সংবাদ দর্পণ

পূর্ব মেদিনীপুরে সেমিনার

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ৩১শে মার্চ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক ডিটের সেমিনার অনুষ্ঠিত হয় পাঁশকুড়া খেজুরতলা আনন্দমার্গ আশ্রমে৷ তমলুক ডিটের বিভিন্ন ব্লকের শতাধিক মার্গী-ভাই-বোন উপস্থিত ছিলেন৷ সকাল ৯টায় প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন ও ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ কীর্ত্তন ও মিলিত ঈশ্বর প্রণিধানের মধ্য দিয়ে আলোচনা সভার সূচনা হয়৷ সেমিনারে আনন্দমার্গ দর্শনের আধ্যাত্মিক সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত ও শুভেন্দু ঘোষ৷ সেমিনারের ব্যবস্থাপনায় ছিলেন মেদিনীপুর ডায়োসিসের সচিব আচার্য কৃষ্ণনাথানন্দ অবধূত ও জেলার ভুক্তিপ্রধান শ্রী সুভাষপ্রকাশ পাল লক্ষণ বেরা প্রমুখ৷ তাঁদের সহযোগিতা করেন স্থানীয় ইয়ূনিটের মার্গী ভাইবোনেরা৷

বারাসাতে প্রাউটের আলোচনা সভা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

বারাসাত সুভাষ ইনস্টিটিউট হলে অনুষ্ঠিত হ’ল ‘প্রাউটের আলোচনা সভা’৷ এটির আয়োজন করেছিলেন ‘প্রাউটিষ্ট ইউনিবার্সাল, বারাসাত শাখা৷’ এই আলোচনা সভায় আলোচনা করেন ড: অমিতা মজুমদার (ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষা, মহারাজা মণীন্দ্র চন্দ্র কলেজ), ড: সুস্মিতা চ্যাটার্জী (সহকারী অধ্যাপিকা, অর্থনীতি বিভাগ, মহারাজা মণীন্দ্র চন্দ্র কলেজ), শ্রীমতি কাকলি সরকার (প্রধান শিক্ষিকা, মাসুন্দা গার্লস হাইস্কুল), আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত, (এডিটর, নোতুন পৃথিবী) ও শ্রী তপোময় বিশ্বাস, বিশিষ্ট প্রাউটিষ্ট৷ এঁরা প্রাউটের বিভিন্ন দিকগুলি তুলে ধরেন ও মন্তব্য করেন যে আজকের এই সামাজিক-মানবিক অবক্ষয়ের যুগে ও মানুষের অতি ধনী-অতি গরীবের পরিস্থিতিতে ‘প্রাউট’-ই একমাত্র সমাধান৷ প্রাউট সমস্ত অসুখের মকরধবজ৷ সমাজের সমস্ত সমস্যা সমাধানের একমাত্র দর্শন৷ সম্মানীয় বক্তাগণেরা আরও জানান যে প্রাউটের চমৎকারিত্ব হচ্ছে যে প্রাউট দর্শন প্রণেতা মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার অর্থনীতির সাধারণ দুটি বিভাগ (সাধারণ অর্থনীতি ও বাণিজ্যিক অর্থনীতি) ছাড়াও গণ অর্থনীতি ও মানস অর্থনীতি* নামে অতিরিক্ত দুটি বিভাগ যোগ করেছেন যা কি-না যুগান্তকারী ও বৈপ্লবিক হিসাবে বর্তমানের অর্থনীতিবিদরা স্বীকার করেছেন৷ এছাড়া ক্রয় ক্ষমতা, ব্লক ভিত্তিক পরিকল্পনা, সুসন্তুলিত অর্থনীতি, অর্থনীতির বিকেন্দ্রীয় করণ, মানুষের নৈতিক মান, মিশ্র চাষ, জল সংরক্ষণ ইত্যাদি বিষয়ে বিষদভাবে তাঁর পুস্তকে লিপিবদ্ধ করিয়েছেন৷

শিক্ষা বিষয়ে শ্রীসরকারের যে অভিমত তা ব্যক্ত করেছেন শ্রীমতি কাকলি সরকার মহাশয়া৷ এখনকার এই বানিজ্যিক শিক্ষার সঙ্গে প্রাউটের শিক্ষার যে পার্থক্য তা তিনি বুঝিয়েছেন৷ আলোচনা সভার সভাপতি আচার্য কল্যাণেশ্বরানন্দ অবধূত দাদা সকল বক্তার বক্তব্যের প্রশংসা করেছেন ও সকলকে প্রাউট আরও পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে জানতে আহবান করেছেন৷

ট্রেন সার্ভিসের গোলযোগের পরেও এই অনুষ্ঠানকে সাফল্যমণ্ডিত করার জন্য উপস্থিত সকল শোতৃবর্গকে ও সম্মানীয় অতিথিবৃন্দকে ধন্যবাদ জ্ঞাপণ করেন ও সকলকে প্রাউটের ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আদর্শ মানব গড়ার আহ্বান জানান শ্রী সন্তোষকুমার বিশ্বাস৷

টর্নেডোর আক্রমণে বিধবস্ত জলপাইগুড়ি

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

হঠাৎ টর্নেডোর প্রকোপে বিধবস্ত অবস্থা হয়েছে জলপাইগুড়ির কিছু গ্রামের৷ প্রায় ৩০ ফুট লম্বা শিমুল গাছের সবচেয়ে উঁচু ডালে ঝুলে রয়েছে তোষক৷ কোনও গাছের মগডালে আটকে রয়েছে প্লাস্টিকের চেয়ার৷ যে দিকে তাকানো যায়, কোনও বাড়ির মাথা চোখে পড়ে না৷ সে সব দুমড়ে মুচড়ে পড়ে রয়েছে মাটিতে৷ এ কোন গ্রাম! গত রবিবারের মিনিট কয়েকের ঝড় জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ির বার্নিশকে বদলে দিয়েছে৷ গ্রামের বাসিন্দারা বলছেন, ‘‘গ্রামকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে৷’’

জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা চারই, নতুন করে মৃত্যুর খবর নেই৷ জেলায় আহতের সংখ্যা অন্তত একশো৷ নতুন করে মৃত্যুর খবর না এলেও গত রবিবার বিকেলের ঝড়ের আতঙ্ক গত সোমবারেও কাটিয়ে উঠতে পারেননি ময়নাগুড়ির বার্নিশ, পুঁটিমারি, রাজারহাট এলাকার বাসিন্দারা৷ সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে বার্নিশ এলাকায়৷ ময়নাগুড়ি এলাকায় এক হাজারের উপরে বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ বড় বাঁশঝাড় উপড়ে গিয়েছে৷ এলাকায় কাঁচা টিনের বাড়ি অবশিষ্ট নেই৷ বিস্তীর্ণ এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটিও ধরাশায়ী৷ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে ধবংসস্তূপ থেকে তুলে বাড়ি-ঘর মেরামতের কাজ৷

বছর পঞ্চান্নর পিন্টু রায় বলছিলেন, ‘‘আকাশে কালো মেঘ দেখে ভাবলাম, হয়তো মুষলধারে বৃষ্টি হবে৷ তাই আর ঘরের বাইরে বেরোইনি৷ কিন্তু উঠল ঝড়, মাথা ঘুরে পড়ে গেলাম৷ মনে হল, ঝড় যেন আমাকে টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছে৷ মাটি ঁকড়ে ধরেছি, তবু ঝড় টেনে নিয়ে যাচ্ছে৷ তার পরে আর কিছু মনে নেই৷ যখন জ্ঞান ফিরল, তখন চার দিকের কিছু আর চিনতে পারছি না৷ আমাদের গ্রাম এমন ছিল না!’’

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ওইদিন রাতেই কলিকাতা থেকে উত্তরবঙ্গে পৌঁছান৷ বাগডোগরা বিমান বন্দর থেকে সড়কপথে জলপাইগুড়ি পৌঁছে মৃতদের বাড়ীতে ও আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান৷ পরদিন ত্রাণশিবিরগুলি পরিদর্শন করেন ও ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলিতে ঘোরেন৷

মেঘালয়ে বাঙালী হত্যায় জড়িত খাসি স্টুডেন্টস ইয়ূনিয়নকে নিষিদ্ধ করার দাবী জানাল ক্ষুব্ধ আমরা বাঙালী

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

মেঘালয়ে সিএএ বিরোধী আন্দোলনের নামে বাঙালীদের ওপর নির্যাতন শুরু করেছে খাসি স্টুডেন্টস ইয়ূনিয়ন৷ গত ২৭শে মার্চ ইছামতী অঞ্চলে খাসি স্টুডেন্টস ইয়ূনিয়ন সিএএ বিরোধী এক মিছিল বার করে, তারপরেই সেখানে তিনজন খুন হয়৷ আমরা বাঙালী সংঘটন এই হত্যাকাণ্ড ও মেঘালয়ে ধারাবাহিকভাবে নির্যাতনে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে৷ সংঘটনের পক্ষ থেকে বলা হয় মেঘালয়ের উন্নয়ন ও বিকাশে বাঙালী জনগোষ্ঠীর অবদান কোনভাবেই অস্বীকার করা যায় না৷ স্বাধীনতার পূর্বে তৎকালীন অসমের ও বর্তমান মেঘালয়ের শিলং, জোয়াই, লাড্রিমবাই সব বিভিন্ন অঞ্চলের বাঙালীরাই ছিলেন আদি বাসিন্দা৷ কিন্তু ওইসব অঞ্চলেও খাসি ছাত্র সংস্থার নেতৃত্বে বাঙালীদের ওপর মর্মান্তিক অত্যাচার করা হচ্ছে৷

এই অত্যাচারের ঘটনায় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের নিরব ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেন ‘আমরা বাঙালী’৷ সংঘটনের অসম রাজ্য কমিটির সচিব সাধন পুরকায়স্থ এক বার্র্তয় জানান--- ২০২০ সাল থেকে এই খাসি ছাত্র সংস্থা মেঘালয়ে বাঙালী জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন করছে ও নানাভাবে হেনস্থা করছে৷ ১৯৭২ সালে অসম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে মেঘালয়ে ঘটনের পর থেকেই এই অত্যাচার শুরু হয়েছে৷ ইষ্ট খাসি হিলসে বিভিন্ন অঞ্চলে বাঙালী জনগণের ওপর অত্যাচারে স্থানীয় প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে বলে শ্রীপুরকায়স্থ দাবী করেন৷ তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন এর পরিণতি মণিপুরের চেয়েও ভয়ঙ্কর হতে পারে৷

তিনি জানান---তথাগত রায় রাজ্যপাল থাকার সময় মেঘালয়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংঘটনগুলিকে নিষিদ্ধ করার কথা বলেছিলেন৷ কিন্তু সরকার সেকথায় কান দেয়নি৷ তাই আজ মেঘালয়ে এই অবস্থা৷ সংঘটনের পক্ষ থেকে বলা হয় এন.আর.সি সিএএ প্রভৃতি ইস্যুতে বিভিন্ন সময় আন্দোলনের নামে বাঙালীদের ওপর অত্যাচার করা হয়৷ এখন সিএএ বিরোধী আন্দোলনেও অ-খাসিদের ওপর নির্যাতন করা হচ্ছে৷ আমরা বাঙালী জোরের সঙ্গে দাবী করেন---অবিলম্বে কঠোর ভাবে এই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমন করতে হবে ও খাসি স্টুডেন্ট ইয়ূনিয়নকে নিষিদ্ধ ঘোষনা করতে হবে৷

কলকাতায় মেঘালয়ে ভবনে আমরা বাঙালীর বিক্ষোভ ঃ ২রা এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার বিকেল তিনটার সময় কলিকাতাস্থিত ‘মেঘালয় ভবন’ এ ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটনের পক্ষ থেকে গত ২৭শে মার্চ ‘খাসি স্টুডেন্টস ইউনিয়নের’ সিএএ বিরোধী মিছিলের পর মেঘালয়ের ইছামতীতে বাঙালী যুবককে খুনের ঘটনার ও মেঘালয়ের বিভিন্ন স্থানে বাঙালীদের উপর ধারাবাহিক ভাবে নির্যাতন, নিপীড়ন, বাঙালী ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে লুটপাট, অগ্ণিসংযোগ,মহিলাদের সম্মানহানি ইত্যাদির প্রতিবাদে মেঘালয়ের রাজ্যপাল মহোদয়ের উদ্দেশ্যে কলিকাতার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকের মাধ্যমে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয় ও ভবনের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়৷ এই বিক্ষোভ কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন কেন্দ্রীয় সচিব, জ্যোতিবিকাশ সিনহা, সাংঘটনিক সচিব জয়ন্ত দাশ প্রমুখ ৷ এই কর্মসূচিতে কলিকাতা, হাওড়া, হুগলী, উত্তর ও দক্ষিণ চবিবশ পরগনার কর্মীগণ তথা নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন৷ বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ---কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ৷ তিনি বলেন মানুষের পরমলক্ষ্য পরমপুরুষের সঙ্গে একাত্ম হয়ে যাওয়া৷ সেই লক্ষ্যে পৌঁছানোর প্রধান উপায় হল ধ্যান তথা যোগ সাধনা৷ সেই সঙ্গে আনন্দমার্গ দর্শনে জ্ঞান ও কর্মকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে৷ যদিও পরমপুরুষকে পেতে ভক্তিই সর্বশ্রেষ্ঠ পথ৷

আন্দামানে ধর্ম মহাসম্মেলন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ৩০ ও ৩১শে মার্চ আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘ আন্দামানে পোর্টব্লেয়ার জংলিঘাটে এক ধর্ম মহাসম্মেলনের আয়োজন করেন৷ এই সম্মেলনে আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ ছাড়াও পূর্ব ও উত্তর ভারতের রাজ্যগুলি থেকে বহু মার্গী তাই কোন ধর্মমহা সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন৷ দুই দিনের এই ধর্ম মহাসম্মেলন উপলক্ষ্যে ৪৮ ঘন্টা অখণ্ড ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ সংঘের সভাপতি ও পুরোধা প্রমুখ আচার্য কিংশুকরঞ্জন সরকার প্রত্যহ দুইবেলা আনন্দমার্গ দর্শন বিষয়ে আলোচনা করেন৷ তাঁর আলোচনার বিষয় ছিল মানব প্রজাতির প্রগতি ও মানব জীবনের পরম লক্ষ্য৷

আর্থিক বৈষম্য দূর করতে সামাজিক অর্থনৈতিক আন্দোলনে জোর দিতে হবে

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

প্রবণী প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রীপ্রভাত খাঁ শ্রীরামপুরে এক আলোচনায় বলেন---একটি আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থার প্রতিবেদনে প্রকাশ পেয়েছে---ভারতে ধনী দরিদ্রের আর্থিক বৈষম্য ব্রিটিশরাজের থেকেও বেশী৷ গত দশবছরের এই বৈষম্য বৃদ্ধি পূর্বের সব রেকর্ডকে পিছনে ফেলে দিয়েছে৷ শ্রী খাঁ বলেন মোদী সরকার ধনকুবেরদের প্রতিনিধি, সাধারণ মানুষের ব্যথাবেদনা বোঝার কথা তার নয়৷ স্বাধীনতার পর থেকেই পশ্চিমবঙ্গ দিল্লীর শাসকদের কাছ থেকে বঞ্চনার শিকার৷ মোদী রাজ কায়েম হওয়ার পর সেই বঞ্চনাতো বেড়েইছে পাশাপাশি মোদী সরকার রাজ্যের উন্নয়নের সব পথ বন্ধ করে বাঙলাকে নির্দয়ভাবে শোষণ করছে৷ এক শতাংশ মানুষের হাতে দেশের সম্পদের সিংহভাগ চলে গেছে৷ গত দশ বছরে বেকারত্ব বেড়েছে, সরকার শুধু ধনী মানুষদের আরও উন্নয়ণের দিকে নজর দিচ্ছে৷ গরীব মানুষের দিকে ফিরেও তাকায় না৷ শ্রী খাঁ বলেন এই নির্দয় শোষন নিপীড়ণ বন্ধ করতে হলে শোষিত জনগোষ্ঠীকে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জনের দাবী তুলে সামাজিক-অর্থনৈতিক আন্দোলনে নামতে হবে৷ এই বিষয়ে সামাজিক অর্থনৈতিক তত্ত্ব প্রাউটে সুষ্পষ্ট পথ নির্দেশনা আছে৷

প্রাউট সামাজিক অর্থনৈতিক রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক সব রকমের শোষণের বিরুদ্ধে৷ কিন্তু এই সময় মানুষের দারিদ্রই প্রধান সমস্যা৷ তাই সর্বাগ্রে অর্থনৈতিক শোষণের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামা প্রয়োজন৷ শ্রী খাঁ বলেন ---শুধু বাঙলা নয়, পৃথিবীর সমস্ত শোষিত নিপীড়িত মানুষকেই আজ আর্থিক মুক্তির আন্দোলনে নামতে হবে৷ এ ব্যাপারে প্রাউট সারা বিশ্বে ২৫০টির বেশী জনগোষ্ঠী ও ভারতে ৪৪টি জনগোষ্ঠীর শোষণমুক্তির প্রয়োজনের কথা বলেছে৷

দশ বছরে আর্থিক বৈষম্য ব্রিটিশরাজকে ছাপিয়ে গেল বণিকের হাতে রাজদণ্ড---শাসক যন্ত্রবৎ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

 ২০১৪ সালে নির্বাচনের ফল প্রকাশ হতেই নরেন্দ্র মোদি উৎফুল্ল হয়ে বলেছিলেন---‘আচ্ছে দিন আনে বালে হ্যায়’ কিন্তু কার ‘আচ্ছে দিন’ জনগণ সেদিন বুঝতে ভুল করেছিল৷ গত দশবছরে দেশে আর্থিক বৈষম্য এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে বিশ্বের প্রথম সারির অর্থনীতিবিদদের মত হলো ভারতে আর্থিক বৈষম্য পরাধীন ভারতে ব্রিটিশ জমানার থেকেও বেশী৷ সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড ইনইকুয়ালিটি ল্যাব-প্যারিস স্কুল অব ইকোনমিক্স-এর একটি প্রতিষ্ঠান দাবী করে ভারতে ধন বৈষম্য পরাধীন ভারতে ব্রিটিশরাজকেও পিছনে ফেলে দিয়েছে৷

এই আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনে ওই অর্থনীতিবিদরা বলেছেন--- ভারতে এখন বুর্র্জেয়া শ্রেণীর নেতৃত্বে ধনকুবেরদের রাজ চলছে৷ ভারতে ধনিকতন্ত্র কায়েম হতে চলেছে৷ ২০২২-২৩ সালে ভারতে মোট সম্পদের ৪০ শতাংশ গ্রাস করে নিয়েছে ধনকুবেররা৷ ওই প্রতিবেদনের শিরোনাম---‘ভারতের আর্থিক বৈষম্য---ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক রাজত্ব থেকেও ধনকুবেরদের রাজত্বে বৈষম্য বেশী৷’ প্রতিবেদনে প্রকাশ পায়--- নীচের দিকের পঞ্চাশ শতাংশ মানুষের গড় আয় বছরে ৭১ হাজার টাকা, অথচ উপরের শারির একশতাংশ মানুষের গড় আয় বছরে ৫৩ লক্ষ টাকা৷ ৪০ শতাংশ মানুষের গড় আয় বছরে ১ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা, সব থেকে ধনী ১০ হাজার ব্যষ্টির গড় আয় বছরে ৪৮ কোটি টাকা৷

ওই প্রতিবেদকদের বক্তব্য---২০১৪-১৫ সাল থেকে অর্থাৎ মোদি রাজ শুরু হওয়ার পর থেকেই বাড়তে বাড়তে ২০২২-২৩শে আর্থিক বৈষম্য সর্বকালিন রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে৷ বিরোধীদের অভিযোগ মোদি সরকার ধন কুবেরদের সরকার৷ তাই এই সরকারের নীতিই হলো ধনীদের আরও ধনী করে দেওয়া ও গরীবকে আরও নীচে নামিয়ে দেওয়া৷ মোদি সরকারের অপদার্থতার আরও অনেক তথ্য ধামা চাপা রয়েছে৷ যেমন গ্রামীন আয় কম হওয়ার পরিসংখ্যান এখনও প্রকাশ হয়নি, প্রবীন প্রাউটিষ্ট শ্রী প্রভাত খাঁ বলেন মোদী সরকারের আর্থিক নীতি তো তার ঘনিষ্ট ধনকুবেরদের স্বার্থের দিকে তাকিয়ে তৈরী হয়৷ মোদী সরকারের অর্থনীতি ধনকুবেরদের স্বার্থরক্ষা করে৷ কেন্দ্রীত পুঁজিবাদী আর্থিক নীতির বিলোপ ঘটিয়ে বিকেন্দ্রীত আর্থিক পরিকল্পনার রূপায়নেই আর্থিক বৈষম্যের একটা সামঞ্জস্য রক্ষা করবে৷

আনন্দমার্গ স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র নাসার সিটিজেন সায়েন্টিস্ট

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

বয়স মাত্র দশ৷ অভাবী ঘরের মেধাবী ছাত্র৷ পঞ্চম শ্রেণীর এই খুদে ইতিমধ্যেই নাসার সিটিজেন সায়েন্টিস্টের সম্মান অর্জন করেছে৷ আরামবাগের ১০ বছরের ছোট্ট ছেলে সঞ্চয়ন সরকার৷ সঞ্চয়নের প্রাথমিক শিক্ষা আরামবাগ আনন্দমার্গ স্কুলে হয়েছিল৷ মামার বাড়িতেই মানুষ হচ্ছে সে৷ দাদু হারুলাল সাহা পেশায় সবজি বিক্রেতা৷ মা সঞ্চিতা সরকার সামান্য গৃহবধূ৷ আরামবাগের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সুকান্ত পল্লিতে টিনের চালার ছোট্ট খুপড়িতে থেকে ছেলেকে তিলে তিলে গড়ছেন সঞ্চিতা৷ আগামী অক্টোবর মাসে বৃহস্পতি উপগ্রহ ‘ইউরোপা’-য় যে মহাকাশযান যাবে তার মাইক্রো চিপে অন্যান্য বিজ্ঞানীদের সঙ্গে সঞ্চয়নের নামও লেখা থাকবে৷শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই নাসার ওয়েবপেজে বিখ্যাত সব বিজ্ঞানীদের সঙ্গে তার নামও প্রকাশিত হচ্ছে৷ অনলাইনে নাসার বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রজেক্ট তৈরির মাধ্যমে ছোট্ট সঞ্চয়ন এই কৃতিত্ব লাভ করেছে৷ আরামবাগের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল সারদা বিদ্যাপীঠের ছাত্র সঞ্চয়নের ধ্যান-জ্ঞান সবই মহাকাশ ঘিরেই৷ প্রিয় বিষয় অ্যাস্ট্রোফিজিক্স৷ আগামী দিনে ওই বিষয় নিয়েই সে গবেষণা করবে বলে ঠিক করেছে৷ ছোটবেলায় যখন কান্নাকাটি করতো তখন দাদু কোলে চড়িয়ে সন্ধ্যাবেলায় আকাশের তারা দেখাতে নিয়ে যেতেন৷সঞ্চয়নের কান্না থেমে যেত, অবাক হয়ে সে আকাশের দিকে তাকিয়ে তারামণ্ডল দেখতো৷ যে বয়সে যেটা ভাবাই যায় না সঞ্চয়ন সেই বয়সেই মহাকাশের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চর্চা করতে শুরু করে দেয়৷ মাত্র ৮ বছর বয়স থেকেই সে নাসার ওয়েবপেজ নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি শুরু করে৷ সঞ্চয়নের মা সঞ্চিতা খুবই আশাবাদী ছেলেকে নিয়ে৷ শুধু সঞ্চয়নের দাদু-মা নন, ছোট্ট ছেলের এমন কীর্তিতে খুশি তাদের প্রতিবেশীরাও৷ আগামী দিনে সঞ্চয়ন নিজের অসামান্য কীর্তিতে জেলা তথা বাংলার মুখ উজ্বল করবে বলে আশাবাদী তাঁরাও৷

এদিকে, সঞ্চয়নের কথায়,‘‘ছোটবেলা থেকেই মহাকাশের প্রতি আকর্ষণ ছিল৷ তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময়েই নাসা নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি শুরু করি৷ একটা পরীক্ষা দিয়ে নাসার প্রোজেক্টে কাজের সুযোগ পেয়ে যাই৷ সেখান থেকেই শুরু৷ নাসার বেশ কয়েকটি প্রোজেক্টে কাজ করেছি৷ নাসার সিটিজেন সায়েন্টিস্টদের টেলিগ্রাম-হোয়াটস্যাপ গ্রুপেও আমাকে অ্যাড করা হয়েছে৷ সঞ্চয়নের সখ কবিতা আবৃত্তি ও জ্যোতিপদার্থ বিদ্যা (অ্যাস্ট্রোফিজিক্স) নিয়ে গবেষণা করা৷

উত্তরবঙ্গে ‘আমরা বাঙালী’র দুই প্রার্থীর মনোনয়ন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ২৭শে মার্চ উত্তর বঙ্গের কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে আমরা বাঙালী দলের দুই প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন৷ উত্তরবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত আমরা বাঙালী বরিষ্ট নেতা শ্রীখুশীরঞ্জন মণ্ডল জানান উত্তরবঙ্গের কোচবিহার ও জলপ্রাইগুড়িতে দুইজন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছে৷ কোচবিহারের প্রার্থী সুবোধ বর্মন ও জলপাইগুড়ির প্রার্থী হয়েছেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নীরোদচন্দ্র অধিকারী৷

করিমগঞ্জে আলোচনা সভা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ২৩ ও ২৪ শেষ মার্চ অসমে করিমগঞ্জ সুভাষ নগরে আনন্দমার্গ স্কুলে আনন্দমার্গ দর্শনের ওপর এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ এই সভায় করিমগঞ্জ জেলার আনন্দমার্গী ভাই বোনেরা উপস্থিত ছিলেন৷ আনন্দমার্গ দর্শন বিষয়ে আলোচনা করেন আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত৷ সভার আয়োজন করেন স্কুলের অধ্যক্ষ আচার্য ব্রতনিষ্ঠানন্দ অবধূত ও করিমগঞ্জ জেলার ভুক্তি প্রধান৷