প্রবন্ধ

মহাসম্ভূতি শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজীর জীবনী ও আদর্শ

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

আনন্দমার্গের প্রতিষ্ঠাতা ধর্মগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী পিতৃপ্রদত্ত নাম শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার৷ পিতার নাম শ্রীলক্ষ্মীনারায়ণ সরকার ও মাতার নাম শ্রীমতী আভারাণী সরকার৷ ১৯২১ সালের বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতে সকাল ৬টা ৭মিনিটে বিহারের মুঙ্গের জেলার অন্তর্গত জামালপুর শহরে শ্রীপ্রভাতরঞ্জন জন্মগ্রহণ করেন৷ অবশ্য তাঁর পৈত্রিক বাসভূমি ছিল বর্ধমান জেলার বামুনপাড়া গ্রামে৷ বর্ধমান শহর থেকে মাইল সাতেক দক্ষিণ

ত্রিপুরার জাতি-উপজাতির মিলনসেতু সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়ন

হরিগোপাল দেবনাথ

কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত বলেছেন---জগত্ জুড়িয়া এক জাতি / সে জাতির নাম মানুষ জাতি৷

তিরিশে এপ্রিলের নারকীয় হত্যাকাণ্ড কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

পৃথিবীর ইতিহাসে দেখা গেছে যখনই মানুষের সার্বিক কল্যাণে কেউ এগিয়ে এসেছে তখনই স্বার্থান্বেষী কায়েমী শক্তি তার বিরুদ্ধাচরণ করেছে ও ক্ষুদ্র স্বার্থের যূপকাষ্ঠে  বৃহত্তর স্বার্থের বলিদানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে৷ গৌতম বুদ্ধ,

সামাজিক অবক্ষয় রোধ করতে চাই সাংস্কৃতিক বিপ্লব

স্নেহময় দত্ত

ভারতীয় সমাজব্যবস্থায় স্নেহ-প্রেম-দয়া-ভক্তি প্রভৃতি সৎ গুণাবলী একসময় ছিল মানুষের সহজাত৷ আর এই সহজাত সুবৃত্তিসমূহের ফলে মানবিক মূল্যবোধও ছিল অপরিসীম৷ সে সময় কত জ্ঞানীগুণী মানুষের আবির্ভাব ঘটেছে, যারা নিজ নিজ ভাবনাচিন্তায় কর্মসাধনায় দেশকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গৌরবের শিখরে নিয়ে গেছেন৷ কেবলমাত্র বাঙলাতেই জন্ম নিয়েছিল শত শত মনীষী

বিজন সেতুতে আনন্দমার্গী–হত্যার অন্যতম প্রধান কাণ্ডারী কান্তি গাঙ্গুলী

(গত ১৮ই এপ্রিল ‘খবর ৩৬৫ দিন’–এ প্রকাশিত পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদন)

‘‘পাপ ছাড়ে না বাপকে’’৷ বাঙলার বহু পুরোনো প্রবাদ৷ এবার সেই প্রবাদই সত্যি হতে চলেছে রাজ্য সিপিএমের নেতৃত্বের কাছে৷ আশির দশকের গোড়ায় করা নরহত্যার প্রায়শ্চিত্ত করার বাস্তব পরিস্থিতির সম্মুখে বঙ্গদেশের পক্ককেশী কমরেডরা ১৯৮২ সালের ৩০শে এপ্রিল বিজন  সেতুতে যে ১৭ জন নিরপরাধ আনন্দমার্গীকে জীবন্ত দগ্ধ করে মেরেছিল তাঁরা৷ এবার সেই পাপ সুদেআসলে মেটান

শতাব্দীর পৈশাচিকতম ঘটনা

সত্যসন্ধ দেব

১৯৮২ সালের ৩০শে এপ্রিল৷ তখন সবেমাত্র আকাশ আলো করে পূর্ব দিগন্তে উঁকি দিচ্ছে সূর্য, আনন্দমার্গের আসাযাওয়ার পথের ধারে ওৎ পেতে বসেছিল সিপিএমের হিংস্র হার্মাদ বাহিনী, ঠিক যেন হিংস্র হায়নার দল৷ আনন্দমার্গের বেশ কিছু সন্ন্যাসী ও সন্ন্যাসিনী কয়েকটি ট্যাক্সিতে করে হাওড়া থেকে তিলজলা আশ্রমে যাচ্ছিলেন৷ বণ্ডেল গেট ও বালিগঞ্জের বিজন সেতু দিয়েই তিলজলা আশ্রমে যাওয়ার রাস্তা৷ ওই এলাকায় যেই ট্যাক্সিগুলো পৌঁছলো অমন

বাঙলা তথা ভারতের সামনে সমূহ বিপদ: মোকাবিল করতে হবে কীভাবে?

আচার্য সর্বাত্মানন্দ অবধূত

গত ১লা বৈশাখ বাঙলা নববর্ষের দিনে শ্রদ্ধেয় প্রভাতরঞ্জন সরকারের বাঙলা ও বাঙালীপুস্তকের বাঙলার নববর্ষপ্রবন্ধটি (৪ঠা এপ্রিল ১৯৮০ প্রদত্ত) পড়তে পড়তে এক জায়গায় চোখ আটকে গেল৷ অনেক মূল্যবান কথা বলার পর শেষের দিকে তিনি বলেছেন---‘‘আজ নতুন করে শপথ নিতে হবে---এই নতুন বছরটা তারা কীভাবে সফল করে তুলবে

দলাই লামার অরুণাচল সফর নিয়ে চীনের এত গোঁসা কিসের!

মুশাফির

তিববত চিরকালই একটি স্বাধীন দেশ৷ তিববতীরা বৌদ্ধধর্মাবলম্বী ও শান্তিপ্রিয় জনগোষ্ঠী৷ চীন আগ্রাসী মানসিকতা নিয়ে তিববতকে জোর করে নিজেদের কব্জায় এনেছে৷ কমিউনিষ্টদের সর্বগ্রাসী ক্ষুধা একসময় এশিয়ার বিশেষ করে দক্ষিণপূর্ব এশিয়া ও তিববতে সামরিক অভিযান চালিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে গ্রাস করে৷ ইউ এন ও-এর প্রতিবাদ ও পৃথিবীর অন্যান্য স্বাধীন রাষ্ট্রের প্রতিবাদের কোনও ধারই ধারেনি৷ এই আগ্রাসী মানসিকতার আরম্ভ হয় সেই মাও সে তুংয়ের আমলে৷ বর্তমান জিং পিয়াংও সেই নীতি নিয়ে চলেছে৷ দলাই লামা প্রাণের দায়ে কিছু অনুগামী নিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন৷ তিনি তিববতের প্রধান ধর্মগুরু৷ সর্বজনশ্রদ্ধেয় এই দলাই লামাকে চীন মোটেই সহ্য করতে পার