September 2024

ঋষি অরবিন্দ স্মরণে

পত্রিকা প্রিতিনিধি

১৫ই আগষ্ট ১৯৪৭৷ ভারতবর্ষের স্বাধীনতা তথাকথিত ক্ষমতা হস্তান্তরের দিন তথা ভারতআত্মাকে খণ্ড–বিখণ্ড করার দিন আবার অপরদিকে বাঙলার বুকে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ঋষি অরবিন্দের আবির্ভাব দিবস৷ অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে আছে দুই তাৎপর্য্যপূর্ণ ঘটনা৷

শ্রী অরবিন্দ জড়বাদী শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে আই.সি.এস. চাকরি পরিত্যাগ করে বৈপ্লবিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ভারতের মুক্তি সাধনায় নিজেকে নিয়োজিত করার এক বিরল দৃষ্টান্ত৷

সমাজ কে পাপমুক্ত করতে হলে অপরাধের উৎস বন্ধ করতে হবে---দাবী আমরা বাঙালীর

প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা আমরা বাঙালী সংঘটনের প্রাক্তন সচিব শ্রী বকুলচন্দ্র রায় আর জি করের মর্মান্তিক ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন--- যে বা যারা এই জঘন্য কাজের সঙ্গে যুক্ত তাদের কঠোর সাজা হোক৷ রাষ্ট্রের পুলিশ প্রশাসনকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কোন আপোস করা চলবে না৷ তাদের নিরপেক্ষ ও কঠোর হতে হবে৷ বিচার ব্যবস্থার প্রতি যাতে মানুষ আস্থা না হারায় সে দিকটাও দেখতে হবে৷

আদালতের নির্দেশে---আর.জি.করে সিবিআই---ছাত্ররা দ্বিধা বিভক্ত

মুখ্যমন্ত্রীর বেঁধে দেওয়া সময়ের আগেই আর.জি.কর ঘটনার তদন্ত পুলিশের হাত থেকে সিবি আই-এর হাতে তুলে দিল কলিকাতা উচ্চ আদালত৷ গত ১২ই আগষ্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে ছিলেন পুলিশ ১৮ই আগষ্টের মধ্যে কিনারা করতে না পারলে আর.জি.কর ঘটনার তদন্ত সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়া হবে৷ কিন্তু তার আগেই কলিকাতা উচ্চ আদালত গত ১৩ই আগষ্ট আর জি কর ঘটনার তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয়৷ উচ্চ আদালতে ৫টি জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল৷ কলিকাতা উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণে এই তদন্ত হবে৷ তিন সপ্তাহ পর পরবর্তী শুনানির দিন তদন্তের অগ্রগতির প্রতিবেদন জমা দিতে হবে৷

শহীদ ক্ষুদিরাম স্মরণে --- আমরা বাঙালী

১১ই আগস্ট যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে বীর বিপ্লবী, ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রথম আত্মবলিদানকারী ক্ষুদিরাম বসুর ১১৭তম আত্মবলিদান দিবস পালন ও স্মরণসভা আয়োজন করেছিল ‘আমরা বাঙালী’৷ সংঘটনের পক্ষ থেকে কলকাতা,বারাসাত, কাঁকিনাড়া, বনগাঁ, মেদিনীপুর,পুরুলিয়া,মুর্শিদাবাদ,জলপাইগুড়ি, আলিপুরদোয়ার সহ জেলায় জেলায় ও ত্রিপুরা,ঝাড়খণ্ড,অসমেও ক্ষুদিরাম বসুর আত্মবলিদান দিবস পালন করা হয়৷ সংঘটনের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় ভাবে বাগবাজার বাটার মোড়ে ক্ষুদিরাম বসু আত্মবলিদান দিবস স্মরণসভার আয়োজন করা হয়৷ উপস্থিত ছিলেন ‘আমরা বাঙালী’ কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সচিব তপোময় বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় প্রচার সচিব উজ্জ্বল ঘোষ, কেন্দ্রীয় অর্থসচিব

অমৃত–উৎসব নয়–চাই অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জনের সংগ্রাম

মনোজ দেব

স্বাধীনতা লাভের ৭৭ বছর অতিক্রান্ত হ’ল, এখনও প্রাসঙ্গিকভাবে প্রশ্ণ ওঠে জনগণ কি সত্যই স্বাধীনতা লাভ করেছে এ প্রশ্ণ উঠেছে এই জন্যেই যে, স্বাধীনতা লাভের পর খাতায় কলমে এতগুলো পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা হ’ল, আবার নতুন সরকার নতুন নামে পরিকল্পনা শুরু করলো৷ গরীবী হটানোর জন্যে কত না প্রতিশ্রুতি সরকারের পক্ষ থেকে শোণানো হ’ল, কিন্তু এ সব সত্ত্বেও তো আজ দেশের কোটি কোটি মানুষ দুবেলা পেট ভরে খেতে পায় না৷ বিভিন্ন আর্থিক সংস্থার প্রকাশিত তথ্য বলছে ভারতের সিংহভাগ সম্পদ করায়ত্ব করে রেখেছে মুষ্টিমেয় ধনিক সম্প্রদায়৷ তারাই অর্থনীতির নিয়ন্ত্রক, জনগণের ভাগ্য বিধাতা৷ শাসক শুধু কলের পুতুল৷ স্বাধীনতার অমৃত কারা পান করছে

ভূমা–বৃত্তিগত ভারসাম্য ও অ–বৃত্তিগত পরমলক্ষ্য

 ‘‘ভূমা–বৃত্তিগত ভারসাম্য’’ শব্দগুচ্ছ ব্যবহূত হয় কেবলমাত্র ভূমার ক্ষেত্রে, জীবের ক্ষেত্রে নয় । বৃত্তি মনের আভোগ, তারা মনের ভাবাবেগসম্পন্ন অভিব্যক্তি । এই বৃত্তিসমূহের ফলশ্রুতি হচ্ছে নির্দিষ্ট মনের সংস্কার । সংস্কারের মধ্যে আছে সংবেগ যার অন্তর্নিহিত শক্তি জীবদেহকে সেইদিকে প্রচালিত করে । এই সংস্কার পরবর্তীকালে অনুষ্ঠিত সব কর্মের মূল কারণ যা জীবদেহকে ভোগ করতেই হবে । তাই সৎকর্মের মাধ্যমে সৎ সংস্কার তৈরী করতে সকলকে সচেষ্ট থাকতে হবে । কিন্তু সংস্কার ভোগের সে৷ সে৷ এও সতর্ক থাকতে হবে যাতে সেই সময়ে অন্য সংস্কার তৈরী হয়ে না যায় ।

বৃত্তির তিনটি দিক

ধর্ম কী?

ক্রমবিবর্তনের চরম পরিণতি মানুষ অণুচৈতন্যের ব্যাপক স্ফূর্ত্তি-নিৰন্ধন অন্যান্য জীবের চেয়ে শ্রেষ্ঠ৷ মানুষ তার এই স্ফূর্ত চৈতন্যের সাহায্যে ভাল-মন্দের পার্থক্য নির্ধারণে তথা বিপন্মুক্তির পথ অন্বেষণে সক্ষম৷ কোন জীবই দুঃখদুর্দশাক্লিষ্ট জীবন চায় না৷ বস্তুতঃ মানুষের স্বভাবই হচ্ছে আনন্দের অন্বেষণ করা৷ এখন দেখা যাক্‌ এই আনন্দ প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে মানুষ কী করে, আর তাতে তা’ লব্ধ হয় কি না৷

শ্রাবণী পূর্ণিমার কথা

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

তারকব্রহ্ম শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী আবির্ভূত হলেন এমন এক যুগসন্ধিক্ষণে যখন প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়েছে, দ্বিতীয় আর এক বিশ্বযুদ্ধের প্রস্তুতি চলছে৷ পৃথিবীতে সর্বপ্রকারের মূল্যবোধ হয়েছে ধ্বংসপ্রাপ্ত৷ সত্য, শিব, সুন্দর হয়েছে অস্বীকৃত৷ নানা ধর্মমত ও রাজনৈতিক মতবাদ–প্রচারিত ভাব–জড়তা (ডগ্মা) মানব–সমাজকে করেছে খণ্ডবিখণ্ড, রক্তাক্ত, কলুষিত, কলহপ্রবণ ও পরমত–সহিষ্ণু৷ শিক্ষা হারিয়ে বসেছে তার মূল উদ্দেশ্য৷ আর যার জন্যে এত সব সমারোহ, এত সব আয়োজন, এত সব ঢ়ক্কানিনাদ–সমাজের সেই কেন্দ্রবিন্দু, সেই মধ্যমণি মানুষ হয়েছে চরমভাবে উপেক্ষিত ও পরিত্যক্ত৷ মানব ধর্মের সাধনা ছেড়ে মানুষ ছুটে চলেছে সহজ ধর্মের পথে, ভোগের পথ

পরির্ত্তনশীল জগতের এটাই ধর্ম, দলীয় রাজনীতিতে যা ঘটে গেল বাংলাদেশে

প্রভাত খাঁ

অত্যন্ত দুর্র্ভগ্যজনক ঘটনা প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের পক্ষে তা হলো গত ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট নিজের বাসভবনে সপরিবারে খুন হন সেখ মুজিবর রহমান৷ আর তাঁর বেঁচে থাকা কন্যা সেখ হাসিনাকে দেশ ছাড়তে হয় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ ত্যাগ করে৷ এর মূল কারণ হলো সংরক্ষণ নীতির বিরুদ্ধে বাংলাদেশী ছাত্রদের চরম হিংসাত্মক বিদ্রোহের কারণে! বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রেক্ষিতে দেখতে হলে নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে তা হলো স্বাধীন বাংলাদেশের সৃষ্টির পূর্বে এই দেশটি ছিল অখণ্ড বৃহত্তর বাংলাদেশ হিসাবে৷

২০২৫-এর আগে সুনীতা ও বোয়িং-কে ফেরানো সম্ভব নয় ---জানাল নাসা

দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে আটকে রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস৷ সঙ্গে রয়েছেন সহকর্মী বুচ উইলমোর৷ এ বার নাসা জানাল, তাঁদের ফেরাতে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্তও সময় লেগে যেতে পারে৷ সব ঠিক থাকলে আগামী বছরের শুরুতেই স্পেস এক্সের ক্রু ড্রাগনে পৃথিবীতে ফিরবেন তাঁরা৷