সংবাদ দর্পণ

কশ্মীরে ‘তাপপ্রবাহ’ ৪০ ডিগ্রি!

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

কাশ্মীরে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে৷ অন্যতম উষ্ণ জুলাই মাসের সাক্ষী থাকছে উপত্যকা অঞ্চল৷ পরিস্থিতি এমনই যে, সেখানে ছোটদের স্কুল বন্ধ করে দিতে হয়েছে৷ স্থানীয় প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আপাতত দু’দিন পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়৷ কাশ্মীর প্রশাসন রবিবার যে নির্দেশিকা জারি করছে, তাতে বলা হয়েছে, তীব্র গরমের কারণে ২৯ এবং ৩০ জুলাই কাশ্মীরে ছোটদের সমস্ত ক্লাস বন্ধ থাকবে৷ পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিশুরা স্কুলে যাবে না এই দু’দিন৷ তবে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং কর্মচারীদের ছুটি থাকছে না৷ সরকারি এবং বেসরকারি স্কুল, উভয় ক্ষেত্রেই এই নির্দেশ কার‌্যকর হবে৷

গত কয়েক দিন ধরে কাশ্মীরে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা থাকছে৷ রবিবার তা ছাড়িয়ে গিয়েছিল ৩৬ ডিগ্রির গণ্ডিও, যা চলতি মরসুমে ছিল সর্র্বেচ্চ৷ কাশ্মীরে জুলাই মাসে এত তাপমাত্রা সাধারণত দেখা যায় না৷ শেষ বার জুলাইয়ে কাশ্মীরের তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি ছাড়িয়েছিল ১৯৯৯ সালে৷ এই হিসাবে রবিবার গরমে ২৫ বছরের নজির ভাঙল কাশ্মীর৷ ১৯৯৯ সালের ৯ জুলাই তাপমাত্রা হয়েছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ তবে কাশ্মীরে জুলাই মাসের সর্র্বেচ্চ তাপমাত্রার নজির রয়েছে ১৯৪৬ সালে৷ সে বার সর্র্বেচ্চ তাপমাত্রা হয়েছিল ৩৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এখনও পর্যন্ত আর কখনও হয়নি৷

বিজেপির বাঙলা ভাগের চক্রান্তের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলো ‘আমরা বাঙালী’

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় উত্তরপূর্ব বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যসভাপতি বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের পশ্চিমবাংলার উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিকে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়ার প্রস্তাবের মধ্যে বাংলা বিভাজনের ষড়যন্ত্র দেখতে পারছে ‘আমরা বাঙালী’ সংগঠন৷ ‘আমরা বাঙালী’র বক্তব্য বিজেপি মানেই বাংলা-বাঙালী বিদ্বেষী৷ শুধু সুকান্ত মজুমদার নন, ঝাড়খণ্ডের গোড্ডার বিজেপির সাংসদ নিশিকান্ত দুবে পশ্চিমবঙ্গের মালদহ, মুর্শিদাবাদ জেলাগুলি সহ বিহারের কিছু জেলা নিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠনের প্রস্তাব বাংলা ভাগেরই চক্রান্ত বলে কটাক্ষ করে নেতৃবৃন্দ৷ ৩০শে জুলাই ২০২৪,মঙ্গলবার দক্ষিণ কলকাতার হাজরা মোড়ে বাংলা ভাগের চক্রান্তের বিরুদ্ধে সুকান্ত মজুমদার ও নিশিকান্ত দুবের কুশপুত্তলিকা দাহ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে ‘আমরা বাঙালী’৷ ‘আমরা বাঙালী’ কেন্দ্রীয় সচিব জ্যোতিবিকাশ সিনহা ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সচিব তপোময় বিশ্বাস বলেন- কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও উত্তর-পূর্ব বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের মুখে বাঙলা ভাগের প্রস্তাব অনভিপ্রেত৷ গোটা দেশে বিজেপির বিপর্যয়ের পরেও এদের শিক্ষা হয় না! শরিকদের সমর্থনে সরকার টেকাতে হয় যাদের তাদের মুখে এই ধরনের আলটপকা মন্তব্য হাস্যকর৷ এতদিন বলছিল উত্তরবঙ্গ কে আলাদা রাজ্য ঘটন করতে হবে, এখন আবার কি সব প্রলাপ বকছে৷ আসলে নেই কাজ তো খই ভাজ৷ এরা বাঙলা বাঙালীর চরম শত্রু, বাঙলার উন্নয়ন না করে বাঙলাতে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করে প্রচারের আলোয় আসা এদের লক্ষ্য৷ আমরা পরিষ্কার বলে দিচ্ছি বাঙলা ভাগ আমরা মানবো না৷ উত্তরবঙ্গের মানুষের মধ্যে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করা চলবে না৷ এর ফল বিপরীত হবে এটা যেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি মনে রাখেন৷ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়ে শরিক দের সমর্থনে কেন্দ্রে তৃতীয় বারের জন্য গদি দখল করে বাঙলাতে বঙ্গভঙ্গের উষ্কানী দিয়ে অস্থির অশান্ত করার চক্রান্তের বিরুদ্ধে প্রতিটি বাঙালীকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে৷ কোন অজুহাতেই বাঙলা ভাগ মানবো না৷ বিজেপিকে জবাব দিতে হবে উত্তরবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য বাজেটে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে? উত্তরবঙ্গের চা চাষের উন্নতির জন্য কি উন্নয়ন মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার? বিজেপি আগে এর জবাব দিক৷ নির্লজ্জ বাঙালী বিদ্বেষী বিজেপিকে ধিক্কার৷ এদিনের প্রতিবাদ সভাতে বক্তব্য রাখেন- আমরা বাঙালী কেন্দ্রীয় অর্থ সচিব মোহনলাল অধিকারী, কেন্দ্রীয় যুগ্মসচিব হিতাংশু বন্দ্যোপাধ্যায়, সমতট সাংগঠনিক সচিব জয়ন্ত দাশ, কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সচিব অনিতা চন্দ, সুনন্দা সাহা, কেন্দ্রীয় প্রচার সচিব উজ্জ্বল ঘোষ, কেন্দ্রীয় প্রকাশন সচিব প্রণতি পাল, বিকাশ বিশ্বাস, অরূপ মজুমদার, সুশীল জানা, শুভজিৎ পাল, সুদীপ দাশগুপ্ত, তপন সমাদ্দার প্রমুখ নেতৃত্ব৷

রাজনৈতিক গণতন্ত্রের ধোঁকাবাজি নয় প্রাউটিষ্টদের দাবী---অর্থনৈতিক গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

আনন্দমার্গের দর্শন ভিত্তি ষান্মাসিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হচ্ছে দিল্লী সেক্টরের প্রতিটি ডায়োসিসে৷ এই আলোচনায় আধ্যাত্মিক দর্শনের সঙ্গে সামাজিক অর্থনৈতিক তত্ত্ব প্রাউটের অর্থনৈতিক গণতন্ত্র প্রসঙ্গও আছে৷

প্রাউটের অর্থনৈতিক গণতন্ত্র প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রাউট প্রবক্তা শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার বলেছেন--- বর্তমান বিশ্বের অধিকাংশ রাষ্ট্রে গণতন্ত্রের নামে জনগণের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে এমন এক রাজনৈতিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা যার পরিণতিতে জনগণ চরম মানস-অর্থনৈতিক শোষণের শিকার হয়েছে৷ জনগণকে বোঝান হয়েছে রাজনৈতিক গণতন্ত্রের থেকে ভাল ব্যবস্থা আর কিছু হতে পারে না, যা জনগণের সঙ্গে এক প্রকার প্রতারণাই করা হয়েছে৷ কারণ এই রাজনৈতিক গণতন্ত্র জনগণকে কাগজে কলমে বোটাধিকার দিলেও অর্থনৈতিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে৷ অর্থনৈতিক ব্যবস্থা পুঁজিপতিদের প্রতিনিধি শাসক দলের হাতেও নেই৷ রাজনৈতিক গণতন্ত্রে শাসককেও পুঁজিপতিদের অঙ্গুলী হেলনে চলতে হয়৷ কারণ পুঁজিপতিদের অর্থে রাজনৈতিক দলগুলি পুষ্ট হয়৷ তাই রাজনৈতিক গণতন্ত্রে প্রত্যক্ষভাবে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ও পরোক্ষভাবে রাষ্ট্রের শাসনভার পুঁজিপতিরাই নিয়ন্ত্রণ করে৷ এরই পরিণতিতে বর্তমানে অর্থনৈতিক বৈষম্য, ক্রয় ক্ষমতায় প্রচণ্ড অসাম্য, বেকার সমস্যা, দারিদ্র্য, শিক্ষা জগতে বিশৃঙ্খলা এক কথায় গণতন্ত্রের নামে এ-এক চোখ ধাঁধানো শোষণমূলক ব্যবস্থা৷

প্রাউট জনগণকে এই অসহনীয় কষ্ট ও দুর্দশা থেকে মুক্তি দিতে অর্থনৈতিক গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা চায়৷ অর্থনৈতিক গণতন্ত্রের সারকথা আর্থিক পরিকল্পনায় আর্থিক ব্যবস্থা বাস্তবায়নের দায়িত্ব স্থানীয় মানুষের হাতে থাকবে৷ জনগণের হাতে অর্থনৈতিক অধিকার তুলে দিলে তবেই মানুষ আর্থিক দুর্দশা থেকে মুক্তি পাবে৷ প্রাউটের দৃষ্টিতে অর্থনৈতিক ব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরণই সাধারণ মানুষের জীবন ধারণের নূ্যনতম প্রয়োজনপূর্ত্তি সুনিশ্চিত করবে৷ নূ্যনতম প্রয়োজন পূর্ত্তি সুলভ হলে তবেই মানুষের সার্বিক বিকাশ সম্ভব হবে৷

প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রী প্রভাত খাঁ বলেন প্রাউট অর্থনৈতিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও তা বাস্তবায়িত করার ক্ষমতা স্থানীয় জনগণের হাতে থাকবে, এখানে বহিরাগতের কোন অধিকার থাকবে না৷

মানুষের আর্থিক ব্যবস্থার উন্নতি সাধন করতে পারলে, তবেই মানুষ স্বাধীনতার অমৃতকাল উপলব্ধি করতে পারবে৷

স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্রদূত বাঙালী প্রতিটি কেন্দ্রীয় সরকারের আমলে বঞ্চিত

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

নির্বাচনে বার বার ব্যর্থ হয়ে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য উন্মাদের মত বাঙলা ভাগের জন চিৎকার করছে৷ ভারতযুক্ত রাষ্ট্রের মূলতঃ কোন কেন্দ্রীয় সরকারই ভাবেনি যে খণ্ডিত ভারতের উন্নয়ন ঘটানোটা অতি প্রয়োজন৷ যতগুলি একদলীয় শাসক হয়েছে সবকটি শাসক চেয়েছে লুটেপুটে খেতে ও সারাটা জীবন নিজ নিজ দলের শাসনকে জিয়িয়ে রেখে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে৷ তবে কিছু কিছু মিলিজুলি সরকার হয়েছে কেন্দ্রে তখন কিন্তু কিছুটা কেন্দ্র সরকার সংযত ছিল৷ আর ইংরেজ সাম্রাজ্যবাদী শক্তি এই দেশকে টুকরো করে শাসনব্যবস্থাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে চেয়েছিল৷ তারা দেশছাড়ার আগে কিছু দেশীয় নেতা ও ধনকুবেরদের সাহায্য নিয়ে সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে বাঙলা ও পঞ্জাবকে ভাগ করে দেয়৷ অত্যন্ত লজ্জার কথা দেশের রাজনৈতিক নেতা যথা হিন্দু ও মুসলমান নেতারা সেই টোপ গিলে ফেলে লোভের বশবর্ত্তী হয়ে৷ দেশমাতাকে টুকরো করতে তাদের মনে কষ্ট হয়নি এমনই দেশীয় সব নেতা এই হতভাগ্য ভারতবর্ষের! সবচেয়ে ক্ষতি হয় এই বাঙলারই!

শ্রী খাঁ বলেন---একমাত্র নেতাজী সুভাষচন্দ্রই ছিলেন অখণ্ড ভারতবর্ষের পূজারী! তাঁকে এদেশের দলতন্ত্রের নেতারা সহ্যই করতো না দলীয় স্বার্থে৷ তাই তিনি ছিলেন ধান্দাবাজদের কাছে ঘৃণার ও আতঙ্কের পাত্র৷ তবে তাঁরই আমলে কাজি নজরুল ইসলাম যিনি বিপ্লবী কবি তিনিই নেতাজীর একসভায় একটি বৈপ্লবিকগণ লিখে সুর দিয়ে সভা উদ্বোধন করেন সেটি হলো---‘‘হিন্দু না ওরা মুসলমান ঐ জিজ্ঞাসে কোনজন? কাণ্ডারী বলো ডুবিছে মানুষ সন্তান মোর মার!’’ কিন্তু নেতারা কি করলেন? লোভের বসে দেশকে সাম্প্রদায়িকতারভিত্ত্ ভাগ করে শাসন ক্ষমতা হাতে নিলেন? এই তো দেশ প্রীতি ও আন্তরিকতা! পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আগতদের সমাধান করেন৷ আর পূর্ব পাকিস্তান থেকে আগত বাঙালী হিন্দুদের জন্য ভারতের দণ্ড কারণ্যে কিন্তু সেটাতে বাঙালী উদ্বাস্তুদের পুর্নবাসনের ব্যবস্থা করেন, সমাধান না হয়ে বেশ সংকটের মধ্যেই প্রাণের রক্ষায় বাঙালী মহিলাদের আর বাঙালী কর্ষকরা ঐ জমিতে চাষাবাদের তেমন কোন সুযোগ ছিল না তাছাড়া দণ্ডকারণ্যের আবহাওয়াটাও এঁদের পক্ষে সহ্য করাটাও ছিল অত্যন্ত কঠিন৷ নিরাপত্তার অভাব ছিল বড়ো৷

সুবিধা না থাকায় পঃবাঙলায় ফিরে আসেন ও এখানে বামফন্ট্রের আমলে মরিচঝাঁপিতে তাদের অত্যাচারিত হতে হয়৷ আজও সেই উদ্বাস্তু সমস্যা বাঙলায় একটি সমস্যাই কিছুটা হয়ে আছে৷ তবে বাঙলায় উদ্বাস্তুর সংখ্যাটি ছিল অত্যধিক৷ তবে বাঙালী জনগোষ্ঠী ভারতের স্বাধীনতার ছিল অগ্রদূত৷ সেই বাঙালী স্বাধীন ভারতে শুধু উদ্বাস্তু নয়, সমস্ত দিক থেকেই বঞ্চিত প্রতিটি কেন্দ্রীয় সরকারের আমল থেকে৷

বর্তমানের মোদি সরকার কেন্দ্র শাসনে আসার পর থেকেই পশ্চিম বাঙলাকে সব দিক থেকে বঞ্চিত করেই চলেছেন৷ ভাতে মেরে বাঙলা দখলের চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় এখন উন্মাদের মতো বাঙলা ভাগের আবাজ তুলছে৷ শ্রীখাঁ বলেন--- আজ বাঙলার ছাত্র যুব সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বুঝিয়ে দেওয়া দরকার বাঙলা আর বাঙালী বিদ্বেষী সাম্রাজ্যবাদী শাসকের তাঁবেদারী করবে না৷

রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় আনন্দমূর্ত্তিজীর অবদানেরওপর আলোচনা সভা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ২৩শে জুলাই উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক বিভাগের পক্ষ থেকে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী আধ্যাত্মিক দর্শন, নব্যমানবতাবাদ ও সমাজতত্ত্বের ওপর৷ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ডঃ প্রশান্ত কুমার মহলা৷ সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের কেন্দ্রীয় জন সংযোগ সচিব আচার্য দিব্যচেতনানন্দ অবধূত৷ তিনি আনন্দমার্গ দর্শনে সৃষ্টিচক্র বিষয়ে আলোচনা করেন৷ আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল জগতের বিকাশে জড় সংঘাত, ভাব সংঘাত ও বৃহতের আকর্ষণের প্রভাব যা মানুষকে তার জীবনের পরমলক্ষ্যে পৌঁছে দেবে৷ এছাড়া তিনি আনন্দমূর্ত্তিজী প্রবর্তিত নব্যমানবতাবাদের ওপরেও আলোচনা করেন৷ মানবতাবাদে শুধু মানুষের কথাই ভাবা হয়৷ কিন্তু আনন্দমূর্ত্তিজী প্রবর্ত্তিত নব্যমানবতা দর্শনে মানুষ ছাড়াও পশু, পাখি, তরুলতা সবার কথাই মানুষকে ভাবতে হবে৷ কারণ সবাইকে নিয়েই সমাজ, একজনকে উপেক্ষা করলে সমাজের ভারসাম্য নষ্ট হবে৷ এছাড়া তিনি আনন্দমার্গ দর্শনে সামাজিক অর্থনৈতিক তত্ত্ব নিয়েও আলোচনা করেন৷ যেখানে প্রতিটি মানুষের জীবন ধারণে সর্বনিম্ন প্রয়োজন পূর্ত্তির নিশ্চিততার কথা বলা হয়েছে৷

আনন্দমার্গের কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবে সরকারী কর্মীরা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তি প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয় সরকারী কর্মীরা আনন্দমার্গের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবে না৷ ১৯৬৬ সালে,১৯৭০ সালে ও ১৯৮০ সালে তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকার সরকারী কর্মীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে জানায় আর.এস.এস আনন্দমার্গ ও আরও কয়েকটি সংস্থার কার্যক্রমে সরকারী কর্মীরা যুক্ত থাকতে পারবে না৷ কিন্তু সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার তাদের অনুগত আর.এস.এস-এর ওপর থেকে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয় এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে৷ কিন্তু আনন্দমার্গ অন্যান্য সংঘটন বিষয়ে কোন কথা উল্লেখ ছিল না বিজ্ঞপ্তিতে তাই কোন কোন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয় আনন্দমার্গের কার্যক্রমে সরকারী কর্মীরা অংশ নিতে পারবে না৷ কারণ আর.এস.এস-এর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হলেও আনন্দমার্গের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি থাকছে৷

এ বিষয়ে আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের কেন্দ্রীয় জন-সংযোগ সচিব আচার্য দিব্যচেতনানন্দ অবধূত এক প্রেস বিবৃতিতে জানান কেন্দ্রীয় সরকার ১৯৭০ সালে আনন্দমার্গের ওপর ও রাজ্যসরকার ১৯৮১ সালে আনন্দমার্গের উপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল তার পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়৷ দীর্ঘ শুনানির পর ১৯৯৬ সালে সুপ্রিমকোর্ট তার রায়ে জানিয়ে দেয় আনন্দমার্গ ধর্মীয় সংঘটন হওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মীদের জন্যে নির্দিষ্ট ৫ নম্বর বিধির আওতায় পড়বে না৷ অর্থাৎ আনন্দমার্গ ৫নং ধারার আওতায় থাকা রাজনৈতিক সংঘটন না হওয়ায় আনন্দমার্গের কার্যক্রমে সরকারী কর্মীদের অংশ নিতে কোন বাধা থাকবে না৷ তাই আনন্দমার্গের কাজকর্মে যোগ দিতে সরকারী কর্মীদের কোন বাধা নেই৷ আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের পক্ষ থেকে সেই সময় বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারকে জানান হয়৷

প্রযুক্তিগত সমস্যায় গ্রাহকের কাছে গেল ৪কোটি টাকার ইলেকট্রিক বিল

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

কোনও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নয়, কোনও অফিসও নয়৷ সাধারণ বসত বাড়ি৷ সেই বাড়িতেই নাকি গত তিন মাসের বিদ্যুতের বিল এসেছে চার কোটি টাকার উপরে! সম্প্রতি এমনই এক ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন উত্তরপ্রদেশের নয়ডার বাসিন্দা বসন্ত শর্মা৷ উত্তরপ্রদেশ বিদ্যুৎ বণ্টন নিগম থেকে তাঁর মোবাইলে মেসেজ গিয়েছে৷ সেখানে তিন মাসের বিল দেখাচ্ছে, ৪ কোটি ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪১ টাকা! নয়ডার সেক্টর ১২২-এ শ্রমিক কুঞ্জে ওই বাড়িটিতে ভাড়ায় থাকেন বসন্ত৷ পেশায় রেলকর্মী৷ এখন শিমলায় প্রশিক্ষণ চলছে তাঁর৷ বসন্তের দাবি, নয়ডার ওই বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ তাঁর স্ত্রী প্রিয়ঙ্কার নামে নেওয়া৷ গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ তাঁর মোবাইলে এসএমএস আসে বিদ্যুৎ বণ্টন নিগম থেকে৷ সেখানে উল্লেখ ছিল, গত তিন মাসে নাকি ৪ কোটি টাকার উপরে বিদ্যুতের বিল এসেছে তাঁদের বাড়িতে৷ অথচ, বাড়িতে খুব সাধারণ কিছু বৈদ্যুতিন সামগ্রী রয়েছে বলেই দাবি বসন্তের৷

মোবাইলে আসা ওই বিলে এটাও বলা ছিল, যদি ২৪ জুলাইয়ের আগে টাকা জমা দেওয়া হয়, তা হলে তাঁকে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৬৯ টাকা ছাড় দেওয়া হবে৷ মেসেজে এই বিল আসার পর বসন্ত যোগাযোগ করেন বাড়ির মালিকের সঙ্গে৷ পরে ওই এলাকার আবাসিকদের সংগঠনের তরফে বিদ্যুৎ বণ্টন নিগমকে অভিযোগ জানানো হয়৷ যদিও এ বিষয়ে উত্তরপ্রদেশ বিদ্যুৎ বণ্টন নিগমের বক্তব্য, ‘‘কম্পিউটারে কোনও প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে ওই স্বয়ংক্রিয় মেসেজটি চলে গিয়েছিল গ্রাহকের মোবাইলে৷ তবে বিদ্যুৎ বণ্টন নিগমের সিস্টেমে ওই বিলটি সংশোধন করে নতুন বিল পাঠানো হয়েছে বসন্তকে৷ সংশোধনের পর তিন মাসের জন্য বসন্তের বিল এসেছে ২৬ হাজার টাকা৷’’

শিলচরে শহীদ মঙ্গল পাণ্ডের জন্মদিন পালন করলো আমরা বাঙালী

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ১১ই জুলাই শিলচরে আমরা বাঙালী সংঘটনের পক্ষ থেকে ১৮৫৭ সালে ব্রিটিশ শাসকের বিরুদ্ধে সিপাহী বিদ্রোহের প্রথম শহীদ মঙ্গল পাণ্ডের জন্মদিন পালন করা হয়৷

মঙ্গল পাণ্ডে উত্তর প্রদেশের বালিয়া জেলার নাগওয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ১৮২৭ সালের ১৯শে জুলাই৷ ১৮৫৯ সালে বেঙ্গল রেজিমেন্টে যোগ দেন৷ ১৮৫৭ সালে মার্চ মাসে মঙ্গল পাণ্ডে বেঙ্গল ইনফ্যান্ট্রির সৈনিক ছিলেন৷ ১৮৫৭ সালের ২৯শে মার্চ মঙ্গল পাণ্ডে ব্রিটিশ বিরোধী মহা বিদ্রোহের সূচনা করেন বেঙ্গল ইনফ্যান্ট্রির সহকারী লেফটেন্যান্ট যৌগকে আক্রমণ করে৷ স্থানটা ছিল তৎকালীন অবিভক্ত ২৪ পরগণা জেলার ব্যারাকপুর সেনা নিবাস৷ পাণ্ডের যৌগকে লক্ষ্য করে গুলি চালালেও তার গুলি লক্ষ্য ভ্রষ্ট হয়৷ পরে পাণ্ডের তরবারির আঘাতে যৌগ আহত হয়৷ এরপর অন্যসেনাদের সঙ্গে গুলি বিনিময়ের সময় পাণ্ডে আহত হয়৷ আহত অবস্থায় পাণ্ডে ও তার সঙ্গী ঈশ্বরী প্রসাদের বিচার হয়৷ বিচারে দুজনকেই মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়৷ তবে নিকৃষ্ট সময়ের আগেই ৮ই এপ্রিল, মঙ্গল পাণ্ডেকে ফাঁসি দেওয়া হয়৷ ঈশ্বরী প্রসাদের ফাঁসী হয় ২১শে এপ্রিল৷ ব্যারাকপুর সেনা নিবাসে বিদ্রোহের ঘটনা স্থলে নির্মিত হয়েছে মঙ্গল পাণ্ডে উদ্যান৷

১৯শে জুলাই শহীদ মঙ্গল পাণ্ডের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সিপাহী বিদ্রোহের ঐতিহাসিক ঘটনা স্মরণ করে বক্তব্য রাখেন আমরা বাঙালীর অসম রাজ্য সচিব সাধন পুরকায়স্থ৷ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেবাশিষ রায় চৌধুরী, আজমল হোসেন চৌধুরী, পাপাই দাশ, সমর পাল, রাজেশ ভট্টাচার্য, পুলক সোম, তপোময় পুরকায়স্থ অভিদেব প্রমুখ৷

গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল এ্যাডমিনিস্ট্রেশন বাতিলের দাবীতে ‘আমরা বাঙালী’

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল এ্যাডমিনিস্ট্রেশন আইন বাতিলের দাবীতে ‘আমরা বাঙালী’ র প্রতিবাদ অব্যাহত৷ গোর্খা চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার দিন অর্থাৎ ১৮ই জুলাইকে কালা দিবস চিহ্ণিত করে, ঐ দিনটিতে শিলিগুড়ি ও কলকাতায় বড় আকারের বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয় ‘আমরা বাঙালী’ র তরফে৷ এদিন ‘আমরা বাঙালী’ র পক্ষ থেকে জিটিএ আইন বাতিলের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্ক থেকে হাসমি চক, এয়ার ভিউ সহ বিভিন্ন রাজপথ পরিক্রমা করে বিধান মার্কেট অটো স্ট্যান্ডে পৌঁছে সেখানে পথসভার আয়োজন করা হয়৷ উপস্থিত ছিলেনউক্ত সভায় সভাপতির আসন অলংকৃত করেন বিশিষ্ট প্রাউটিষ্ট তথা সমাজ সেবী নীতিশ বসু, ‘আমরা বাঙালী’ কেন্দ্রীয় সচিব জ্যোতিবিকাশ সিনহা, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সচিব তপোময় বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় প্রচার সচিব উজ্জ্বল ঘোষ, কেন্দ্রীয় অর্থ সচিব মোহনলাল অধিকারী, বরেন্দ্র সাংগঠনিক সচিব খুশীরঞ্জন মণ্ডল, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হারাধন ভৌমিক, জেলা সচিব বাসুদেব সাহা৷

 এছাড়াও স্পান্দনিক শিল্পী পূর্ণিমা বারুই সহ প্রমুখ নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন৷ এদিকে কলকাতার শ্যামবাজারে জিটিএ আইন বাতিলের দাবীতে বিক্ষোভ সভার আয়োজন করা হয়৷ উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সচিব তথা বিশিষ্ট প্রাউটিষ্ট বকুল চন্দ্র রায়, উপস্থিত ছিলেন ‘আমরা বাঙালী’ কেন্দ্রীয় যুগ্ম সচিব হিতাংশু বন্দ্যোপাধ্যায়, সমতট সাংগঠনিক সচিব জয়ন্ত দাশ, অরূপ মজুমদার, কেন্দ্রীয় প্রকাশন সচিব প্রণতি পাল , সুবোধ কর, শুভজিৎ পাল, মিন্টু বিশ্বাস, প্রতিমা শীল, জয়ন্ত শীল, স্বাগতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কৃষাণু বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা জেলা কমিটির সদস্য সুশীল জানা, সুদীপ দাসগুপ্ত, গোপাল রায়চৌধুরী প্রমুখ৷

‘আমরা বাঙালী’ কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সচিব তপোময় বিশ্বাস জানান, ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর মমতা ব্যানার্জির তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর আমরা ভেবেছিলাম বামফ্রন্ট সরকারের নেওয়া অসাংবিধানিক ও বিদেশি তোষণকারী ‘গোর্খা হিল কাউন্সিল’ স্বশাসিত অঞ্চলের অবসান ঘটবে, কিন্তু দুঃখের সাথে আমরা দেখেছিলাম ২০১১ সালের ১৮ই জুলাই সন্ত্রাসবাদী, খুনী, বিদেশী নেপালী বিমল গুরুং দের সঙ্গে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী অসাংবিধানিক অবৈধ চুক্তি সম্পাদিত করেন, আর যে নাম ‘গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল এ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ সংক্ষেপে জিটিএ৷ সঙ্গে বামফ্রন্ট সরকারের চেয়ে আরো একধাপ এগিয়ে এই ‘গোর্খাল্যান্ড’ নাম রাজ্যভাগেরর দাবীদার বিদেশী নেপালী গোর্খাদের মদতকে আরো শক্তিশালী করছে৷২০১১ সাল থেকে প্রতিবছর এই দিনটিকে কালা দিবস হিসেবে পালন করে আসছি৷ যতদিন না এই অসাংবিধানিক অবৈধ, ভোট ব্যাঙ্কের স্বার্থে বিদেশী নেপালী তোষণকারী জিটিএ আইন বাতিল না করা হচ্ছে, আমাদের আন্দোলন চলতে থাকবে৷

কম্বোডিয়াতে সাইবার প্রতারকদের কবলে পাঁচ হাজার ভারতীয়

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

১৪ জন ভারতীয় ‘সাইবার ক্রীতদাস’কে প্রতারকদের কবল থেকে উদ্ধার করছে কম্বোডিয়া পুলিশ৷ যদিও এখনও দেশে ফিরতে পারেননি তাঁরা৷ ভারতে ফেরার জন্য সে দেশের ভারতীয় দূতাবাসের কাছে আবেদন করেছেন৷ সবুজ সঙ্কেত মিললেই তাঁরা চলে আসবেন ভারতে৷ মাস কয়েক ধরেই খবরের শিরোনামে কম্বোডিয়াতে কাজ করতে যাওয়া পাঁচ হাজারের বেশি ভারতীয়৷ সম্প্রতি ১৪ জন ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন৷

এই ১৪ জনের মধ্যে বেশির ভাগই উত্তরপ্রদেশে ও বিহারের বাসিন্দা৷ কম্বোডিয়ার স্থানীয় পুলিশ তাঁদের প্রতারকদের কবল থেকে উদ্ধার করেছে৷ বর্তমানে তাঁরা রয়েছেন একটি এনজিওতে৷

কম্বোডিয়াতে প্রতারকদের জাল অনেক বিস্তৃত৷ মোটা বেতনের চাকরির টোপ দিয়ে অন্যান্য দেশের নাগরিকদের কম্বোডিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়৷ তার পর তাঁদের জোর করে সাইবার প্রতারণার কাজে নিযুক্ত করা হয়৷ সেই চক্র বিশ্বের নানা দেশে ছড়িয়ে আছে৷ তাদের কাজই হল বিভিন্ন দেশ থেকে লোক জোগাড় করে কম্বোডিয়ায় পাঠানো৷

 বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, কম্বোডিয়ায় পৌঁছনো মাত্রই চাকরির খোঁজে আসা মানুষদের থেকে কেড়ে নেওয়া হয় পাসপোর্ট৷ তার পরই তাঁদের দিয়ে বিভিন্ন ধরনের সাইবার অপরাধ করানো হয়৷ প্রতি দিন বেঁধে দেওয়া হয় কাজের নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা৷ সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে না পারলে চলে অত্যাচার৷ ছুটি তো মেলেই না, উল্টে খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ দিনে ১২ ঘণ্টা তো কাজ করতেই হয়, না হলে নিস্তার নেই৷

এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় বিশ্বে৷ ভারতের গোয়েন্দারা খোঁজ নিতে শুরু করেন এ দেশে কোথায় কোথায় এই চক্র ছড়িয়ে রয়েছে৷ এই চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগে চলতি বছরেই আট জনকে গ্রেফতার করেছিল ওড়িশার রৌরকেলার পুলিশ৷ তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, গত বছর ডিসেম্বরে ভারত সরকারের উচ্চপদস্থ এক অফিসার অভিযোগ করেন, তাঁর থেকে সাইবার প্রতারণা করে ৭০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে৷ সেই মামলার তদন্তের সূত্র ধরেই এই চক্রের হদিস মিলেছে বলে দাবি পুলিশের৷