August 2024

দলতান্ত্রিক সরকার দেশকে কঠিন অবস্থায় এনেছে তাই নাগরিকগণ আরো সচেতন হোন

প্রভাত খাঁ

বর্তমানে স্বদেশী শাসন চলছে এদেশে৷ যাঁরা শাসনে আছেন তাঁরা একাধিক দলতন্ত্রের ধারক ও বাহক৷ দলীয় রাজনীতিটাই হলো সেই গণতন্ত্রের নামে নানা মতাদর্শের নামাবলি গায়ে৷ নানা দলের জোটবদ্ধ সরকার আর স্বার্থের লড়ালড়ি আর খেয়োখেয়ীতে মত্ত৷ অন্যদিকে দেশবাসীর সিংহভাগ মানুষই চরম ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার কেন্দ্রীভুত মারাত্মক শোষণের চরম যন্ত্রণায় কাতর! এ যেন আর দেখা যায় না! চরম মিথ্যাচারিতা আর দুর্নীতির আড়ৎ হয়ে দাঁড়িয়েছে খণ্ডিত ভারত যুক্তরাষ্ট্র! আজ জাতীয় সব দলই ধবংস হয়েছে বর্তমান দলগুলো তাদের খণ্ডিত অংশ নানা নামে হাজির!

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ আর চবিবশের গণ অভ্যুত্থান -- এ দুইয়ের পার্থক্য কোথায়?

সুকুমার সরকার

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ আর চবিবশের গণ অভ্যত্থানকে আন্দোলনকারীরা সমার্থক বললেও, এ দুইয়ের মধ্যে অনেক ফারাক আছে৷ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ছিল বাঙালিদের সঙ্গে অবাঙালি শাসক-শোষকের লড়াই৷ চবিবশের গণ অভ্যত্থান বাঙালি শাসকের সঙ্গে বাঙালি বিক্ষোভকারীদের লড়াই৷ লড়াই একজন উন্নয়নকামী সরকার প্রধানের সঙ্গে উন্নয়ন বিরোধীদের লড়াই৷ চবিবশের গণ অভ্যত্থান যাঁর বিরুদ্ধে তিনি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্থপতি মুক্তিযুদ্ধের হোতা শেখ মুজিবর রহমানের কন্যা, যিনি নিজেও অসাম্প্রদায়িক উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে ছিলেন আপোষহীন৷ তার সুফলও ফলেছে বাংলাদেশে৷ রাস্তাঘাট, সেতু, শিক্ষা, চাকরি সবেতেই গণতান্ত্রিক উন্নয়নের ছাপ পড়েছে৷ অন্যদিক

বনগাঁয় আলোচনা সভা

উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ ট্যাংরা কলোনিতে গত ২রা অক্টোবর আনন্দমার্গ দর্শন ভিত্তিক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ সভায় বর্তমানে নৈতিক অধঃপতন, সাংস্কৃতিক অবক্ষয় ও অন্ধবিশ্বাস কুসংস্কারের আবর্জনায় ভরা তথাকথিত ধর্মমত সমাজকে চরম অধঃপতের দিকে ঠেলে দিয়েছে৷ সমাজকে এই বিপর্যস্ত অবস্থা থেকে পরিত্রাণের সুস্পষ্ট পথনির্দেশনা দিয়েছে আনন্দমার্গ দর্শন৷ এইদিন আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত আনন্দমার্গের আধ্যাত্মিক সামাজিক শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিষয়ে আলোচনা করেন৷ তাঁর আলোচনার মূল বিষয়বস্তু ছিল সমাজকে এই বিপর্যস্ত অবস্থা থেকে মুক্ত করতে গেলে সবার আগে চাই সৎ নীতিবাদী ও আদর্শ মানুষ৷ আনন্দমার্গ হচ্ছে সেই মানুষ গড়ার মিশ

সুনীতাদের নিরাপদে ফেরানোর জন্য মাত্র এক মাস হাতে নাসার

মহাকাশে আটকে পড়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস এবং তাঁর সহকর্মী বুচ উইলমোর৷ দু’মাসের বেশি সময় ধরে মহাকাশেই রয়েছেন তাঁরা৷ যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে এখনও ফিরতে পারেননি পৃথিবীতে৷ যে বোয়িং স্টারলাইনারে চড়ে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন সুনীতারা, তাতে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়েছে৷ নাসার তরফে দুই মহাকাশচারীকে নিরাপদে ফেরানোর চেষ্টা চলছে৷ তবে সময় যত এগোচ্ছে, বাড়ছে আশঙ্কা৷

টানা বৃষ্টিতে বেহাল দশা গুজরাটের

ভারী বৃষ্টিতে আওরঙ্গা নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় গুজরাতে আবার তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি৷ আসন্ন বন্যার আশঙ্কায় দ্রুত তৎপর হয়েছে প্রশাসন৷তিন শতাধিক বেশি মানুষকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে নিরাপদ আশ্রয়ে৷

গত রবিবার মধুবন বাঁধ থেকে ছাড়া হয়েছিল প্রায় ১৪.৬২ লক্ষ কিউসেক জল৷ সোমবারও ৪৭,৭৬২ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে৷ এতেই জলস্তর বেড়ে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে গুজরাতে৷

সাপুড়েকে ছোবল মেরে মৃত্যু সাপের

শঙ্খচূড়ের সামান্য বিষই যেখানে মৃত্যু ডেকে আনে, সেখানে কামড় দিতে গিয়ে মারা গেল শঙ্খচূড়ই! মধ্যপ্রদেশের সাগর এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে৷ সাপুড়েকে কামড়াতে গিয়ে নিজেই মারা গিয়েছে শঙ্খচূড়৷ সাপের কামড়ে মৃত্যু হতে পারে ভেবে সঙ্গে সঙ্গে সেই সাপুড়েকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়৷ চিকিৎসার পর সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যান সাপুড়ে৷ কিন্তু মারা যায় শঙ্খচূড়৷ তরুণ সাপুড়ের নাম চন্দ্রকুমার আহিরওয়াড়৷

তেলেঙ্গানায় মিড ডে মিলে দেওয়া হচ্ছে ভাত আর লঙ্কারগুড়ো

ভাতের উপর শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো ছেটানো৷ আর সেই খাবারই খেতে দেওয়া হচ্ছে পড়ুয়াদের৷ তেলসঙ্গনার এক স্কুলে মিড ডে মিল নিয়ে অভিযোগ উঠতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে৷ অভিযোগ, মিড ডে মিলে কোনও পুষ্টিকর খাবার নয়, তরকারি, মাছ বা মাংস নয়, শুধু ভাত আর তার উপরে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে পড়ুয়াদের খেতে দেওয়া হচ্ছে৷ গত ২ অগস্ট রাজ্যের কোঠাপল্লি গ্রামের একটি সরকারি স্কুলের ঘটনা৷ মিড ডে মিল খাওয়ার পরই পড়ুয়াদের পেটে ব্যথা শুরু হয় বলে অভিযোগ অভিভাবকদের৷ সন্তানদের কাছ থেকেই তাঁরা জানতে পারেন মিড ডে মিলে শুধু ভাত, তার সঙ্গে লঙ্কার গুঁড়ো এবং সর্ষের তেল দেওয়া হয়৷ এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখান অভিভাবক

বিভিন্ন বিবাহ পদ্ধতি

(মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার তাঁর শব্দ চয়নিকা–২৬ খণ্ড গ্রন্থের বিভিন্ন স্থানে ‘নারীর মর্যাদা’ বিষয়ক অনেক কিছুই বলেছেন৷ ওই গ্রন্থ থেকে কিছু অংশ সংকলিত করে প্রকাশ করা হচ্ছে৷       –সম্পাদক)

শৈব প্রথা

 অজীর্ণ রোগে ও অম্লরোগে কিছু বিধিনিষেধ ও ব্যবস্থা

অজীর্ণ রোগের ফলে অনেক প্রাণঘাতক রোগের সৃষ্টি হতে পারে৷ তাই আহারের বিধিনিষেধ কঠোর ভাবে মেনে চলা উচিত৷ পুরনো চালের ভাত (যেমন পোরের ভাত) এ রোগে পথ্য৷ ঘোল অজীর্ণ রোগীর পক্ষে বিশেষ হিতকারী৷ নুনে জরিয়ে জামেরী নেৰু অজীর্ণ রোগে একটি ভাল ব্যবস্থা৷ শোভাঞ্জন বা শোজনে পাতার ঝোল প্রতিদিন ভাতের সঙ্গে প্রথম পাতে খেলে কয়েকদিনের মধ্যেই অজীর্ণ রোগে ভাল ফল পাওয়া যায়৷ ৰেলপাতা, কালমেঘ পাতা, সোমরাজ পাতা, আদা, যোয়ান একত্রে পিষে, তা দিয়ে ছোট ছোট ৰড়ি তৈরী করে সেগুলি শুকিয়ে নিতে হবে৷ প্রতিদিন দুপুর ও রাতের খাবারের পর একটা করে সেই ৰড়ি খেতে হবে৷ অজীর্ণ রোগে এই ঔষধও কাজ দেয়৷

‘মোহন বাঁশী’

কৌশিক খাটুয়া

তোমার বাঁশীর সুরে

বুঝি তুমি নাইকো দূরে,

কাছে থেকেও নাই নজরে

 হারাই সৃষ্টির ভীড়ে!

 

আকুল হয়ে এত ডাকি

তবু কেন দাও যে ফাঁকি,

রাতুল চরণে মনটা রাখি

 থাকো হৃদয়-নীড়ে৷

 

সমুখ পথে চেয়ে থাকি

 তোমায় দেখার ছলে,

তোমার বাঁশীর সুর

কেবল তোমার কথাই বলে৷

 

তোমার লীলার ছন্দে নাচি

 ‘যা’ খুশি তাই কর,

অজ্ঞ বিজ্ঞ প্রাজ্ঞ সাজাও

 রাজা-ফকির গড়৷

 

তোমার হাতের খেলনা আমি

 নয়কো আদৌ ফেলনা,

মোহন বাঁশীর তালে দোলে

 বিশ্ব-দোলার দোলনা!