সংবাদ দর্পণ

খানাকুলে ত্রাণ ও স্বাস্থ্য শিবির

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ১৯শে অক্টোবর,২৪ আনন্দমার্গ ইয়ূনিবার্র্সল রিলিফ টীম হুগলী শাখার পক্ষ থেকে খানাকুল ২নং ব্লকের মুস্তাফাপুর, চিংড়া ও মাগরী গ্রামের বন্যায় বিপন্ন প্রায় ৮০০ মানুষের হাতে খাদ্য সামগ্রী ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য প্রদান করা হয়৷ এছাড়া স্বাস্থ্য শিবিরে বহু মানুষের চিকিৎসা করা ও ঔষধ দেওয়া হয়৷ ত্রাণ ও স্বাস্থ্যশিবির পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন হুগলীর ডায়োসিস সচিব আচার্য সুবিকাশানন্দ অবধূত, নারীকল্যাণ বিভাগের ডায়োসিস সচিব অবধূতিকা আনন্দদূ্যতিময়া আচার্যা ও স্বদেশ মাইতি, প্রীতি মাইতি, দেবাশীষ হাজরা, শ্যামস দোলুই প্রমুখ৷

শারদ উৎসব উপলক্ষ্যে বস্ত্র বিতরণ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ১৩ই অক্টোবর আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের উঃ২৪পরগণা জেলার পক্ষ থেকে বসিরহাট মহকুমার খোলাপাতা ও বনগাঁ মহকুমার পাতিপাড়ার বিশিষ্ট আনন্দমার্গী অমল মণ্ডলের উদ্যোগে শীতবস্ত্র ও পরনের বস্ত্র দেওয়া হয় দুঃস্থ মানুষদের ৷ এখানে উপস্থিত ছিলেন কুমুদ দাস ও স্থানীয় ইয়ূনিটের কর্মীবৃন্দ৷

এক্স

ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী দিচ্ছে আমরা বাঙালী

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

ঝাড়খণ্ড বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রার্থী দিচ্ছে আমরা বাঙালী সংঘটন৷ নির্বাচন কমিশনের ঘোষনা অনুযায়ী আগামী ১৩ই ও ২০শে নভেম্বর ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷ ‘আমরা বাঙালী’ কেন্দ্রীয় কমিটির সংঘটন সচিব শ্রী তপোময় বিশ্বাস জানান ঝাড়খণ্ডের বেশ কয়েকটি বিধানসভা কেন্দ্রে ‘আমরা বাঙালী’ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে৷ শ্রী বিশ্বাস বলেন ঝাড়খণ্ড রাজ্য বিহার রাজ্যের অধীনে থাকার সময় থেকেই ঝাড়খণ্ডের ভূমিপুত্র বাঙালীরা বঞ্চিত৷ ঝাড়খণ্ড রাজ্য ঘটিত হওয়ার পর বাঙালীরা আশা করেছিল---এবার হয়তো বঞ্চনার অবসান হবে৷ কিন্তু ঝাড়খণ্ড রাজ্য ঘটিত হওয়ার পর ২৪টা বছর অতিক্রান্ত হল বাঙালীরা আজও একইভাবে বঞ্চিত৷ এর কারণ ঝাড়খণ্ড রাজ্যও ঘটিত হলেও ঝাড়খণ্ডের সরকারী,বেসরকারী কলকারখানা, অফিস, আদালত, সবই বহিরাগত হিন্দীভাষীদের দখলে৷ পৃথকরাজ্যের সুবিধা নিয়ে ভূমিপুত্ররা মন্ত্রীত্বের আসনে বসলেও প্রশাসন আজও পাটনার অধীনেই চলছে বলে মনে হয়৷ তাই আজও বাঙালীরা ঝাড়খণ্ডের বিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা শিক্ষার সুযোগ পায় না৷ আমরা বাঙালী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মূল উদ্দেশ্য ঝাড়খণ্ডে বাঙালীর ন্যায্য অধিকার সম্পর্কে ঝাড়খণ্ডের ভূমিপুত্র বাঙালী জনগোষ্ঠীকে সচেতন করে তোলা৷

শারদ উৎসব উপলক্ষ্যে বস্ত্র বিতরণ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ১৩ই অক্টোবর আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের উঃ২৪পরগণা জেলার পক্ষ থেকে বসিরহাট মহকুমার খোলাপাতা ও বনগাঁ মহকুমার পাতিপাড়ার বিশিষ্ট আনন্দমার্গী অমল মণ্ডলের উদ্যোগে শীতবস্ত্র ও পরনের বস্ত্র দেওয়া হয় দুঃস্থ মানুষদের ৷ এখানে উপস্থিত ছিলেন কুমুদ দাস ও স্থানীয় ইয়ূনিটের কর্মীবৃন্দ৷

 

২০৩০ সালের মধ্যেই লালগ্রহে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা নাসার---সাবধান করছে জীববিজ্ঞানীরা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

পৃথিবীর গণ্ডি ছাড়িয়ে মানববসতের তোড়জোড় শুরু হয়েছে চাঁদ ও মঙ্গলে৷ বিজ্ঞানীদের দাবি, এক-দেড় দশকের মধ্যেই শুরু হয়ে যাবে চাঁদ ও মঙ্গলে উপনিবেশ গড়ার কাজ৷ মঙ্গলে উপনিবেশ স্থাপনের জন্য পৃথিবীর একাধিক দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নিরলস গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে৷ চিন এবং আমেরিকা খুব দ্রুত পৃথিবীর পড়শি গ্রহে মানুষের বাসযোগ্য পরিবেশ তৈরি করা যায় কি না, তা নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা চালাচ্ছে৷ দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে মঙ্গলকে ক্রমাগত নজরে রেখে চলেছে আমেরিকা৷ আমেরিকার গবেষণা সংস্থা নাসা একাধিক মহাকাশযান পাঠিয়েছে মঙ্গলে৷ ২০২১ সাল থেকে মঙ্গলে রয়েছে চিনা মহাকাশযান তিয়ানওয়েনও৷

২০৩০ সালের মধ্যেই মঙ্গল গ্রহে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা করছে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা৷ তবে মঙ্গলে বসতি স্থাপনের আগেই সাবধানবাণী শোনালেন জীববিজ্ঞানীরা৷ মঙ্গলের বুকে মানুষের স্থায়ী বসবাস নিয়ে এ বার সতর্কবার্তা দিলেন এক জীববিজ্ঞানী৷

আমেরিকার টেক্সাসের রাইস ইউনিভার্সিটির জীববিজ্ঞানী স্কট সলোমন সম্প্রতি এক গবেষণায় জানিয়েছেন, মঙ্গল গ্রহে মানববসতি গড়ে উঠলে বিবর্তন হবে মানুষের৷ মঙ্গলে মানুষ থাকতে শুরু করলে সবুজ বর্ণ ধারণ করতে পারে, কমতে পারে দৃষ্টিশক্তি৷ এমন আশঙ্কার কথাই শুনিয়েছেন তিনি৷সলোমনের দাবি, মঙ্গল গ্রহে মানুষ থাকতে শুরু করলে পরবর্তী প্রজন্মের শিশুদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিবর্তন ও অভিযোজন লক্ষ করা যাবে৷ যে কারণে পাল্টে যেতে পারে গায়ের রং৷ দেখা দিতে পারে অন্ধত্বও৷ সলোমন তাঁর বই, ‘ফিউচার হিউম্যানস’-এ দাবি করেছেন যে মঙ্গল গ্রহের আবহাওয়া প্রতিকূল হওয়ায় লালগ্রহে মানুষের বেঁচে থাকা কঠিন হতে পারে৷ তিনি লিখেছেন যে মঙ্গল গ্রহে মানববসতি স্থাপন হওয়ার পর সেখানে যে সন্তান জন্মাবে তাদের পরবর্তী সময়ে নানা জটিল পরিব্যক্তি (মিউটেশন), বিবর্তন ও পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷ কেন এই বিবর্তনের ও পরিবর্তন আসতে পারে মানবদেহে? তার উত্তর রয়েছে স্কটের বইতেই৷ মানুষের দেহে পরিব্যক্তি বা মিউটেশনের অর্থ হচ্ছে ডিএনএ গঠনের স্থায়ী পরিবর্তন৷ মঙ্গলের কম অভিকর্ষ ও মহাজাগতিক রশ্মির উচ্চ বিকিরণের কারণে নানা পরিব্যক্তি ঘটবে মানবশরীরে৷ এমনটাই আশঙ্কা করেছেন তিনি৷ মঙ্গল গ্রহ পৃথিবীর চেয়ে আকারে ছোট এবং মানুষ যা অভ্যস্ত তার চেয়ে ৩০ শতাংশ কম মাধ্যাকর্ষণ আছে৷ এ ছাড়াও লালগ্রহটিতে অভাব রয়েছে চৌম্বক ক্ষেত্র এবং ওজোন স্তরেরও৷ ওজোন স্তরটি মহাকাশ বিকিরণ, অতিবেগনি আলো, সূর্য থেকে আধানযুক্ত কণা এবং মহাজাগতিক রশ্মির হাত থেকে মানবশরীরকে রক্ষা করে থাকে৷ কম মাধ্যাকর্ষণ শক্তির ফলে ভঙ্গুর হাড়গুলি প্রসবের সময় জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে, মহিলাদের শ্রোণীদেশে (পেলভিস) ফাটল সৃষ্টি করতে পারে বলেও আশঙ্কা করেছেন তিনি৷ মঙ্গলে জন্মানো নবজাতকের পেশি ও দৃষ্টিশক্তি দুর্বল এবং হাড় ভঙ্গুর হতে পারে৷

ক্যানসার রহস্যের নতুন সূত্রের সন্ধান পেলো বিজ্ঞানীরা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

প্রতিটি কোষের ভিতরে, প্রতিটি নিউক্লিয়াসের কোটরে, লুকিয়ে রয়েছে মানুষের ‘প্রাণভোমরা’৷ ক্রমাগত প্রোটিন ও ডিএনএ-র কর্মকাণ্ড চলছে সেখানে৷ একটা সামান্য ভুলচুক হলেই তা ডেকে আনবে ক্যানসার৷ ‘ইউনিভার্সিটি অব শিকাগো’ এই নিয়ে একটি গবেষণা করেছিল, যা অজানা এক দিগন্ত খুলে দিয়েছে৷ সম্প্রতি ‘নেচার’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাপত্রটি৷ গবেষণার নেতৃত্বে ছিলেন শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক চুয়ান হ৷ তাঁর দলের সঙ্গে যৌথ ভাবে কাজ করেছেন সান অ্যান্টোনিয়োর ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস হেল্‌থ সায়েন্স সেন্টার-এর অধ্যাপক মিংজিয়াং শু৷ গবেষণায় তাঁরা দেখেছেন, একটি কোষের ভিতরে ডিএনএ কী ভাবে ‘প্যাকেজড’ রয়েছে ও সংরক্ষিত রয়েছে, তাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে আরএনএ-র৷ বিষয়টা এমন, কোষের মধ্যে তুলনায় দীর্ঘাকার ডিএনএ-র অতিক্ষুদ্র স্থানের মধ্যে সঙ্কুচিত হয়ে থাকার (একে বলে ডিএনএ প্যাকেজিং) ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা নেয় প্রোটিন সংশ্লেষে যুক্ত আরএনএ৷ এ ক্ষেত্রে যে জিনটি ডিএনএ প্যাকেজিং-এ আরএনএ-কে সাহায্য করে তার নাম টেট-২৷ বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এই গবেষণা দীর্ঘদিনের একটি ধাঁধাঁর উত্তর দিয়েছে কেন বহু সময়ে ক্যানসার বা অন্যান্য ডিসর্ডারের কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে টেট২-সম্পর্কিত মিউটেশনের নাম কাঠগড়ায় উঠে আসে, তা জানা গিয়েছে৷ টিইটি মিথাইল াইটোসিন ডাইক্সিজেনেস ২ বা টেট-২-এর মানব দেহে কী প্রভাব রয়েছে, তা নিয়ে এত দিন বিজ্ঞানীদের কাছে স্পষ্ট ধারণা ছিল না৷ গবেষকদের আশা, ‘অপরাধীকে’ যখন চিহ্ণিত করা গিয়েছে, তখন সমাধানও মিলবে৷ চিকিৎসার নয়া দিগন্ত খুলে যাবে৷ তবে চুয়ান জানান, এটি ‘কনসেপচুয়াল ব্রেকথ্রু’৷ একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনের ‘পরিচয়’ স্পষ্ট হয়েছে৷ চুয়ান ও তাঁর সঙ্গীরা জিন-এক্সপ্রেশন নিয়ে একাধিক উল্লেখযোগ্য কাজ করেছেন৷ ২০১১ সালে তাঁরা গবেষণায় দেখান, ডিএনএ ও প্রোটিনের মতো, আরএনএ-র বদল ঘটলে তাতে জিনের হাবভাব বদলে যায়৷ সেই থেকেই তাঁরা আরএনএ ও জিন এক্সপ্রেশন নিয়ে কাজ করছেন৷ এ ভাবে কাজ করতে করতেই তাঁরা টেট-২ জিনটিতে নজর দেন৷ বিজ্ঞানীরা জানতেন, টেট-২ বা টেট-২ সম্পর্কিত জিনের মিউটেশন ঘটলে বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা দেয় মানবদেহে৷ টেট-২ জিনের ডিএনএ নিউক্লিওটাইডের সজ্জাক্রমের ১০-৬০ শতাংশ পরিবর্তন বা মিউটেশন ঘটলে লিউকিমিয়া বা অস্থিমজ্জার ক্যানসার দেখা দেয়৷ এ ছাড়া ওই জিনের মিউটেশেনের ফলে অন্যান্য ধরনের ক্যানসারও সৃষ্টি হয়৷ চুয়ান জানান, টেট পরিবারের অন্য সদস্যেরা ডিএনএ-র উপর প্রভাব ফেলে৷ তাই বহু বছর ধরে গবেষকেরা শুধু টেট-২-র ডিএনএ-র উপর প্রভাব পরীক্ষা করে দেখছিল৷ কিন্তু সেটা ভুল৷ টেট-২ আসলে আরএনএ-র উপর প্রভাব ফেলে৷ হাওয়ার্ড হিউজ মেডিক্যাল ইনস্টিটিউটের রসায়ন বিভাগ এবং বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকিউলার বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক জন টি উইলসন বলেন, ‘‘এই গবেষণা চিকিৎসাক্ষেত্রে নতুন পথ দেখাবে৷ আশা করছি গোটা বিশ্বে এই গবেষণা উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে৷’’

শারদ উৎসব উপলক্ষ্যে বস্ত্র বিতরণ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ১৩ই অক্টোবর আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের উঃ২৪পরগণা জেলার পক্ষ থেকে বসিরহাট মহকুমার খোলাপাতা ও বনগাঁ মহকুমার পাতিপাড়ার বিশিষ্ট আনন্দমার্গী অমল মণ্ডলের উদ্যোগে শীতবস্ত্র ও পরনের বস্ত্র দেওয়া হয় দুঃস্থ মানুষদের ৷ এখানে উপস্থিত ছিলেন কুমুদ দাস ও স্থানীয় ইয়ূনিটের কর্মীবৃন্দ৷

 

ক্যানসার রহস্যের নতুন সূত্রের সন্ধান পেলো বিজ্ঞানীরা

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

প্রতিটি কোষের ভিতরে, প্রতিটি নিউক্লিয়াসের কোটরে, লুকিয়ে রয়েছে মানুষের ‘প্রাণভোমরা’৷ ক্রমাগত প্রোটিন ও ডিএনএ-র কর্মকাণ্ড চলছে সেখানে৷ একটা সামান্য ভুলচুক হলেই তা ডেকে আনবে ক্যানসার৷ ‘ইউনিভার্সিটি অব শিকাগো’ এই নিয়ে একটি গবেষণা করেছিল, যা অজানা এক দিগন্ত খুলে দিয়েছে৷ সম্প্রতি ‘নেচার’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাপত্রটি৷ গবেষণার নেতৃত্বে ছিলেন শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক চুয়ান হ৷ তাঁর দলের সঙ্গে যৌথ ভাবে কাজ করেছেন সান অ্যান্টোনিয়োর ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস হেল্‌থ সায়েন্স সেন্টার-এর অধ্যাপক মিংজিয়াং শু৷ গবেষণায় তাঁরা দেখেছেন, একটি কোষের ভিতরে ডিএনএ কী ভাবে ‘প্যাকেজড’ রয়েছে ও সংরক্ষিত রয়েছে, তাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে আরএনএ-র৷ বিষয়টা এমন, কোষের মধ্যে তুলনায় দীর্ঘাকার ডিএনএ-র অতিক্ষুদ্র স্থানের মধ্যে সঙ্কুচিত হয়ে থাকার (একে বলে ডিএনএ প্যাকেজিং) ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা নেয় প্রোটিন সংশ্লেষে যুক্ত আরএনএ৷ এ ক্ষেত্রে যে জিনটি ডিএনএ প্যাকেজিং-এ আরএনএ-কে সাহায্য করে তার নাম টেট-২৷ বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এই গবেষণা দীর্ঘদিনের একটি ধাঁধাঁর উত্তর দিয়েছে কেন বহু সময়ে ক্যানসার বা অন্যান্য ডিসর্ডারের কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে টেট২-সম্পর্কিত মিউটেশনের নাম কাঠগড়ায় উঠে আসে, তা জানা গিয়েছে৷ টিইটি মিথাইল াইটোসিন ডাইক্সিজেনেস ২ বা টেট-২-এর মানব দেহে কী প্রভাব রয়েছে, তা নিয়ে এত দিন বিজ্ঞানীদের কাছে স্পষ্ট ধারণা ছিল না৷ গবেষকদের আশা, ‘অপরাধীকে’ যখন চিহ্ণিত করা গিয়েছে, তখন সমাধানও মিলবে৷ চিকিৎসার নয়া দিগন্ত খুলে যাবে৷ তবে চুয়ান জানান, এটি ‘কনসেপচুয়াল ব্রেকথ্রু’৷ একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনের ‘পরিচয়’ স্পষ্ট হয়েছে৷ চুয়ান ও তাঁর সঙ্গীরা জিন-এক্সপ্রেশন নিয়ে একাধিক উল্লেখযোগ্য কাজ করেছেন৷ ২০১১ সালে তাঁরা গবেষণায় দেখান, ডিএনএ ও প্রোটিনের মতো, আরএনএ-র বদল ঘটলে তাতে জিনের হাবভাব বদলে যায়৷ সেই থেকেই তাঁরা আরএনএ ও জিন এক্সপ্রেশন নিয়ে কাজ করছেন৷ এ ভাবে কাজ করতে করতেই তাঁরা টেট-২ জিনটিতে নজর দেন৷ বিজ্ঞানীরা জানতেন, টেট-২ বা টেট-২ সম্পর্কিত জিনের মিউটেশন ঘটলে বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা দেয় মানবদেহে৷ টেট-২ জিনের ডিএনএ নিউক্লিওটাইডের সজ্জাক্রমের ১০-৬০ শতাংশ পরিবর্তন বা মিউটেশন ঘটলে লিউকিমিয়া বা অস্থিমজ্জার ক্যানসার দেখা দেয়৷ এ ছাড়া ওই জিনের মিউটেশেনের ফলে অন্যান্য ধরনের ক্যানসারও সৃষ্টি হয়৷ চুয়ান জানান, টেট পরিবারের অন্য সদস্যেরা ডিএনএ-র উপর প্রভাব ফেলে৷ তাই বহু বছর ধরে গবেষকেরা শুধু টেট-২-র ডিএনএ-র উপর প্রভাব পরীক্ষা করে দেখছিল৷ কিন্তু সেটা ভুল৷ টেট-২ আসলে আরএনএ-র উপর প্রভাব ফেলে৷ হাওয়ার্ড হিউজ মেডিক্যাল ইনস্টিটিউটের রসায়ন বিভাগ এবং বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকিউলার বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক জন টি উইলসন বলেন, ‘‘এই গবেষণা চিকিৎসাক্ষেত্রে নতুন পথ দেখাবে৷ আশা করছি গোটা বিশ্বে এই গবেষণা উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে৷’’

শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী মহাপ্রয়াণের ৩৪বর্ষ পূর্ত্তি উপলক্ষ্যে

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

২৫ অক্টোবর ঃ শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী পার্থিব দেহের মহাপ্রয়াণের ৩৪বর্ষপূর্ত্তি উপলক্ষ্যে গত ২১ অক্টোবর থেকে কলকাতায় অনুষ্ঠিত ছয় দিন ব্যাপী অখণ্ড কীর্ত্তনে দেশ বিদেশ থেকে হাজার হাজার আনন্দমার্গী সমবেত হয়েছেন৷ মার্গগুরুদেবের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে, সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আনন্দমার্গীরা এই অখণ্ড কীর্ত্তনে যোগদান করেছেন৷ ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ মহামন্ত্রের মধুর ধবনিতে আকাশ-বাতাস মুখরিত৷ আশ্রম প্রাঙ্গণে এক অভিনব ভক্তিভাবমণ্ডিত স্বর্গীয় পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে৷ নানান ভাষাভাষী হাজার হাজার মানুষ এক আনন্দ পরিবারের সদস্য হিসেবে এক সঙ্গে মিলেমিশে ভজন-কীর্ত্তন আহার করছেন৷ মার্গগুরুদেবের মহান আদর্শকে বাস্তবায়িত করার জন্যে একসঙ্গে বসে পরিকল্পনা ও কর্মসূচী গ্রহণ করছেন৷ মার্গগুরুদেবের যে মহান বাণী ‘মানব সমাজ এক ও অবিভাজ্য’ তার অবিকল বাস্তব প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠছে এখানে৷ বিশ্বের নানা প্রান্তের নানা ভাষাভাষীর হাজার হাজার মানুষের কণ্ঠে ‘বাবা নাম কেবলম্‌’ মহামন্ত্র সব ব্যবধান মুছে দিয়েছে৷ জাত - পাত - বর্ণ-সম্প্রদায় ও ভৌগোলিক সীমারেখা সব ভেদাভেদের ঊধের্ব উঠে এক অনবদ্য স্বর্গীয় পরিবেশে সবাই পরমপুরুষের নাম-গানে আপ্লুত৷

কেন্দ্রীয় ধর্ম প্রচার সচিব আচার্য বিশুদ্ধাত্মানন্দ অবধূত জানান গত ২১শে অক্টোবর দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে মার্গগুরুদেবের স্মৃতিসৌধে প্রারম্ভিক অনুষ্ঠান শুরু হয়৷ প্রারম্ভিক অনুষ্ঠানে প্রভাত সঙ্গীত, কীর্ত্তন, সাধনা ও গুরুপূজার পর ৩টে ৩০ মিনিটে ছ’দিন ব্যাপী অখণ্ড কীর্ত্তনের শুভারম্ভ হয়৷ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আনন্দমার্গের পুরোধা প্রমুখ সহ কেন্দ্রীয় সমস্ত কর্মকর্তারা ও দেশ-বিদেশ থেকে আগত আনন্দমার্গীরা যোগদান করেন৷

এরপর প্রতিদিন সময়সূচী অনুসারে কখনও সংঘের সন্ন্যাসী ‘দাদা’রা, কখনও সন্ন্যাসিনী ‘দিদি’রা, কখনও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার আনন্দমার্গীরা, কখনও বিভিন্ন রাজ্য থেকে আগত আনন্দমার্গীরা, কখনও বা বহির্ভারতের মার্গীরা পর্যায়ক্রমে অখণ্ড কীর্ত্তনে অংশগ্রহণ করছেন, পাশাপাশি সংঘের বিভিন্ন সেবামূলক কর্মসূচী নিয়েও আলোচনা হচ্ছে৷ এছাড়া প্রতিদিন ভোরে পাঞ্চজন্য (প্রাতঃকালীন বিশেষ কীর্ত্তন), মিলিত সাধনা, ধর্মচক্র ও নগরকীর্ত্তনও হচ্ছে৷

প্রতিদিন রাতে ‘মার্গগুরুদেবের প্রবচনের ও আশীর্বচনের রেকর্ড শোণানো হচ্ছে৷ শেষের কয়েকদিন মার্গগুরুদেবের ধর্মমহাচক্রের প্রবচনের ভিডিও দেখানোরও কর্মসূচী রয়েছে৷

এখানে আনন্দমার্গ পাবলিকেশন, প্রাউট পাবলিকেশন সহ সংঘের বিভিন্ন বিভাগের স্টলও খোলা হয়েছে৷ এই ষ্টলগুলিতে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী রচিত আধ্যাত্মিক বিষয়ক, প্রাউট বিষয়ক ও অন্যান্য বিভিন্ন বিষয়ক পুস্তক ও বিভিন্ন বিভাগের পত্র-পত্রিকা বিক্রয় হচ্ছে৷

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মহাপ্রয়াণ দিবস পালিত--- গত ২১শে অক্টোবর শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী মহাপ্রয়াণ দিবস স্মরণে ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যে ও পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে আনন্দমার্গের ইয়ূনিটগুলিতে ভাবগম্ভীর পরিবেশে ও মর্যাদার সঙ্গে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী মহাপ্রয়াণ দিবস পালন করা হয়৷

ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা, তেলিয়ামুড়া, খোয়াই, কমলপুর, কল্যাণপুর, মাছমারা, চড়িলাম, বাইখোয়া সহ প্রতিটি ইয়ূনিটে প্রভাতসঙ্গীত ও অখণ্ড ‘বাবানাম কেবলম্‌’ মহানাম সংকীর্ত্তন ও ইষ্ট-আদর্শ সম্পর্কে নানা আলোচনার মধ্যে দিয়ে দিনটি উদ্‌যাপন করেন৷

আগরতলায় সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যে ৬টা পর্যন্ত বারো ঘন্টা অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ আগরতলা ডায়োসিসের বিভিন্ন ইয়ূনিটের মার্গী ভাইবোনেরা কীর্ত্তনে অংশ গ্রহণ করেন৷ কীর্ত্তন মিলিত ঈশ্বর প্রণিধানের পর ডায়োসিস সচিব আচার্য কৃতাত্মানন্দ অবধূত মহাপ্রয়াণ দিবসের তাৎপর্য বিষয়ে বক্তব্য রাখেন৷

কর ফাঁকি--- কাঠগোড়ায় কেন্দ্র

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

আইনের ফাঁক দিয়ে জি.এস.টি ফাঁকির ভুরি ভুরি অভিযোগ আছে৷ তবে এবার যেন সরষের মধ্যেই ভুত! কেন্দ্রীয় সরকারের দুই দপ্তরের বিরুদ্ধেই জি.এস.টি ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ৷ কেন্দ্রীয় সরকারের এই দুই দপ্তর রেল ও যোগাযোগ মন্ত্রকের অধীনে থাকা ডাক বিভাগ৷

জি.এস.টি সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবী রেল ও ডাক বিভাগের দুই দপ্তরের জি.এস.টি ফাঁকির পরিমাণ প্রায় ৪২৩ কোটি টাকা৷ এর মধ্যে ইণ্ডিয়ান রেলওয়ে ফিনান্স কর্র্পেরেশনের জি.এস.টি ফাঁকির পরিমান ২৯৭ কোটি টাকা, গ্রামীন ডাক জীবন বিমা ও ডাক জীবন বিমা বিক্রির ১২৬ কোটি টাকার জি.এস.টি ডাক বিভাগ জমা করেনি৷ সারা দেশে ২৩টি সার্কেল থেকে এজেন্টের মাধ্যমে ডাক জীবন বিমা ও গ্রামীন ডাক বিমা বিক্রি হয়৷ এজেন্টের প্রাপ্য কমিশন থেকে জি.এস.টি কেটে জমা করা নিয়ম৷ কিন্তু অভিযোগ ---এজেন্টের কাছ থেকে জি.এস.টি কাটা হলেও তা জমা হয়নি৷