August 2024

পাটলিপুত্র/পটনা

আগেই আমরা কুসুমপুর নিয়ে আলোচনা করেছি৷ বিম্বিসারের সময় অর্থাৎ ৰুদ্ধের সময় রাজগিরি বা গিরিব্রজ ছিল মগধের রাজধানী৷ সেখানে ছিল জলাভাব৷ রাজধানীতে জলের প্রাচুর্য থাকা দরকার৷ সেকালে গঙ্গা ও শোণ নদী যেখানে মিলত, ৰুদ্ধ সেখানে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন–এই স্থানটিতে মগধের রাজধানী হলে সব দিক দিয়ে সুবিধা হয়৷ সেখানে ৰুদ্ধের শিষ্যদের মধ্যে পাটলীপু– নামে এক বণিক উপস্থিত ছিলেন৷ সেকালে মগধে নামকরণে পিতৃগত ও মাতৃগত কুলের একটা সমন্বয় ঘটেছিল৷ মায়ের নাম রূপসারি, তাই ছেলের নাম সারিপুত্ত মায়ের নাম মহামৌদগলী (মহামগ্গলি), তাই ছেলের নাম মহামৌদগ্ল্লন অরহণ (মহামগ্গল্লন)৷ তেমনি মায়ে নাম পাটলী তো পু–ের নাম পাটলীপু–৷ এই পাটলীপু–ই

‘তলা–তালা–বনী’ সংযুক্ত স্থানের নাম

কোন বড় গাছের নীচেকার জায়গাকে ‘তলা’ বা ‘তলী’ বলা হয়৷ এই তলা বা তলী নিয়েও অনেক জায়গার নাম হয়৷ যেমন–নিমতলা, কেওড়াতলা, তালতলা (কলকাতা), আগরতলা (ত্রিপুরা), বাদামতলা ইত্যাদি ‘তলী’ দিয়ে যেমন–আমতলী, কুলতলী, ফুলতলী৷ কোন একটি স্থান কোন বিশেষ বস্তুতে বা কাজে ব্যবহূত হ’লে সেক্ষেত্রেও ‘তলা’ ব্যবহূত হয়৷ তবে এই ধরনের ক্ষেত্রে ‘তলী’ ব্যবহূত হয় না৷ যেমন–চণ্ডীতলা (হুগলী), কালীতলা, পঞ্চাননতলা (চন্দননগর), মাচানতলা (বাঁকুড়া), পোড়ামাতলা (নবদ্বীপ), ষষ্ঠীতলা (কৃষ্ণনগর), বুড়ো শিবতলা (চন্দননগর) প্রভৃতি৷ এছাড়া হাটতলা ও রথতলা তো অনেক জায়গাতেই রয়েছে৷

পরম ধন

কৌশিক খাটুয়া

বহির্মুখী মন মুগ্দ রয়েছে

 বাহিরের চাকচিক্যে,

হৃদ-সাগরে ভাবিনি কখনো

 ভরিয়া মনি-মানিক্যে!

সবার মাঝারে তিনি বিধৃত

 শাশ্বত চির সত্য,

তাঁর সৃষ্টিকে উপেক্ষা করে

 জড়তায় ছিনু মত্ত৷

পার্থিব যা কিছু এ জগত ভরে

 সকলই সীমিত সত্ত্বা,

হৃদয় আলো করে

করুণা ধারায়

 জাগিয়া পরমসত্ত্বা!

তাঁরে চিনিতে পারিনি

 নিকটে ভাবিনি

জানিনা কোথায় আবাস,

অহেতুকি কৃপায় নয় অলকায়

 হৃদয়ে স্থায়ী নিবাস!

অন্তর-ধন পেতে চায় মন

 তাই আত্মসমর্পণ,

পরম পিতা চির সাথী মোর

অভিষেক

আচার্য গুরুদত্তানন্দ অবধূত

হে বীর, ভারতবর্ষের ভাগ্যাকাশে

তুমি এক উজ্জ্বল ধুমকেতু৷

যুদ্ধক্ষেত্রে নির্ভিক সৈনিক,

আপোষহীন সংগ্রামী তুমি,

ত্যাগ তিতীক্ষার মূর্ত্ত প্রতীক৷

উদার চিত্তে ছিল তব আহ্বান

‘‘আমায় রক্ত দাও,

আমি স্বাধীনতা দোব’’

গড়লে আজাদহিন্দ ফৌজ,

শক্ত হাতে দিলে তাতে নেতৃত্ব,

সৈনিক বেশে তুললে

জাতীয় পতাকা

গড়লে সরকার দেশের মাটিতে৷

জানে নি সে মানুষ পাওনি,

মর্যাদা সেদিন তাই,

সাম্রাজ্যবাদীর কোমড় ভেঙে

হলে তুমি নিরুদ্দেশ,

কিন্তু না, দমেনি মানুষ,

থামেনি যুদ্ধ,

আইনা/আয়না ঃ শব্দটি মূলতঃ ফার্সী, ৰাংলা ভাষায় এসেছে মোগল যুগের গোড়ার দিকে-যার মানে ইংরেজীতে mirror, কাচ অর্থেও ‘আয়না’ শব্দের ব্যবহার উর্দু, ফার্সী, পঞ্জাৰী, ডোগরী, কশ্মীরী, পশ্‌তু ভাষায় রয়েছে৷ ‘আয়না’-র খাঁটি ৰাংলা শব্দ হচ্ছে ‘আরশী’ (আরশী একটি খাঁটি তদ্ভব শব্দ, এসেছে মূল শব্দ ‘আদর্শী’ থেকে৷ হিন্দতেও ‘আরসী’ মারাঠীতেও আরসী/আরসা৷ উত্তর ভারতে আরসীপ্রসাদ নামে লোক বিরল নয়৷ মাইকেল মধুসূদন দত্ত লিখেছেন--‘‘সরসী আরশী মোর’’৷

নাচাতে নাচাতে

ঠাকুরের অর্থাৎ শ্বশুরের কন্যা এই অর্থে ঠক্করদুহিতাঞ্ছঠক্ক্ ঞ্ছঠাকুরঝি৷ ননদকে বাংলায় ‘ঠাকুরঝি’ বলে সম্বোধন করা হত ও আজও করা হয়ে থাকে৷

ননদের স্বামী নন্দাইকে (ননন্দাপতিঞ্ছননন্দ্) সম্ৰোধন করা হত ‘ঠাকুর জামাই’ বলে৷ ঠাকুর জামাই মানে ঠাকুরের জামাই অর্থাৎ শ্বশুরের জামাই৷ রাঢ়ের কোনো কোনো অংশের পুরুষেরা পত্নীর ভগিনীকেও ‘ঠাকুরঝি’ বলে সম্বোধন করে৷ ভাষাবৈজ্ঞানিক মতে এ ব্যবহার শুদ্ধ৷

১১৭ জন ভারতীয় ক্রীড়াবিদ যাচ্ছেন প্যারিস

 বাকি আর কয়েক ঘণ্টা৷ তার পরই প্যারিসে শুরু হয়ে যাবে ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’৷ সহজ কথায় অলিম্পিক্স৷ প্রতি চার বছর অন্তর বিশ্বের সেরা ক্রীড়াবিদেরা লড়াই করেন সোনার পদকের জন্য৷ প্রতি বারই লড়াইয়ে থাকেন ভারতীয়রা৷ এ বারও আছেন দেশের ১১৭ জন ক্রীড়াবিদ৷ মোট ১৬টি বা প্যারিস অলিম্পিক্সের ৫০ শতাংশ খেলায় দেখা যাবে ভারতীয়দের৷ দেখে নেওয়া যাক, কোন খেলায় কত জন দেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন প্যারিসে৷

লাল বলের দলেও দেখা যেতে পারে আরশদীপকে

ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পর থেকে সাদা বলের ক্রিকেটেই খেলছেন আরশদীপ সিংহ৷ টি-টোয়েন্টি এবং এক দিনের দলে তিনি নিয়মিত সদস্য৷ তবে সব ঠিকঠাক থাকলে এ বার লাল বলের দলেও দেখা যেতে পারে আরশদীপকে৷ অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সিরিজ খেলতে যে দল যাবে সেখানে আরশদীপের নাম দেখা গেলে অবাক হওয়ার কিছু নেই৷ সম্প্রতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ১৭টি উইকেটে নিয়ে সর্র্বেচ্চ উইকেটশিকারি হয়েছেন আরশদীপ৷ এখনও পর্যন্ত ছ’টি এক দিনের ম্যাচ এবং ৫২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন৷ ভারতীয় বোর্ডের এক কর্তা এক সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘‘সাদা বলের ক্রিকেটে আরশদীপ বল খুব ভাল ভাবে সুইং করিয়েছে৷ ওকে হয়তো লাল বলের ক্রিকেটে কয়েকটা প্রস্তুতি খেলার নির্দেশ

আনন্দমার্গের কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবে সরকারী কর্মীরা

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তি প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয় সরকারী কর্মীরা আনন্দমার্গের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবে না৷ ১৯৬৬ সালে,১৯৭০ সালে ও ১৯৮০ সালে তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকার সরকারী কর্মীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে জানায় আর.এস.এস আনন্দমার্গ ও আরও কয়েকটি সংস্থার কার্যক্রমে সরকারী কর্মীরা যুক্ত থাকতে পারবে না৷ কিন্তু সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার তাদের অনুগত আর.এস.এস-এর ওপর থেকে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয় এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে৷ কিন্তু আনন্দমার্গ অন্যান্য সংঘটন বিষয়ে কোন কথা উল্লেখ ছিল না বিজ্ঞপ্তিতে তাই কোন কোন সংবা

রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় আনন্দমূর্ত্তিজীর অবদানেরওপর আলোচনা সভা

গত ২৩শে জুলাই উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক বিভাগের পক্ষ থেকে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী আধ্যাত্মিক দর্শন, নব্যমানবতাবাদ ও সমাজতত্ত্বের ওপর৷ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ডঃ প্রশান্ত কুমার মহলা৷ সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের কেন্দ্রীয় জন সংযোগ সচিব আচার্য দিব্যচেতনানন্দ অবধূত৷ তিনি আনন্দমার্গ দর্শনে সৃষ্টিচক্র বিষয়ে আলোচনা করেন৷ আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল জগতের বিকাশে জড় সংঘাত, ভাব সংঘাত ও বৃহতের আকর্ষণের প্রভাব যা মানুষকে তার জীবনের পরমলক্ষ্যে পৌঁছে দেবে৷ এছাড়া তিনি আনন্দমূর্ত্তিজী প্রবর্তিত নব্যমানবতাবাদের