সংবাদ দর্পণ

দক্ষিণ কলকাতায় অখণ্ড কীর্ত্তন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ২৪শে মার্চ দক্ষিণ কলকাতার এলগিন রোডে সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়ের বসত বাড়ীতে ৩ ঘন্টা ব্যাপী অখণ্ড ‘বাবা নাম কেবলম’ কীর্ত্তন, মিলিত সাধনা, স্বাধ্যায় ও পরিশেষে এক ধর্মীয় আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়৷ আনন্দমার্গের ধর্ম চিন্তার উপর বক্তব্য রাখেন অবধূতিকা আনন্দ রসপ্রজ্ঞা আচার্যা এছাড়াও বক্তব্য রাখেন আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের প্রবীণ সন্ন্যাসী আচার্য অভিব্রতানন্দ অবধূত, সমাজ কেন্দ্রীয় সচিব জ্যোতিবিকাশ সিনহা৷ প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন করেন অবধূতিকা আনন্দ অভীষা আচার্যা৷ এদিন শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালের রোগী ও তাদের পরিবারের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হয়৷

আনন্দমার্গের ভি আইপি নগর কেন্দ্রীয় আশ্রমে বসন্ত উৎসব

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ২৫শে নভেম্বর ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসে ভি আইপি নগর আনন্দমার্গ আশ্রমে সাড়ম্বরে বসন্ত উৎসব পালিত হয়৷ সারা বাঙলায় এই দিন শ্রীকৃষ্ণের দোলযাত্রা৷ কোথাও কোথাও হোলিও চলে৷ তবে বাঙলার নিজস্ব উৎসব শ্রীকৃষ্ণের দোলযাত্রা৷ বিশ্বকবির শান্তিনিকেতনেও বসন্ত উৎসব পালিত হয়৷ আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের ১৮২টা দেশের সমস্ত ইউনিটে এই দিন বসন্ত উৎসব পালিত হয়৷ ভিআইপি বাজার কেন্দ্রীয় আশ্রমে এই দিন বসন্ত উৎসব উপলক্ষে বহু আনন্দমার্গী ভাই-বোন সমবেত হন৷ বিকাল তিনটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত অখন্ড বাবা নাম কেবলম কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তন ও মিলিত ঈশ্বরপ্রণিধানের পর বসন্ত উৎসব উপলক্ষে মার্গগুরুদেবের প্রবচন পাঠ করে শোনান আচার্য নিত্যসত্যানন্দ অবধূত৷ এরপরে প্রত্যেকে গুরুদেবের চরণে আবীর দেওয়ার পর সকলে নিজেদের মধ্যে রঙ দেওয়া নেওয়া করে৷ এইদিন কাকিনাড়া আনন্দমার্গ স্কুলে তিনঘন্টা অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে বসন্ত উৎসব পালন করা হয়৷

আমেরিকার বাল্টিমোর শহরে সেতু বিপর্যয়

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

আমেরিকার বাল্টিমোর শহরের সেতু বিপর্যয়ের ঘটনায় ছ’জন নিখোঁজ৷ এই ছ’জনই রাতে সেতু মেরামতির কাজ করছিলেন৷ সে সময়ই ঘটে বিপত্তি৷ নদীর জলে পড়ে যান তাঁরা৷ মনে করা হচ্ছে, এই ছ’জনের মধ্যে কেউই বেঁচে নেই৷

গত মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত দেড়টা নাগাদ বাল্টিমোর শহরের বিখ্যাত ‘ফ্রান্সিস স্কট কি’ সেতুটি ভেঙে পড়ে প্যাটাপসকো নদীতে৷ একটি মালবাহী জাহাজের ধাক্কাতেই এই বিপর্যয় ঘটেছে বলে জানা যায়৷ ১৯৭৭ সালে তৈরি হয়েছিল, সেই সেতুটি কয়েক মুহূর্তেই ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে৷ এই ঘটনায় ২০ জন মতো নদীর জলে তলিয়ে যান৷ তাঁদের মধ্যে ছ’জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে জানান আমেরিকার কোস্টগার্ড কমান্ডের রিয়ার অ্যাডমিরাল শ্যানন গিলরেথ৷

তিনি আরও জানান, প্রতিকূল পরিস্থিতির জন্য উদ্ধারকাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷ তাঁর কথায়, ‘‘যখন সেতু বিপর্যয় ঘটে তখন প্যাটাপসকো নদীতে স্রোত বেশি ছিল৷’’ একই কথা বলেন মেরিল্যান্ড পুলিশের সেক্রেটারি রোল্যান্ড বাটলার৷ জলের স্রোত এবং তাপমাত্রার জন্য নদীতে ডুবুরি নামিয়ে সন্ধান কাজ চালানো কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানান তিনি৷

গত মঙ্গলবার রাতে বাল্টিমোর বন্দর থেকে একটি মালবাহী জাহাজ ছেড়েছিল৷ আচমকাই সেই জাহাজ এসে ধাক্কা মারে ‘ফ্রান্সিস স্কট কি’ সেতুর স্তম্ভে৷ সেই মালবাহী

 জাহাজটিতে মোট ২২ জন ক্রু ছিলেন৷ তাঁরা সকলেই ভারতীয়৷ দুর্ঘটনার পর পরই তাঁরা জলে নেমে উদ্ধারকার্যে হাত লাগান৷ তা ছাড়া ধাক্কা লাগার ঠিক আগে তাঁরা সতর্ক করে দেন৷ সেই কারণেই মেরিল্যান্ডের গভর্নর তাঁদেরকে ‘হিরো’ বলেছেন৷ সেতুর স্তম্ভে ধাক্কার আগে জাহাজটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে৷ ‘মে ডে’ কল করা হয়৷

মেরিল্যান্ডের গভর্নর বলেন, ‘‘সেতুটি ত্রুটিপূর্ণ ছিল এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি৷’’ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই বিপর্যয়কে ‘ভয়াবহ দুর্ঘটনা’ বলে অভিহিত করছেন৷ সেই সঙ্গে যত দ্রুত সম্ভব সেতুটি পুনর্নির্মাণের কাজ করা হবে বলে জানিয়েছেন৷ উল্লেখ্য, বাল্টিমোর শহরের মধ্যে দিয়ে বয়ে গিয়েছে প্যাটাপসকো নদীটি৷ সেই নদীর উপরই তৈরি করা হয়েছিল ১.৬ মাইল দীর্ঘ ‘ফ্রান্সিস স্কট কি’ সেতুটি৷ আট লেনের এই সেতুর উপর দিয়ে সব সময়ই যান চলাচল করে৷ বাল্টিমোর বন্দরের বাইরের ক্রসিং এবং বাল্টিমোর বেল্টওয়ের মধ্যে যোগসূত্র তৈরি করেছিল এই সেতু৷

তৈরী হল ব্রেন কম্পিউটার সারফেস

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

গত অর্ধশতকে প্রযুক্তির চোখধাঁধাঁনো উত্থান সকলেরই জানা৷ মোবাইল ফোন কিংবা কম্পিউটার, যোগাযোগ ব্যবস্থা, চিকিৎসা ক্ষেত্র কিংবা মহাকাশ গবেষণা, সর্বত্রই রকেট গতিতে এগোচ্ছে বিজ্ঞান৷ তাতে নবতম চমক ইলন মাস্কের তৈরি এই ‘মগজাস্ত্র’৷ তাঁর স্টার্ট আপ ‘নিউরোলিঙ্ক’ একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছে এক্স হ্যান্ডলে৷ তাতে দেখা যাচ্ছে, পক্ষাঘাতগ্রস্ত এক রোগী নিউরোলিঙ্কের ব্রেন ইমপ্লান্টের সাহায্যে কম্পিউটারে দাবা খেলছেন৷ মাস্ক তাঁর এই নতুন প্রযুক্তির নাম রেখেছেন ‘টেলিপ্যাথি’৷ কম্পিউটারের পর্দার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন তরুণ৷ দাবা খেলছেন তিনি৷ মগজের একটি ইশারায় চোখের পলকে সরে যাচ্ছে কম্পিউটারের কার্সার৷ ছুঁতেও হচ্ছে না মাউস৷ প্রতিপক্ষের দিকে কখনও এগিয়ে যাচ্ছে গজ, কখনও বোরে! দীর্ঘদিন ধরেই নিউরোলিঙ্ক একটি ব্রেন-কম্পিউটার তৈরির চেষ্টা করছে৷ সে খবর তারা আগেই জানিয়েছিল৷ পক্ষাঘাতগ্রস্ত বা অন্য কোনও অসুখে শরীর অসাড়, এমন রোগীদের সাহায্য করতে এই যন্ত্রটি তৈরি করছে তারা৷ এ বছরের গোড়ায় প্রথম কোনও মানুষের মস্তিষ্কে প্রতিস্থাপন করা হয় যন্ত্রটি৷ মস্তিষ্কের যে অংশ শরীরের নড়াচড়ার বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করে, সেখানে বসানো হয়েছে এটি৷ প্রথম যে রোগীর শরীরে বসেছে এই যন্ত্র, সেই ২৯ বছর বয়সি নোল্যান্ড আরবাউয়ের দাবা খেলার ভিডিয়োই ছড়িয়েছে ইন্টারনেটে৷ একটি দুর্ঘটনায় নোল্যান্ডের মেরুদণ্ডে আঘাত লেগেছিল৷ কাঁধের নীচ থেকে সারা শরীর পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয় তাঁর৷ গত বছর ‘নিউরোলিঙ্ক’-কে মানবদেহে পরীক্ষার জন্য অনুমতি দেয় ‘ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’৷ এ বছর জানুয়ারি মাসে ইলন মাস্ক ঘোষণা করেন, নিউরোলিঙ্কের প্রথম ব্রেন ইমপ্ল্যান্ট সফল হয়েছে৷ রোগী (নোল্যান্ড) ব্রেন ইমপ্ল্যান্টের সাহায্যে কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারছেন৷ এর পর দু’মাসের ব্যবধানে একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করল মাস্কের সংস্থা৷ ৯ মিনিটের ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, নোল্যান্ড দাবা খেলছেন ল্যাপটপে৷ ব্যাকগ্রাউন্ডে কোনও গান বাজছিল৷ সেটা নিজেই থামালেন তিনি৷ সবটাই তিনি করছেন মস্তিষ্ক ও নিউরোলিঙ্কের ব্রেন-কম্পিউটার সারফেস ব্যবহার করে৷ নোল্যান্ড জানিয়েছেন, খুব ছোট অস্ত্রোপচার হয়েছিল, এক দিন পরেই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল৷ তার পর থেকে অনেক কিছুই তিনি নিজে একা-একা করতে পারছেন৷ তবে তিনি এ-ও জানান, নিউরোলিঙ্কের তৈরি প্রযুক্তিটি ‘নির্ভুল’ নয়৷ আরও নিখুঁত করা দরকার৷ অবশ্য এ-ও স্বীকার করেছেন, ব্রেন ইমপ্ল্যান্টের সাহায্যে তাঁর জীবন আমূল বদলে গিয়েছে৷ এখন দীর্ঘমেয়াদি ভাবে এই ইমপ্ল্যান্টের ব্যবহারে কোনও পার্শপ্রতিক্রিয়া হয় নাকি, সেটাই দেখার৷

নির্বচনী বণ্ড---পুঁজিপতির অর্থে পুষ্ট শাসক কখনও সর্ব সাধারণের কল্যাণ করতে পারে না

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

প্রবীণ প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রী প্রভাত খাঁ বলেন নির্বাচনী বন্ড প্রকাশ হতেই রাজনৈতিক দলগুলোর স্বরূপ প্রকাশ হয়ে পড়ল৷ ভোটে যে পুঁজিপতিরা টাকা ঢালে তা এতদিন অনুমান ভিত্তিক প্রচার ছিল৷ মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের কঠোর পদক্ষেপে ইলেক্টোরাল বন্ড সামনে আসায় এখন অনুমানটা সত্যে প্রমাণিত হলো৷ সেই সঙ্গে জনগণের কাছে এটাও পষ্ট হলো কেন দিন দিন ধনিক শ্রেণীর সঙ্গে গরিব মধ্যবিত্তের আর্থিক বৈষম্য বাড়ছে৷

শ্রী খাঁ বলেন পুঁজিপতিদের অর্থে নির্বাচিত শাসক কখনই পুঁজিপতির স্বার্থ বিরোধী কাজ করতে পারে না৷ পুঁজিপতিরাও যেখানে অর্থ বিনিয়োগ করে সেখান থেকে মুনাফা লুটবেই৷ তাই ক্ষমতায় এসে রাজনৈতিক দলগুলো বাধ্য হয় পুঁজিপতিদের স্বার্থ রক্ষা করতে৷ শুধু নির্বাচনের সময় জনগণের সামনে কিছু গাল ভরা প্রতিশ্রুতি দিয়ে যায়৷ যার এক শতাংশও নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় বসার পর পালন করেনা৷ প্রতিটা নির্বাচনে পুঁজিপতিরা যে হাজার হাজার কোটি টাকা ঢালে পাঁচ বছরের মধ্যে সেটা তাদের তুলে নিতে হয়৷

বাজারে সাধারণ মানুষের জীবন দায়ী ওষুধের দাম এত বেড়ে যাওয়ার মূল কারণও ওষুধ কোম্পানিগুলি ইলেক্টোরাল বণ্ড কিনে নির্বাচনে কোটি কোটি টাকা ঢালা৷ সেই টাকা তারা জনগণের পকেট কেটেই তুলবে, নেতাদের ঘর থেকে নয়৷

শ্রী খাঁ বলেন পুঁজিবাদ নির্ভর বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এটাই স্বাভাবিক৷ বর্তমান রাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় কেন্দ্রিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় জনগণের দুঃখ মোচন কখনোই সম্ভব নয়৷ অর্থনীতিকে সর্বসাধারণের সার্বিক কল্যাণের স্বার্থে প্রয়োগ করতে হলে যেমন কেন্দ্রিত অর্থনীতির খোল নলচে পাল্টে বিকেন্দ্রিত অর্থনৈতিক পরিকাঠামো গড়ে তুলতে হবে তেমনি বর্তমান রাষ্ট্র ব্যবস্থায় গণতন্ত্রের ত্রুটিগুলি দূর করে রাষ্ট্র কাঠামোতেও আমূল পরিবর্তন আনতে হবে৷ নির্বাচন ব্যবস্থাতেও পরিবর্তন আনতে হবে৷ জনগণের অচেতনতার সুযোগ নিয়েই অর্থ ছড়িয়ে ভোট কেনে দলগুলি৷ তাই শুধু বয়স হলেই ভোটার হওয়ার নিয়ম পরিবর্তন দরকার৷ জনগণের সামাজিক-অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সচেতনতারও দরকার৷ এ বিষয়ে সুস্পষ্ট পথ নির্দেশনা আছে প্রাউট প্রবক্তা শ্রী প্রভাত রঞ্জন সরকারের সামাজিক অর্থনৈতিক তত্ত্ব প্রাউট তথা প্রগতিশীল উপযোগ তত্ত্বে৷ রাষ্ট্রের যারা কল্যাণ চান তাদের উচিত অবিলম্বে প্রাউট তত্ত্বকে জেনে বুঝে প্রাউট তত্ত্বকে বাস্তবায়নে সচেষ্ট হওয়া৷

জীবন ধারণের প্রাথমিক প্রয়োজন পূর্ত্তি না হলে সবকা বিকাশ সম্ভব নয়

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

তরুণ প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রী তপোময় বিশ্বাস বলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখে সবকা বিকাশের বুলি৷ কিন্তু নির্বাচনী বণ্ডের মাধ্যমে পুঁজিপতি গোষ্ঠীর কাছ থেকে দু-হাত ভরে অর্থ নিচ্ছেন৷ পুঁজিপতিরা বিনা স্বার্থে কোথাও অর্থবিনিয়োগ করে না৷ পুঁজিপতিরা যখন রাজনৈতিক দলগুলোকে অর্থ দেয় তখন তার পূর্বশর্তই থাকে ক্ষমতায় এলে তাদের মুনাফা লোটার সুযোগ করে দিতে হবে৷

শ্রী বিশ্বাস বলেন---আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী তহবিলে পুঁজিপতিরা অর্থ যোগাচ্ছে৷ আসলে সাধারণ মধ্যবিত্তের পকেট কেটে এই টাকা দেওয়া হচ্ছে৷ বাজারে জীবনদায়ী ঔষধের মূল্য আকাশ ছোঁয়া৷ আর সমস্ত ঔষধ কোম্পানিগুলো একাধিক ইলেকটোরাল বণ্ড কিনেছে৷ যার সিংহ ভাগটা গেছে কেন্দ্রের শাসক দলের ঘরে৷ ঔষধের দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের পকেট থেকে সেই টাকা তুলেছে কোম্পানিগুলো৷ নির্বাচনী বণ্ড বিশ্বের বৃহত্তম তোলাবাজি যাকে আইনসিদ্ধ করা হয়েছে৷

শ্রী বিশ্বাস বলেন--- মোদিজীর মুখে সবকা বিকাশের কথা৷ কিন্তু গত দশ বছরে আর্থিক বৈষম্য ব্রিটিশরাজকে ছাড়িয়ে গেছে৷ হাতে গোনা কয়েকজন পুঁজিপতির সীমাহীন আর্থিক বিকাশ হয়েছে৷ গরীব মানুষের দুর্দশা মোদি আমলে আরও বেড়েছে৷ পুঁজিবাদের দাসত্ব করে সবার বিকাশ সম্ভব নয়৷ শ্রী বিশ্বাস উন্নয়ণের প্রসঙ্গে বলেন--- সবার আগে প্রত্যেক ব্যষ্টির জীবন ধারণের প্রাথমিক প্রয়োজন পূর্ত্তি করতে হবে৷ প্রতিটি মানুষের সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকার জন্য চাই---অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান শিক্ষা, চিকিৎসা৷ প্রাউট প্রবক্তার কথায়---‘‘এগুলো প্রাথমিক প্রয়োজন৷ এই প্রয়োজন পূর্ত্তি না হলে কখনো সামগ্রিকভাবে মানুষ জাতির উন্নতি সম্ভব নয়৷’’

শ্রী বিশ্বাস বলেন--- শুধুমাত্র মানুষ নয়, প্রাউট প্রবক্তা সর্ব অস্তিত্বের সার্বিক বিকাশের কথা ভেবেই প্রাউট দর্শন তৈরী করেছেন৷ তৈরী করতে বাধ্য হয়েছে৷ সমাজ থেকে সমস্ত প্রকার ভেদ বিভেদ বিদ্বেষ দূর করতে হলে অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কারের বোঝা ছেড়ে ফেলতে হলে প্রতিটি মানুষের প্রাথমিক প্রয়োজন পূর্ত্তির ব্যবস্থা করতেই হবে৷ তাই আজ প্রতিটি প্রাউটিষ্টদের প্রধান কর্তব্য মানবতার আর্থিক মুক্তির জন্যে সংগ্রামে অবতীর্ণ হওয়া৷

বিশ্বের বৃহত্তম দুর্নীতি---নির্বাচনী বণ্ড

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ ও কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের স্বামী পারাকালা প্রভাকর দাবী করেন নির্বাচনী বণ্ড শুধু ভারতের নয়, বিশ্বের বৃহত্তম দুর্নীতি৷ এরফলে শাসক দল নির্বাচনে বড় ধাক্কা খাবে৷ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর স্বামীর এই মন্তব্যে বিজেপি বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে৷ প্রভাকর বলেন--- যতদিন যাবে এই ইস্যু নিয়ে তত বেশী তোলপাড় হবে৷ এই নির্বাচনেই ভোটাররা এই সরকারকে শাস্তি দেবে৷

এদিকে অর্থমন্ত্রীর স্বামীর এই মন্তব্যের মধ্যেই অর্থমন্ত্রী সীতারামন জানিয়ে দিয়েছেন তিনি ভোটে লড়বেন না৷ সীতারামন এখন রাজ্যসভার সদস্য৷ তবে এবার দল তাঁকে নির্বাচনে লড়তে বলেছিল৷ কিন্তু অর্থমন্ত্রী জানিয়ে দেন তাঁর নির্বাচনে লড়ার মতো অর্থও নেই৷ তাছাড়া জয় নিশ্চিত করতে ধর্মীয় সম্প্রদায় বা জাতিগত সদস্যের প্রশ্ণের মুখে পড়াও আমার পক্ষে সম্ভব নয় বলে সীতারামণ জানিয়ে দিয়েছেন৷

 

গণতন্ত্রের মূলে কুঠারঘাত

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চ (সিপিআর) এর প্রেসিডেন্ট যামিনী আইয়ার একটি ব্রিটিশ সংবাদপত্রে এক প্রবন্ধে মোদি সরকারের সমালোচনা করে লেখেন সরকারের প্রবণতা বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের মূলে কুঠারাঘাত করছে৷ তিনি লেখেন লোকসভা নির্বাচনের মুখে দেশের উপর স্বৈরাচারের কালোছায়া ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে৷ ব্যষ্টির ঔদ্ধত্য ক্রমশ প্রশাসনকে গ্রাস করছে৷ মোদির শাসনে বিরোধী দল, শিক্ষাবিদ, সংবাদমাধ্যম, সুশীল সমাজের স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার খর্ব করা হচ্ছে৷ ওই প্রবন্ধে তিনি দাবী করেন নরেন্দ্র মোদির সরকার ব্যষ্টি পুজো ও হিন্দুত্ববাদী ভাবাবেগকে অধিক প্রশ্রয় দিচ্ছে৷ বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সরকারের এই প্রবণতা গণতন্ত্রের মূলে কুঠারঘাত করবে৷

তাঁর প্রবন্ধ প্রকাশ হবার ক’দিন পরেই তিনি প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে দাঁড়াবার কথা ঘোষনা করেন৷ যদিও তিনি জানান---তাঁর গবেষণায় অধিক সময় দেবার জন্যেই তিনি পদত্যাগ করেছেন৷ কিন্তু প্রশ্ণ উঠছে সরকারের সমালোচনার পরেই কেন তাঁকে পদত্যাগ করতে হলো৷

পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধির চরম বিপদের সঙ্কেত দিল রাষ্ট্রপুঞ্জের আবহাওয়া রিপোর্ট

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

 এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২৩ সাল উষ্ণায়নের পুরনো সব রেকর্ডকে ছাপিয়ে গিয়েছে৷ স্বাভাবিক ভাবেই যার প্রভাব পড়েছে সমুদ্রের জলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও হিমবাহের ব্যাপক পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে৷ তবে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার এমন পরিবর্তন হঠাৎ করে ঘটেনি৷ বরং গত এক দশক ধরেই পৃথিবীর আবহাওয়া যে এদিকে মোড় নিচ্ছে, রিপোর্ট সে কথাও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে৷ রাষ্ট্রপুঞ্জের আবহাওয়া সংক্রান্ত বার্ষিক রিপোর্টে সবচেয়ে উষ্ণ দশক হিসেবে চিহ্ণিত করা হয়েছে ২০১৪ থেকে ২০২৩-এর সময়সীমাকে৷ বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা যে রিপোর্ট দিয়েছে, তাতে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা গত বছরে গড়ে প্রায় ১.৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে যাওয়া খুবই উদ্বেগের একটি বিষয়৷ কারণ, ২০১৫ সালে প্যারিসে জলবায়ু সম্মেলনে মিলিত হওয়া দেশগুলি তাপমাত্রা বৃদ্ধির বিপদের যে মাত্রা স্থির করেছিল, এটি তাকে প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছে৷ বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার প্রধান আন্দ্রিয়া সাওলো একে দুনিয়ার জন্য ‘রেড অ্যালার্ট’ হিসেবে চিহ্ণিত করেছেন৷ তাঁর সতর্কবাণী, তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের দিকটি আরও ব্যাপক হয়ে উঠবে৷ সাওলোর মতে, ২০২৩ সালটি সমুদ্রের জলের তাপমাত্রার অভূতপূর্ব পরিবর্তনের সাক্ষী থেকেছে৷ হিমবাহ গলে যাওয়ার মাত্রায় ব্যাপক বৃদ্ধি হয়েছে৷ রিপোর্ট বলছে, হিমবাহগুলির পরিবর্তন নিয়ে ১৯৫০ সাল থেকে তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে৷ কিন্তু এবার হিমবাহের গলে যাওয়ার মাত্রা এতটাই বেড়ে গিয়েছে যা অতীতে কখনও ঘটেনি৷ উষ্ণায়নের এই ধাক্কায় গত বছরটিতে সমুদ্রের জলের উচ্চতার সর্র্বেচ্চ বৃদ্ধি হয়েছে৷ সমুদ্রের জলস্তর নিয়ে স্যাটেলাইট পরিসংখ্যান নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছিল ১৯৯৩ সাল থেকে৷ রেকর্ড বলছে, সেই সময় থেকে এতটা বৃদ্ধি আর কখনও ঘটেনি৷ গত এক দশকে জলস্তর বৃদ্ধির এই মাত্রা স্যাটেলাইট তথ্য নেওয়ার শুরুর দশকগুলির তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে গিয়েছে বলে জানানো হয়েছে৷ রিপোর্ট আরও জানিয়েছে, ২০২৩-এর গোটা বছরটির কোনও না কোনও সময়ে সমুদ্রগুলির ৯০ শতাংশ এলাকায় গরম হাওয়া বয়ে গিয়েছে৷ আর সাগরের জল গরম হয়ে সেখানকার বাস্তুতন্ত্রে বিরাট ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে৷ উষ্ণায়নের এই প্রভাব দুনিয়া জুড়ে মানুষের জীবনে যে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে চলেছে৷ উষ্ণায়নের এই প্রভাব দুনিয়া জুড়ে মানুষের জীবনে যে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে চলেছে, রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্টে সেই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে৷ বিশেষ করে বন্যা ও খরা, চরম তাপমাত্রার প্রভাবে মানুষের বাস্তুচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা কিংবা খাদ্য সঙ্কটের সম্ভাবনা সামনে এসেছে৷ রিপোর্ট বলছে, খাদ্যে নিরাপত্তা নেই, এমন মানুষের সংখ্যা কোভিড পর্বের আগের তুলনায় দ্বিগুণ হয়েছে ইতিমধ্যেই৷

নিউব্যারাকপুরে অখণ্ড কীর্ত্তন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গতকাল নিউ ব্যারাকপুর, সুকান্ত নগরে শ্রী বিপ্রদীপ সরকারের বাড়ীতে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অখণ্ড বাবা নাম কেবলম কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হল৷ কীর্ত্তন পরিচালনা করেছেন শ্রীমোহন অধিকারী, অবধূতিকা আনন্দ গতিময়া আচার্যা, শ্রীহরলাল হাজারী ও শ্রীশুভদীপ হাজারী৷ কীর্ত্তন, সাধনা ও স্বাধ্যায়ের পরে বক্তব্য রাখেন অবধূতিকা আনন্দ গতিময়া আচার্যা, শ্রী সন্তোষ কুমার বিশ্বাস ও আচার্য অভিব্রতানন্দ অবধূত৷ সকল বক্তাগণই কীর্ত্তনের গুরুত্বের ও প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন৷ মানুষের জীবনে ভক্তি অতি মূল্যবান সম্পদ৷ ভক্তিতে প্রতিষ্ঠিত হ’তে পারলে মানুষের আর চাওয়া-পাওয়ার কিছু থাকেনা৷ আর এই সংসারে এত বিভেদ, হানাহানির---জন্ম হয়না৷ তাই মানুষের লক্ষ্য-ই হওয়া উচিত কী করে ভক্তি লাভ করা যায় ও তাতে প্রতিষ্ঠিত হওয়া যায়৷ আর এই ভক্তি লাভের অন্যতম উপায় হ’ল মন-প্রাণ ভ’রে কীর্ত্তন করা৷ বক্তব্যের পরে এই অনুষ্ঠানকে সাফল্যমন্ডিত করার জন্য গৃহকর্তা সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আচার্য প্রমথেশানন্দ অবধূত৷ মিলিত প্রসাদ গ্রহণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়৷