November 2023

কৃষ্ণনগরে কীর্ত্তন দিবস পালন

৮ই অক্টোবর,২৩ মহাসমারোহে  রবিবার বিভিন্ন স্থান থেকে আগত শতাধিক ভক্তের উপস্থিতিতে পরমারাধ্য মার্গগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী বাসভবন মধুপর্ণায় সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত তিনঘন্টা ব্যাপী মানবমুক্তির মহামন্ত্র ‘বাবা নাম কেবলম্‌’ অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তন পরিচালনা করেন বৃন্দাবন বিশ্বাস, তাপসী মুখার্জী, অণুপ্রিয়া দেব,রেখা মণ্ডল, ব্রহ্মচারিণী শুদ্ধা আচার্যা প্রমুখ৷ কীর্ত্তন শেষে মিলিত সাধনা, গুরুপূজা স্বাধ্যায় হয়৷

কৃষ্ণনগরে মহাপ্রয়াণ দিবস পালন

পরমারাধ্য মার্গগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমুর্ত্তিজী ৩৩তম মহাপ্রয়াণ দিবস উপলক্ষ্যে ২১শে অক্টোবর,২৩ শনিবার ৫০শোর্ধ ভক্তের উপস্থিতিতে কৃষ্ণনগর ঘূর্ণী হালদার পাড়া মোড়ে তাঁর বাস ভবন মধুপর্ণায় বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যে ৬টা পর্যন্ত তিনঘন্টা ব্যাপী মানবমুক্তির মহামন্ত্র ‘বাবা নাম কেবলম্‌’ অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তন পরিচালনা করেন---তাপসী মুখার্জী, অণুপ্রিয়া দেব, রেখা মণ্ডল, ব্রহ্মচারিনী শুদ্ধা আচার্যা প্রমুখ৷ কীর্ত্তন শেষে মিলিত সাধনা, গুরুপূজা, স্বাধ্যায় হয়৷ মহাপ্রয়াণ বিষয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বিশিষ্ট তাত্ত্বিক শ্রীপ্রথম দত্ত৷

বিজয়া দশমী উদযাপন

বিজয়া দশমী উপলক্ষ্যে ২৯/১০/২৩ রবিবার কৃষ্ণনগর ‘মধূপর্ণায়’ সন্ধ্যে ৬টা থেকে প্রভাত সঙ্গীত , মানবমুক্তির মহামন্ত্র ‘বাবা নাম কেবলম কীর্ত্তন পরিচালনার মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভসূচনা করেন--- বিশিষ্ট মার্গী বোন তাপসী মুখার্জী৷ তারপর শুরু মিলিত সাধনা গুরুপূজা স্বাধ্যায়৷ বিজয়ী দশমীর তাৎপর্য বিষয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বিশিষ্ট তাত্ত্বিক শ্রীপ্রথম দত্ত৷ এরপর বিজয়া দশমী উপলক্ষ্যে উপস্থিত সকলের মধ্যে পরস্পর নমস্কার বিনিময় হয়৷ কৃষ্ণনগর ইয়ূনিট সেক্রেটারী আনন্দ মণ্ডল ও প্রথম দত্ত সবাইকে নারকেল নারু সব অন্যান্য মিষ্টান্ন দিয়ে আপ্যায়িত করেন৷

 

মার্গীয় বিধিতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

আনন্দনগর সংলগ্ণ গুড়িডি নিবাসী দীর্ঘদিনের পুরোনো আনন্দমার্গী শ্রী ভক্তেশ্বর গরাঞয়ের ৫৭ বছর বয়সি ধর্মপত্নী শ্রীমতি প্রমিলা গরাঞ গত ২২ অক্টোবর,২৩ সকালে অকস্মাত ইহলোক ছেড়ে পরলোকে গমন করেন৷ মৃত্যুকালে তিনি রেখে যান চার ছেলে তিনপুত্রবধূ ও নাতি নাতনি৷ ৩১শে অক্টোবর গুড়িডি নিজ নিবাসে আনন্দমার্গে চর্যাচর্য বিধান অনুসারে তাঁর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান সম্পন্ন হয়৷

 

 

পাঁশকুড়ায় কীর্ত্তন দিবস পালন

গত ৮ই অক্টোবর,২৩ কীর্ত্তন দিবস উপলক্ষ্যে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়ার খেঁজুরতলায় তিনঘন্টা অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ সকাল ৮টায় অনুষ্ঠানটি শুরু হয়৷ কীর্ত্তনশেষে মিলিত সাধনা ও স্বাধ্যায়ের পর বাবা নাম কেবলম্‌ কীর্ত্তনের মাহাত্ম্য ও ৮ই অক্টোবর অষ্টাক্ষরী মহানাম মন্ত্র ‘বাবা নাম কেবলম্‌’’-এর প্রবর্তনের  দিনটির বর্ণনা করে বক্তব্য রাখেন আচার্য দেবাত্মানন্দ অবধূত, আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত,ভুক্তিপ্রধান শ্রীসুভাষপ্রকাশ পাল ও লক্ষণ বেরা প্রমুখ৷

 

হাওড়ায় কীর্ত্তন দিবস পালন

গত ৮ই অক্টোবর কীর্ত্তন দিবস উপলক্ষ্যে ডোমজুড় ব্লকের খটির বাজার আনন্দমার্গ আশ্রমে ছয় ঘন্টা ব্যাপী অখণ্ড ‘বাবা নাম কেবলম্‌’ কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ এই উপলক্ষ্যে ডোমজুড় শহরে বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করেন একটি কীর্ত্তনীয় দল৷ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন সেবাধর্ম মিশনের ভুক্তিপ্রধান সুশান্ত শীল, ভুক্তিপ্রধান সুব্রত সাহা অবধূতিকা আনন্দ কিশলয়া আচার্যা ও স্থানীয় ইয়ূনিটের মার্গী ভাইবোনেরা৷ কীর্ত্তন প্রসঙ্গে ও তাৎপর্যের ওপর বক্তব্য রাখেন মহাব্রতদেব, অমিয় পাত্র৷ এই উপলক্ষ্যে নারায়ণ সেবারও আয়োজন করা হয়েছিল৷

শিলিগুড়িতে ত্রাণ

আনন্দমার্গ ইয়ূনিবার্র্সল রিলিফ টীমের শিলিগুড়ি শাখার পক্ষ থেকে গত ৩১শে অক্টোবর দুর্গাপুর চা বাগানে শ্রমিকদের মধ্যে রান্না করা খাদ্য বিতরণ করেন আচার্য কমের্শানন্দ অবধূত ও ইয়ূনিটের সদস্যরা৷

 

মানুষ, প্রকৃতি ও ঔষধ

ভেষজ প্রলেপ

কিন্তু মানুষের ও জীবের ঔষধের সন্ধান এই উপবাস, সূর্য্যালোক, জল, বায়ু বা মৃত্তিকাতে সীমিত থাকেনি৷ প্রাথমিক স্তরে মানুষ যে ঔষধের আবিষ্কার করেছিল তা ছিল বিভিন্ন গাছ–গাছড়া ও তাদের ছাল–মূলের বহিঃপ্রয়োগ৷ সেকালের মানুষ ওই সৰ জিনিসকে দাঁতে চিৰিয়ে রোগাক্রান্ত স্থানে প্রলেপ দিত বা ঘষত৷ এই প্রলেপ ছিল মানুষের আবিষ্কৃত প্রথম ঔষধ৷

ভেষজ দ্রব্যের অভ্যন্তরীণ প্রয়োগ ঃ এই প্রলেপ যেখানে বাইরে কাজ করত না, তখন তাকে শরীরের ভেতরে নিয়ে যাওয়ার দরকার হ’ত৷ মানুষ তা চর্বন করে বা গলাধঃকরণ করে ঔষধরূপে ব্যবহার করত৷ এটাই ছিল মানুষের ইতিহাসে ঔষধ ব্যবহারের দ্বিতীয় চরণ৷

পৃথিবীর চারটি মৌলিক জনগোষ্ঠী

পৃথিবীতে মৌলিক জনগোষ্ঠী আছে চারটি–ককেশীয়, মঙ্গোলীয়, অষ্ট্রিক ও নিগ্রো৷ অনেকে অবশ্য সেমিটিক জনগোষ্ঠীকে এর মধ্যে ফেলতে চান না৷ তাদের মতে সেমেটিকরা আলাদা জনগোষ্টী, এরা মধ্যপ্রাচ্যের লোক৷ আবার কারো কারো মতে এরা ককেশীয় ও নিগ্রোদের বিমিশ্রণ৷ ককেশীয়দের তিনটি শাখা রয়েছে–(১) নর্ডিক (Nordic), (২) এ্যালপাইন (Alpine), (৩) ভূমধ্যসাগরীয়৷ ‘নর্ডিক’ কথাটার অর্থ হচ্ছে ‘উত্তুরে’৷ লাতিন ‘নর্ড’ (Nord) কথাটা থেকে ‘নর্ডিক’ শব্দটি এসেছে৷ এ্যালপাইনরা বেশী উত্তরেও নয়, আবার বেশী দক্ষিণেও নয় অর্থাৎ এরা মধ্যদেশীয়, আল্প্স্ পর্বতের সানুদেশের বাসিন্দা৷

ছাত্র

‘ছাত্র’ শব্দটির মানে শিক্ষার্থী বা বিদ্যার্থী৷ (আরবী ‘তালিব্‌-উল-ইলম’ ও ফার্সী ‘তালিব্‌-এ ইলম্‌’ মানে ও শিক্ষার্থী)৷ ‘ছাত্র’ শব্দটি এসেছে অন্য সূত্র থেকে৷ তোমরা কুম্ভমেলা বা অন্য কোন ড় ধরণের মেলায় গেলে আজও  হয়তো দেখতে পার্ে মোহান্ত ধরণের এক একজন  ড় সাধু  একটি বিরাট ছাতার নীচেই বসে আছেন ও তাঁর শিষ্য ও সহকারীরা তাঁকে ঘিরে ওই ছাতার নীচেই বসে আছেন৷ ওই বড় বড় ছাতাগুলি (সং-ছত্র> ছত্ত> ছত্তা> ছাতা) একদিকে যেমন তাঁদের বৈশিষ্ট্যের  পরিচায়ক অন্যদিকে তেমনি তারা রোদ ও অল্প বৃষ্টিপাত থেকে তাঁদের চিয়েও থাকে৷ প্রাচীনকালে তপের্ানে গুরুরা ওই ধরণের ছাতার নীচেই বসতেন আর শিষ্যরা তাঁদের ঘিরে ওই ছাতার নী