প্রবন্ধ

দলবাজি  আর মিথ্যাচারিতা বন্ধ হোক, যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থা যেন দৃঢ় হয়

মুসাফির

সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে জন্মভূমি ভাগ করে  চুক্তিভিত্তিক নিছক রাজনৈতিক স্বাধীনতা লাভ করাতে কোটি কোটি হতভাগ্য  সাধারণ মানুষের যে কতটা লাভ ও কতটা ক্ষতি হয়েছে তার বিচার ইতিহাস করছে ন্যায় ও যুক্তিরভিত্তিতে৷

লক্ষ লক্ষ মানুষ নিহত হয়েছে সাম্প্রদায়িকতার হিংস্র আক্রমণে৷ এর নজির হলো লক্ষ লক্ষ হিন্দু উদ্বাস্তুদের জন্মভূমি ত্যাগ করে প্রাণের দায়ে ভারতে আগমন৷ তাদের অনেকেই  আজও ইহুদি  জনগোষ্ঠীর মতোই পথের ভিখারী৷ ‘বাঙালী হিন্দুরা উত্তর-পূর্বভারতে, পশ্চিমবঙ্গে ও ভারতের বিভিন্ন রাজ্য দিন কাটাচ্ছে৷ স্বাধীনতা আন্দোলনে যে বাঙালী প্রাণ দিয়েছে  সর্র্বধিক তারাই আজ রিক্ত নিঃস্ব !

আনন্দমার্গের বৈপ্লবিক বিবাহ ব্যবস্থা

আচার্য মন্ত্রেশ্বরানন্দ অবধূত

আনন্দমার্গের বৈপ্লবিক বিবাহে দেশের গণ্ডীকে মানা হয় না অর্থাৎ যেকোন দেশের ছেলে বা মেয়ের সঙ্গে যেকোন দেশের মেয়ে বা ছেলের বিয়ে হতে পারে৷  বাবা যে বিশ্বৈকতাবাদের কথা বলেছেন বিবাহ ব্যবস্থাকেও তার অন্যতম সোপান হিসাবে ব্যবহার করেছেন৷

এই বিবাহ ব্যবস্থায় ধর্মমতের কোন গোঁড়ামি নেই৷ যেকোন ধর্মাবলম্বী অন্য ধর্মাবলম্বীকে বিয়ে করতে পারেন৷ আনন্দমূর্ত্তি বলেছেন যে ‘‘মানবসমাজ এক ও অবিভাজ্য’’৷ বিবাহব্যবস্থা যাতে সেই অবিভাজ্য মানবসমাজ গড়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করে সেদিকে তিনি নজর দিয়েছেন৷

মানুষের সৃষ্ট বন্যায় ও প্রকৃতির তান্ডবে পশ্চিম বাঙলার ১২টি জেলা দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত

মুসাফির

সমস্যা সংকুল পশ্চিম বাঙলাকে প্রায় প্রতিবছরই মানুষের সৃষ্ট বন্যায় গ্রাস করে বর্র্ষ৷ এর মূল কারণ হলো কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি যতটা না  নদী, খালবিল সংস্কারের দিকে নজর দেন তার চেয়ে বেশী নজর শুধু লেকচারবাজি আর বক্তৃতায় ৷ কোটি কোটি টাকা বন্যা ও নদনদী সংস্কারের জন্য বাজেটে অর্থ বরাদ্দ করা হয় কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ফাঁকা আওয়াজ৷ বরাদ্দ টাকা যে কোথায় যায় সেটা ভগবানই জানে না৷  এতে কিছু সুবিধাবাদীরাই সুফল ভোগ করে ৷

শুভ ১৫ই আগষ্টের স্মরণীয় দিনে ঋষি অরবিন্দকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন

প্রভাত খাঁ

অতীতের সেই স্বর্ণগর্ভা বাঙলার বুকে এমন  এক মহান ব্যষ্টিত্বের জন্ম হয়েছিল যিনি বিশ্বের বুকে চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবেন৷ তঁদের জন্যে এই বাঙলাও নিজেকে ধন্য মনে করে৷ তেমনই এক মহাসাধক, মহাজ্ঞানী, মহান বিপ্লবী হলেন ঋষি অরবিন্দ ঘোষ৷ তিনি জন্মগ্রহণ করেন হুগলী জেলার উত্তরপাড়ায় ১৮৭২ সালের ১৫ই আগষ্ট৷ তিনি ছিলেন একাধারে দার্শনিক রাজনৈতিক নেতা ও যোগী৷ তাঁর পিতার নাম ডাঃ কৃষ্ণমোহন ঘোষ৷ তাঁর পিতা চাইতেন তিনি উচ্চ সরকারী বিভাগে চাকুরী করে জীবন নির্বাহ করুন৷ সেই কারণে তিনি তাঁকে ইংল্যাণ্ডে আই.সি.এস.

৭০ বছরের স্বাধীনতাঃ একটি সমীক্ষা

নিজস্ব প্রতিনিধি

ভারতের স্বাধীনতার পর ৭০ বছর অতিক্রান্ত হ’ল৷ কিন্তু এখনও কি ভারতের  ১৩০ কোটি জনসাধারণ প্রকৃত স্বাধীনতা  পেয়েছে?  তা যদি পেয়ে থাকে, কেন আজ দেশের মাত্র ১ শতাংশ  ধনিক শ্রেণীর হাতে দেশের ৫৮ শতাংশ সম্পদ কুক্ষীগত রয়েছে৷ ৯৯ শতাংশ মানুষের মোট সম্পত্তির চেয়ে বেশি সম্পত্তি রয়েছে  শীর্ষস্থানীয় ১০ শতাংশ  উচ্চবিত্তের হাতে৷

আর,  মাত্র শীর্ষস্থানীয় ৫৭ জন কোটিপতির হাতে রয়েছে দেশের জনসাধারণের  অর্থনৈতিকভাবে যাদের স্থান একেবারে তলাতে তেমনি ৭০ শতাংশ মানুষের মোট সম্পত্তির চেয়ে বেশি সম্পদ৷

মোদী আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নিজের ভাবমূর্ত্তি গড়তেই সর্বাধিক আগ্রহী, জনগণের সেবায় নয়

প্রভাত খাঁ

বর্তমানে ১২৫ কোটি মানুষের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমোদীর অধিকাংশ সময় কেটে যাচ্ছে বিদেশ ভ্রমণে৷ মনে হয় দিল্লির বিজেপি নিয়ন্ত্রিত কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী যে বিরাট সংখ্যক দলীয় এমপিদের সমর্থনে গুরুত্বপূর্ণ প্রধানমন্ত্রীর আসনে উপবিষ্ট হয়েছেন সেই আসনটির গুরুত্ব আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যেই তিনি মনোনিবেশ করেছেন৷ গত তিন বছরের শাসনে তিনি ভারতের মতো বিরাট গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জনগণের কতটা সেবা  করতে পেরেছেন  তার সঠিক সমীক্ষা করার দি

‘আনন্দমার্গ যোগ’-এর মৌলিকত্ব ও অভিনবত্ব

প্রফুল্ল কুমার মাহাতো

বর্ত্তমান কর্মব্যস্ততা ও উন্মার্গগামিতার যুগে যোগের প্রয়োজনীয়তা,উপযোগিতা ও উপকারিতার কথা বিবেচনা করে সম্প্রতি ২১ শে জুন তারিখটি আন্তর্জাতিক যোগদিবসরূপে ঘোষণা করা হয়েছে ও গুরুত্ব সহকারে এই দিনটি যোগাসন অভ্যাসের মাধ্যমে উদ্যাপন করার ব্যাপক প্রয়াস ও প্রচেষ্টা চালানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷  ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদী মহোদয়ও এর গুরুত্ব অনুধাবন  করে দেশব্যাপী

জি.এস.টিতে রাজ্যের স্বার্থ বিপন্ন হবে

মুসাফির

গত ৩০ শে জুন মধ্যরাত থেকে সারা ভারতে চালু হয়ে গেল নোতুন কর ব্যবস্থা গুডস্ সার্ভিস ট্রাকস (জিএস.টি) এটিকে সরকার এর মতে একদেশ এক কর ব্যবস্থা৷ চলতি বছরের ২৭শে মার্চ বিজেপি সরকারের অর্থমন্ত্রী শ্রী অরুন জেটলি সংসদে  দুকক্ষেই এই জিএস.টি  বিল পাশ নেন৷ আজকের প্রধানমন্ত্রী শ্রীযুক্ত মোদি-যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন তিনি উপলব্ধি করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় এর  দরকার নেই৷ কিন্তু তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে গভীর রাতে আড়ম্বরের মধ্য দিয়ে সেই জিএসটি