প্রবন্ধ

শ্যামাপ্রসাদের ভাবনায় কি পরিবর্তন এসেছিল?

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

সুভাষচন্দ্রের অন্তর্ধান রহস্য ও শ্যামাপ্রসাদের মৃত্যু রহস্য স্বাধীনতার ৭২ বছর পরও রহস্যই রয়ে গেল । বর্তমান রাজনীতির আবর্তে সুভাষচন্দ্র অন্তরালেই থেকে যাবেন, কারণ সুভাষ চন্দ্রের  আত্মপ্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের এক কলঙ্কিত অধ্যায়ের আত্মপ্রকাশ হয়ে যাবে । যে কলঙ্কের কালি থেকে  ডান-বাম-রাম কেউই রেহাই পাবে না । কারণ সেদিন কংগ্রেস, কম্যুনিষ্ট, আর এস.এস সুভাষ বিরোধিতায় সবাই এক  পক্ষ ছিল । স্বাধীনতা পরবর্তী ভারতবর্ষের রাজনীতি ডান-বাম-রামের  বিষাক্ত বৃত্তেই আবর্তিত হচ্ছে । তাই সুভাষ নিয়ে কোন পক্ষই মুখ খুলবে না । কিন্তু শ্যামাপ্রসাদ নিয়ে নীরব কেন বর্তমান কেন্দ্রের শাসক দল?

‘আমরা বাঙালী’র হাত ধরে, বাঙালীস্তানের পথ ধরে গড়ে উঠবে আত্মনির্ভর ভারত

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

পুঁজিবাদের পয়লা নম্বর দোসর ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রীর  মুখ দিয়ে হঠাৎ করে আত্মনির্ভর ভারত কথাটি বেরিয়ে এসেছে৷ তিনি এরকম অনেক কথাই বলে থাকেন, যা শুধু কথার কথা, বাস্তবে কোনমূল্য নেই ৷ শূন্য একাউন্টে ১৫লাখ, সুইস ব্যাংকের  কালো টাকা, বছরে দু কোটি চাকরি, এরকম অনেক কথাই প্রধানমন্ত্রী বলে থাকেন যা অলীক স্বপ্ণ বইতো নয়! পুঁজিবাদের হাত ধরে আত্মনির্ভর ভারত--- হয়তো এও এক আকাশ কুসুম! নতুবা প্রধানমন্ত্রী অমানিশার অন্ধকারে  কালো পেঁচা খঁুজতে বেরিয়েছেন৷

এই বিপন্নতার মাঝে কিছু কথা

চণ্ডীচরণ মুড়া, অধ্যাপক, মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র কলেজ

"পৃথিবীর গভীর গভীরতর অসুখ এখন;
মানুষ তবুও ঋণী পৃথিবীরই কাছে ।’
(‘সুচেতনা'–জীবনানন্দ দাশ)

বাঙালী কবে মানুষ হবে

মন্ত্র আনন্দ

প্রধানমন্ত্রীর ষোলআনা গুজরাটি প্রেম। তাই কংগ্রেস বিদ্বেষী হলেও গান্ধী-পটেল ভক্ত। দুজনেই গুজরাটি কিনা!কংগ্রেসী গুজরাটি পটেলের সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার মূর্তি, সকালে ঘুম থেকে উঠেই গান্ধীর চরণে প্রণতি।

সমাজতান্ত্রিক ভাবনা

এইচ, এন, মাহাতো

পৃথিবীতে অধ্যাত্মবাদের মাতৃভূমি ভারতবর্ষ। এখানে বর্ষ মানে দেশ। তবে রাজনৈতিক নেতৃত্বের অদুরদৃষ্টির ফলে বর্ষটা পিছনে ফেলে আজ শুধুমাত্র ভারত ভূমি রয়েছে। সেই প্রাচীনকাল থেকে এই দেশটি ছিল সমাজতন্ত্রের প্রতীক। সমাজতন্ত্র ভারতের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে আছে। এপ্রসঙ্গে দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার বলেছেন -- " মুনি - ঋষিদের দিব্যজীবনের স্মৃতিচারণও জনগণকে এক সূত্রে গেঁথে দেয়। যখন লোক অতীতের মহান নেতাদের ও পুণ্যাত্মা সাধু-সন্তদের কথা নিজেদের হৃদয়ে লালন করে, তখন সেটা সমষ্টিগত ঐক্যের ভিত্তি গড়ে তোলে । " অর্থাৎ সুদূর অতীতের  মানুষের মনস্তাত্ত্বিক চিন্তাধারায় ও ঋক্ বেদের বাণীতেও সংগচ্ছধ্বং সংবোদধ্বং----- দে

সেই সুদিনের প্রত্যাশায়

বিশ্বদেব মুখোপাধ্যায়

শ্রমজীবি মানুষেরা এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে কাজের সন্ধানে যেতেন, সে খবর কমবেশি দেশের অধিকাংশ মানুষই জানতেন । কিন্তু সেই সংখ্যাটা যে কত তা সাধারণ মানুষ কেন, সরকারও জানত না, তা বোঝা গেল ।করোনা পরিস্থিতিতে দেশে লকডাউন জারি হওয়ার পর এখন যে ছবি আমাদের চোখের সামনে টিভির মাধ্যমে ভেসে উঠছে,তা দেখে যেকোনো বিবেকবান মানুষ শিউরে উঠবেই । শিশু মহিলা সহ হাজার হাজার মানুষ যেভাবে জাতীয় সড়ক ধরে, কোথাও বা রেললাইন ধরে, কেউ সাইকেল চালিয়ে, আবার কেউ কেউ বাসে বা ট্রাকে গাদাগাদি করে  নিজ বাড়িতে ফেরার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে সেই কষ্ট চোখে দেখা যায় না । আজো ট্রেনে করে নিজ রাজ্যে ফেরার স্রোত অব্যাহত । কবে এই ফেরা

কালের প্রয়োজনে বাঙালী তার হৃতগৌরব আবার ফিরে পাবে।

এইচ, এন, মাহাতো

ছোটবেলায় শুনতাম -- "মোদের গরব মোদের আশা আ-মরি বাংলা ভাষা" অথবা "বাংলার মাটি বাংলার জল বাংলার বায়ু বাংলার ফল পূর্ণ হোক পূর্ণ হোক হে ভগবান"। তখন খুবই ছোট, দেশ নাকি স্বাধীন হয়েছে। কিন্তু আমার ঠাকুমা বলতেন কী লাভ হোলো স্বাধীনতায় !

কেন আমরা বাঙালী, কেন বাঙালীস্তান

মন্ত্র আনন্দ

প্রাউট (প্রগতিশীল উপযোগ তত্ত্ব)প্রণেতা পরম শ্রদ্ধেয় শ্রী প্রভাত রঞ্জন সরকার স্পষ্টই বলেছেন----" মানুষের সমাজ এক ও অবিভাজ্য"। কিন্তু তিনি তাঁরসামাজিক অর্থনৈতিক তত্ত্ব প্রয়োগের ক্ষেত্রে ভারতবর্ষকে ৪৪টি সমাজ ও পৃথিবীকে ২৫০ এর বেশি সমাজে বিভক্ত করেছেন। তিনি কেন এটা করেছেন তা বোঝার আগে আমাদের শ্বসনের সংজ্ঞা জানা দরকার। কাল মার্কসশোষণ কে অর্থনৈতিক দিক থেকে বিচার করে বলেছেন মুনাফাই শোষণ, কিন্তু কমিউনিস্ট রাষ্ট্রগুলি এই তত্ত্ব কে খারিজ করে দেয়।