৩০শে মে (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যে সাতটায় রাষ্ট্রপতি ভবন প্রাঙ্গণে দেশ বিদেশের প্রায় ৮ হাজার অতিথির উপস্থিতিতে দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন নরেন্দ্র মোদি৷ রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ নরেন্দ্র মোদি সহ ৫৮ জন মন্ত্রিকে শপথ বাক্য পাঠ করান৷ প্রধানমন্ত্রী মোদির পরে আরও যাঁরা শপথ গ্রহণ করেন তাঁদের মধ্যে আছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ, নীতিন গড়গড়ি, রাজনাথ সিং, প্রাক্তন বিদেশ সচিব এস. জয়শঙ্কর প্রমুখ৷ পশ্চিমবাঙলার বাবুল সুপ্রিয় ও দেবশ্রী চউধুরীও এদিন মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন৷
অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্যে যথারীতি আমন্ত্রণপত্র এসেছিল৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিপুল জনাদেশে ক্ষমতায় ফেরায় নিশ্চিত হওয়ার পরে পরেই ঘোষণা করেছিলেন, নির্বাচনী প্রচারপর্বে আমায় যে যা বলেছেন, তার সবটাই ভুলে গিয়েছি৷ এখন সবাইকে নিয়ে দেশ গড়ার পালা৷ সবার সহযোগিতা চাই৷
ভাবী প্রধানমন্ত্রীর এ হেন সৌজন্যের কথা চিন্তা করে মমতা প্রথমে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, মোদিজীর এই শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন৷ পরে তিনি সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন ও সাংবাদিকদের জানান, শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের মতো গণতান্ত্রিক নীতির একটি অঙ্গকে রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করা হচেছ৷ কারণ বিজেপি থেকে প্রচার করা হচ্ছে, বাংলায় রাজনৈতিক কারণে খুন হয়েছে বিজেপির ৫৪ জন কর্মী৷ সেই সমস্ত কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের দিল্লির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে নিয়ে গিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সিদ্ধি র চেষ্টা চলছে৷ এই কারণে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানকে রাজনীতিকরণের প্রতিবাদে তিনি শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান বয়কট করবেন৷ বিজেপি’র পক্ষ থেকে যাদের রাজনীতির কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে বলা হচ্ছে, মমতা তা মানতে রাজী নন, তিনি বলেন, বিজেপি থেকে যাদের মৃত্যুর কথা বলা হচ্ছে, প্রকৃত পক্ষে ব্যষ্টিগত আক্রোশ, পারিবারিক কলহ ও অন্য ঝামেলায় তা হতে পারে, তবে রাজনৈতিক কারণে নয়৷