প্রবন্ধ

বিজন সেতুর পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে

আচার্য ত্র্যম্বকেশ্বরানন্দ অবধূত

পূর্ব প্রকাশিতের পর

অথচ ১৯৬২ সালে যখন চীন ভারত দখল করতে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ল তখন সেই কাজে চীনের কম্যুনিষ্টরা যাতে সফল হয় সেই জন্যে  ভারতের কম্যুনিষ্টরা ভারতের জনগণকে বোঝাবার চেষ্টা করলো--- চীন আক্রমণকারী নয়, ভারতই আক্রমণকারী, চীন শুধু তার জবাব দিচ্ছে৷

---এই হচ্ছে কম্যুনিষ্টদের ভারত প্রেমের বহর৷ আর ওরাই আজ আওয়াজ তুলেছে ‘‘আনন্দমার্গীরা ভারত বিদ্বেষী’’!

আজকের সমস্যা সমাধানে প্রাউট

মোহন সরকার

বিশ্ববিখ্যাত সংবাদ সংস্থা ‘অক্সফ্যামে’র সমীক্ষায় প্রকাশ, বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ৮ জনের কাছে যে সম্পদ আছে, তা গোটা পৃথিবীর অর্দ্ধেক অর্থাৎ প্রায় সাড়ে তিনশ’ কোটি মানুষের সম্পত্তির সমান৷ ভারতেও বিত্তবান্ ১ শতাংশ মানুষের কাছে যে সম্পদ আছে তা আছে ভারতের মোট  জনসংখ্যার  ৫৮ শতাংশ  মানুষের  কাছে৷

রবীন্দ্র–আদর্শ ও আমরা

সত্যসন্ধ দেব

আমরা প্রতি বছরের  মত এবারেও খুব ঘটা করে রবীন্দ্র জয়ন্তী পালন করেছি৷ রবীন্দ্রনাথের কবিতা আবৃত্তি, রবীন্দ্র–সঙ্গীত, রবীন্দ্র রচনা নিয়ে গুরুগম্ভীর বত্তৃণতা কোনোটারই খামতি নেই৷ বরং রবীন্দ্রসঙ্গীতগুলোর্ যেগুলি সুস্পষ্টভাবে ঈশ্বরপ্রেম সম্বন্ধীয় সেগুলিকে বেমালুম স্ত্রী–পুরুষের প্রেমের সঙ্গীত হিসেবে টিভি– সিরিয়্যালে ব্যাপক ভাবে ব্যবহার করে কথায় কথায় রবীন্দ্র প্রীতির নিদর্শন দেওয়া হচ্ছে৷ পাড়ায় পাড়ায় রবীন্দ্রসঙ্গীতের বন্যা বইছে৷ কিন্তু ওই সঙ্গীতগুলির অন্তর্নিহিত ভাব  অনুভব করার চেষ্টা প্রায় কেউই করেন না এটা বলাই বাহুল্য৷ এই ভাবে রবীন্দ্র–ভাব, রবীন্দ্র–আদর্শকে ভুলেই আমরা রবীন্দ্রপ্রীতির উচ্ছ্বাস দেখাচ

বাঙলার প্রাণধর্ম রক্ষা করতে হবে

মনোজ দেব

‘‘একই ভৌগোলিক পরিবেশে, একই ঐতিহাসিক ও সাংসৃকতিক আবেষ্টনীর মধ্যে যাদের জন্ম ও লালন-পালন, সেই জনগোষ্ঠী অপর জনগোষ্ঠী থেকে ভিন্নতর গোষ্ঠীগত বৈশিষ্ট্য অর্জন করে৷ পরবর্তীকালের এই গোষ্ঠীগত বৈশিষ্টগুলোর সমগ্র জনগোষ্ঠীর অভ্যন্তরীণ ভাবধারার সঙ্গে এমনভাবে মিশে যায় যে এতে করে একটা জাতীয় স্বভাব তৈরী হয়৷ তা দিয়েই একটা গোটা জাতির মানস-প্রবণতা, বাহ্যিক আচরণ, জীবন ও সমাজের প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি---এককথায় একটি বিশেষ জাতীয় দৃষ্টিকোণ গড়ে ওঠে---যা সেই জাতিকে অন্য জাতি থেকে এক পৃথক বৈশিষ্ট্য দান করে৷

বাঙলা তথা ভারতের সামনে সমূহ বিপদ ঃ মোকাবিল করতে হবে কীভাবে?

আচার্য সর্বাত্মানন্দ অবধূত

গত ১লা বৈশাখ বাঙলা নববর্ষের দিনে শ্রদ্ধেয় প্রভাতরঞ্জন সরকারের ‘বাঙলা ও বাঙালী’ পুস্তকের ‘বাঙলার নববর্ষ’ প্রবন্ধটি (৪ঠা এপ্রিল ১৯৮০ প্রদত্ত) পড়তে পড়তে এক জায়গায় চোখ আটকে গেল৷ অনেক মূল্যবান কথা বলার পর শেষের দিকে তিনি বলেছেন---‘‘আজ নতুন করে শপথ নিতে হবে---এই নতুন বছরটা তারা কীভাবে সফল করে তুলবে, নিজেদের অস্তিত্বকে কীভাবে আরও প্রাণবান, প্রাণোচ্ছল করে তুলবে, তার কর্মপন্থা নির্ধারণ করতে হবে৷’’ সত্যি তো বাঙালী জনগোষ্ঠী কত প্রাচীন৷ এর এক উজ্জ্বল ঐতিহাসিকতা রয়েছে, অনেকগুলি বৈশিষ্ট্যে বৈশিষ্ট্যবান বাঙালী---নিজস্ব ভাষা, উচ্চারণ রীতি, লিপি, নিজস্ব পোষাক ও পোষাক পড়ার পদ্ধতি, নিজস্ব দায়াধিকার ব্যবস্থা,

শারীরিক সুস্থতায় পজেটিভ মাইক্রোবাইটামের ভূমিকা

শ্রী সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

শারীরিক সুস্থতা ও রোগমুক্ত শরীরের জন্যে পজেটিব মাইক্রোবাইটামের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ মাইক্রোবাইটাম আবিষ্কারক মহাপ্রাজ্ঞ শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার বলেছেন---প্রাণের উৎস হ’ল মাইক্রোবাইটাম৷ এই মাইক্রোবাইটাম তিন প্রকারের হয়৷ এরা হ’ল (১) পজেটিব মাইক্রোবাইটাম বা মিত্র মাইক্রোবাইটাম৷ (২) নেগেটিব মাইক্রোবাইটাম বা এনিমি মাইক্রোবাইটাম৷ (৩) নিরপেক্ষ মাইক্রোবাইটাম৷ এই তিন প্রকার মাইক্রোবাইটামের মধ্যে পজেটিব মাইক্রোবাইটামকে কোনও মানুষ কিংবা কোন মহাপুরুষ এমনকি কোনও সাধক বা অতি মানবও তৈরী করতে পারে না৷ শুধুমাত্র পরমপুরুষ তথা সদ্গুরুই এই মাইক্রোবাইটাম তৈরী করতে পারে৷ পরমপুরুষ সৃষ্ট মাইক্রোবাইটাম মানব মনে

আজ দেশ নিছক দলবাজিতেই ডুবতে বসেছে

প্রভাত খাঁ

এই বাঙলার তরুণ বিদ্রোহী কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য বলেছেন–‘‘ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়, পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি৷’’ যার ক্ষুণ্ণিবৃত্তি হয় সে ওই চাঁদকে দেখে সুন্দর ও অনেক কিছুই ভাবতে পারে কিন্তু যার পেটে খাদ্য নেই, ক্ষুধার জ্বালায় যে ছট্ফট করে তার চোখে খাদ্য বস্তু ছাড়া অন্য কোন কিছুই আসে না৷ এটা বাস্তব সত্য৷ তাই তো মানবতাবাদীরা এমনকি আধ্যাত্মিক পথের যাঁরা পথ প্রদর্শক তাঁরা বলেন–খালি পেটে ধর্ম হয় না৷ তাঁরা উপদেশ দেন যে অন্নহীনকে প্রথমে অন্ন দান কর তারপর ধর্মের কথা, আদর্শের কথা বল৷

ভারতীয় রাজনীতির এই কদর্য রূপ নোতুন নয়

মনোজ দেব

‘আমি কারো প্রতিচ্ছবি নই, প্রতিধবনি নই, কারো Prototype নই--I am myself’৷ কথাগুলি বলেছিলেন সুভাষচন্দ্র৷ ১৯৩৯ সালে গান্ধী মনোনীত প্রার্থী পট্টভি সীতারামাইয়াকে পরাজিত করে সুভাষচন্দ্র দ্বিতীয়বার কংগ্রেস সভাপতি হবার পর গান্ধীজী ও তাঁর লবির নেতাদের পক্ষে সেটা মেনে নেওয়া সম্ভব হয়নি৷ আসলে গণতান্ত্রিক কাঠামোয় কংগ্রেসে যেটা চালু ছিল তা হ’ল পুঁজিবাদী একনায়কতন্ত্র৷ গান্ধীজী ছিলেন সেই পুঁজিপতিদেরই প্রতিনিধি৷ তাই কংগ্রেসে গান্ধীর কথাই শেষ৷ গান্ধীবাদী নেতা শেঠ গোবিন্দদাস সে কথা স্বীকারও করেন৷ তিনি বলেন---‘ফ্যাসিস্টদের মধ্যে মুসোলিনী, নাৎসীদের মধ্যে হিটলার ও কমিউনিষ্টদের মধ্যে স্ট্যালিনের যে স্থান কংগ্রেস স

বিজন সেতুর পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে

আচার্য ত্র্যম্বকেশ্বরানন্দ অবধূত

পূর্ব প্রকাশিতের পর

এই ধরণের স্বৈরাচারী আক্রমণের সম্মুখীন যে শুধু আনন্দমার্গ হ’ল তাই নয়, যারাই এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করে সক্রিয়ভাবে কিছু করতে সচেষ্ট হয়েছিল, তাদের ওপরেই নেমে এসেছিল ওই আক্রমণ৷ কলকাতার বুদ্ধিজীবীরা এই ঘটনায় মর্মাহত হয়েছিলেন৷ তারা উপলব্ধি করেছিলেন ৩০ এপ্রিলের ওই বীভৎস ঘটনা তাঁদের রবীন্দ্রজয়ন্তী পালনের অধিকার কেড়ে নিয়েছে৷ তাই তাঁরা সমস্ত শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষকে ডাক দিয়ে বলেছিলেন---‘‘এবারের ২৫শে বৈশাখ হোক অনুশোচনার ও প্রায়শ্চিত্তের ২৫শে বৈশাখ৷’’

৩রা মে

মন্ত্র আনন্দ

লোকটা আবার সভাপতি হতে চাইছেন৷ প্রথমবার সভাপতি হয়েই কী সব আবোল-তাবোল বকছে৷ বলে কি না ‘দেশীয় পুঁজিপতিদের সাহায্যে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য বিস্তারে শক্তি অর্জন করেছে৷ মানুষকে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা দিতে হবে৷’ এমন লোক দলে থাকলে তো ব্যবসা ছেড়ে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে রাস্তায় দাঁড়াতে হবে৷ গত এক বছর ধরে চেষ্টা চলছে লোকটাকে দল থেকে তাড়াবার জন্যে৷ আর লোকটা আবার সভাপতি হতে চাইছে৷ এ কী পাগল নাকি!