প্রবন্ধ

ভারতের স্বাধীনতা ও আজকের দেশের দুর্দশা

প্রভাত খাঁ

পা পা করে কালধর্মে দেশ এগিয়ে চলেছে কারণ কিছুই থেমে থাকে না৷ আজ অনেকেই আছেন যাঁরা সেই ১৫ই আগষ্ট ১৯৪৭ সালের কথা স্মরণ করতে পারেন৷ আজকের মত সেদিন টি.ভি.র মতো ব্যাপকভাবে প্রচার মাধ্যম ছিল না৷ সংবাদপত্রের সংখ্যাও ছিল গুটি কয়েক৷ তবে  সেদিন  সরকারী বেতারযন্ত্র ছিল৷ বেতারে যেভাবে সংবাদ পরিবেশিত হতো, আজ কিন্তু তেমনভাবে কলকাতা বেতার কেন্দ্র ও দিল্লির বাংলা প্রচারকেন্দ্র থেকে  তেমন গুরুগম্ভীর ভাষায় সংবাদ প্রচারিত হয় না৷ অনেক টিভিতে সংবাদ প্রচারিত হয় ঠিক কিন্তু সংবাদের বিষয়বস্তুও সংবাদ প্রচারের ধরণটি মনকে আকৃষ্ট করে না৷ সেদিনের সংবাদ প্রচারে যে দৃঢ় গুরুগম্ভীর  কন্ঠশ্বর শোনা যেত তেমনটি আজ আর নেই৷ নানাধর

দার্জিলিংয়ে অবৈধ আন্দোলন বন্ধ করতে সরকার কি সত্যিই আগ্রহী?

অাচার্য সর্বাত্মানন্দ অবধূত

দার্জিলিংয়ে গোর্র্খ জনমুক্তি মোর্র্চর অবৈধ আন্দোলন বন্ধ করতে সরকার কি সত্যিই আগ্রহী? প্রশ্ণটা বেশ কয়েকদিন ধরেই ঘুরপাক খাচ্ছে নানা মহলে৷ গত ১৬ আগষ্ট মদন তামাং হত্যা মামলায় বিমল গুরুং অব্যাহতি পাওয়ায় এই প্রশ্ণটা আবার চাগিয়ে উঠেছে৷ এটা জেলা দায়রা আদালতের রায়৷ তাই সিবিআই যদি সত্যিই আন্তরিক হয় তাহলে তারা উচ্চ আদালতগুলিতে (হাইকোর্ট-সুপ্রীমকোর্ট) মামলা লড়তে পারে ও নিম্নকোর্টের রায় বাতিল করাতে পারে৷ কিন্তু সেটা তারা সেভাবে করলে তো?

বিজেপির শাসনে জনগণের নাভিশ্বাস উঠছে

মুসাফির

বিজেপি বিপুল সংখ্যায়  এমপি নিয়ে  দিল্লির  শাসন ক্ষমতা লাভ করে৷ কিন্তু নরেন্দ্রমোদী সরকার  জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষাকে নির্মমভাবে পদদলিত করে ধনীদেরই স্বার্থ সিদ্ধি করে  চলেছেন৷  ব্যাঙ্কের সুদের হার একেবারে কমিয়ে দিয়ে কোটি কোটি নিম্নমধ্যবিত্তশ্রেণী  নাগরিকদের আর্থিক দিক থেকে শোষণ  করে  চলেছেন৷ টাকার মূল্য যখন দ্রুত কমে যাচ্ছে তখন গরিবদের কথা চিন্তা না করে ধনীদের  কথা ভাবছেন ৷ কোটি কোটি টাকায় আমানত যাঁদের ব্যাঙ্কে জমা তাঁরা শতকরা ৪ শতাংশ সুদ পাবেন আর সাধারণ আমানতকারীরা সু

চীনের আগ্রাসী মনোভাব

প্রভাত খাঁ

ভারতের উত্তরে হিমালয় পর্বতে অবস্থিত ভারতের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সীমান্ত  অঞ্চলে এক নাগাড়ে চীন, পাকিস্তান ও নেপালের কিছু উগ্রপন্থী জঙ্গী গোষ্ঠী দীর্ঘ বছর ধরে ভারতে অনুপ্রবেশ করে ভারতের সার্বভৌম অধিকারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আসছে৷  এটি প্রায় স্বাধীনতার  কিছু বছর পর থেকেই চলে আসছে৷ অবশ্য ভারতের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের রাষ্ট্রনেতা ও নেত্রীগণ প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন প্রতিরোধ করতে৷ মনে পড়ে চীন ভারতের পঞ্চশীল নীতিকে  পরিহাস করতেই গত ১৯৬২ তে ভারত আক্রমণ করে তেজপুর পর্যন্ত নেমে আসে৷ হিমালয়ের ম্যাকমোহন লাইনের সীমানার দক্ষিণ দিকে যেটি  ভারতের অংশ হিসাবে চিহ্ণিত তার প্রায় ৪৫ হাজার বর্গ মাইল জোর পূর্বক চীন আট

পুঁজিবাদের আগ্রাসন থেকে মুক্তি পেতে হবে

সত্যাসন্ধ দেব

আজ থেকে দশ লক্ষ বছর পূর্বে মানুষের আবির্ভাব৷ মানুষ যখন আসে অন্যান্য প্রাণীদের মত মানুষেরও প্রধান কাজ ছিল আহারান্বেষণে ঘুরে বেড়ানো৷ আর সেদিন অন্যান্য প্রাণীদের তুলনায় সে ছিল অসহায়৷ তার চারদিকে ঘুরে বেড়াতো নানান হিংস্র ও ভয়ঙ্কর পশুর দল৷ তাদের কাছ থেকে আত্মরক্ষা করাটাই তখন তাদের কাছে প্রধান সমস্যা ছিল৷ আর সেই আদিম মানুষ তখন ভয় করত অন্যান্য মানুষদেরও৷ কখন তার আহূত খাদ্য অন্যেরা ছিনিয়ে নেয়৷ সব নিয়ে লড়াইটাই ছিল তার কাছে একমাত্র বাঁচার উপায়৷ আর তার জন্যে দরকার ছিল দৈহিক শক্তি৷ এইভাবে লড়াই করতে করতে যাদের দৈহিক শক্তি ছিল বেশী, সাহসী, লড়াইয়ে পটু মানুষের মধ্যে প্রাধান্য বাড়াল তাদের৷ আর তার ওপর মানুষ

শ্রাবণী পূর্ণিমা ও শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

আনন্দমার্গের ইতিহাসে শ্রাবণী পূর্ণিমা বিশেষ তাৎপর্য–বহন করে চলেছে৷ মার্গগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী বলেছিলেন, এই শ্রাবণী পূর্ণিমা তিথিতেই সদাশিব তাঁর ধর্মোপদেশ দান শুরু করেছিলেন৷ এই কারণেই শিবভক্তদের মধ্যে শ্রাবণী পূর্ণিমা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়৷ মার্গগুরুদেব তাঁর আদর্শ তথা দর্শনের ‘আনন্দমার্গ’ নামকরণও এই শ্রাবণী পূর্ণিমা তিথিতে করেছিলেন৷

এছাড়া, এই শ্রাবণী পূর্ণিমা তিথির সঙ্গে এক গভীর তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা জড়িয়ে রয়েছে৷

শহীদ ক্ষুদিরাম বসু ও ভারতবর্ষের স্বাধীনতা

গৌতমচন্দ্র চন্দ্র

শহীদ ক্ষুদিরাম বসু ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এক কিংবদন্তী যুবক প্রতিভা৷ ক্ষুদিরাম বসুর আত্মবলিদান সমকালে জনমানসে প্রবল আলোড়ন তুলেছিল৷ দেশ প্রেম আর বাঙালী চারণ কবিরা তাঁর স্মৃতির উদ্দেশ্যে গান গেয়ে দেশ প্রেমের বার্তা গ্রামে ও গ্রামান্তরে ছড়িয়ে দিতেন৷ ফাঁসির পরবর্তী কালে পরাধীন ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামে যথেষ্ট ভাবাবেগ ও উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছিল যা এককথায় অকল্পনীয় ছিল৷

স্বাধীনতার সত্তর বছরেও ভারত দ্বিজাতিতত্ত্বের প্রভাবমুক্ত নয়

স্নেহময় দত্ত

১৯৪৭ থেকে ২০১৭---পার হল সত্তরটা বছর৷ বৈদেশিক শাসন থেকে মুক্ত সত্তর বছরের স্বাধীন ভারত৷ বহুত্যাগ, তিতিক্ষা, রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্যদিয়ে এসেছে স্বাধীনতা৷ এই স্বাধীনতায় রয়েছে অজস্র অত্যাচারের মর্মান্তিক বেদনা--- বহুবীরত্ব গাথা৷ বীরের রক্তস্রোতে, মাতার অশ্রুধারায় সিক্ত এই স্বাধীনতা৷ সংগ্রামের দীর্ঘ পথে রয়েছে দেশমাতৃকার চরণে, স্বাধীনতার বেদীমূলে অনেক অনেক  উৎসর্গীকৃত প্রাণের আহুতি--- ফাঁসির মঞ্চে  বলিদান৷ এই যে আহুতি, বলিদান, সংগ্রাম, তা কিন্তু এই খন্ডিত ভারতের জন্যে নয়৷ ছিল অখন্ড ভারতবর্ষের জন্যে৷ কিন্তু দু:খের বিষয় ভারতবর্ষের মানুষ পেল না অখন্ড দেশ, পেল খন্ডিত ভারত৷ স্বাধীনতা সংগ্রামের  মহান