ্যাক্টর হিসেবেই দেখা হয়৷ শ্রমের বিনিময়ে তাঁকে পারিশ্রমিক দেওয়া হয়, খাদ্য বা খাদ্যের বিনিময়ে যৎসামান্য অর্থ যাকে বলা হয় স্যালারি, সাপ্তাহিক বা মাসিক মাহিনা৷

সময়োচিত কিছু কথা

বিশ্বদেব মুখার্জী

"হট্টমালার দেশে" গল্প বইয়ে লেখক শ্রী প্রভাত রঞ্জন সরকার ডাইনীর মুখ দিয়ে এক অতি বাস্তব সত্য কথা তুলে ধরেছেন। যেখানে তিনি বলেছে " যে ভাবে এক, বলে আরেক, আর করে আরেক তাকে বলে বজ্জাত।ভালো পোষাক পরা মিষ্টি মিষ্টি কথা বলা এমন অনেক ভদ্রলোক আছে যারা আসলে বজ্জাত"। লেখক এই গল্পটি বহু বছর আগে লিখেছেন। কিন্তু গল্পের ছলে লিখে যাওয়া তাঁর এই কথাটি যে যথার্থ আজ অনেকেই প্রতিমূহুর্তে তা উপলব্ধি করে। কি পারিবারিক, কি সামাজিক জীবন সর্বত্রই এই শ্রেণীর মানুষের সংখ্যা উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে ।

 

আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে

একর্ষি

(পূর্বপ্রকাশিতর পর)

অর্থনীতির বিভাগগুলির প্রসঙ্গে আর-একটা কথা জানা দরকার যে এযাবৎ  যত অর্থনৈতিক তত্ত্ব  এসেছে সেগুলোকে  দুটো প্রধান ভাগে ভাগ করা যায় 

১. কেন্দ্রিত অর্থনীতি, ও

২. বিকেন্দ্রিত অর্থনীতি।

চাকরি বোর্ড পরীক্ষায় অনিয়ম প্রশ্ণ ফাঁসে এগিয়ে বিহার,  ইউ.পি সহ ডবল ইঞ্জিন সরকার

পশ্চিমবঙ্গে দুর্নীতি নিয়ে বাজার  গরম করে  রাজ্য বিজেপি নেতারা ডবল ইঞ্জিন রাজ্যের উদাহরণ টেনে৷ কিন্তু সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা যায় বিভিন্ন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ও বোর্ড পরীক্ষায় অনিয়ম ও কেলেঙ্কারিতে এগিয়ে বিজেপি  শাসিত বিহার, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট সহ ডবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলি৷ এইসব রাজ্যে একাধিক চাকরির পরীক্ষা বাতিল হয়েছে অনিয়ম  ও দুর্নীতির অভিযোগে৷ বিহার পাবলিক সার্ভিস কমিশনের নিয়োগে দুর্নীতির তদন্তে নেমে অফিসাররা খোঁজ পেয়েছেন প্রশ্ণপত্র ফাঁসের জাল অন্যরাজ্যে ও বিস্তার লাভ করেছে৷

শিবোক্তি

জীবজগৎ যেমন মুখ্যতঃ দুই বিভাজনে বিভক্ত–যুথবদ্ধ ও এককজীবী, ঠিক তেমনি ঘর–সংসারের ব্যাপারেও জীবজগৎ দুই ভাগে বিভক্ত৷ এক ঃ ঘরকন্না করা সংসারী (যেমন হাতী, সিংহ, পায়রা প্রভৃতি) দুই ৪ স্বৈরী বা স্বীৈরিণী (যেমন বাঘ, কুকুর, ছাগল, বেহাল প্রভৃতি)৷

রবীন্দ্র স্মরণে

কৌশিক খাটুয়া

তোমার শুভ্র সমুজ্জ্বল জীবন পরিক্রমা

সূর্যের মত সমস্ত আঙ্গিনাকে স্পর্শ করে,

তোমার চিন্তার মূল্যায়ন নিলিমার মত

বিশ্বচেতনাকে উন্মুক্ত করে৷

শৈশব থেকে উদার ও শিল্পসম্মত ঈশ্বর চেতনা,

ব্রাহ্মসমাজের আচার বিচার মুক্ত সঙ্ঘবদ্ধতা

পৌত্তলিকতার অবমাননা৷

তোমার সমস্ত জীনদর্শন রয়েছে তোমার কবিতায়,

সেই সম্পদ আহরণে চলি

তব কবিতার পাতায়৷

কাব্যচর্চার নাই পরিসীমা, উপকূলহীন বিস্তার,

পূর্ণ রয়েছে মুক্ত ও মনি, পান্না ও চুনি

নাই বুঝি আর শেষ তার৷

হে রূপদক্ষ...........

রূপসাগরে ডুব দিয়ে তুমি

বিশ্বকবি স্মরণে

প্রবুদ্ধানন্দ অবধূত

যে কবির মাঝে রবির কিরণ

হয়েছিল উদ্ভাসিয়া,

তাঁর পদতলে সশ্রদ্ধ প্রণাম

নিবেদিনু প্রেম ভরিয়া৷

হৃদয়ে হয়েছিল যাঁহার ব্রহ্ম দর্শন,

ভাব সমুদ্রের অতলে ডুবে

থাকতেন যিনি,

সাহিত্য রসে  প্রকাশিলেন

অলংকৃত করিলেন এ বিশ্বকে তিনি৷

কবিতা, গল্প, ছড়া, কৌতুক,

প্রবন্ধ,কাব্য, উপন্যাস সঙ্গীতে অতুলনীয়,

বিশ্ব কবি আখ্যায় বিভুষিত

হলেন তিনিই শ্রী রবীন্দ্রনাথ,

সকলেরই বরণীয়৷

আপোষহীন সংগ্রামে উন্নত শিল্পী,

করেছেন প্রতিবাদ,

জন গণ মন অধিনায়ক মন্ত্রে

উদ্ভাসিত করেন তিনিই সাহিত্য রাজ৷

ডেণ্টিষ্টের দোকানে

যোগারূঢ়ার্থে ‘গঙ্গাক্ষেত্র’ বলতে সেই স্থানকে বোঝায় যে স্থান থেকে পদব্রজে এক অহোরাত্রের মধ্যে গঙ্গাতীরে পৌঁছানো যায়৷ বৌদ্ধোত্তর যুগে ভারতে যখন গঙ্গামহিমা প্রবল, অন্যান্য দেব–দেবীর মত গঙ্গাও একটি প্রতিপত্তিশালিনী দেবী, সেই সময় মানুষের গঙ্গাক্ষেত্রে বসবাস করাকে শ্লাঘার জিনিস বলে মনে করত৷ তাদের মনে একটা নিশ্চিততা থাকত যে মৃত্যুর পরে তাদের চিতাভস্ম গঙ্গানীরে একীভূত হয়ে থাকবে৷ সেই সময় একটা অলিখিত নিয়ম তৈরী হয়েছিল যে যারা গঙ্গাক্ষেত্রের অধিবাসী তাদের মধ্যে যারা সঙ্গতিসম্পন্ন তাদের দাহক্রিয়া গঙ্গাতীরে হবে ও তাদের চিতাভস্ম কলসোৎক্রান্ত জলে গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়া হবে৷ অস্থি হরিদ্বারে, প্রয়াগ সঙ্গমে বা গ