April 2024

আগামী জুন মাসে প্যারিস অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জনপর্বে চূড়ান্ত ট্রায়াল

আগামী জুন মাসে প্যারিস অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন করলেন আরও এক ভারতীয় ক্রীড়াবিদ৷ অ্যাথলেটিক্সের ২০ কিলোমিটার হাঁটার ইভেন্টে আগামী অলিম্পিক্সে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন রাম বাবু৷ স্লোভাকিয়ায় আয়োজিত একটি প্রতিযোগিতায় জীবনের সেরা সময় করে প্যারিসের ছাড়পত্র পেয়েছেন তিনি৷ যদিও তাঁর অলিম্পিক্সে অংশগ্রহণ নিশ্চিত নয়৷ কারণ এই ইভেন্টে ভারতের আরও ছ’জন যোগ্যতা অর্জন করেছেন৷ অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন করার জন্য ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট ১০ সেকেন্ডের মধ্যে প্রতিযোগিতা শেষ করতে হত৷ রাম ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট সময় হাঁটা শেষ করে তৃতীয় হয়েছেন৷ ভারতের প্রথম অ্যাথলিট হিসাবে স্লোভাকিয়ার ডুনিস্কা ৫০ মিটে পজক জিতলেন তিনি৷ গত

বিশ্বকাপ ফুটবলের যোগ্যতা অর্জনপর্বে

ভারতীয় দলের চিন্তা বাড়াচ্ছে সৌদি আরব ক্রীড়া প্রতিনিধি এএফসি এশিয়ান কাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায়ের পরেই ভারতীয় দলের কোচ ইগর স্তিমাচ জানিয়েছিলেন, তাঁর পাখির চোখ বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে তৃতীয় পর্যায়ের ছাড়পত্র আদায় করা৷ সুনীল ছেত্রীরা কি পারবেন লক্ষ্যে পৌঁছতে?

গণতন্ত্রের মূলে কুঠারঘাত

সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চ (সিপিআর) এর প্রেসিডেন্ট যামিনী আইয়ার একটি ব্রিটিশ সংবাদপত্রে এক প্রবন্ধে মোদি সরকারের সমালোচনা করে লেখেন সরকারের প্রবণতা বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের মূলে কুঠারাঘাত করছে৷ তিনি লেখেন লোকসভা নির্বাচনের মুখে দেশের উপর স্বৈরাচারের কালোছায়া ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে৷ ব্যষ্টির ঔদ্ধত্য ক্রমশ প্রশাসনকে গ্রাস করছে৷ মোদির শাসনে বিরোধী দল, শিক্ষাবিদ, সংবাদমাধ্যম, সুশীল সমাজের স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার খর্ব করা হচ্ছে৷ ওই প্রবন্ধে তিনি দাবী করেন নরেন্দ্র মোদির সরকার ব্যষ্টি পুজো ও হিন্দুত্ববাদী ভাবাবেগকে অধিক প্রশ্রয় দিচ্ছে৷ বিশ্বের বৃহত্তম

বিশ্বের বৃহত্তম দুর্নীতি---নির্বাচনী বণ্ড

খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ ও কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের স্বামী পারাকালা প্রভাকর দাবী করেন নির্বাচনী বণ্ড শুধু ভারতের নয়, বিশ্বের বৃহত্তম দুর্নীতি৷ এরফলে শাসক দল নির্বাচনে বড় ধাক্কা খাবে৷ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর স্বামীর এই মন্তব্যে বিজেপি বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে৷ প্রভাকর বলেন--- যতদিন যাবে এই ইস্যু নিয়ে তত বেশী তোলপাড় হবে৷ এই নির্বাচনেই ভোটাররা এই সরকারকে শাস্তি দেবে৷

জীবন ধারণের প্রাথমিক প্রয়োজন পূর্ত্তি না হলে সবকা বিকাশ সম্ভব নয়

তরুণ প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রী তপোময় বিশ্বাস বলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখে সবকা বিকাশের বুলি৷ কিন্তু নির্বাচনী বণ্ডের মাধ্যমে পুঁজিপতি গোষ্ঠীর কাছ থেকে দু-হাত ভরে অর্থ নিচ্ছেন৷ পুঁজিপতিরা বিনা স্বার্থে কোথাও অর্থবিনিয়োগ করে না৷ পুঁজিপতিরা যখন রাজনৈতিক দলগুলোকে অর্থ দেয় তখন তার পূর্বশর্তই থাকে ক্ষমতায় এলে তাদের মুনাফা লোটার সুযোগ করে দিতে হবে৷

নির্বচনী বণ্ড---পুঁজিপতির অর্থে পুষ্ট শাসক কখনও সর্ব সাধারণের কল্যাণ করতে পারে না

প্রবীণ প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রী প্রভাত খাঁ বলেন নির্বাচনী বন্ড প্রকাশ হতেই রাজনৈতিক দলগুলোর স্বরূপ প্রকাশ হয়ে পড়ল৷ ভোটে যে পুঁজিপতিরা টাকা ঢালে তা এতদিন অনুমান ভিত্তিক প্রচার ছিল৷ মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের কঠোর পদক্ষেপে ইলেক্টোরাল বন্ড সামনে আসায় এখন অনুমানটা সত্যে প্রমাণিত হলো৷ সেই সঙ্গে জনগণের কাছে এটাও পষ্ট হলো কেন দিন দিন ধনিক শ্রেণীর সঙ্গে গরিব মধ্যবিত্তের আর্থিক বৈষম্য বাড়ছে৷

সর্বনাশের খাদের কিনারায় বাঙালী

মনোজ দেব

পরিবেশগত ভাবে বাঙালী মুক্ত–চিত্তের অধিকারী৷ জাত–পাতের লড়াই গৌড়বঙ্গে বড় একটা ছিল না৷ তন্ত্র–ভিত্তিক শৈব সংস্কৃতি বাঙালীর চেতনা–মননকে পুষ্ট করেছে৷ পেশাভিত্তিক সামাজিক–র্থনৈতিক জীবন শুরু হবার বহু পূর্ব থেকেই সকল বাঙালীর সাধারণ পেশা ছিল তিনটে – মাছ ধরা, তাঁত বোনা ও চাষ করা৷ তাই উঁচু–নিচু–জাত–পাত ছিলনা৷ কাল হল আর্যাবর্তের ব্রাহ্মাণ্য সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ৷ পরবর্তীকালে বল্লাল সেনের বল্লালী দাওয়াই–কৌলিন্য প্রথা ও ‘বিভেদ কর, শাসন কর’ নীতি বাঙালীর মুক্ত চিত্তের মেরুদন্ড ভেঙে দিল৷ আরো পরবর্তী কালে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের ‘বিভাজন ও শাসন’ নীতি বাঙালীর অনৈক্যকে সুদূর প্রসারী করেছে৷ স্বাধীনোত্তর কালে অচেতন

জীবের পরাগতি

যে মানুষের যেমন আজীব তথা আভোগ, তদনুযায়ী তার স্থূল শরীর মেলে৷ যার মনে কেবল খাবার বাসনাই রয়েছে, পরমপুরুষ তাকে শুয়োরের শরীর দেবেন, যত খুশী সে খেতে পারবে৷ যার মনে ক্রোধ বেশী, তার মোষের শরীর মিলবে---যত বেশী ক্রুদ্ধ হতে চায়, হতে পারবে৷ আবার যার মনে পরমপুরুষের সান্নিধ্য লাভের বাসনা জাগবে, সে খুব উন্নত মানব শরীর লাভ করবে, সাত্ত্বিক শরীর লাভ করবে৷ যেমন আভোগ, তদনুযায়ী মানুষকে চলতে হয়৷

সংস্কৃতি ও সভ্যতা

সাধারণতঃ ‘সমাজ’ বলতে নারী ও পুরুষের সমাহারকে বোঝায়৷ কিন্তু শব্দটির মূলগত তাৎপর্য তা নয়৷ প্রকৃত অর্থে ‘সমাজ’ বলতে বোঝায়, যেখানে সকলে একই কর্মবন্ধনে, সম্মিলিতভাবে এগিয়ে চলেছে---‘সমনাম্‌ এজতে’৷ আমরা কখনো কখনো বাসে, ট্রামে, ট্রেনে বহু লোককেই তো একত্রে দেখে থাকি৷ কিন্তু তা সমাজ পদবাচ্য নয়৷ একটা সর্বজনগ্রাহ্য আদর্শের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে যখন অনেক মানুষ একই লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যায় ও তাকে পাওয়ার জন্যে সক্রিয় হয়ে ওঠে তখনই তা সমাজ পদবাচ্য৷ ইংরেজী‘society’ শব্দটি ‘সমাজ’ শব্দের খাঁটি প্রতিশব্দ নয়৷ সামাজিক অগ্রগতি এক ধরণের সামাজিক কর্মেরই ফলশ্রুতি যেখানে পারষ্পরিক ঐক্যবন্ধন আরও বেশী সুদৃঢ় হয়ে সম্মিলিতভ

চাই নতুন মানুষ নতুন আদর্শ

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

সব রাজনৈতিক নেতারাই তারস্বরে গণতন্ত্রের সুনাম করেন৷ রাজতন্ত্র, অভিজাত–তন্ত্র, একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে সরব নয়– এমন বোধ করি একজনও নেতা বা নেত্রী পাওয়া যাবে না৷ তবুও এ প্রশ্ণটা অত্যন্ত সঙ্গত যে– গণতন্ত্রকে কেউ কি মানে নির্বাচনের দামামা বাজতেই নেতাদের মুখের ভাষা, অঙ্গ ভঙ্গীমায় গণতন্ত্রের লেশমাত্র নেই৷ নির্বাচনী প্রচার মরণের উন্মাদরাগিনী৷ নির্বাচনে জিততে নেতারা জনসমর্থনের ওপর আর ভরসা রাখে না৷ পেশিবল, অর্থবল, প্রশাসনিক ক্ষমতাকে শাসকদলের অনুকুলে ব্যবহার করা ভারতীয় গণতন্ত্রের অঙ্গ হয়ে গেছে৷ জনগণতন্ত্রের শাসনে জনগণই গৌণ হয়ে গেছে৷