ঝিঙ্গে৷র উপকারিতা

Baba's Name
শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার

পরিচয় ও প্রজাতি ঃ ‘কুলক’ শব্দটিকে তোমরা যদি ক্লীবলিঙ্গে ব্যবহার কর, তার মানে হবে ৰড় আকারের ঝিঙ্গে৷ যে ঝিঙ্গে একসঙ্গে থোকায় থোকায় হয় ও আকারে একটু ছোট, তার বিশেষ নাম হচ্ছে ‘সপ্তপুত্র’ বা ‘সপ্তপুত্রিকা’৷ এই ‘সপ্তপুত্রিকা’–সঞ্জাত ‘সাতপুতিয়া’ শব্দটি ছোট ঝিঙ্গের জন্যে উত্তর ভারতে কোথাও কোথাও ব্যবহূত হয়৷ সে সকল স্থানে ৰড় ঝিঙ্গেকে বলা হয় ঝিঙ্গী৷ রাঁচী অঞ্চলের ঝিঙ্গে আকারে খুব বেশী দীর্ঘ হয়..... স্বাদও ভাল৷ ঝিঙ্গে গাছের কুঁড়িগুলি বিকেলের দিকে একসঙ্গে সবাই মৃদু পট পট ধ্বনি করে ফুটে যায়৷ তাই যে মানুষের গুণ হঠাৎ বিকশিত হয়, তাকে প্রশংসার ভাষায় শাদা–মাটা ৰাংলায় ঝিঙ্গে ফুলের সঙ্গে তুলনা করা হয়৷

হজমে ও কর্মতৎপরতা ৰৃদ্ধিতে ঝিঙ্গে৷ ঃ ঝিঙ্গে মুখে লালা আনে৷ তাই ভোজনে ও হজমে ঙ্মতরকারী হিসেবেৰ কিছুটা সাহায্য করে৷ তবে দিনের পর দিন অতি মাত্রায় ঝিঙ্গে খেলে আমাশয় রোগ দেখা দেবার সম্ভাবনা থাকে৷ ঝিঙ্গে শরীরকে স্নিগ্ধ রাখে৷ তবে রক্তচলাচল কিছুটা ৰাড়িয়ে দেয় ৰলে এতে মানুষের কর্মতৎপরতা ৰৃদ্ধি পায়৷

ঝিঙ্গে–পোস্ত গ্রীষ্ম ঋতুতে শরীরকে শুষ্কতা বা টানের হাত থেকে রক্ষা করে৷ যেমন রক্ষা করে ৰিউলির ডাল (ৰিরি কলাই)৷ অনেক অভিজ্ঞ মানুষ বলে থাকেন, পোস্ত–সহযোগে ঝিঙ্গের গুণ ও মিষ্টতা নাকি ৰৃদ্ধি পায়৷ এ উক্তির সত্যাসত্য নির্দ্ধারণের জন্যে একটি উচ্চ ক্ষমতাশীল তদন্তকমিশন বসানো যেতে পারে চৈত্র–বৈশাখ–জ্যৈষ্ঠ–এই রকম মাসে কম পরিমাণ ঝিঙ্গে–পোস্ত স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল৷ আদা–ৰাটা দেওয়া ঝিঙ্গের ঝোল (যা কোথাও কোথাও ‘ঝিঙ্গের কড়ুই’ নামে পরিচিত) অরুচিনাশক, অগ্ণি উদ্দীপক ও রক্তগতিৰর্দ্ধক রূপে আদৃত৷